রাজধানীতে পশুর হাট জমলেও ক্রেতা শূণ্য
প্রাণিসম্পদ
আর কয়েকদিন পরই মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আর এই ঈদুল আজহাকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জমে উঠেছে কোরবানি হাট। রাজধানীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে গরু। তবে ক্রেতার শূণ্যতা এখনও রয়েছে।
রাজধানীর পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকে করে গরু-ছাগল নিয়ে আসছেন। হাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে রাখা হচ্ছে পশুগুলো।
বিক্রেতা ও পাইকাররা বলছেন, হাটে অধিকাংশ গরু চলে এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যে আরও আসবে। তবে ক্রেতার আগমন খুবই কম। এর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বিক্রি শুরু হয়নি। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে ক্রেতা বাড়বে।
গাবতলী পশুর হাটে কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী মানিক হোসেন জানান,তিনি ১৪টি গরু এনেছি। ছোট থেকে মাঝারি আকারের গরু আনা হয়েছে। এগুলোর দাম ৯০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।
এখনো কোনো গরু বিক্রি হয়নি। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যে ক্রেতা বাড়বে এবং বিক্রি শুরু হবে। চুয়াডাঙ্গা থেকে গরু এনেছেন ব্যবসায়ী রমিজ মিয়া। তিনি বলেন, ৯টি গরু নিয়ে এসেছি। আশা করছি, ভালো দাম পাবো। তবে, হাটে ক্রেতা নেই বললেই চলে। সবাই দাম জানতে চায়, দাম বলে না।
বিক্রেতারা জানান, আনুষাঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরুর দাম বাড়াতে হয়েছে। গাবতলী হাটের বিক্রেতা নাসিরউদ্দিন বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। ৫০ কেজির এক বস্তা ধানের কুড়া গত বছর ৪৫০ টাকা ছিল। এবার তা ৮০০ টাকা হয়েছে। ১১০০ টাকা দামের ২০ কেজির এক প্যাকেট ভুট্টার ভুসির দাম এখন ১৭০০ টাকা।
গাবতলী হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, কোরবানির পশুর হাট এখন গরু-ছাগলে ভরপুর। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যে হাট জমবে। কাল থেকে হাটের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।