১০:৩২ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ৪, ২০২১ ৬:০২ অপরাহ্ন
দেশে প্রথম জাতীয় চা দিবস পালিত
প্রাণ ও প্রকৃতি

দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস পালিত হচ্ছে।গত বুধবার বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এবারের চা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, চা-শিল্পের প্রসার’।

চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার সকালে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও চা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া চা উৎপাদনকারী অঞ্চল চট্টগ্রাম, সিলেট ও পঞ্চগড়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে চা শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। দেশের সাধারণ মানুষের সামাজিকতা, সংস্কৃতি ও দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে চা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্পের পুনর্বাসনে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালনের উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন গত ১০ বছরে প্রায় ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশে সর্বাধিক ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। চা রফতানির পুরাতন ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সরকার এর উৎপাদনের পাশাপাশি বিপণনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে। ফলে, ২০২০ সালে ১৯টি দেশে চা রফতানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে। আমরা চা আইন ২০১৬ প্রণয়ন করেছি।’

বাংলাদেশ চা বোর্ড জানায়, ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসেবে তৎকালীন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ৪ জুন চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত বছর। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৪, ২০২১ ১২:৩৭ অপরাহ্ন
বালিয়াডাঙ্গীর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে গরু বিতরণ
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবন মান উন্নয়নের লক্ষে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২ নির্বাচিত সুফল ভোগীর মাঝে একটি করে গরু ও উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার(৩ জুন) দুপুরে তাদের মাঝে এসকল গরু এবং উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এসময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.যোবায়ের হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো.নাসিরুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ পাড়িয়া গ্রামের মাহান মাড্ডি ও নাগেশ্বরবাড়ী গ্রামের রবিন হাসদার হাতে পশু ও উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৪, ২০২১ ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমে জমজামাট বাজার
প্রাণ ও প্রকৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের মধ্যেও ধীরে ধীরে জমে উঠছে আমের বাজার। তবে অন্যবছরের তুলনায় বাজারে ক্রেতা কম থাকায় বিক্রি হচ্ছে কম।

জেলা শহরে দেখা গেছে, তিন-চারদিন আগের তুলনায় ক্রেতাদের ভিড় বেশি। বাজারে কয়েক দিন আগে গোপালভোগ ও কিছু গুটি জাতের আম থাকলেও এখন পাওয়া যাচ্ছে খিরসাপাতও।

শহরের মসজিদপাড়ার এলাকার একজন ব্যবসায়ী জানান, তিনি সকালে ২০ মণ খিরসাপাত আম কিনেছেন এক বাগানমালিকের কাছ থেকে। সকল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ছয় মণ। গতকাল তিনি ২৫ মণ খিরসাপাত আম কিনে সারাদিনে সব বিক্রি করতে পেরেছিলেন।

একই এলাকার নূর হোসেন ছোটকা নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, সকালে তিনি ৬০ মণ খিরসাপাত আম কিনেছেন। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কিছুই বিক্রি করতে পারেননি।তবে বুধবার ৮০ মণ খিরসাপাত ও ৩০ মণ গোপালভোগ কিনে সারাদিনে সবই বিক্রি করতে পেরেছিলেন বলে জানান।

তিনি বলেন, “আজ ক্রেতা কিছুটা কম। তাই বিক্রি হচ্ছে ধীরগতিতে। তবে আমি আশাবাদী সব আম সারাদিনে বিক্রি করতে পারব।”

জেলার বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এসব আম কিনে নিয়ে যায় বলে তারা জানান। তাছাড়া অনেকেই আত্মীয়বাড়ি বেড়াতে এসে আম কিনে নিয়ে যায়। তাদের সংখ্যাটা বেড় বড়। কিন্তু এবার লকডাউনের কারণে তারা না আসায় কম বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তারা।

পুরাতন বাজারের আড়তদার ও বাগানমালিক বাহরাম আলী বলেন, খিরসাপাত ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা আর গোপালভোগ ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে এবারের আম।“অন্য বছর এসব আম ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হত। আশানুরূপ ক্রেতা না আসায় বিক্রি কম হচ্ছে।”

জেলার সবচেয়ে বড় আমের বাজার কানসাট। কানসাটে ইতিমধ্যে গত কয়েক দিন থেকে আম বিক্রি শুরু হয়েছে। এছাড়া জেলার অন্যতম বড় আমবাজার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ও শহরের পুরাতন বাজার। জেলায় রয়েছে আরও বেশ কিছু ছোট-বড় বাজার ও আড়ত।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, লকডাউনে আম বেচাকেনায় কোনো বাধা নেই। আম পরিবহনেও কোনো বাধা নেই। ব্যবসায়ীরা জেলার বাইরে আম নিয়ে যেতে পারবেন। বাইরের জেলা থেকেও এ জেলায় আম কিনতে আসতে পারবেন। জেলায় এবার ৩৪ হাজার ৭৩৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২, ২০২১ ৯:১৫ অপরাহ্ন
গবাদি পশুর দুর্গন্ধে ভোলার পরিবেশ দূষণের শঙ্কা
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঝড়ের কবলে মারায় পশুদের গত ৭ দিনেও অপসারণ না করায় পচন ধরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে।শুধু তাই নয়, মৃত পশু-পাখির দুর্গন্ধের কারণে চরাঞ্চলের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে অন্যদিকে রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই দ্রুত এসব মৃত পশু অপসারণের দাবি জানিয়েছেন চরবাসী।

এলাকাবাসী জানায়, ঝড়ে মৃত গবাদি পশু ও পাখি চরাঞ্চলের বাগানে, রাস্তার পাশে, গভীর জঙ্গলে, ফসলের ক্ষেতে এবং পুকুর-খাল এবং নদীতে ভাসছে। এসব মৃত পশু থেকে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। এতে পরিবেশের ক্ষতিকর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা যায়, জেলার ৩০টি চরে প্রাণিসম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে ঢালচর, চর নিজাম, কুকরি-মুকরি, চর মোজাম্মেল, চর নজরুল, চর জহিরুল উদ্দিন, চর হাসিনা, কলাতলীর চর, বদনার চর, চর পিয়াল, চর সামসুদ্দিন, মাঝের চর, মদনপুর, ভেলুমিয়ার চর, চর পাতিলা এবং চর তাড়ুয়ার ক্ষতি বেশি।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসেবে, এসব চরে ৯৪টি গরু, ৯৭টি মহিষ, ৪৫টি ছাগল, ১৭৬টি ভেড়া, ৮ হাজার ১৮৪টি মুরগি এবং ৩ হাজার ৮৪টি হাঁস মারা গেছে।

অন্যদিকে, জোয়ারে ভেসে নিখোঁজের রয়েছে ৫ হাজার ৫৮৭টি গরু, ৩ হাজার ৬৫৯টি মহিষ, ১১ হাজার ৬১২টি ছাগল, ২৫১টি ভেড়া, ৪০ হাজার ৭৫৯টি মুরগী এবং ১৭ হাজার ১২৩টি হাঁস।

ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার জানান, ঝড়ে ঢালচরে অন্তত অর্ধশতাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ১২টি গরু-মহিষ বিভিন্ন এলাকায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মৃত পশু দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা এসব পশু অপসারণে কোনো উদ্যোগ বা পরামর্শ দিচ্ছেন না।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম জানান, মৃত গবাদি পশু পাখির কারণে আমাদের বনের বন্যপ্রাণির মধ্যে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা খুবই কম। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখছি। তবে এতে পরিবেশের ক্ষতি আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানিও দূষিত হয়ে পড়বে। তাই এসব মৃত পশু অপসারণ জরুরি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল জানান, চরে যেসব গরু-মহিষ, ছাগল এবং পশু-পাখি মারা গেছে, সেগুলো দ্রুত অপসারণের জন্য আমরা দ্রুত নির্দেশনা দিয়েছি, মৃত পশু মাটি চাপা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে আমাদের কর্মীরা কাজ করছে। পরিবেশ যাতে দূষিত না হয়, তাই দ্রুত অপসারণ হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩১, ২০২১ ১১:০২ অপরাহ্ন
কমছে আমের বেচাকেনা, হতাশ ব্যবসায়ীরা!
প্রাণ ও প্রকৃতি

মধু মাস বলতেই যেন আমের আমেজ। আর এই আমেজে সবচেয়ে বেশি খুশি থাকে আম ব্যবাসায়ীরা। তবে এবারে চিত্র অনেকটা ভিন্ন।এবার আমের বাজারে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতার সংখ্যা সীমিত। যার কারণে লোকসানের মুখে আম ব্যবসায়ীরা।

করোনা মহামারির কারণে বাজারে পাইকার অনেক কমে গেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাল আসতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে আগে যা ১ ঘণ্টায় বিক্রি হতো, সেটা এখন ১ সপ্তাহেও বিক্রি করতে পারছে না তারা। যার ফলে এবার অনেক লোকসানের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, প্রতি কেজি মাঝারি হিমসাগর আম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫০ টাকা দরে। আর সেটি প্রতি কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ধরে। ল্যাংড়া আম প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা করে এবং খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। অন্যান্য আম যেমন-আম্রপালি, লক্ষণভোগ এগুলোর দর কমতি নেই। দাম বৃদ্ধি পেয়ে কেজি প্রতি খুচরা আম্রপালি আম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। লক্ষণভোগ পাইকারি ৩০ থেকে ৩৫ হলেও তা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার ওপরে।

রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি কাঁচামালের বাজার কাওরানবাজারে আমের আড়তদার মেসার্স আমিনুল বাণিজ্যলয়ের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘করোনার জন্য পাইকারি অনেক কমে গেছে। গেল বছরগুলো তুলনায় এবার বেচাকেনা খুবই কম। এ সময় আমরা ১ ঘণ্টায় ৫০০ থেকে ১ হাজার ক্যারেট আম বিক্রি করতে পারতাম। একই মাল এখন বিক্রি করতে সময় লাগছে প্রায় এক সপ্তাহ। আগে যেখানে পাইকাররা একজনেই ১০০ থেকে ২০০ ক্যারেট আম নিতো, এখন তারা নিচ্ছে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ ক্যারেট মাল। বেচাকেনা একেবারেই কম। এইভাবে চলতে থাকলে আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।’

‘এক বছর আগে ২৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে বাগান কিনেছি। এক সিজনে আড়তের জায়গার ভাড়া দিতে হয় দুই লাখ টাকা। সঙ্গে আছে কর্মচারীদের খরচ। পাইকাররা যদি আগের মতো না আসে এবং মাল বিক্রি করতে না পারি তাহলে আমরা কীভাবে এসব পরিশোধ করবো। আশা করছি কোরবানির ঈদ পর্যন্ত আমের আমদানি থাকবে। তবে সামনে এভাবে বেচাকেনা চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসার ধস নামবে বলেও এই আড়তদার জানান।

সরাসরি বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে অনলাইনে পাইকারি আম সরবরাহ করে এমন একজন ব্যবসায়ী রিকি ফুড এর স্বত্বাধিকারী মঞ্জুর মোর্সেদ রিকি জানান, ‘বাগানের বাছাইকৃত আমের দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় এবং চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনের আড়ালে অনলাইনে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের নিম্নমানের আম সরবরাহের কারণে অনলাইন থেকে আম কেনায় গ্রাহকদের আস্থা নিম্নমুখী। এছাড়া কুরিয়ার সার্ভিস ফি তুলানমূলক বেশি হওয়ায় আমাদের অনলাইনে ব্যবসাও খুব একটা হচ্ছে না। ফলে কুরিয়ার সার্ভিসের ফি আরও কমানোর দাবি জানাই।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩১, ২০২১ ৪:৪৬ অপরাহ্ন
জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো ১২ কেজি ওজনের অজগর
প্রাণ ও প্রকৃতি

জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের মোংলায় সুন্দরবনের একটি অজগর লোকালয়ে ভেসে এসেছে।

সোমবার (৩১ মে) সকালে মোংলা উপজেলার গিলাখালকুল গ্রামের রাসেল হাওলাদারের বাড়ির মুরগির খোপ থেকে অজগরটি উদ্ধার করে বন বিভাগ।দুপুরে সুন্দরবনের শ্যালা নদীর পাড়ে গহিন বনে অবমুক্ত করা হয়েছে অজগরটিকে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের এসিএফ এনামুল হক বলেন, রাসেল হাওলাদার ও স্থানীয় লোকজন অজগরটি দেখতে পেয়ে বন বিভাগে খবর দেয়।

সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কাজে নিয়োজিত ওয়াইল্ডটিম, বনবিভাগ ও ভিটিআরটির সদস্যরা সেখানে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করে। ৯ ফুট লম্বা অজগরটির ওজন প্রায় ১২ কেজি।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে অজগরটি সুন্দরবন থেকে ভেসে লোকালয়ে চলে এসেছে। মুরগির খোপকে উঁচু পেয়ে সেখানে প্রবেশ করে রাসেলের দুটি মুরগি ও পাঁচটি হাঁস মেরে ফেলেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩০, ২০২১ ৮:৫৪ অপরাহ্ন
যেভাবে চিনবেন আমের সেরা ১০ জাত
প্রাণ ও প্রকৃতি

মধু মাস বলতেই আমের সিজন। এই সময়টাতে আমের সাথে সখ্যতা নেই এমন কাউকে পাওয়া খুবই দুষ্কর। এই সিজনটাতে বাজারে আসে বিভিন্ন রকমের আম। আমের গন্ধে থাকে পুরো বাজার মাতোয়ারা। তবে সঠিক আম চিনেত পারাতে রয়েছে আরো মজা। আমাদের অধিকাংশ ক্রেতাই আম চিনতে ভুল করেন। যারা এমন ভুল করেন এমন লোকদের জন্য আজ রয়েছে সেরা ১০ জাতের আম চিনার সহজ উপায়।

১. গোপালভোগ:
গোপালভোগের গায়ে সাধারণত হলুদ ছোপ ছোপ দাগ থাকে। এটির নিচের দিকে একটু সরু এবং পাকার পর হলুদ হয়ে যায়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়া যায় পাওয়া যায় গোপালভোগ।

২. রূপালী আম বা আম্রপালি:
রূপালী আম বা আম্রপালি নিচের দিকে খানিকটা সুঁচালো এবং উপরে একটু গোলাকৃতির হয়। এই আম মিষ্টি বেশি ও স্বাদে অতুলনীয়।

৩. ল্যাংড়া:
ল্যাংড়া আম দেখতে কিছুটা গোলাকার ও মসৃণ। এর নাক নিচের দিকে থাকে। এর খোসা খুবই পাতলা।

৪. রাণী পছন্দ:
রাণী পছন্দ দেখতে অনেকটা গোপালভোগের মতোই। এর গায়েও হলুদ দাগ আছে কিন্তু আকারে ছোট। ফলে গোপালভোগের সঙ্গে রাণী পছন্দ মেশালে আলাদা করা কষ্টকর।

৫. বারি আম-২ বা লক্ষণভোগ:
বারি আম-২ বা লক্ষণভোগ চেনার সহজ উপায় হলো নাক আছে মাঝামাঝি স্থানে। মিষ্টি কম ও পাকলে হলুদ রং হয়। সাধারণত জুন মাসের শুরুর দিকে এই আম পাওয়া যায়।

৬. ক্ষীরসাপাতি আম:
খুবই মিষ্টি ক্ষীরসাপাতি আম অনেকে হিমসাগর বলে বিক্রি করেন। এই আম আকারে একটু বড় হয়। আমে হালকা দাগ থাকে। ক্ষীরসাপাতি আম বাজারে পাওয়া যায় মে মাসের শেষে অথবা জুনের প্রথম দিকে।

৭. আশ্বিনা ও ফজলী:
আশ্বিনা আর ফজলী আম দেখতে একই রকম। তবে আশ্বিনা আম একটু বেশি সবুজ ও ফজলী আম খানিকটা হলুদ হয়। আশ্বিনার পেট মোটা হয় ও ফজলী দেখতে লম্বা ধরনের হয়।

৮. হিমসাগর:
উৎকৃষ্ট স্বাদের সুগন্ধযুক্ত জাতের আমের মধ্যে হিমসাগরের অবস্থান প্রায় শীর্ষে। হিমসাগর আম জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে এবং পুরো জুন মাস বাজারে পাওয়া যায়। এ আমের ঠোঁট নেই, গড়ন বুকের দিকটা গোলাকার এবং অবতল থেকে সামান্য লম্বাটে আকার নিয়ে শীর্ষদেশ গোলাকৃতির হয়ে থাকে। পরিপক্ক হিমসাগর আমের রং হালকা সবুজ। পাকার পরেও সবুজ থেকে যায়। ত্বক মসৃণ, খোসা পাতলা।

৯. হাড়িভাঙ্গা:
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বিখ্যাত ও সুস্বাদু আম হাড়িভাঙ্গা। এ আমের উপরিভাগ তুলনামূলক বেশি মোটা ও চওড়া এবং নিচের অংশ অপেক্ষকৃত চিকন। আকারে বড় হওয়ার কারেণ ৩টি আমে ১কেজি হয়ে যায়। এ আম মাংসালো, শ্বাস গোলাকার ও একটু লম্বা। চামড়া কুঁচকে যায় কিন্তু পঁচে না।

১০. সুবর্ণরেখা:
এ আমটির আকার মাঝারি ও ডিম্বাকৃতির। সাধারণত আগাম জাতের আম এটি। সুবর্ণরেখা আমের বোটার পাশে লাল রং থাকে। সুস্বাদু ও রসালো এ আমটির নাম এদেশে সুবর্ণরেখা বা সুন্দরী হলেও দক্ষিণ ভারতে একে চিন্না আম বলে।-সূত্র: কালের কণ্ঠ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩০, ২০২১ ৬:১৭ অপরাহ্ন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বিক্রির হিড়িক এখন অনলাইনে!
এগ্রিবিজনেস

মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ঘোষণা করা হয় বিশেষ লকডাউন। আর এই লকাডাউনে অন্যান্য ব্যবসার ন্যায় এবার সেখানে জমে উঠেছে অনলাইনে আম বেচাকেনা। ফেসবুক পেইজ থেকে শুরু করে অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে তারা বেচাকেনা শুরু করছেন আম। তাতে লাভবানও হচ্ছেন সেখান চাষিরা। এবং সহজে আম কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও।

জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়ার উদ্বোধন করা হয় গত ২১ মে। এরপর থেকেই মূলত জেলার অনলাইন ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন অনলাইনে আম বিক্রিতে।

সদর উপজেলার চাঁদলাই এলাকার অনলাইন আম ব্যবসায়ী শাহজান আলী জানান, তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আম বিক্রির প্রচারণা চালিয়ে অর্ডার নিয়েছেন। চলতি মৌসুমে মোট ছয়দিন দেশের বিভিন্নস্থানে আম সরবরাহ করেছেন।
বর্তমানে উন্নতমানের কিছু গুটি ও হিমসাগর আম সরবরাহ করা হচ্ছে। ঢাকার বাইরের ক্রেতারায় মূলত এই আমের অর্ডার করছেন বলে জানান তিনি।

আবদুল্লাহ জানান, তার নিজস্ব কোনো আমবাগান নেই। তিনি অনলাইনের মাধ্যমে বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। এবারও প্রায় ৪০ মণ আম সরবরাহ করেছেন। এতে মোটা অংকের টাকা আয় হচ্ছে। সারা বছর আম মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করেন এই ব্যবসায়ী। গত মৌসুমে তিনি সাড়ে ৫শ মণ আম অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে দুই লাখ টাকা আয় করেন তিনি।

এসআর কুরিয়ার সার্ভিসের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন জামিল জানান, হেড অফিস থেকে আমাদের চার্জ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সে নিয়ম অনুযায়ী আমরা চার্জ আদায় করে থাকি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মার্কেটিং অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, করোনাকালীন আম বেচাকেনার জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে জনসমাগম এড়িয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করতে হবে। বাগানেই আম ট্রাকে লোড করে বিভিন্নস্থানে পাঠাতে হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩০, ২০২১ ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
জবির দুই শিক্ষার্থী আবিষ্কার করলো নতুন প্রজাতির ব্যাঙ
ক্যাম্পাস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান আল রাজী চয়ন ও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মারজান মারিয়া মিলে দু‘জনে আবিষ্কার করলেন নতুন প্রজাতির একটি ব্যাঙ।

শনিবার (২৯ মে) তারা দু‘জন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত বছর জুনে সিলেটের মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গবেষণার কাজে গিয়েছিলেন তারা। সেখানকার একটি প্রজাতির ব্যাঙকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারেন, সেটির সঙ্গে আমাদের পরিচিত ব্যাঙের কিছু প্রকৃতিগত পার্থক্য রয়েছে।

এরপর তারা ব্যাঙটিকে নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করেন এবং এতে উঠে আসে এটি পুরো বিশ্বে এক ধরনের নতুন প্রজাতি।

নতুন প্রজাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাঙটির শারীরিক পরিমাপ, মলিকুলার বিশ্লেষণের পাশাপাশি ডাকের বিশ্লেষণও করে দেখেছেন এই দুই গবেষক। সেখান থেকে প্রাপ্ত ফলাফলেও ব্যাঙটি অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে শনাক্ত হয়েছে। এরপর তারা তাদের গবেষণাপত্রটি ‘জার্নাল অব ন্যাচারাল হিস্টরি’ জার্নালে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই করে জার্নাল কর্তৃপক্ষ সেটি প্রকাশ করে এবং তাদের আবিষ্কার বিশ্বে স্বীকৃতি যায়।

এ কাজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহযোগিতায় ছিলেন লেমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির রুশ প্রফেসর নিক পোয়ার্কভ। প্রাপ্তিস্থান সিলেটের নাম অনুযায়ী তারা ব্যাঙটির নামকরণ করেছেন- লেপটোব্র্যাকিয়াম সিলেটিকাম।

এ বিষয়ে হাসান আল রাজী চয়ন বলেন, নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙটি আমাদের দ্বিতীয় আবিষ্কার। নতুন কিছু আবিষ্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করাটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দদায়ক। ইতোমধ্যে আমাদের আরও একটি ব্যাঙ নিয়ে গবেষণা চলছে। যেটা খুব দ্রুতই ঘোষণা হবে। ব্যাঙটি মূলত লাউয়াছড়া বন থেকে পাওয়া।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমরা ওই বন থেকে একটি ব্যাঙ আবিষ্কার করেছি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বনটি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, বিভিন্ন কারণে বনের প্রাণ পানির ছড়াগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। বনের ছড়াগুলো ব্যাঙদের আবাসস্থল, তাই আমাদের ছড়াগুলো রক্ষার্থে এগিয়ে আসতে হবে।

মারজান মারিয়া বলেন, নতুন প্রজাতির এই ব্যাঙ আবিষ্কার করতে পেরে আমরা অনেক খুশি। নতুন এই আবিষ্কার আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। নতুন কিছু আবিষ্কার করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতে এমন আরও কাজ করতে চাই।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৯, ২০২১ ১২:১৯ অপরাহ্ন
‘আম অর্থনীতিতে’ খাগড়াছড়িতে চমক!
এগ্রিবিজনেস

আম অর্থনীতিতে এবার খাগড়াছড়িতে চমক। চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়িতে প্রায় ৩ হাজার ৩৬৯ একর জমিতে হয়েছে আমের চাষ। অনুকূল আবহাওয়া ও মাটি চাষের উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। ছোট-বড় মিলিয়ে জেলায় বর্তমানে আম বাগানের সংখ্যা প্রায় ৭ শতাধিক। আর তাতে সেখানে বাড়ছে আম অর্থনীতির পরিধি। খাগড়াছড়ি থেকেই উৎপাদিত আম্রপালি, রাংগুয়াই, বারি-৪ প্রভৃতি উন্নত জাতের আম যাচ্ছে সারাদেশে।

স্থানীয়রা জানায়, খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় আম চাষির সংখ্যা বাড়ছে। জেলা সদর, দীঘিনালা, মাটিরাঙা, গুইমারা, পানছড়িসহ সবখানেই বাড়ছে আমের আবাদ। শুধু জেলা সদরের ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের জোরমরম ও বানছড়া এলাকায় আম চাষির সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন।

জানা যায়, সুজন চাকমা ২০০৭ সালে এই এলাকায় প্রথম বাগান গড়ে তোলেন। বিশ একর পাহাড়ি টিলাতে তিনি ২ হাজার আম গাছ রোপণ করেন। বর্তমানে তার বাগানের পরিমাণ ৭৬ একর।

তিনি জানান, প্রথম বাগান করার সময় গ্রামবাসী আমাকে উপহাস করত। এত আম কে খাবে, বিক্রি করবে কোথায়, নানা কথা! তারা আমাকে সেগুন বা রাবার চাষ করার পরামর্শ দিত। তবে এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। আমার সাফল্য দেখে পুরো গ্রামে চাষির সংখ্যা বেড়ে দেড়শ। প্রত্যেকে দুই থেকে পাঁচ একরের চাষ গড়ে তুলেছে। বছরে আম বিক্রি করে আয় করছে ২ থেকে ১০ লাখ টাকা।

জেলার মহালছড়ি এলাকায় ধুমনিঘাট এলাকায় ৩৫ একরের বাগান গড়ে তুলেছে মহালছড়ি ফল বাগান মালিক সমিতির সভাপতি হ্ল্যাশিমং চৌধুরী। তিনি জানান, ২০১৫ সালে বাগান গড়ে তুলেছি। বাগানে ৬০ প্রজাতির আম রয়েছে। গত মৌসুমে প্রায় ১০ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। চলতি মৌসুমে উৎপাদন আরো বাড়বে।

খাগড়াছড়ির মায়াবিনী লেক এলাকায় আম্রপালি, রাংগুয়াই ও বারি-৪ জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছে অংহ্ল্যা মারমা। তিনি বলেন, বাগানে ১৩শ আম গাছ রয়েছে। এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। ফলন তোলার আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে বাগানটি ২০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে পারব বলে আশাবাদী।

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মর্ত্তুজ আলী জানান, চলতি মৌসুমে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ হাজার ৪শ মেট্রিক টন। একসময় খাগড়াছড়িতে আম উৎপাদন হত যৎসামান্য। অথচ এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খাগড়াছড়ির আম যাচ্ছে। স্বাদে ও গুণে এখানকার আম বিশেষত আম্রপালি সারাদেশে সমাদৃত। তিনি জানান, খাগড়াছড়িতে আম চাষের উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। বছরে আম চাষকে কেন্দ্র করে প্রায় ১৬০ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ড. মুন্সী রাশীদ আহমেদ জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে আম চাষ শুরু হলেও গত ১০ বছর ধরে ব্যাপকভাবে চাষ শুরু হয়। প্রতিবছরই নতুন করে আমের বাগান সৃজিত হচ্ছে। পাহাড়ের মাটি কিছুটা অম্লীয় ভাবাপন্ন এবং ঢালু অংশে চাষাবাদ করার কারণে সূর্যের আলোও বেশি পায়। ফলে বাগান ভালো হয়। এখানে যে আম হয় তা আকারে বড় হয় এবং মিষ্টতা বেশি হয় বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop