ব্রয়লার খামারে খাদ্য প্রয়োগে করণীয়
পোলট্রি
ব্রয়লার মুরগির বাণিজ্যিক খামারে খাদ্য প্রয়োগের নিয়ম খামারিদের জেনে রাখা দরকার। আমাদের দেশে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করতে বর্তমানে ব্যাপকহারে মুরগি পালন করা হচ্ছে। অনেকেই ব্রয়লার মুরগি পালন করে লাভবান হচ্ছেন। তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার মুরগি পালনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
ব্রয়লার মুরগির বাণিজ্যিক খামারে খাদ্য প্রয়োগে বিবেচ্যঃ
১। সুষম খাদ্যে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় জিনিস খাওয়ালে অতিরিক্ত দাম পাওয়া যায় না। কিন্তু গরম আবহাওয়া বা অতিরিক্ত তাপের দিনে অতিরিক্ত চর্বি বা তেল জাতীয় খাদ্য উপাদান প্রদান করতে হবে।
৩। ব্রয়লার মুরগি তার সুষম খাবারের ৬৪% আমিষ দেহের কাজে লাগাতে পারে। ব্রয়লারের প্রয়োজনীয় আমিষ তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-(ক) কলা বৃদ্ধির জন্য ব্রয়লার মুরগির শরীরে ১৮% আমিষ আছে।
৪। পালক গঠনের জন্য ব্রয়লার মুরগির পালকে ৮২% আমিষ আছে এবং গড়ে পালকেরওজন সমস্ত দেহের ৭০%। গরমকালে ব্রয়লার সুষম খাদ্যে বেশি আমিষ দরকার শীতকালের তুলনায়। কারণটা হল মুরগি গরমকালে কম খায়। ঠিক যতটুকু অ্যামাইনো অ্যাসিড দরকার ঠিক ততটুকুই ব্রয়লার মুরগিকে দিতে হবে।
৫। যেহেতু বেশি পরিমাণে অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড দেহের ক্ষতি করে। কম অ্যামইনো অ্যাসিড আবারদেহের বৃদ্ধিকে রোধ করে দেবে। মাদি ব্রয়লার মুরগির চেয়ে মদ্দা ব্রয়লারমুরগি তাড়াতাড়ি বাড়ে। সুতরাং খামারের ভালর জন্য মাদি মদ্দা একসঙ্গে না পালন করে আলাদা আলাদা করা লাভজনক।
৬। প্রথম চার সপ্তাহ মদ্দা ও মাদি ব্রয়লার মুরগির আমিষের প্রয়োজন একই রকম। ৪ সপ্তাহ পরে মদ্দা ব্রয়লার মাদির চেয়ে ২% থেকে ৪ %বেশি আমিষের দরকার হয়। মাদিকে বেশি আমিষ দিলে সেটা খুব একটা কাজে আসেনা।
৭। ব্রয়লার মুরগির জন্য খনিজ এবং ভিটামিন খুবই দরকারি। এছাড়াও ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ব্রয়লারের জন্য খুবই উপকারি। খাবারের সমস্ত ক্যালসিয়াম যেন ১% গন্ডি কখনো না পেরিয়ে যায়। ভিটামিন খাদ্য বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে থাকে।