মেহেরপুরে বেড়েছে ওলকপি চাষ
কৃষি বিভাগ
মেহেরপুর জেলায় শীত মৌসুমে সবজি চাষে ওলকপি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভালো দাম পাওয়ায় মেহেরপুর জেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ওলকপির চাষ। বাঁধাকপি, ফুলকপি উৎপাদনে অনেক ঝুঁকি থাকলেও ওলকপি উৎপাদনে অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত ও রোগবালাই কম। এসব কারণে শিক্ষিত বেকার যুবকেরাও উদ্যোগী হচ্ছে ওলকপির চাষে। দাম এবং চাহিদা ভালো থাকায় মেহেরপুরের ওলকপি সারাদেশে কিনে নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
কপির মধ্যে অন্যতম সবজি হলো ওলকপি। অন্যান্য কপি চাষের থেকে ওলকপি চাষে খরচ কম। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মেহেরপুরে বাণিজ্যিক ভাবে ওলকপি চাষ প্রতিবছরই বাড়ছে। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ওলকপি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছে কৃষকরা। বিঘাপ্রতি জমিতে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে লক্ষাধিক টাকা ঘরে তুলছে চাষি। কৃষি বিভাগের হিসেবে চলতি বছর জেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে ওলকপি চাষ হয়েছে।
আমাদের দেশের কৃষকরা বেশিরভাগ সময়ে চারা রোপণ করে ওলকপির চাষ করে থাকে। তবে চারা রোপণ না করাই ভালো। কারণ এতে কোনো ভাবে রোপণের সময় প্রধান শিকড় ভেঙ্গে যেতে পারে । কৃষি বিভাগের মতে সারিতে বীজ বুনলে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার বা ১ ফুট রাখতে হবে এবং চারা রোপণ করলে চারা থেকে চারা ২০ সেন্টিমিটার বা ৮ ইঞ্চি দূরত্বে রোপণ করতে হবে।
চাষিরা জানায়, বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে পাতামরা রোগ ও পোকার আক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও এ জাতের কপি চাষে ঝুঁকি কম। এছাড়া ৪০ থেকে ৪৫ দিনে এ কপি বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে।
সব মাটিতেই ওলকপি চাষ হলেও হালকা দো-আঁশ মাটি ওলকপি চাষের জন্য উপযোগী। অধিক বৃষ্টিপাত এ সবজি চাষের জন্য ক্ষতিকর। গাছের দ্রুত বেড়ে ওঠার জন্য আলোর প্রয়োজন। আমাদের দেশে সাধারনত রবি মৌসুমে ওলকপির চাষ হয়।
সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের জুয়েল আহমেদ বাবু জানান, তিনি চার বছর ধরে শীতকালীন সবজি হিসেবে ওলকপি চাষ করেন। এ পর্যন্ত কোনবছর লোকসান হয়নি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ জানান- ওলকপি চাষ করে চাষিরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় ওলকপি চাষ বৃদ্ধিতে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মূলত এটি একটি শীতকালীন সবজি। এ সবজির পুষ্টিগুণ প্রচুর ।