৩:২৪ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা- শ ম রেজাউল করিম
ads
প্রকাশ : মার্চ ১৮, ২০২২ ৪:০৩ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, একটি আদর্শ, একটি দর্শন। বঙ্গবন্ধুর মতো কীর্তিমানের কখনো মৃত্য হয় না। তিনি মৃত্যঞ্জয়ী হয়ে বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি কখনোই পরাভব মানেন নি। মানুষ হিসেবে সীমিত পরিচয়ের গন্ডি পার হয়ে বঙ্গবন্ধু অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক, আর একজন পরিপূর্ণ বাঙালি। সকলকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর দৃপ্ত প্রত্যয় ও দৃঢ়চেতা মানসিকতায় ‍সিঞ্চিত ছিল বঙ্গবন্ধুর অভিজ্ঞতালব্ধ জীবন। তিনি কখনো ক্ষমতায় আকৃষ্ট ছিলেন না”।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসি শাহরিয়ার, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টিার (ইকোনমিক) মো. মেহেদী হাসান, মিনিস্টার (কনস্যুলার) মো. হাবিবুর রহমান, ডিফেন্স অ্যাটাচে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) দেওয়ান আলী আশরাফ, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান, কাউন্সেলর মো. শাহ আলম খোকন, কাউন্সেলর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, কাউন্সেলর ও হেড অব চ্যান্সারি মো. মাহমুদুল ইসলাম, কাউন্সেলর আরিফা রহমান রুমা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু সমকালীন ইতিহাসের কালজয়ী মহামানব। যার পুরো জীবন ছিল মানুষের মুক্তির দর্শনসম্বলিত। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে একটি জাতিকে মুক্ত করা এবং বাংলা ভাষাভাষী সব মানুষকে জাতীয়তা বোধে উজ্জীবিত করে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে জাগ্রত করে তোলা ছিল তাঁর ঝীবনের লক্ষ্য। এ ধারাবাহিকতায় তিনি বাঙালি জাতির জনক হয়েছেন”।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, “নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর সত্তা ও আদর্শের শিক্ষা দিতে হবে। তাদের জানাতে হবে বঙ্গবন্ধুর মানসিকতা কী ছিল, তাঁর দেশপ্রেম কেমন ছিল, তাঁর অসাম্প্রদায়িকতা কেমন ছিল। বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে আমাদের অস্তিত্বের শেকড়ে ফিরে যেতে হবে। একজন বঙ্গবন্ধু মানে বিশ্বের বিস্ময়। একজন বঙ্গবন্ধু মানে আমাদের সকল পথ-পন্থার নির্দেশক। একজন বঙ্গবন্ধু আমাদের চলার পথের পাথেয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মতিথিতে তাই মানুষের কল্যাণে আত্মোৎসর্গের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এ প্রতিজ্ঞায় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখে দিতে হবে, বহির্বিশ্বে বাঙালির স্বতন্ত্র সত্তার পরিচয় তুলে ধরতে হবে”।

তিনি আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ উত্তরসূরি শেখ হাসিনার মাঝে তাঁর রাজনৈতিক দর্শন যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। একারনেই আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখি শেখ হাসিনার মাঝে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সব মানুষের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা হবে। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল স্বাধীন সার্বভৌম দেশে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান থাকবে না। সবার জন্য সমান ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ এমন কোন জায়গা ছিল না, যেখানে উন্নয়নের সূচনা বঙ্গবন্ধু করেন নি। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বপরিমন্ডলে বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের কন্ঠস্বর, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ বলা হয় দুর্গতদের কন্ঠস্বর। একজন জাতিকে মুক্ত করে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়েছেন, আর তাঁর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দিয়ে যাচ্ছেন”।

এর আগে মন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop