মুরগির খামারে খাদ্য অপচয় প্রতিরোধে খামারী যা করবে
পোলট্রি
পোল্ট্রি খামারের দিকে বর্তমানে অধিক লাভ আর মাংসের চাহিদা পূরণে অনেকেই ঝুঁকছেন। তবে এই খাতে যদি খাবারসহ আরো নানাবিধ অপচয় কমানো যায় তাহলে এই খাতে আরো লাভবান হওয়া সম্ভব। সুতরাং প্রত্যেক খামারিদের খামারে খাদ্য অপচয় রোধ সম্পর্কে জানা একান্ত দরকার।
খামারে খাদ্যের অপচয় রোধে করণীয়: পোলট্রি খামারে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক খাবার ও পানির পাত্র দিলে মুরগি অনেক সময় খাদ্য নষ্ট করে ফেলে। তাই খামারে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে। পোলট্রি খামারে জায়গার তুলনায় বেশী পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা হলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। এজন্য খামারে জায়গা অনুপাতে খাদ্য প্রদান করতে হবে।
খাদ্যের পাত্র পূর্ন করে খাবার দিলে খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। সেজন্য খাদ্যের পাত্র কিছুটা খালি রেখে খাদ্য প্রদান করতে হবে। খাবারের পাত্র সঠিক উচ্চতায় স্থাপন না করলে মুরগি খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাদ্যের পাত্র খুব বেশি উচ্চতায় রাখা যাবে না।
পোলট্রি খামারে কৃমির সংক্রমণ বিশেষ করে সোনালী বা কক মুরগীতে গোলকৃমির কারণে খাবার নষ্ট করতে পারে। এজন্য সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ দিতে হবে।মুরগির খাদ্য হঠাৎ পরিবর্তন করলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। সেজন্য খাদ্য পরিবর্তন করলে অল্প অল্প করে খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে।