১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২১ ৬:৪৮ অপরাহ্ন
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় করোনা আক্রান্ত-মৃত্যুঝুঁকি কমে: সিভাসু’র গবেষণা
ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর অঞ্চলে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী ও অগ্রহণকারী কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের তুলনামূলক স্বাস্থ্যঝুঁকির মূল্যায়ন নিয়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে একদল গবেষকরা দীর্ঘ দুমাস ধরে গবেষণা করেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) গবেষণাটির ফল উল্লেখপূর্বক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

গবেষণা দলের অন্য সদস্যরা হলেন প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, ডাঃ মোহাম্মদ খালেদ মোশাররফ হোসেন, ডাঃ ইফতেখার আহমেদ রানা, ডাঃ ত্রিদীপ দাশ, ডাঃ প্রনেশ দত্ত, ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ডাঃ তানভীর আহমদ নিজামী।

গবেষণার নেতৃত্বে থাকা উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, সিভাসু ও চাঁদপুর কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবে গত ২২ এপ্রিল থেকে ২২ জুন পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৯৩৬ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে দুই হাজার ১৩৭ (১৬.৫২%) জনের শরীরে সার্স-কোভ-২ বা করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। কন্টাক্ট ট্রেসিং এর মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৯৫ জনের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সমস্ত তথ্য ও উপাত্ত সম্পূর্ণরূপে পর্যবেক্ষণ করে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯৬৮ জন করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেননি। অন্যদিকে, ৬৩ জন এমন ব্যক্তি পাওয়া যায়, যারা বিভিন্ন সময়ের মধ্যে নির্ধারিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের শুধুমাত্র প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। এছাড়া ৬৪ জন প্রথম ও দ্বিতীয়- উভয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছিলেন। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার হার দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর যারা দুই ডোজ নিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার হার দশমিক ৪৯ শতাংশ।

গবেষণার ফলে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের টিকা না নেওয়া রোগীদের মধ্যে ১৩৭ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। যেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে যথাক্রমে সাত ও তিনজন রোগীকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। টিকা গ্রহণ করেননি হাসপাতালে ভর্তিকৃত এমন রোগীদের ৮৩ জনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট লক্ষ্য করা গেছে এবং তাদের মধ্যে ৭৯ জনের অতিরিক্ত অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন হয়েছিল। শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা সর্বনিম্ন ৭০ শতাংশ পরিলক্ষিত হয়েছে।

অপরদিকে টিকা গ্রহণকারী রোগীদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্বাভাবিক (৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ) পাওয়া যায়। এছাড়া, টিকা নেননি হাসপাতালে ভর্তিকৃত এমন রোগীদের মধ্যে সাতজনের আইসিইউ সেবার প্রয়োজন হয়েছে, অপরদিকে টিকা গ্রহণকারী রোগীদের আইসিইউ সেবার প্রয়োজন হয়নি। টিকা নেননি এমন রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সময়কাল সর্বোচ্চ ২০ দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়েছে।

গবেষণা নমুনায় যে সর্বমোট ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তারা কেউই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি। আক্রান্তদের মধ্যে যারা টিকা নেননি, তারা বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় (কো-মরবিডিটি) ভুগছিলেন। তাদের মধ্যে করোনার সংক্রমণের হার ছিল ৭৬ দশমিক সাত শতাংশ। এক্ষেত্রে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে এ হার ছিল ১২ শতাংশ।

উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, গবেষণার ফল থেকে জনসাধারণের নিকট এ ইতিবাচক বার্তা উপস্থাপন করা যায় যে, সরকার বিনামূল্যে যে টিকা দিচ্ছে, সে টিকা নিলে পুনরায় করোনা আক্রান্তের হার কম। যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি কম।

তিনি আরও বলেন, টিকা না নিয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মারা গেছেন, তাদের অধিকাংশেরই বয়স পঞ্চাশ বছরের বেশি ছিল। তাই দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের (সিনিয়র সিটিজেন) প্রাথমিকভাবে টিকার আওতায় আনা গেলে করোনার স্বাস্থ্য এবং মৃত্যুঝুঁকি অনেংকাংশে কমে আসবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১, ২০২১ ৬:২১ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ৩৬০ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য ৩৬০ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। বাজেটের সিংহভাগই ব্যয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, পেনশন ও অবসর ভাতায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অবহেলিত শিক্ষা ও গবেষণা খাত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার ফাইন্যান্স কমিটির বাজেট অধিবেশনে কোষাধ্যক্ষ মো. রাকিব উদ্দিন ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করেন।

২০২১-২০২২ অর্থ বছরের মূল রিকাস্ট বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক সরকারি অনুদান হিসাবে ৩৪৫ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় হিসাবে ১৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকাসহ সর্বমোট আয় হিসাবে ধার্য করা করা হয়েছে ৩৬০ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। বাজেটে বেতন-ভাতাদি খাতে ১৭২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ ১২৮ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা, গবেষণা অনুদান ৯ কোটি টাকা, পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা (সাধারণ) খাতে ৩৬ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা, পণ্য ও সেবা বাবদ সহয়তা (মেরামত) খাতে ৮ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা অন্যান্য অনুদান হিসেবে ২ কোটি ৬ লক্ষ টাকা এবং মূলধন অনুদান ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকাসহ সর্ব মোট ৩৬০ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের সংশোধিত রিকাষ্ট বাজেটে সর্বমোট ব্যয় বরাদ্দ ৩৪৮ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৮, ২০২১ ৭:২৬ অপরাহ্ন
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে কুড়িগ্রামে
ক্যাম্পাস

দেশে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে আইনের খসড়া সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষায় এবং দেশে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে আইনের খসড়া সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল কৃষিজ দ্রব্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে।

বিলে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি নির্ধারিত শর্তে কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন কৃষিবিদ বা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা অধ্যাপককে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন। কোন ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি উপচার্য হিসেবে নিয়োগ পাবেন না।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক, এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা, ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে কৃষি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষি্‌ট, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অতীব প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২১ ৭:২৫ অপরাহ্ন
শেকৃবি’তে প্রথমবারের মতো অনলাইন পদ্ধতিতে সেমিস্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

শেকৃবি প্রতিনিধি : করোনা (কোভিড-১৯) মহামারির ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শেকৃবিতেও শিক্ষা কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দেয়। অনলাইন পদ্ধতিতে ক্লাশ ও কুইজ পরীক্ষা চললেও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ে।

শিক্ষার্থীদের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আজ রবিবার (২৭ জুন) রবিবার বেলা ১১টায় শেকৃবি’তে প্রথমবারের মতো অনলাইনে শুরু হয় কৃষি অনুষদের লেভেল-৩, সেমিস্টার-১/২০১৯ এর ফাইনাল পরীক্ষা।

পরীক্ষায় মোট ২৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।পরীক্ষায় ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অনলাইনে মনিটরিং করার জন্য ১জন সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ যে, কোভিড কালীন ও কোভিড পরবর্তী সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের পরীক্ষা ও ক্লাস গ্রহণের রূপরেখা প্রণয়নের জন্য সিন্ডিকেটের ৯৪তম বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া’কে আহবায়ক ও পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ এর ডীন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল’কে সদস্য-সচিব করে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। পরীক্ষাটি অনলাইনে সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের জন্য প্রফেসর এ এম এম শামসুজ্জামান’কে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ উদ্যোগকে শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানান এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২১ ৩:৫২ অপরাহ্ন
অনলাইনে শুরু হলো সিভাসুর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা
ক্যাম্পাস

আজ ১৫ জুন থেকে অনলাইনে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)-এর বিভিন্ন সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা।

গত ১২ মে ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়লয়ের ৫২তম একাডেমিক কাউন্সিলের ভার্চুয়াল অধিবেশনে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার, ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার, ৩য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার, ৪র্থ বর্ষ ১ম সেমিস্টার, ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার, ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার, ৪র্থ বর্ষ ১ম সেমিস্টার এবং ফিশারিজ অনুষদের ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার, ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার, ৩য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার, ৪র্থ বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩০, ২০২১ ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
জবির দুই শিক্ষার্থী আবিষ্কার করলো নতুন প্রজাতির ব্যাঙ
ক্যাম্পাস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান আল রাজী চয়ন ও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মারজান মারিয়া মিলে দু‘জনে আবিষ্কার করলেন নতুন প্রজাতির একটি ব্যাঙ।

শনিবার (২৯ মে) তারা দু‘জন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত বছর জুনে সিলেটের মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গবেষণার কাজে গিয়েছিলেন তারা। সেখানকার একটি প্রজাতির ব্যাঙকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারেন, সেটির সঙ্গে আমাদের পরিচিত ব্যাঙের কিছু প্রকৃতিগত পার্থক্য রয়েছে।

এরপর তারা ব্যাঙটিকে নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করেন এবং এতে উঠে আসে এটি পুরো বিশ্বে এক ধরনের নতুন প্রজাতি।

নতুন প্রজাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাঙটির শারীরিক পরিমাপ, মলিকুলার বিশ্লেষণের পাশাপাশি ডাকের বিশ্লেষণও করে দেখেছেন এই দুই গবেষক। সেখান থেকে প্রাপ্ত ফলাফলেও ব্যাঙটি অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে শনাক্ত হয়েছে। এরপর তারা তাদের গবেষণাপত্রটি ‘জার্নাল অব ন্যাচারাল হিস্টরি’ জার্নালে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই করে জার্নাল কর্তৃপক্ষ সেটি প্রকাশ করে এবং তাদের আবিষ্কার বিশ্বে স্বীকৃতি যায়।

এ কাজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহযোগিতায় ছিলেন লেমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির রুশ প্রফেসর নিক পোয়ার্কভ। প্রাপ্তিস্থান সিলেটের নাম অনুযায়ী তারা ব্যাঙটির নামকরণ করেছেন- লেপটোব্র্যাকিয়াম সিলেটিকাম।

এ বিষয়ে হাসান আল রাজী চয়ন বলেন, নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙটি আমাদের দ্বিতীয় আবিষ্কার। নতুন কিছু আবিষ্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করাটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দদায়ক। ইতোমধ্যে আমাদের আরও একটি ব্যাঙ নিয়ে গবেষণা চলছে। যেটা খুব দ্রুতই ঘোষণা হবে। ব্যাঙটি মূলত লাউয়াছড়া বন থেকে পাওয়া।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমরা ওই বন থেকে একটি ব্যাঙ আবিষ্কার করেছি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বনটি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, বিভিন্ন কারণে বনের প্রাণ পানির ছড়াগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। বনের ছড়াগুলো ব্যাঙদের আবাসস্থল, তাই আমাদের ছড়াগুলো রক্ষার্থে এগিয়ে আসতে হবে।

মারজান মারিয়া বলেন, নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙ আবিষ্কার করতে পেরে আমরা অনেক খুশি। নতুন এই আবিষ্কার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। নতুন কিছু আবিষ্কার করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতে এমন আরও কাজ করতে চাই।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৯, ২০২১ ৫:১৭ অপরাহ্ন
করোনাকালীন সময়ে বাকৃবির ৪৭৭ গবেষণা সম্পন্ন
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) ‘বাংলাদেশে করোনার প্রভাব মোকাবিলায় কৃষি বিষয়ক গবেষণার রুপান্তরকরণ’ শীর্ষক দু‘দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্ভোধন হয়েছে। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় ৪৭৭টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপিত হয়। এসময় এইচ-ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে ১৭জন গবেষককে গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রদান করা হয়।

এছাড়াও কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামারি পর্যায়ের ৬ জন উদ্যোক্তাকে ‘প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি কৃষি পুরস্কার-২০২১’ প্রদান করা হয়।

বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে র্ভাচুয়াল কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক শামসুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষির বৃহৎ ভ‚মিকা রয়েছে। দেশের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনামতে কৃষির মোট প্রবৃদ্ধি চার শতায়শ প্রয়োজন হলেও বর্তমানে আছে ৩.২ শতাংশ। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে জাতিসংঘ দূর্ভিক্ষের আশংকা করলেও আমাদের দেশের কৃষি দ্রব্যমূল্যস্ফীতি সীমাতিক্রম পর্যন্ত করেনি। এটা কিস্তু বড় সফলতা আমাদের জন্য। তবে কৃষির অর্থনৈতিক স্থীতিশীলতা ছাড়া জাতীয় অর্থনৈতিক স্থীতিশীলতা সম্ভব নয়। আর এজন্য কৃষিতে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন। কৃষিখাত বাজেটের ৫ শতাংশ কৃষি গবেষণার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে যার পুরোটাই ব্যয় হওয়া প্রয়োজন।

প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা বড় চালেঞ্জ। আগে মাথাপিছু আবাদী জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ২৮শতক। বর্তমানে তা কমে ১০শতকে দাঁড়িয়েছে। মাথাপিছু এই ১০ শতক জমি থেকেই সাড়ে ১৬কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি বিজ্ঞানীদের অংশীদার হতে হবে। এই সংগ্রামে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কৃষিবিজ্ঞানীদের সারথী হতে হবে। ফসলের অধিক উৎপাদনশীল উন্নত জাত, উন্নত হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগলের জাত এবং উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে জাতিকে দিক নির্দেশনা দিতে হবে। তাহলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য যে, ১৯৮৪ সালের ৩০ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত বাউরেস থেকে এপর্যন্ত ২৮২০টি গবেষণা প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে। বর্তমানে পাঁচ শতাধিক গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৭, ২০২১ ৯:২৬ অপরাহ্ন
বাকৃবির গবেষণা অগ্রগতি বিষয়ক কর্মশালা শনিবার
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) গবেষণা অগ্রগতির বার্ষিক কর্মশালার উদ্ভোধন আগামি শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। দুই দিনব্যাপি ‘বাংলাদেশে করোনার প্রভাব মোকাবিলায় কৃষি বিষয়ক গবেষণার রুপান্তরকরণ’ শীর্ষক ওই বার্ষিক কর্মশালাটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বাউরেস আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে লিাখিত বক্তব্যে এসব তথ্য দেন বাউরেসের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।

সাংবাদিক সম্মেলনে বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু।

এতে এইচ-ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে ১৭জন গবেষককে গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রদান করা হবে।

এছাড়া কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামারি পর্যায়ের ৬ জন উদ্যোক্তাকে ‘প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি কৃষি পুরস্কার-২০২১’ প্রদান করা হবে। কর্মশালায় মোট ১৯ টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সর্বমোট ৪৭৭টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপিত হবে।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক আরও বলেন, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে ১৯৮৪ সনের ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১৬১তম অধিবেশনে “বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) অধ্যাদেশ” অনুমোদন লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এপর্যন্ত বাউরেস ২৮২০ টি গবেষণা প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছে। বর্তমানে পাঁচ শতাধিক গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৬, ২০২১ ১১:০২ পূর্বাহ্ন
ড.আবুল মনসুরের “ফিশারিজ স্টাডি পার্ট ৪“ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
ক্যাম্পাস

মো. শাহীন সরদার: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মৎস্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর মিল্লাাতের লেখা ‘ফিশারিজ স্টাডি পার্ট ৪’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। বইটি মাৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য ড. মো. আবুল মনসুর মিল্লাাতের লেখা ‘ফিশারিজ স্টাডি’ সিরিজের চতুর্থ বই।

মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যা ছয়টি। এছাড়া তাঁর আন্তর্জাতিক র্জানালে ৬৯টি প্রকাশনা রয়েছে।

বইটি সম্পর্কে আবুল মনসুর মিল্লাত বলেন, আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি এবং ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে বইগুলো স্বীকৃত হওয়ায় গর্ববোধ করছি। আশা করছি বইগুলো শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জ্ঞানার্জনে ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৫, ২০২১ ৮:১৬ অপরাহ্ন
কৃষিমন্ত্রীর বিমাতাসুলভ আচরণে শেকৃবি এলামনাই এসোসিয়েশনের প্রতিবাদ
ক্যাম্পাস

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল অধিদপ্তরে চাকরি, পদোন্নতি, বদলি সহ সকল ক্ষেত্রে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের হয়রানি ও বঞ্চনার অভিযোগ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল ২৪ মে সোমবার রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নবম সভায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

 

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, একজন কৃষিবিদ কৃষিমন্ত্রী হওয়ায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত হয়েছিলাম। তবে তিনি তার আশেপাশে কয়েকজন নীতিহীন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নানান সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যেখানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে বিএনপি, জামাত-শিবিরকে পদোন্নতি ও নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। একইসাথে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি সবগুলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের সকল ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। সর্বশেষ একটি নিয়োগেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এরকম কট্টর বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বঞ্চনা বিমাতা সুলভ ও নিন্দনীয়।

বৈঠকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পাশ করেছে তারা নানাভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আজ এটি প্রথম আনুষ্ঠানিক সভা। আমরা ধাপে ধাপে আন্দোলন করবো। এসময় তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদকে আহ্বায়ক করে দশ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করেন যারা আগামীর কর্মসূচীর রূপরেখা তৈরি করবে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, আমার ছাত্ররা কষ্টে আছে এটা আমার জন্যও কষ্টের। আমাদের সকল প্রমাণ সহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে হবে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ করবো। আগামী ৭ দিনের মধ্যে স্মারকলিপি তৈরি করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেওয়া হবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যাতে আমরা বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান সেলিম, যুগ্ম মহাসচিব ড. জিএম ফারুক ডন, কোষাধ্যক্ষ এম আমিনুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও কৃষি ক্যাডার সার্ভিস এসোসিয়েশন এর মহাসচিব কাজী আফজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা এটিআই’র সাবেক অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম মুন্না, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও বিএডিসির উপ-পরিচালক একেএম ইউসুফ হারুন, ক্রীড়া সম্পাদক হোসেন আল ফারুক ডিউন, নির্বাহী সদস্য ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন এর মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য মোঃ মাহফুজুর রহমান রিন্টু, নির্বাহী সদস্য ও কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, নির্বাহী সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হারুন-অর রশীদ, নির্বাহী সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মশিউর রহমান হুমায়ুন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop