তরমুজ চাষে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন শিক্ষার্থী ছামিউল্লাহ
কৃষি বিভাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার প্যারামেডিকেলের এক শিক্ষার্থী করোনাকালীন সময়ে পতিত জমিতে বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন ।
জানা গেছে, করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ ইউটিউবে কুমিল্লার এক তরমুজ চাষির গল্প শুনেন তিনি। পরে ওই চাষির সাথে যোগাযোগ করে তরমুজ চাষের পরামর্শ নেন তিনি। পরামর্শ অনুযায়ী চার জাতের তরমুজের চারা রোপণ করেন। এর মধ্যে ব্ল্যাক বেবি, গোল্ডেন ক্রাউন এবং বাংলাদেশি জাত মধুমালা এবং সুপার কিং অন্যতম। ফলন ভালো হওয়ায় লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এই শিক্ষার্থী।
মো. ছামিউল্লাহ জানান, আমি প্রথমে ইউটিউবে কুমিল্লার এক তরমুজ চাষির গল্প দেখি। পরে ওনার সাথে যোগাযোগ করে কোথায় থেকে বীজ নিতে হবে সেটি জানলাম। পরে আমি ফোন করে বীজ এনেছি। আমি এখানে চার জাতের তরমুজ ব্ল্যাক বেবি, গোল্ডেন ক্রাউন এবং বাংলাদেশি জাত মধুমালা এবং সুপার কিং চাষ শুরু করি। আমার এই গাছগুলো সম্পূর্ণভাবে ফলন দিয়েছে। এখনও আমি বিক্রি শুরু করেনি। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিক্রি শুরু করতে পারব।
তিনি জানান, প্রথমে যখন আমি চাষ করি তখন আমাকে অনেকেই না করেছিল কিন্তু বর্তমানে সবাই এসে আমার ফলন দেখছেন, পরামর্শ চাচ্ছেন। সবাই এখন অনেক খুশি। মাত্র ২৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। আশা করছি প্রায় ১ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারব, বলেন তিনি।
কসবা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এই এলাকায় প্রথমবার তরমুজ চাষ করেছে ছামিউল্লাহ। আমরা তাকে বলেছি তার এই চাষাবাদ অব্যাহত রাখার জন্য। এতে করে কুটি এলাকায় অন্য কৃষকরা উৎসাহিত হবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা বলেছি যখন যে পরামর্শ প্রয়োজন আমরা তাদেরকে দিয়ে যাব। কারণ পোকা মাকড়ের আক্রমণ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। সে জন্য আমরা এসে তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।