সিদ্ধিরগঞ্জে বিষ প্রয়োগে ৭’শ মুরগি হত্যা!
পোলট্রি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় একটি খামারে বিষ প্রয়োগ করে ৭০০ মুরগি হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১০ জুলাই) রাত ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াবদা কলোনির মুরগির ডিলার মো. সেলিমের খামারে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১১ জুলাই) রাতে এ ঘটনায় মুরগির ফার্মে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ভুক্তভোগী মো. সেলিম ৫ জনের নামোল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সেলিম একজন পোল্ট্রি মুরগির ডিলার।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই মুরগির ব্যবসা করে আসছেন। তার মুরগির ফার্মে সব সময় দুই থেকে তিন হাজার মুরগি থাকে।
প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে খামারের মুরগির পরিচর্যা করে বাসায় ঘুমাতে যান তিনি। পরদিন সোমবার সকাল সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠে ফার্মে গিয়ে দেখেন প্রায় ৭০০ মুরগি মারা গেছে এবং অন্যান্য মুরগি অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে। হঠাৎ এতগুলো মুরগি মারা যাওয়ার কারণে তিনি দ্রুত ফার্মের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ চেক করেন। ভিডিও ফুটেজ চেক করে দেখতে পান রোববার রাত ১১টায় অভিযুক্ত ফরিদের ছেলে রিপন (৩০), শুকুরের ছেলে নাজমুল (১৭) ও ইয়াসিন (১৬) ফার্মে কোন রাসায়নিক কিছু দিয়ে যায়।
পরে অভিযুক্ত ইয়াসিনকে ডেকে এনে আমার ফার্মে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান অভিযুক্ত ইদ্রিস আলীর ছেলে মকবুল (৩৫) ও সোহরাব (৪৫) মুরগির ফার্মে রাসায়নিক (বিষ) দিয়ে আসতে বলেন। অভিযুক্ত মকবুল ও সোহরাবের কথামত তারা ভুক্তভোগীর খামারে রাসায়নিক (বিষ) ঢেলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে ভুক্তভোগী সেলিম বলেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। অভিযুক্ত সোহরাব তার খামারে দীর্ঘদিন ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিছু দিন আগে সোহরাব তার খামারের ম্যানেজারের দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান। তারা আমার ক্ষতি সাধনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছেন। এ ঘটনায় আমার প্রায় তিন লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোকলেছুর রহমান বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।