৩:৪৫ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • এন্টিবায়োটিকমুক্ত খামার করে সফল ক্ষুদ্র খামারী শাকিল
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২১ ৬:১০ অপরাহ্ন
এন্টিবায়োটিকমুক্ত খামার করে সফল ক্ষুদ্র খামারী শাকিল
পোলট্রি

মো. শাকিল আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষার্থী একজন তরুণ উদ্যোক্তা। তিনি কুমিল্লা জেলার তিতাশ থানার গাবতলি গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের ছেলে। এন্টিবায়োটিকমুক্ত খামার করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন নিয়মিত। শুরুতে এন্টিবায়োটিক দিয়ে খামার করে লস দেয়ার পর এন্টিবায়োটিকমুক্ত খামার করে সফল হয়েছেন এই ক্ষুদ্র খামারী শাকিল। এগ্রিভিউ২৪.কম এর সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে উঠে আসে শাকিলের খামারের গল্প।

এত অল্প বয়সে ব্রয়লার খামারের দিকে ঝুঁকার কারণ জানতে চাইলে শাকিল বলেন, চারদিকে বর্তমানে চাকরির অবস্থা দেখে নিজ থেকে কিছু করার আশায় খামারের দিকে মনোযোগ। এর মাধ্যমে একদিকে নিজে স্বাবলম্বী হতে ‍পারবো আর অন্যদিকে মাংসের চাহিদাও পূরণ হবে এবং কয়েকজন লোকের কর্মসংস্থানেও ব্যবস্থা হবে। সেই চিন্তা থেকে কয়েকজন বন্ধু মিলে খামার করার চিন্তা করলে বাকিরা আর সাথে থাকেনি। অবশেষে আমি একাই এই খামার শুরু করি। ইনশাআল্লাহ এখন পর্যন্ত ভালোই চলছে।

শাকিল বলেন, আমি ২০১৯ সালের শেষের দিকে খামার শুরু করি। প্রায় ৯০ হাজার টাকা দিয়ে ঘর বানাই। প্রথমে ২৬ হাজার টাকায় এক হাজার ৫০ মুরগির সেড করি। সেখান থেকে আমার প্রায় ৮ হাজার টাকার মত লাভ আসে। আবার ২০২০ সালের শুরুর সেডে ২৯ হাজার টাকা আবার ১ হাজার মুরগি তুললে সেখানে আমার ১৫ হাজার টাকা লাভ হলেও তারপরের সেডে ৬০ হাজার টাকার মুরগি তুললে সেখানে আমার প্রায় ৪৬ হাজার টাকা লস হয়। যার কারণে আমি মাঝখানে খামার বন্ধ রাখি।

বর্তমানে খামারের অবস্থা জানতে চাইলে শাকিল এগ্রিভিউকে বলেন, দীর্ঘ দিন খামার বন্ধ রেখে ‍আবার ২০২১ সালে এসে ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা ছাড়া আবার সেড শুরু করি। বর্তমানে খামারে ১ হাজার মুরগি আছে। আগের সেডগুলোতে আমার প্রতিদিন গড়ে ১৫টা করে মুরগি মারা যেতো। দিনে ৩০-৩৫টাও মারা গিয়েছে। এখন আমার খামারে মুরগির মৃতের সংখ্যা একেবারেই কম এবং মুরগির ওজনও অনেক। বর্তমান সেডের ২৬ দিন বয়সী মুরগির ওজন প্রায় ২ কেজির মত বলে জানান শাকিল।

এন্টিবায়োটিক না খাওয়ালে কি খাওয়াচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মুরগিতে সামান্য আমাশয় দেখা দিলে আমি ডাক্তারের পরামর্শে মেডিসিন খাওয়ায়। এছাড়া বর্তমানে গরমের কারণে কিছু মুরগি মারা গেলেও অসুস্থ মুরগি দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া আমার খামার আলো বাতাস দিয়ে ভরপুর। একেবারে নিরিবিলি পরিবেশ আমার খামারে। খামার সব সময় আমি পরিষ্কার রাখি। খামারে বাইরের লোকজন ঢুকতে দেই না, বায়োসিকিউরিটি যথাযথভাবে পালন করি। এ জন্য খামারে রোগ বালাই কম হয়।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop