হাটে ক্রেতা নেই, দিশেহারা গরু ব্যবসায়ীরা!
প্রাণিসম্পদ
মেহেরপুর জেলার হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল আমদানি হলেও ক্রেতার সংখ্যা সীমিত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। লকডাউনে বাইরের জেলা থেকে কোনও ব্যবসায়ী না আসায় গরু প্রতি ২০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানান সেখানকার ব্যবসায়ীরা। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল আমদানি হলেও ক্রেতার সংখ্যা সীমিত।
সোমবার ব্যবসায়ী ও খামারিরা গরু ছাগল নিয়ে আসেন মেহেরপুর জেলাসহ আশপাশের জেলার মধ্যে অন্যতম বড় পশুর হাট হচ্ছে গাংনী উপজেলার বামন্দী-নিশিপুর পশুর হাটে।
বাওট গ্রামের আসাদুল ইসলাম জানান, আমি একটি গরু বিক্রির জন্য এনেছি। ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ন্যায্য মূল্য। কিন্তু ব্যাপারীরা ৮০ হাজার টাকার উপরে দর দিচ্ছে না। তাই গরু বিক্রি করতে পারছি না।
শুকুরকান্দি গ্রামের একজন গরু ব্যাপারী জানান, হাটে তেমন কোনও ব্যাপারী নেই। ঢাকা ও অন্যান্য জেলা থেকে কোনও ব্যাপারী আসছেন না। স্থানীয় ব্যাপারীরাও পর্যাপ্ত দর দিয়ে গরু কিনছেন না।
গরু পালনকারীরা জানান, গেল বছরের লকডাউনে এ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তা কাটিয়ে উঠার জন্য নতুন করে তারা গরু পালন শুরু করেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে আবারও ক্ষতি শুরু হয়েছে।
মেহেরপুর জেলার উদীয়মান অর্থনীতিতে গবাদিপশু পালন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই এ খাত টিকিয়ে রাখতে গরু পালনকারী ও ব্যাপারীরা সরকারকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেন।