আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি ইলিশের, হতাশ ক্রেতারা
মৎস্য
ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহের ব্যবধান ৩ গুণ ইলিশ মাছ আমদানি হয়েছে। কিন্তু কিছু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হওয়ার কারণে কোনোভাবেই কমছেনা দাম। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। গত সপ্তাহে বাজারে ৫০০ গ্রাম সাইজের এক কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দরে। অন্যদিকে, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশের প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৩’শ টাকা থেকে ১৪ ‘শ টাকা দরে। পাঁশাপাশি এক কেজি অথবা দেড় কেজির একটু বেশী ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৫’শ টাকা থেকে ১৬’শ টাকা দরে।
বাজারে দেখা যায় গত সপ্তাহের চেয়ে ইলিশের আমদানি প্রায় তিনগুণ। কিন্ত দামও বেশী আবার ক্রেতাও কম। প্রতারণাও অব্যাহত রয়েছে এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।
এই বিষয়ে হায়দার আলী নামের একজন মাছ ব্যবসায়ী জানান, কি বলবো ভাই ক্রেতারা আসে বরিশালের মাছ কিনতে কিন্ত তারা কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। এ কারণে মানুষ বিরক্ত হয়ে মাছের কাছে যায় না। দেখা যায় বাজারে বহু ইলিশ কিন্ত ক্রেতা নাই।
শরীয়তুল্লা বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ লাবলু মিয়া জানান, মানুষ নানান ভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছে ইলিশ মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। কেউ কেউ মাপে কম দিচ্ছে আবার কেউ বরিশালের ইলিশ বলে বেশী দাম নিয়ে ক্রেতাকে ঠকাচ্ছেন।মাছ ব্যবসায়ীরা চাঁদপুর ও চট্রগ্রামের নিম্নমানের এবং অস্বাদের ইলিশ মাছই বরিশালের মাছ বলে বিক্রি করেছে ক্রেতাদের কাছে।
তিনি আরো জানান, ফরিদপুরবাসীর ভাগ্য বঞ্চিত করে যারা বরিশালের ইলিশ গোপনে কালোবাজারি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।