১০:১৯ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • খামার করে বছরে ১০ লাখ টাকার বেশি আয় করেন মজিদ!
ads
প্রকাশ : জানুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
খামার করে বছরে ১০ লাখ টাকার বেশি আয় করেন মজিদ!
পোলট্রি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুল মজিদ মণ্ডল। বয়স ৩৪ বছর। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আব্দুল মজিদ মণ্ডল পড়াশোনা শেষ করে উদ্যোক্তা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে একইসঙ্গে মাছ, মুরগি ও গাভী পালনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেন। এতে নিজে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থার সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার স্বপ্ন দেখেন আব্দুল মজিদ মণ্ডল।

জানা যায়, আব্দুল মজিদ মণ্ডল তার পিতা মৃত গোলাম মোস্তফার রেখে যাওয়া কৃষি জমির সঙ্গে রাস্তার দু’পাশের অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে একইসঙ্গে মাছের খামার, মুরগি খামার ও গাভীর খামারসহ বায়োগ্যাস প্লান্ট গড়ে তুলেছেন। কৃষি কাজে সেচ সুবিধার জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে একটি সেচ পাম্প স্থাপন করেছেন। তার প্রকল্প দেখে মনে হয়েছে এ যেন একের ভেতর অনেক কিছু বিদ্যমান। শুরুতে ৭০ হাজার টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করলেও এখন সেই প্রকল্প থেকে বছরে আয় ১০ লাখ টাকারও বেশি। আব্দুল মজিদের সাফল্য দেখে একই পদ্ধতিতে একই জমিতে মাছ, মুরগি খামার করেছেন এলাকার মকলেছুর রহমান নবাব।

কৃষ্ণপুর গ্রামের পাশে পাঁচ একর জমিতে আব্দুল মজিদ মণ্ডল গড়ে তুলেছেন মাইশা ডেইরি ফার্ম ও সিজান পোল্ট্রি ফার্ম নামের আলাদা দুইটি খামার। একই খামারে রয়েছে দুইটি পুকুর, সেচ ব্যবস্থার জন্য একটি গভীর নলকূপ। খামারের কর্মচারি ও শ্রমিকদের খাবার রান্নার জন্য গরুর গোবর দিয়ে নির্মাণ করেছেন একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট। খামারের চার পাশ দিয়ে চাষাবাদ করা হয়েছে নানা ধরনের শীতকালীন শাক-সবজি। আবার কিছু জমিতে ধান আর কিছু জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। গরুর খামারে রয়েছে ৫০ টি উন্নত জাতের গরু এবং মুরগির খামারে রয়েছে ১০ হাজার লেয়ার জাতের মুরগি।

সফল উদ্যোক্তা আব্দুল মজিদ মণ্ডল জানান, লেখাপড়া শেষ করে নারায়ণগঞ্জে শক্তি ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও’তে চাকরি নেন। সেখানে দেখতে পান নানাভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন থেকে এনজিও’র চাকরি ছেড়ে যুব উন্নয়ন থেকে পশু পালনের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর ঋণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও ঋণ না পেয়ে চাকরিকালীন জমাকৃত ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট্ট কলেবরে শুরু করেন মুরগি খামার। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর পর্যায়ক্রমে গরু খামার, মৎস্য খামার ও মুরগির খাদ্য ব্যবসাসহ আব্দুল মজিদ মণ্ডল পুরোপুরি হয়ে ওঠেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা খামারি, ব্যবসায়ি ও আদর্শ কৃষক। প্রতি বছর তার খামার, ব্যবসা ও কৃষি থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে আয় হচ্ছে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে তার সব প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ২০ জন কর্মচারি কর্মরত থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. রবিউল ইসলাম জানান, খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। আব্দুল মজিদের মতো অনেকেই খামার করে স্বাবলম্বী হয়ে হয়েছেন। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ পালন করে উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হয়ে থাকছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop