৮:৩০ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • চলনবিলে শুরু পুরোদমে ধান কাটা, স্থাপন কৃষকের অস্থায়ী বসতি
ads
প্রকাশ : মে ১৩, ২০২১ ১:৪৬ অপরাহ্ন
চলনবিলে শুরু পুরোদমে ধান কাটা, স্থাপন কৃষকের অস্থায়ী বসতি
কৃষি বিভাগ

শুরু হয়েছে শস্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলে পুরোদমে ধান কাটা। এখানে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে দূরত্ব প্রাং ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার। এই দূরত্বের মাঝেই চাষ হয় ধান। সোনার ফসল ঘরে তুলতে কৃষক “ভাওরে” (স্থানীয় নাম) বসতি শুরু করেছেন। ধান কাটা শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় দুই মাস কৃষক ভাওরে বসবাস করবে।

জানা যায়, এই কিলোমিটারের পর কিলোমিটার দূরে থেকে পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে অসম্ভব হয়ে পড়ে। শত কষ্টে ফলানো সোনার ফসল ঘরে তুলতে বাধ্য হয়ে কৃষক মাঠের মধ্যেই স্থাপন করেছে অস্থায়ী বসতি। সবাই এখন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুধু তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২২ হাজার ৩ শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে।

চলনবিলে বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়, ধান ঘরে তোলার জন্য চলনবিলে ছোট ছোট অস্থায়ী ঘর (ভাওর) তৈরি করা হয়েছে। চলনবিলের বিশাল মাঠের এক কোনায় অস্থায়ী ভাওর (রাত্রিযাপন) তৈরি করা হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাতের মধ্যেই সারারাত এই অস্থায়ী ঘরেই (ভাওর) রাতযাপন করেন কৃষকরা।

এ ছাড়া দিনের বেলাও প্রচণ্ড রোদ, ঝড়-বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সময়ে এই অস্থায়ী ঘরেই আশ্রয় নিয়ে থাকেন ক্লান্ত কৃষক-কৃষাণীরা।

সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া গ্রামের কৃষক আলতাব আলী জানান, ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। বাড়ি থেকে ধানের জমি দূরে হওয়ায় ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য জমির পাশে বিলের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে ভাওর তৈরি করে বসতি স্থাপন করেছেন। এখানেই তারা রান্না-খাওয়া ও রাতযাপন করছেন।

চাষিরা আরো জানান, বাড়ি থেকে জমির দূরত্ব হওয়ায় ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই বিলের মধ্যে জমির পাশে ভাওর করে অস্থায়ী বসতি করা হয়। অবশ্য এতে কৃষকের শ্রমিক মূল্য অনেকটা সাশ্রয়ী হয় বলে জানান তারা। চলনবিলের কৃষকের রান্না-খাওয়া সব কিছুই এখন বিলেই।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, চলনবিল এলাকার মাঠগুলো অনেক বড়। বাড়ি থেকে জমির দূরত্ব অনেক। তাই কৃষকরা তাদের সুবিধার্থে ধান কেটে মাড়াই করেন। ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা বিলেই অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop