কেন্দুয়ায় মাছের সঙ্গে শত্রুতা
মৎস্য
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় শত্রুতার জেরে এক মাছচাষির ফিশারি পুকুরে বিষ (কীটনাশক) প্রয়োগ করে অন্তত ১৫ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরবেলা ওই ফিশারী পুকুরের মালিক আলাল মিয়া পুকুর পাড়ে গেলে সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার সাধারণ মানুষ ঘটনাটি দেখতে পুকুরে গিয়ে ভিড় করেন। ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি আলাল মিয়া কেন্দুয়া পৌরশহরের তুরুকপাড়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, আলাল মিয়া পাশের কুন্ডুলী গ্রামে ৪টি পুকুর লিজ নিয়ে পাঙ্গাস, রুই, কাতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে মাছগুলো বিক্রির প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন আলাল। সম্প্রতি কুন্ডুলী গ্রামের ইউপি সদস্য সুহেল মিয়া, তার ভাই মস্তু মিয়া ও মান্নান মিয়া গংদের সঙ্গে আলাল মিয়ার বিরোধ দেখা দিলে পুকুরের মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। পরে এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেন আলাল।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে আলাল মিয়া প্রতিদিনের মতো তার ফিশারী পুকুরে গেলে সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেন। পরে বিষয়টি কেন্দুয়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ফিশারী মালিক আলাল মিয়া জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রায় দেড় মাস আগে কুন্ডুলী গ্রামের সুহেল মেম্বার, তার ভাই মস্তু মিয়া ও মান্নান মিয়া গংরা আমার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় তখন আমি কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। তারই জেরে আমার ফিশারিতে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সুহেল মিয়া বলেন, মাছের সঙ্গে এমন কাজ কোনো মানুষ করতে পারে না। কেউ যদি করে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনা হোক। এছাড়া গ্রামের একটি মারামারি মামলায় আমরা সবাই বাড়ি ছাড়া। এই কাজ আমাদের কেউ করেনি।
কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৎস্য অফিসারকে বলেছি, তারা পুকুরের পানি সংগ্রহ করেছেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।