৯:৪১ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২১ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
বড়শিতে ধরা পড়ল ৪৩ কেজি ওজনের ব্ল্যাক কার্প মাছ
মৎস্য

বড়শিতে ধরা পড়ল ৪৩ কেজি ওজনের ব্ল্যাক কার্প মাছ। কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর দীঘিতে এই বিশাল মাছটি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ব্যবসায়ী জাহিদুল্লাহ রিপনের বড়শি দিয়ে মাছটি শিকার করেন।

ধর্মসাগর দীঘিতে এতো বড় ওজনের মাছ পাওয়া গেছে খবর খবর পেয়ে মাছটি দেখতে ছুটে যান কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।

এ সময় তিনি বলেন, ধর্মসাগরে বড় মাছের ঐতিহ্য এখনও টিকে রয়েছে। কুমিল্লা জনপ্রিয় ব্যাংক ও ট্যাঙ্কের জন্যে। কুমিল্লার অনেক দিঘী বা পুকুরে বড় বড় মাছ পাওয়া যায়। তবে দিঘীতে এত বড় মাছ বিরল ঘটনা।

ব্যবসায়ী জাহিদুল্লাহ রিপন জানান, বড়শি নিয়ে বসেছি বিকেল ৫টায়। রাত ৮টায় মাছটি ধরা পড়ে। প্রায় ৪০ মিনিট মাছটি পানিতে ছিল। পরে নেটিং করে ওপরে তুলেছি। মাছটির ওজন ৪৩ কেজি ৬০০ গ্রাম। মাছটি এমপি বাহারকে উপহার হিসেবে দেবো।

উল্লেখ্য, নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ধর্মসাগরের আয়তন ২৩.১৮ একর। ত্রিপুরার রাজা প্রথম ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ সালে দিঘিটি খনন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২১ ৪:০৬ অপরাহ্ন
মাদারীপুরে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
মৎস্য

মাদারীপুরে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা মৎস্য অফিসের আয়োজনে এতে ৫টি উপজেলার কয়েকশ’ মৎস্য চাষি, পেশাজীবী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিমন রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান খান, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তপন কুমার মজুমদারসহ অনেকেই।

কর্মশালায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এছাড়া মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা মেনে নদীতে জাল ফেলার জন্য জেলেদের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২১ ২:৫৩ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে ১৪ মণ জাটকা জব্দ
মৎস্য

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ১৪ মণ জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ।

বুধবার রাত নয়টায় শেখ কামাল সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি ট্রাক, বেশ কয়েকটি গণপরিবহন ও ১টি ত্রি-হুইলার থেকে এসব জাটকা জব্দ করা হয়।

এ সময় জাটকা পরিবহনের দায়ে ৫ হাজার টাকা করে তিন ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা। পরে জব্দকৃত মাছ এতিমখানা মাদ্রাসার ছাত্র ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণপরিবহন ও ট্রাকে অভিযান চালিয়ে এসব জাটকা জব্দ করা হয়েছে।

জাটকা শিকারি জেলেদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২১ ১২:৪৪ অপরাহ্ন
এক ইলিশের দাম হাঁকছে ৪০২৫ টাকা
মৎস্য

ওজন পৌনে দুই কেজি। হয়তো ওজনের ভারেই ইলিশ মাছটি আর বেরুতে পারেনি জেলেদের জাল থেকে।

মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালীর পায়রা নদী থেকে ধরা এ মাছ শহরের নিউ মার্কেটের মাছের বাজারে তোলা হয় বিকেল বেলায়। দাম হাঁকা হয়েছে চার হাজার ২৫ টাকা। এই টাকায় পটুয়াখালীর বাজার থেকে সাড়ে চার মণ ধান কেনা যায়। তাই বোধহয় বুধবার বিকেল সোয়া ৫টায়ও বিক্রি হয়নি এ মাছ।

জাল থেকে তোলার পর জেলে ইলিশটিকে বিক্রি করেছিলেন স্থানীয় আড়তে। সেখান থেকে বলতে গেলে চড়া দাম দিয়েই মাছটি কিনে আনেন নিউ মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী মো. হারুন অর রশিদ মৃধা (৫৭)। কেজিপ্রতি দুই হাজার ৩০০ টাকা হিসেবে পৌনে দুই কেজি ওজনের মাছটির দাম হাঁকা হয় ৪ হাজার ২৫ টাকা।

পটুয়াখালীর দক্ষিণ উপকূলের বাজারে এক মণ ধানের দাম এখন ৯০০ টাকা। স্থানীয় কৃষক কবির হোসেন বলছেন, চার হাজার ২৫ টাকা দিয়ে সাড়ে চার মণের মতো ধান কেনা যায়। মাছ দেখে মন ভরলেও দামে তো কুলায় না।

মাছ ব্যবসায়ী মো. হারুন অর রশিদ মৃধা জানান, পায়রা নদীর মাছ সুস্বাদু। তাই অন্য কোনো নদী কিংবা সাগরের চেয়ে পায়রার ইলিশের দাম একটু বেশিই হয়ে থাকে। তা ছাড়া এত বড় সাইজের ইলিশ সাধারণত ধরাও পড়ে না। ভোজনরসিক ক্রেতাদের কাছে এমন মাছের কদরই আলাদা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২১ ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
দেশের মৎস্য সম্পদের জন্য হুমকি সাকার ফিস
মৎস্য

অ্যাকুরিয়ামে চাষ করা বিদেশি প্রজাতির রাক্ষুসে মাছ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের নদী ও জলাশয়ে। দেশীয় মাছের জন্য ক্ষতিকর এই মাছটির কারণে হুমকির মুখে পড়ছে দেশের মৎস্য সম্পদ। ‘সাকার’ ফিস নামে পরিচিত মাছটি অন্য মাছ ও জলজ প্রাণীর পোনা খেয়ে ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন সরকারি গবেষণা।

বুড়িগঙ্গা, ঢাকার ময়লা আবর্জনা গর্ভে ধারণ করে খরস্রোতা এই নদীর পানি এখন বিষাক্ত। এবার বুড়িগঙ্গায় বাসা বেঁধেছে এক রাক্ষুসে মাছ, যার জন্য হুমকির মুখে দেশের মৎস্য সম্পদ। মাছটির নাম ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিস’। তবে দেশে পরিচিত ‘সাকার ফিস’ নামে। অ্যাকুরিয়ামে চাষযোগ্য বিদেশি প্রজাতির এই ক্ষতিকর মাছটি প্রায়ই এখন দেখা মিলছে বুড়িগঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদী, হাওর ও জলাশয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- এই মাছ এলো কোত্থেকে?

নারায়ণগঞ্জ মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, মাছটা হয়তো কারও অ্যাকুরিয়ামে ছিল। কোনো কারণে তারা হয়তো মাছটি সেখান থেকে আশেপাশে ডোবা, খাল বা নদীতে। এর থেকে এখন বুড়িগঙ্গায় আমরা প্রচুর পরিমাণে সাকার ফিস দেখতে পাচ্ছি।

নদী গবেষকরা বলছেন, মাছটির পাখনা খুব ধারালো। ফলে অল্প আঘাতেই অন্য মাছের দেহে ক্ষত তৈরি করে। এতে প্রথমে পচন এবং পরে মারা যেতে থাকে দেশি মাছগুলো। তাই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে জীববৈচিত্রের জন্য এই মাছ মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যেহেতু অন্য কোনো মাছ নদীতে বাঁচতে পারে না, বিশেষ করে ঢাকার চার নদীতে। সেক্ষেত্রে এই মাছগুলো যেহেতু অক্সিজেন ছাড়া অনেক সময় বেঁচে থাকতে পারে, তাই এরা সারভাইভাল ফর দ্যা ফিটেস্টে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকে। এটাই বাস্তবতা। আমাদের প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীব বৈচিত্রের সঙ্গে যে দেশীয় মাছগুলো আছে, সেগুলোর জন্য এটি খারাপ।

সাকার ফিস জলজ পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি ছোট মাছ ও মাছের পোনা খেয়ে থাকে। তাই এই মাছ জালে ধরা পড়লে, ফের নদীতে না ফেলার পরামর্শ তাদের।

মোহাম্মদ এজাজ আরও বলেন, নদীতে মাছ ধরতে গেলে জালে এ মাছগুলো উঠছে। পরে মাছগুলো আবার জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, এটা বন্ধ করতে হবে।

ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপের এক কূটনীতিক মেয়াদ শেষে চলে যাওয়া আগে ঢাকার গুলশান লেকে এই মাছটি ছেড়ে দেন। এরপর সেখান থেকেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এটি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১, ২০২১ ৩:৩৯ অপরাহ্ন
বরিশালে গৌরনদী বিপুল পরিমাণ জাটকা জব্দ
মৎস্য

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী পেট্টলপাম্প সংলগ্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাটকা জব্দ করেছে প্রশাসন। 

মঙ্গলবার রাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল বাসারসহ গৌরনদী হাইওয়ে পুলিশ।

এসময় চারটি ককসিট ভর্তি বিপুল পরিমাণ জাটকা জব্দ করা হয়। এসংক্রান্ত দুই মামলায় গাড়ী চালক ও সুপারভাইজারকে ১৩ হাজার পাঁচশ’ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ২০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১, ২০২১ ১:৩৩ অপরাহ্ন
কুয়াকাটায় দেখা মিললো নীল মান্না কাঁকড়ার
মৎস্য

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ফ্রাই মার্কেট মানেই রকমারি মাছের দেখা, তারমধ্যে অন্যতম কাঁকড়া ফ্রাই। বিভিন্ন সাইজ ও জাতের কাঁকড়া দেখা যায় এখানে।

তবে এবার দেখা মিললো ১ কেজি ওজনের সামুদ্রিক নীল মান্না কাঁকড়ার।

ফিস ফ্রাই মার্কেটের ‘বেল্লাল ফ্রাই’ নামে একটি দোকানে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে কাঁকড়াটি দেখা যায়।

দোকানী বেল্লাল জানান, কাঁকড়াটি আজকে গভীর সমুদ্র থেকে আসা একজন জেলের কাছ থেকে আটশো টাকায় কিনেছি, এর ওজন ১ কেজি। এখন দোকানে নিয়ে আসলাম, পর্যটকদের পছন্দ হলে ফ্রাই করে নিতে পারে বা কেউ এভাবেও নিতে পারে। এগুলো বছরের মধ্যে দু’একটি পাওয়া যায়। তবে তাও শীতের মৌসুমে, এ বছরে এ প্রথম পেলাম। কাঁকড়াটি খেতে অনেক সুস্বাদু।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এ সামুদ্রিক কাঁকড়াটির নাম নীল মান্না কাঁকড়া ছাড়াও পোর্টুনাস পেলাজিকাস ফুল কাঁকড়া, নীল কাঁকড়া, নীল সাঁতারু কাঁকড়া ও বালি কাঁকড়া নামে পরিচিত। তবে এক এক এলাকার মানুষ এক এক নামে চেনে। এটি কক্সবাজারে দেখা গেলেও এ অঞ্চলে তেমন দেখা মেলে না। বর্তমানে শীত মৌসুম হওয়ার দু-একটা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলোর ওজন দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩০, ২০২১ ২:২৪ অপরাহ্ন
ছোট যমুনা নদীতে পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব
মৎস্য

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ছোট যমুনা নদীতে চাকজাল (পলো) দিয়ে মাছ ধরার উৎসব শুরু হয়েছে। নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে যুবক থেকে বৃদ্ধ সবাই মিলে মাছ ধরার এই উৎসবে মেতে উঠেছে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের ছোট যমুনা নদীতে এ উৎসবের দেখা মিলেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাথা ও কোমরে গামছা বেঁধে, কেউ হাফপ্যান্ট, কেউ লুঙ্গি কাছা মেরে মাছ ধরছেন। যুবক থেকে বৃদ্ধ সবাই শখের বসে মাছ ধরার উপকরণ নিয়ে নেমেছেন ছোট যমুনা নদীতে। শীতের সকালে সূর্য উঠার পর থেকেই শুরু হয় তাদের এই মাছ ধরা। চলে বিকেল পর্যন্ত। দলবেঁধে সারিবদ্ধভাবে চাকজাল দিয়ে শোল, বোয়াল, আইড়, কালবাউশ, রুই, বাটাসহ হরেক রকমের মাছ ধরছেন তারা।

অল্প পানিতে ৫০-৬০ জনের একটি দল এক দিকে চাকজাল নিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। আর অপর প্রান্ত থেকে ১৫০-২০০ জন সারিবদ্ধ হয়ে জাল চাপিয়ে মাছ ধরতে ধরতে সামনের দিকে এগিয়ে আসেন। পরে দুই দল একত্রিত হয় সেখানকার মাছ ধরা শেষ করে কিছুটা হেঁটে আবার একইভাবে মাছ ধরতে শুরু করে।

কবে কোথায় মাছ ধরা হবে উপজেলার হাট-বাজারে আগে ঢোল বাজিয়ে মাইকিং করে প্রচার করা হয়। অনেকে আবার মোবাইল ফোনে জেনে নেন। এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে অনেকেই ৫-৬ কিলোমিটার হেঁটে আবার কেউ ১০-১২ কিলোমিটার অটোচার্জার চেপে আসেন।

উপজেলার কোলা গ্রাম থেকে মাছ ধরতে আসা শাহাদত হোসেন বলেন, চার-পাঁচ গ্রামের সব বয়সীরা মিলে নদীতে মাছ ধরি। এভাবে একত্রিত হয়ে মাছ ধরতে অনেক ভালো লাগে। বিকেলে মাছ নিয়ে বাড়ি গেলে পরিবারের সদস্যরা অনেক খুশি হয়। প্রতি বছরের কার্তিক মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত এই উৎসব চলে।

কোলা ভান্ডারপুর গ্রাম থেকে আসা তাইজুল ইসলাম বলেন, পোলো দিয়ে মাছ ধরতে অনেক আনন্দ লাগে। এই সময় কাজ-কাম কম থাকায় সপ্তাহে দু’তিন দিন করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আমরা পলো দিয়ে মাছ ধরি। আজ এক কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ পেয়েছি। হাওরের এই মাছ খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু।

বালুভরা গ্রামের বাসিন্দা সন্ন্যাস চন্দ্র হালদার বলেন, এইভাবে মাছ ধরাকে হাওরি উৎসব বলে। এই গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন বয়সীরা এই উৎসবে অংশ নেয়। নদী থেকে আইড়, বোয়াল, সরপুঁটিসহ বিভিন্ন মাছ পাই।

বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের কটক বাড়ি গ্রামের লিটন বলেন, এই হাওরি মাছ ধরা উৎসব প্রতি সপ্তাহে দু-তিনবার করে হয়। উৎসবের আগে গ্রামে মাইকিং করে জানানো হয়। এক দিনে এত লোক একত্রিত করা সম্ভব না। উৎসব চলাকালীন প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ কেজি মাছ ধরা পড়ে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩০, ২০২১ ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীর মহিপুরে এক হাজার কেজি জাটকা জব্দ
মৎস্য

পটুয়াখালীর মহিপুরে এক হাজার কেজি জাটকা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে কুয়াকাটা-পটুয়াখালী মহাসড়কের মহিপুর থানার আলিপুর ব্রিজ এলাকায় ডলফিন পরিবহনের একটি বাস তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ এ জাটকা জব্দ করা হয়।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. খন্দকার শাফকাত হোসেন বলেন, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আলিপুর ব্রিজ এলাকায় ডলফিন পরিবহন তল্লাশি করে এক হাজার কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত জাটকা মৎস্য প্রতিনিধির উপস্থিতিতে স্থানীয় এতিমখানা ও অসহায় দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৯, ২০২১ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
বিষ প্রয়োগে দুই লক্ষ টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

নওগাঁর রাণীনগরে দুইটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় দুই লক্ষ টাকার দেশীয় প্রজাতীর মাছ নিধন করা হয়েছে। উপজেলার একডালা ইউনিয়নের স্থল এলাকার বেড়াকোল নামক বিলের মধ্যে পুকুরে শনিবার রাতে কে বা কাহার এই বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে।

পুকুর মালিক স্থল গ্রামের জাফের আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম বলেন, গ্রামের মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে পুকুর দু’টি তিন বছরের জন্য সাড়ে ৯লক্ষ টাকায় লিজ নিয়ে চাষ করে আসছেন। শনিবার রাতে কে বা কাহার ওই পুকুর দু’টিতে বিষ প্রয়োগ করে। এতে পুকুরে থাকা শৈল, বোয়াল, টেংরা, সিং, মাগুড়সহ নানান ধরনের দেশীয় প্রজাতির প্রায় দুই লক্ষ টাকার মাছ মারা যায়।

রাণীনগর থানার ওসি মো: শাহিন আকন্দ বলেন, এঘটনায় এখনো কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop