কুমিল্লায় পানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ
কুমিল্লা জেলার চান্দিনায় এবার পানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাতে কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে হাসি। ধীরে ধীরে পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এ অঞ্চলের কৃষক। জেলার চান্দিনা উপজেলার, মহিচাইল, কাদুটি, বরকড়ই এইসব এলাকায় দেখা যায় পানের বরজের নজরকাড়া দৃশ্য। পান চাষ একটি দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক ফসল।
একবার পানের বরজে কাজ করলে ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত বরজে কাজ করতে হয় না। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে রাসায়নিক সারের ব্যবহারও অনেকটাই কম। দেশীয় পদ্ধতিতে পান চাষে প্রথমে ডাল সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করতে হয়। এর তিন থেকে চার মাস পর ডাল থেকে সবুজ লতা বের হয়ে ছেয়ে যায় পান পাতার লতা। তারপর শুরু হয় চাষিদের পান সংগ্রহ। এক বিঘা জমিতে পান চাষ করে প্রতি বছর দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব বলে জানান পান চাষিরা।
কাদুটি গ্রামের পান চাষি জুয়েল চৌধুরী জানান, এবার পানের ভালো ফলন হয়েছে। বাজার দামও বেশ ভালো। আগের চেয়ে পান চাষ বেশি হচ্ছে, আবার পদ্ধতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তার সাফল্যের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, প্রথমে আমি ২৫ শতাংশ জমিতে পানের চাষ শুরু করি। এখন তিন বিঘা জমিতে পানের চাষ হচ্ছে আমার। কৃষি অফিস থেকে অফিসার এসে আমাদের পান চাষের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, চান্দিনা উপজেলায় এবার ৭০ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়েছে। প্রতি বছর এ এলাকায় পানের চাষ বাড়ছে। পান চাষে সরকারি কোনও বরাদ্দ না থাকায় তাদের বীজ, সার, প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে পান চাষিদের পানে পচন, নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শের কথা জানান তিনি।