ঈদগাঁওয়ে গরু চুরি,আটক-২
প্রাণিসম্পদ
কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে কসাইখানা থেকে চুরি হওয়া গরু উদ্ধার ও এতে জড়িত ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ২০ অক্টোবর রাতে এ চুরি সংঘটিত হয়। এর পরদিন গতকাল শুক্রবার গরুটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আপোষ মিমাংসা, ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। স্থানীয়রা চুরির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ঈদগাঁও ইউনিয়নের পালপাড়ার মৃত অরবিন্দ পালের ছেলে কাজল পালের গোয়ালঘর থেকে ২০ অক্টোবর রাতে একটি গাভী চুরি হয়। পরদিন সকালে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিমের নির্দেশে এএসআই গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঐ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় ইউনিয়নের দরগাহপাড়া রোডের ব্রিজ সংলগ্ন নুর মঞ্জিল থেকে চোরাই গরুটি উদ্ধার করে এবং জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করে। তারা হলেন নুর মঞ্জিলের মালিক ছৈয়দ আহমদ ও দরগাহ পাড়ার মতলবের ছেলে নুর হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নুর মঞ্জিলে ডেইরি ফার্মের সাইনবোর্ড থাকলেও ভেতরে রয়েছে কসাইখানা। পানির পাইপ লাইন দেয়া আছে ব্রিজের নিচ দিয়ে খালে। তারা মনে করেন চোরাইকৃত গরু সেখানে জবাই করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় একটি চক্র এ অপকর্মের সাথে জড়িত। ঐ চক্র ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।
গরুর মালিক কাজল পাল জানান, গরু উদ্ধার ও চোর আটকের পর বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে স্থানীয় একটি মহল। যার কারণে তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। তিনি জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
স্থানীয়দের দাবি, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে আসছে। এ কসাইখানার সূত্র ধরে তদন্ত করলে প্রকৃত অপরাধীরা বেরিয়ে আসবে।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং অপরাধ দমনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।