সবজির দাম কমলেও ক্রেতার উপস্থিতি না থাকায় বিপাকে বিক্রেতা
এগ্রিবিজনেস
করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের দেয়া লকডাউনে নীলফামারীতে কমেছে সবজি ও চালের দাম। দাম কমলেও ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় সবজি নিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা। ম কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।
জানা যায় গতকাল সোমবার সকাল থেকে নীলফামারী শহরের আড়ৎ থেকে খুচরা বাজারে প্রচুর সবজি আমদানি হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে হাট-বাজার গুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। পাইকারী ও খুচরা দোকান গুলোতে সারি সারি করে সবজি সাজিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রিতারা। কিন্তু ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
নীলফামারীর বড় বাজারের একজন খুচরা সবজি ব্যবসায়ী জানান, লকডাউনের কারণে সবধরণের সবজিতে কেজি প্রতি দাম কমেছে ৫ টাকা করে। কিন্তু ক্রেতার উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। সকাল থেকে দোকানে সারি সারি করে সবজি সাজিয়ে রেখেছি ক্রেতার জন্য। অথচ ক্রেতা নেই। যে সব সবজিস দোকানে রয়েছে তা সবই পচনশীল। বিক্রি না হলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। এতে অনেক অর্থের ক্ষতি হবে আমার।
তিনি বলেন, প্রতি কেজি আলু কারেজ ৮ টাকা, দেশী আলু ১০ টাকা, জলপাই আলু ১৬ টাকা, পটোল ৩৫ টাকা, করলা ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ২০ টাকা, বেগুন ১০টাকা, শসা ১০ টাকা, বড়বটি ৪০ টাকা, সজনা ৩৫ টাকা, টমেটো ১০ টাকা ও গাজর ১৫ টাকা।
রবিবার প্রতিকেজি আলু কারেজ আলু ১০টাকা, দেশী আলু ১২টাকা, জলপাই আলু ২৫টাকা, পটোল ৪০ টাকা, করলা ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫ টাকা, বেগুন ১০টাকা, শসা ১৫ টাকা, বড়বটি ৫০ টাকা, সজনা ৪০ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, গাজর ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
খুচরা পিয়াঁজ ব্যবসায়ী ইলিয়াস আলী জানান, সবজি ও চাল কম দামে বিক্রি হলেও বেড়েছে পিঁয়াজের দাম। গতকাল রবিবার প্রতি কেজি দেশী পিঁয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হলেও সোমবার ৫টাকা বেড়ে ৩৩টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চাল আড়ৎ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বাবলু জানান, চালের দাম বস্তা প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে কমেছে। ব্রি-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকা, পাইজাম ২৮৫০ টাকা, মিনিকেট ২৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রবিবার প্রতি বস্তা ব্রি-২৮ চাল ২৬০০ টাকা, পাইজাম ২৯৫০ টাকা, মিনিকেট ৩০৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।