লাল ও মিষ্টি তরমুজ চেনার উপায়
কৃষি বিভাগ
মিষ্টি তরমুজ কিভাবে চিনব? এই প্রশ্ন এখন খুবই কমন কারণ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে রসালো ফল তরমুজ। এই গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা তরমুজের রস দূর করতে পারে ক্লান্তি। তরমুজ শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে। শরীরে এনার্জি তৈরি করে দেয়। গরমে এই ফলটির চাহিদাও তেমনই থাকে। তরমুজে ২১ শতাংশ ভিটামিন সি, ১৮ শতাংশ ভিটামিন এ, ৫ শতাংশ পটাশিয়াম, ৪ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম এবং ৩ শতাংশ ভিটামিন বি১, বি৫ এবং বি৬ আছে। ত্বক ও চুল প্রাকৃতিভাবে সুন্দর রাখে তরমুজে থাকা ভিটামিন এ ও সি। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধী ও তারুণ্য ধরে রাখতে খুবই কার্যকরী।
তবে তরমুজ কিনতে গিয়ে ঠকে যাবেন না আবার! অনেক সময় বাইরে থেকে দেখে ভালো মনে হলেও কাটার পর দেখা যায় তরমুজ ফ্যাকাশে, খেতেও পানসে।
জেনে নিন কীভাবে চিনবেন লাল এবং মিষ্টি তরমুজঃ
১: তরমুজের মাথার দিক খেয়াল করুন। যদি দেখেন হলুদ রঙ ধরেছে, তাহলে তাহলে বুঝবেন তরমুজ পাকা।
২: তরমুজ হাতে নিয়ে দেখুন। যদি ভিতরটা ফাঁপা মনে হয় তাহলে বুঝবেন তরমুজ এখনও কাঁচা রয়েছে। পাকা তরমুজে প্রচুর রস থাকে। ফলে তরমুজ ভারি হয়।
৩: তরমুজের গায়ে টোকা দিন। অতিরিক্ত ভারি আওয়াজ (ঠন ঠন অাওয়াজ) হলে বুঝবেন তরমুজ বেশি পেকে গেছে।
৪ঃ তরমুজের আকৃতি খেয়াল করুন। যদি তরমুজ পুরো সমান হয়, তাহলে বুঝবেন পাকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৫ঃবাইরের উজ্জ্বল রঙ দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। পাকা তরমুজ সাধারণত গাঢ়, কালচে হয় দেখতে। চকচকে উজ্জল রং হলে সেটি কাঁচা তরমুজ।
৬ঃ খুব বড় বা খুব ছোট তরমুজ না কিনে মাঝারি আকারের তরমুজ কেনাই ভালো।
সতর্কতা: রাস্তার মোড়ে মোড়ে বা বাজারে খোলা অবস্থায় রাখা কাটা তরমুজ খাবেন না। তরমুজ কেটে ফ্রিজে ভরে রাখবেন না। এতে খাদ্য উপাদান কমে যায়। যেকোন ফল কেটে খোলা অবস্থায় রাখবেন না। এতে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তরমুজে শাঁস অধিক লাল করার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম রং ভিতরে প্রবেশ করিয়ে থাকে এমন তরমুজ কিনবেন না খাবেন না। তরমুজ কাটার পর শাঁস হাতে লাগলে কিছু রং হাতে লাগে এ তরমুজটি খাবেন না।
কতটুকু খাবেনঃ তরমুজের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও একবারে খুব বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়। গবেষক ও পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ ক্যালরি থাকে। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রামে ৩.৩ গ্রাম চিনি থাকে। তরমুজে যেহেতু পানির পরিমাণ বেশি, তাই ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ খাওয়া অনেকের কাছে সহজ মনে হতে পারে।