তরমুজের বাজারে ক্রেতা সংকট
প্রাণ ও প্রকৃতি
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হঠাৎ ঊর্ধ্বগতিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কুমিল্লার তরমুজ ব্যবসায়ীরা। তরমুজের ভরা মৌসুম হলেও বিক্রি করতে না পারায় লোকসান গুনতে হচ্ছে জেলার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর।
বাজারে তরমুজের পাইকার নেই বললেই চলে। স্থানীয় বাজারেও ব্যবসায়ীরা তরমুজ উঠাতে পারছেন না। কেউ কেউ আবার বাজারে নিয়ে গেলেও ক্রেতা সংকটে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা।
তনু মিয়ার। কুমিল্লার নগরীর পুলিশ লাইন এলাকার ফল ব্যবসায়ী, ১২ বছর ধরে তিনি এই এলাকায় তরমজু ব্যবসা করে আসছেন। গত মৌসুমে করোনার কারণে দোকানপাট বন্ধ ছিলো। এবার তাই রোজা ঘিরে ১ লক্ষ ২০ হাজার দুটি তরমুজের চালান বরিশাল থেকে নিয়ে আসেন। গত কয়েকদিনে মাত্র ১০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করছেন তিনি। ক্রেতা না থাকার এরইমধ্যে চালানের প্রায় ৪০ হাজার টাকার তরমুজ পচে গেছে। বাকিগুলোতেও দ্রুত পচন ধরবে।
জেলার দাউদকান্দি উপজেলার কয়েকজন তরমজু চাষিরা জানান, মৌসুমের এ সময়টায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে তরমুজ কেনার জন্য তাঁদের বাড়িতে ভিড় জমাতেন। অথচ করোনার কারণে এখন একজন ক্রেতাও পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকের কাছে তরমুজ কিনতে আসা তো দূরে থাক, তাঁদের খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়া বলেন, ‘বর্তমানে আমার দোকানে প্রায় ২ই লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে ক্রেতা সংকটে সব তরমুজ অবিক্রিত পড়ে আছে।’