একবার ধান লাগিয়ে কাটা যাবে পাঁচবার
কৃষি বিভাগ
একবার ধান লাগিয়ে কাটা যাবে পাঁচবার। প্রতি হেক্টরে ফলনও হবে দ্বিগুণ। বিস্ময়কর এ জাতের আবিষ্কারক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী। ধানের জিনগত পরিবর্তন করে যিনি জাতটির নাম দিয়েছেন পঞ্চব্রিহি।
প্রতিনিয়ত কমছে চাষের জমি। উৎপাদন খরচও বাড়ছে হু হু করে। কৃষকের এমন ত্রাহি অবস্থা থেকে মুক্তি দিতেই পঞ্চব্রিহি জাতের আবিষ্কার।
গেল ১৫ বছর গবেষণা করে পঞ্চব্রিহি জাতের ১৬ প্রজাতির ধান আবিষ্কার করেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী। মৌলভীবাজার কালিহাতির নিজ গ্রামে প্রাথমিক গবেষণা চালিয়ে ইতোমধ্যে সফলও হয়েছেন তিনি।
ধান গবেষক ও জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী বলেন, আমি এই উচ্চারণটা করেছি ১৫ বছর আগে। বলেছি যে, ধানকে আমি চিরজীবী করে ফেলবো, অর্থাৎ ধান দিতেই থাকবে।
পঞ্চব্রিহি প্রথম রোপণ হয় বোরো মৌসুমে। ১২০ দিন পর প্রথমবারের মতো ঘরে ওঠে নতুন ধান। তারপর প্রতি ৪৫ দিনের মাথায় আরও ৪ বার কাটা যাবে বহুব্রিহি ধান। কাটার সময় গোড়া থেকে খানিকটা ওপরে কাটতে হবে এই ধান।
আবেদ চৌধুরী বলেন, একেক রেটনের ইতিহাস একেকটা, ১৬টা প্রজাতির জন্মের কাহিনী ১৬টি। মূল কথা হল যে, যেভাবে বলা হয়ে থাকে দ্বিতীয় বার অল্প হয় এবং তৃতীয়বার একদম মাঠে মারা যায়। এটা মোটেই রেটনের কাহিনী নয়। এটা রেটন নয়, এটা হচ্ছে পুনঃজীবনী ধান বহুব্রিহি ধান।
হেক্টর প্রতি বছরে মিলবে ১৩ থেকে ১৬ টন। দ্বিতীয়বার কাটার সময় ফলন কমবে ২০ শতাংশ। তারপর টানা তিনবার ফলবে প্রায় একই ফলন।
ধান গবেষক আরও বলেন, এগুলোর মধ্যে যেটার ফলন ভাল সেটা ১৬ টনের বেশি হয়। ৮ থেকে ১০ টনের উপরে অনেকগুলো জাত আছে।
পঞ্চব্রিহির সুবিধা আছে বীজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও। চাষীর হাতে একবার যাওয়ার পর বারংবার তা ব্যবহার করতে পারবে। জাতের পুরোটাই পরিবেশবান্ধব ও খরা সহনশীল। ঝড় বৃষ্টিতেও টিকে থাকতে পারে পঞ্চব্রিহি।
শিগগিরই গবেষণা প্লট থেকে চাষি পর্যায়ে ধানের বীজ সরবরাহ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ধানবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী।