ব্রয়লার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল
পোলট্রি
বাণিজ্যিকভাবে মুরগি পালনে নিয়মিত ভ্যাকসিন বা টিকা দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। অনেক স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং উন্নতমানের করলেও এমন কিছু রোগ আছে যেগুলো বলে কয়ে আসে না। আর একবার খামারে এ রোগের আক্রমণ হলে রাতারাতি আপনাকে ফকির বানিয়ে ছাড়বে। তাছাড়া পপুলেশন ডেনসিটি বেশি হলে অর্থাৎ এক জায়গায় বেশি পরিমানে পশুপাখি এমনকি মানুষ থাকলেও সেখানে রোগবালাই বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর ওইরকম পরিবেশে রোগ দ্রুত ছড়িয়েও পড়ে। একারণে রোগের আক্রমণ ও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে একসাথে পুরো পপুলেশনকে বা পুরো খামারেই বিভিন্ন রোগের টিকা নিয়মিত দিয়ে রাখা নিরাপদ।
ব্রয়লার এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্য মুরগির তুলনায় কম থাকে। তাই সঠিক সময়ে সঠিক ব্যাবস্থাপনা লাভজনক ব্রয়লার পালনের মূলশর্ত। যেহেতু ব্রয়লার সল্পকালিন মুরগি তাই মাত্র দুই প্রকারের (রানীক্ষেত ও গামবোরো) ভ্যাকসিন প্রদান করলেই নিশ্চিন্ত থাকা যায়। তাই একটি একটি আদর্শ ব্রয়লার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল মেনে চলা উচিত।
নিচে একটি আদর্শ ব্রয়লার মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল দেয়া হলো।
বয়স (দিন) | রোগের নাম | ভ্যাকসিনের নাম | ভ্যাকসিনের প্রকৃতি | প্রয়োগ পদ্ধতি |
১-৩ | রানীক্ষেত ও ব্রংকাইটিস | আইবি+এনডি | লাইভ | এক চোখে এক ফোঁটা |
৭-১০ | গামবোরো | আই বি ডি | লাইভ | মুখে এক ফোঁটা/খাবার পানিতে |
১৪-১৭ | গামবোরো | আই বি ডি | লাইভ | মুখে এক ফোঁটা/খাবার পানিতে |
১৮-২০ | রানীক্ষেত | এনডি | লাইভ | এক চোখে এক ফোঁটা/খাবার পানিতে |
বিশেষ নোটঃ
- ভ্যাকসিনের আগে পরে এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার না করাই উত্তম। তবে ভ্যাকসিনের পরে ভিটামিন সি দেয়া ভালো।
- অবশ্যই স্থান ভেদে ভ্যাকসিন সিডিউল পরিবর্তন করা যেতে পারে।