২:৩০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১১:২২ অপরাহ্ন
পোল্ট্রির ওজন বৃদ্ধিতে খামারীদের করণীয়
পোলট্রি

ব্রয়লার পালনে দেশের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হচ্ছে।এতে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন, সেইসাথে অবদান রাখছেন জাতীয় উন্নয়নে। তবে, ব্রয়লার মুরগি পালনে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে। মুরগি পালনে দ্রুত বৃদ্ধি একটি কাঙ্খিত আশা থাকে।

ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর কয়েকটি কৌশল
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল। এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে।

বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে। খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২৩ ৯:০৯ অপরাহ্ন
গরমে পোল্ট্রির যত্ন নিতে যা করবেন খামারী
পোলট্রি

প্রাণীজ আমিষের বড় একটা অংশ আসে পোল্ট্রি শিল্প হতে। প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তাই এ শিল্পের সুদৃঢ় ভবিষ্যত চিন্তা করে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। গরম কাল এ পোলট্রি খামারের বিশেষ যত্ন না নিলে কমে যেতে পারে ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধি এবং লেয়ার খামারের ডিম সংখ্যা। সে কারণেই নিচের টিপসসমূহ খামারি ভাইদের খুবই কাজে লাগবে:

পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব: ঘর্মগ্রন্থি না থাকার কারণে মোরগ-মুরগির অতিরিক্ত গরম অসহ্য লাগে। এতে উত্পাদন ক্ষমতা ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত তাপে এদের পানি গ্রহণ, শ্বাস-প্রশ্বাস, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে থাইরয়েড গ্রন্থির আকার, রক্তচাপ, নাড়ির স্পন্দন, রক্তে ক্যালসিয়ামের সমতা, খাদ্য গ্রহণ, শরীরের ওজন ও ডিমের উত্পাদন হ্রাস পায়। ১৫ হতে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এদের উত্পাদন সর্বোচ্চ। ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শতকরা ৪ ভাগ হারে পানি গ্রহণ বৃদ্ধি পায়। ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পর হতে ডিমের সংখ্যা না কমলেও প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ডিমের ওজন শতকরা এক ভাগ হারে কমে যায়। ২৬.৫ সেলসিয়াস ডিগ্রি তাপমাত্রার পর হতে মোরগ-মুরগির খাদ্যের রূপান্তর ক্ষমতা হ্রাস পায়। ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপ বৃদ্ধিতে ২ হতে ৪ শতাংশ খাবার গ্রহণ কমে যায়। ৩৬ হতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মোরগ-মুরগির জন্য অসহনীয় এবং ৩৮ ডিগ্রির পর মৃত্যু হার খুব বৃদ্ধি পায়।

তাপজনিত ধকল প্রতিরোধে করণীয়: খামারের আশে পাশে ছায়াযুক্ত বৃক্ষ রোপণ এবং ঘর পূর্ব-পশ্চিমে হওয়া বাঞ্চনীয়। তবে আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় বায়োসিকিউরিটির কথা চিন্তা করে গাছপালা রোপণের প্রতি অনুত্সাহিত করা হয়ে থাকে। গরমে পোল্ট্রি শেডে প্রত্যক্ষ সূর্যালোক পরা যাবে না। অত্যধিক গরম প্রতিরোধে প্রয়োজনে শেডের ছাদে/বা টিনের চালায় দিনে দু’তিন বার পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। টিনের নিচে চাটাই/হার্ডবোর্ড দিয়ে সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক সময় মুরগি যখন হাঁ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় তখন ঘরে সেপ্র মেশিন দিয়ে কুয়াশার মত করে পানি ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। পানির ড্রিংকার ও ফিডারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ঘন ঘন ড্রিংকারের পানি পাল্টাতে হবে। গরমে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শেডের মেঝে অনেক সময় স্যাঁতসেঁতে হয়ে লিটার দ্রুত ভিজে যায়। ফলে রোগের আক্রমণও বাড়ে। সেজন্য প্রতিদিন সকালে ব্রয়লার শেডের লিটার উলোট-পালোট করা প্রয়োজন। লিটারে গুঁড়ো চুন ব্যবহার করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। শেড হতে শেডের দূরত্ব ৩০ ফুটের অধিক হলে ভাল হয়। শেডে মোরগ-মুরগির ঘনত্ব বেশি হলে তা কমিয়ে দিতে হবে। বাতাসের অবাধ চলাচল শেডের ভেতরের তাপমাত্রা শীতল রাখতে সাহায্য করবে এবং পোল্ট্রির জন্য ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া গ্যাস মুক্ত রাখবে। শেডে স্টেন্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে।

গরমে পোল্ট্রি খামারে খাবার ব্যবস্থাপনা: ঠাণ্ডা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। যেহেতু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এদের খাদ্য গ্রহণ কমে যায়, সেহেতু প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ৮ হতে ১০ ভাগ শক্তি কমিয়ে প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিন বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ১০-১২ গ্রাম গ্লুকোজ ও মুরগি প্রতি ১০ গ্রাম ভিটামিন সি পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাকৃতিক বিটেইনে ধনাত্মক ও ঋনাত্মক আছে যা কোষের মধ্যে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হিট স্ট্রোকের হাত থেকে এরা রক্ষা পায়। গরমে পোল্ট্রির অ্যামাইনো এসিডের চাহিদা বেড়ে যায়। বিটেইনে মিথাইল মূলক বিদ্যমান, যা মিথিওনিন ও কলিনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। গরমে প্রয়োজনে একদিনের বাচ্চার জন্য পানিতে আখের গুড়, ভিটামিন সি অথবা ইলেকট্রোলাইট যুক্ত স্যালাইন পানি দিতে হবে।
লেখক: ডা. সুমন তালুকদার (রুনু) , সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২৩ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
গোপালপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ
প্রাণিসম্পদ

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘বিজনেস প্ল্যান প্রিপারেশন’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (৫ এপ্রিল) পৌরশহরের হেমনগর রোড়ের খোলা চত্বরে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো: রানা মিয়া।

বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন- ভেটেরিনারি অফিসার ডাঃ মো: আব্দুল মান্নান, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার ডাঃ মো: শহীদুল আলম, গোপালপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শরীফ আব্দুল বাসেত, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো: মইনুল হাসান এবং প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রানা মিয়া জানান, বিফ ফেটারিং, গোট এন্ড শিপ ভ্যালু চেইন এর পিজি সদস্যদের ‘বিজনেস প্ল্যান প্রিপারেশন’ এর উপর এ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

লাভজনকভাবে ভেড়াপালন, মাংস বাজারজাতকরণ এবং বাণিজ্যিক বা ক্ষুদ্র খামারের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীসমাজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করাই হলো প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রশিক্ষণে প্রায় ৫০ জন খামারি অংশ নেয়।

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২৩ ৭:০৯ অপরাহ্ন
পোল্ট্রির ওজন বৃদ্ধিতে যা করবেন খামারী
পোলট্রি

ব্রয়লার পালনে দেশের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হচ্ছে।এতে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন, সেইসাথে অবদান রাখছেন জাতীয় উন্নয়নে। তবে, ব্রয়লার মুরগি পালনে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে। মুরগি পালনে দ্রুত বৃদ্ধি একটি কাঙ্খিত আশা থাকে।

ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর কয়েকটি কৌশল
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল। এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে।

বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে। খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে।

প্রকাশ : মার্চ ৮, ২০২৩ ৯:১৫ অপরাহ্ন
ব্রয়লার বাচ্চা বৃদ্ধিতে যা করবেন খামারী
পোলট্রি

বর্তমান সময়ে দেশে ব্যাপকহারে লোকজন খামারে মুরগি পালন করছেন। খামারে পালন করা মুরগিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ব্রয়লার মুরগি। এর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন ও পরিচর্যা:
ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য ঘরটা এমন হওয়া দরকার যেন সেখানে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা তার দরকারি জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়। এখানে বাচ্চার প্রাথমিক দরকার তাপ। ইংরেজীতে জায়গাটা বা ঘরটাকে বলা হয় ব্রডিং ইউনিট। ৮ সপ্তাহ পরে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাচ্চা পালন ঘরে। এখানে বাচ্চা থাকবে ৮-২০ সপ্তাহ পর্যন্ত।

ব্রয়লার মুরগি ৮ সপ্তাহ পরে যায় বিক্রির জায়গায়। আর বাচ্চা মুরগি বাচ্চা পালন ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে বাচ্চা মুরগি যায় পাকাপাকিভাবে ডিমপাড়া ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে মুরগি পালন করার জন্য খাচাও অনেকে ব্যবহার করেন। এখানে ডিম দেওয়া মুরগি ৭৮-৮০ সপ্তাহ থাকে। এরপরেই মুরগি বাজারে মাংস হয়ে বিক্রি হতে চলে যায়।

একদিনের মুরগির বাচ্চাকে ২ ভাবে বড় করা যায়। যেমন-

১। স্বাভাবিক ভাবে।
২। কৃত্রিম ভাবে।

বাচ্চা পালনে বিস্তৃত পরিসরে যাবার আগে এটা জানা দরকার যে, কৃত্রিমভাবে ডিম ফুটিয়ে যেসব বাচ্চা তৈরি করা হয়েছে তাদের কৃত্রিমভাবে বড় করা উচিত। স্বাভাবিকভাবে ডিম ফোটাবার কারণও ছিল অনেক। আগে খাবার ডিম হিসেবে মুরগি-মোরগ পালন করা হত।

মুরগির খাবার এমনভাবে দিতে হবে যাতে বাচ্চা মুরগি সেখানে মুখ দিতে না পারে। বাচ্চা এবং ধাত্রী মায়ের জন্য প্রচুর পরিষ্কার ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিচর্যাসমূহ:
খাঁচা বা বাচ্চাদের আশ্রয় স্থান রীতিমত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং কীটনাশক ওষুধ দিয়ে উকুন, মাইট এবং টিক প্রভূতি রক্তচোষা পরজীবী কীটদের ধ্বংস করতে হবে। বাচ্চা যেখানে চরে বেড়াবে সে জায়গাটা জাল দিয়ে ঘেরা থাকবে। চরে বেড়াবার জায়গাটা যেন ইদুর বেড়ালে নষ্ট করে না দেয়।

প্রথম সপ্তাহে রোগের জন্য টিকা দিতে হবে ও প্রথম সপ্তাহেই ঠোট ছেটে দিতে হবে। বাচ্চাদের বয়স ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ হলে মুরগি বসন্ত এবং রানীক্ষেত রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদান করতে হবে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২৩ ৪:৫৭ অপরাহ্ন
তিন গরুর দিয়ে শুরু করে কোটি টাকার মালিক খামারী নাসরিন
প্রাণিসম্পদ

স্বচ্ছল পরিবারে বিয়ে হলেও বাড়ির অন্যান্য কাজের পর অলস সময় কাজে লাগাতে খামার শুরু করে তিনি এই সফলতা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি গবাদিপশু ও বিক্রি দুধ বিক্রি করে মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গবাদিপশু পালনে সফল হয়েছেন নারী উদ্যোক্তা নাসরিন জাহান।

নারী উদ্যোক্তা নাসরিন জাহান পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা। বিয়ের পরবর্তী সময়ে পরিবারের কাজ সম্পন্ন করার পর অলস সময় কাটাতেন। তিনি চাইলেই শুয়ে বসে আয়েশি জীবন কাটাতে পারতেন।

তা না করে স্বামীর সাথে পরামর্শ করে ২০০৮ সালে ভালো জাতের ৩টি গরু কিনে খামার শুরু করেন। তার খামারের নাম ‘নাসরিন ডেইরি ফার্ম’ রাখেন। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

গবাদিপশু পালন করে বিক্রি করেন পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে দুধও বিক্রি করেন। বর্তমানে তার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি গরু আছে। মূলধন দেড় কোটি টাকা।

নারী উদ্যোক্তা নাসরিন বলেন, সংসারের কাজ কাজ শেষ করার পর অলস সময় কাটাতাম। সেই অলস সময়কে কাজে লাগানোর জন্য কিছু করার কথা ভাবছিলাম।

তারপর স্বামীর সাথে পরামর্শ করে ভালো জাতের ৩টি গরু কিনে বাড়ির এক পাশে গবাদিপশু পালনের জন্য একটা খামার গড়ে তুলি। বাড়ির ভেতরে প্রচুর জায়গা থাকায় সেখানে ডেইরি ফার্ম করার চিন্তা মাথায় আসে।

তিনি আরও বলেন, সেই ৩টি থেকে শুরু করে বর্তমানে আমার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি গরু আছে। আর আমার মূলধন প্রায় দেড় কোটি টাকা। গবাদিপশুর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে দুধও বিক্রি করি।

আমার ফার্মে প্রতিদিন প্রায় ২০০ লিটার দুখ উৎপাদিত হয়। মাঝে মাঝে সেটা ৩০০-৪০০ লিটারে পৌছায়। এইগুলা স্থানীয় কৃষকদের বিনামূল্যে বিতরন করি পাশাপাশি আমাদের জমিতেও প্রয়োগ করে বিষমূক্ত ফসল উৎপাদন করি। দুধ সংগ্রহ থেকে বিক্রি পর্যন্ত পুরোটাই আমি তদারকি করি। আর আমার খামারে মাসে প্রায় ৭-৮ টন গোবর পাওয়া যায়।

নাসরিন আরও বলেন, খামার পরিচালনায় আমার দুইজন কর্মচারী রয়েছে। তারা সব সময় খামারের দেখাশোনা করেন। তাঁদের বেতনসহ সব মিলিয়ে প্রতি মাসে তাঁর খরচ প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

নাসরিন জাহানের ফার্মে উৎপাদিত ২০০-৪০০ লিটার দুধ সম্পূর্নটা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা কঠিন। তিনি কাছের মানুষদের বিনা মূল্যে দেওয়ার পরেও অনেক দুধ নষ্ট হয়ে যেত। তখন একটি মিষ্টির দোকান দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।

কলাপাড়া শহরে মিষ্টির দোকান খোলেন। যেখানে রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা, কালোজাম, রসমালাই, ক্ষীরমালাই, বেবি সুইট, লাল চমচম, সাদা চমচম, তাসনি চপ, পাটিসাপটা ও ছানা পাওয়া যায়। এ ছাড়া মেলে দই আর ঘি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) গাজী মো. শাহআলম বলেন, খামার করে দারুন সফলতা অর্জন করেছেন নারী উদ্যোক্তা নাসরিন জাহান। তার এই অদম্য সাহসিকতা ও সফলতায় অনেকেই অনুপ্রাণীত হয়েছেন। বরগুনা, পটুয়াখালী, কলাপাড়া ও মহিপুর এলাকার ১০-২০টি ডেইরি ফার্ম তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা ও পরিকল্পনায় গড়ে উঠেছে। আশে পাশের অনেকেই খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২২ ৮:২৬ অপরাহ্ন
মাঝারি ও ছোট মুরগি খামারিদের জন্যে সৃজনশীল প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা
পোলট্রি

জুলাই থেকে শুরু হওয়া মাঝারি ও ছোট আকারের মুরগি খামারিদের জন্যে সম্মিলিতভাবে ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ, সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় এবং ভেটেরিনারি হাসপাতাল, আফতাব বহুমুখী ফার্মস্ লিমিটেড এবং প্যারাগণ গ্রুপ লিমিটেড ২দিন ব্যাপী আয়োজন করেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।

এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রথম পর্ব শেষ হলো গত ১৪ই নভেম্বর। চট্টগ্রাম জেলার সাতটি উপজেলায় এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এই ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রামের ১০৭ জন খামারিকে মুরগি লালন-পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব, বাংলাদেশ এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এনেছে ভিন্নতা। সরকারি পর্যায়ে কর্মরত ভেটেরিনারিয়ান, বেসরকারি সেক্টরে নিয়োজিত ভেটেরিনারিয়ান, একাডেমিক ভেটেরিনারিয়ান, উপজেলা মেডিক্যাল কর্মকর্তা, স্নাতোকোত্তর এবং ইন্টার্ন শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত প্রশিক্ষকদলের মাধ্যমে এই খামারিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

এই প্রশিক্ষণে সৃজনশীল উপায়ে খামার পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যার দৃশ্যপটে খামারিদের অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়।

খামারিদের জন্যে বিশেষ শিক্ষাসামগ্রী, খামার বিষয়ক বই, লিফলেট এবং ওয়ান হেলথ পোল্ট্রি হাব, বাংলাদেশ কর্তৃক রচিত “পোল্ট্রি ম্যানুয়াল” নামের এই পু্স্তিকা প্রদান করা হয়। খামারিদের মুরগির খামারের জীব-নিরাপত্তা বিষয়ক একটি সচেতনামূলক ভিডিওর মাধ্যমে জীবনিরাপত্তা থাকার ভিত্তিতে দুইটি খামারের লাভের পার্থক্য বিষয়টি বুঝানো হয়। খামারিদের নিয়ে প্রশিক্ষণগণের খামার পরিদর্শন এবং সেই খামারের জীবনিরাপত্তা যাচাই ছিলো এই প্রশিক্ষণের একটি অন্যতম আয়োজন।

সেই সাথে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামানের সাথে সরাসরি খামারিগণ তাদের খামারের নানাবিধও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে উক্ত প্রশিক্ষণে। মুরগির বাচ্চার গুণাগুণ, পালন, জীব-নিরাপত্তা, এন্টিবায়োটিকের প্রয়োগ, ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শগ্রহণ প্রভৃতি বিষয়ে খামারিদের জ্ঞান মূল্যায়নের দরুন বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের পূর্বে এবং পরে তাদের যাচাই করা হয়। খামারিদের খামারকরণে উত্সাহিত ও মনোযোগী করতে, ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাববাংলাদেশ খামারিদের পুরষ্কার এবং সার্টিফিকেট প্রদান করে।

বিভিন্ন পর্যায়ে ভেটেরিনারিয়ানগণ ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব, বাংলাদেশের এই নতুন ধরনের খামারি প্রশিক্ষণের প্রশংসা করে বলেন, “আপনারা কিভাবে ২দিন ব্যাপী (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা) খামারিদের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন! গতানুগতিক প্রশিক্ষণগুলোতে খামারিগণ এতো মনোযোগ দিতে চায় না এবং প্রশিক্ষণগুলো অংশমূলকও হয় না। তাই,প্রশিক্ষকরা জানতে পারেনা যে তারা এই প্রশিক্ষণটি থেকে কি শিখেছে, যেটা কিনা আমাদের প্রশিক্ষণ আয়োজনের প্রধান লক্ষ্য। এই দিক থেকে ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব, বাংলাদেশের খামার পর্যায়ে এই প্রশিক্ষণ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।”

এই প্রশিক্ষণে খামারিদের প্রাণিখাতের বিভিন্ন আইন যেমন, রোগসংক্রান্ত আইন (খামার নিবন্ধন, জীব-নিরাপত্তা, টিকা প্রদান, রোগসংক্রান্ত রিপোর্ট), প্রাণিখাদ্য আইন এবং প্রাণিকল্যাণ আইন বিষয়ে সচেতনতার জন্যে একটি পর্ব রাখা হয়। প্রাণবন্তভাবে খামারিগণ এই পর্বে অংশ নেয় এবং নানাবিধও আইন মেনে চলার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।

চন্দনাইশ উপজেলায় আয়োজিত ৭ম প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার। নাসরিন আক্তার বলেন, “পোল্ট্রি শিল্প টিকিয়ে রাখতে খামারিদের প্রশিক্ষিত করার কোনো বিকল্প নেই।

এই ধরনের প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ থেকে আমাদের প্রান্তিক খামারিরা অনেক উপকৃত হবেন এবং এর মাধ্যমে সাধারণ ভোক্তাসমাজ ভেজালমুক্ত পোল্ট্রি পণ্য পেতে সক্ষম হবে। ”এছাড়া প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন ডা. রুপেন চাকমা (উপজেলা লাইভস্টক অফিসার, চন্দনাইশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল); ডা. মাইদুল ইসলাম (এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার-টেকনিক্যাল সার্ভিস, আফতাব বহুমুখী ফার্মস্ লিমিটেড); ডা. মোহাম্মদ ফয়সাল(লাইভস্টক এক্সটেনশান অফিসার, চন্দনাইশ)।

ডা. রুপেন চাকমা খামারিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা অনেক অভিজ্ঞ এবং বহু বছর যাবত্ মুরগি প্রতিপালন করছেন, তবুও আপনাদের মুরগি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। যার মাধ্যমে বুঝা যায়, আপনাদের আরো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। আমি মনে করি, আমরা সৌভাগ্যবান কারণ ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ চট্টগ্রামের অনেক উপজেলার মাঝে এই উপজেলার খামারিদের প্রশিক্ষণের জন্যে বাছাই করেছেন। আশা করছি, আপনারা এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন।”

ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর মোঃ আহসানুল হক এবং তার বাংলাদেশ হাব টিম, খামারিদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালগুলোকে“সেন্ট্রাল অব এক্সিলেন্স” হিসেবেকাজ করতে পারে বলে মনে করেন।

প্রফেসর হক জানান, “ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ বিভিন্ন পর্যায়ের খামারি প্রশিক্ষণের একটি মডেল করতে চায়। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত প্রাণি ও মনুষ্যসেবাখাতের প্রধান অংশীদারদের অংশগ্রহণে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে আরো টেকসই ও বেগবান করতে সহায়ক হবে।

 

তিনি আরো বলেন,”ওয়ান হেলথ্ কনসেপ্টকে কেন্দ্র করে এই পুরো প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে। ডাক্তার এবং ভেটের মেলবন্ধনে একই প্লাটফরম থেকে খামারিদের জুনোটিক এবং এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর মতো গুরুত্বপূর্ণসমস্যাগুলো খামারিদের সামনে তুলে ধরা হয় এই প্রশিক্ষণে।”

এই প্রশিক্ষণসমূহের শিক্ষণীয় উপকরণ তৈরি এবং এর ভবিষ্যত প্রয়োগসহ সামগ্রিক পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন প্রফেসর আয়োনা সিলভা ফ্লেচার (রয়েল ভেটেরিনারি কলেজ) এবং রবিন এলডার্স (অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি)।ইউকে গবেষণা উদ্ভাবনের জিসিএরএফ-এর মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণের অর্থায়ন করা হচ্ছে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১০, ২০২২ ৬:৩৪ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি খামারিদের যে কৌশল জানা থাকা দরকার
পোলট্রি

আমাদের দেশে পোল্ট্রি খামার করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। পোল্ট্রি খামার করে অনেকেই তাদের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

পোল্ট্রি খামার করে অনেকেই আবার লোকসানের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে লস কাটিয়ে,লাভের মুখ দেখা সম্ভব।

পোলট্রি খামার লাভজনক করার কৌশল:

খুব ভালো জৈব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। সঠিক উপায়ে খামার ব্যবস্থাপনা করা।

খামারে দক্ষ জনবল রাখা। খামারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা। সঠিক সময়ে খামারে খাদ্য সরবরাহ করা।

খামারে সময়মত এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা। খামারে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। পোল্ট্রি খামারকে রোগমুক্ত এবং উৎপাদনশীল রাখতে মুরগি পালনের।

খামারে উল্লেখিত কৌশল প্রয়োগ করা জরুরী। আমরা যদি মুরগি পালনে কিংবা মুরগির খামার স্থাপনে প্রথম কৌশল যথাযথভাবে প্রয়োগ করি তাহলে সেক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ অনেক কম হবে এবং লাভ বেশি পাওয়া যাবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২২ ১২:২২ অপরাহ্ন
ব্যাংকার থেকে যেভাবে সফল খামারী
প্রাণিসম্পদ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন (৩০)। কর্মজীবনের শুরুতে ছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার। তবে ছোটবেলা থেকেই তার চিন্তাধারা ছিল ভিন্ন। পরের অধীনে চাকরি না করে হবেন উদ্যোক্তা। তাই তো ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে মাত্র চারটি গরু দিয়ে শুরু করেন খামার। চার বছরে তার খামারে গরুর সংখ্যা শতাধিক।

শুধু তাই নয়, খামার থেকে উৎপাদিত দুধ দিয়ে ঘি, ছানা, দই, রসমালাই, রসগোল্লাসহ বাহারি মিষ্টি তৈরি করছেন। আর এসব মিষ্টি বিক্রি করছেন নিজের তিনটি শোরুমে। এখন তার খামার থেকে প্রতি মাসে আয় হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা। সব মিলিয়ে এখন তিনি একজন সফল খামারি।

জানা গেছে, ঢাকা নিউ মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে এমবিএস পাস করে ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন গিয়াস উদ্দিন। পরের অধীনে চাকরি না করে নিজে কিছু করার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। ২০১৮ সালে নিজের ১০ একর পতিত জমিতে চারটি গাভি দিয়ে শুরু করেন দুগ্ধ খামার। এখন তার খামারে গরুর সংখ্যা প্রায় শতাধিক।

তার খামারের নাম অগ্র ডেইরি ফার্ম। প্রতিদিন খামার থেকে প্রায় ৩০০-৪০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। আর এই দুধ দিয়ে দই, ছানা, ঘিসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরি করে নিজের তিনটি প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন। খামার ও মিষ্টির শোরুম মিলে ১৫টি পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতি কর্মচারীর বেতন ১০-১৫ হাজার টাকা।

গিয়াস উদ্দিন জানান, আমার শুরুটা খুব মসৃণ ছিল না। আমি ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে খামার করি। প্রথম দিকে অনেকে আমাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেন। আমি শিক্ষিত হয়ে চাকরি ছেড়ে কেন গরু পালন করছি? অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে আমার ওপর দিয়ে। তারপরও নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই আজ আমি একজন সফল খামারি।

কাশিয়ানী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পৃথ্বীজ কুমার দাস জানান, গিয়াস উদ্দিন অল্প দিনে একজন সফল খামারি হয়েছেন। আমি তার খামারে কিছু দিন আগে গিয়েছিলাম। তাকে পরামর্শ দিয়ে এসেছি। গরুর কিছু জাত উন্নয়নে পরামর্শ দিয়েছি। এই জাতের গরুগুলো আনলে তিনি আরও লাভবান হবেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২২ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঠাকুরগাঁওয়ের খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় দুই শতাধিক খামারে গরু পালন করেন বিভিন্ন পর্যায়ের খামারিরা। সম্প্রতি জেলায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। এতে গরু নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন, সালান্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় গরুর শরীরে ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত গরুর শরীর হঠাৎ গরম হয়ে যায়। প্রথমে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোট আঁচিলের মতো ফুলে ওঠে। একপর্যায়ে চামড়া উঠে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ রোগে আক্রান্ত গরু খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। আক্রান্ত পশুর চামড়ায় প্রথমে ফোসকা পড়ে। একপর্যায়ে সেই স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসা করেও তেমন প্রতিকার পাচ্ছেন না খামারিরা। অনেক সময় মৃত্যু ঘটছে আক্রান্ত গরুর। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, জেলায় ২০৩টি খামারে ২১০০টি গরু লালন-পালন করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় গরুর খামার রয়েছে ৩৭টি, বালিয়াডাঙ্গীতে ১১টি, পীরগঞ্জে ৪৫টি, রাণীশংকৈলে ৯০টি ও হরিপুর উপজেলায় ২০টি গরুর খামার রয়েছে।

সদরের আঁকচা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের খামারি প্রফুল্ল বর্মন জানান, আমার একটা গরু এ রোগে মারা গেছে। আমি আগে জানতাম না এটা কী রোগ। গ্রামের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রথমে চিকিৎসা দেই। পরে রোগ সম্পর্কে জানার পর পশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার একটা গরু এখন সুস্থতার পথে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটি মারাত্মক কোনো রোগ নয়। মশা-মাছিবাহিত এই রোগটি নিয়মিত ওষুধ খাওয়ালে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। এ বিষয়ে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop