গরু সুস্থ রাখার উপায়
প্রাণিসম্পদ
গরু পালন লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন গরুর খামার গড়ে তুলছেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে গরু পালন করা হচ্ছে। তবে গরুর খামার করে অনেকেই লোকসানে পড়ছেন। এর প্রধান কারণ হল গরুর নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া। খামারের গরুকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো খামারিদের অবশ্যই জেনে খামার পরিচালনা করতে হবে।
খামারের গরুকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করতে হবে: খামারের গরুগুলোকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। নিয়মিত গরুগুলোকে সুষম খাদ্য প্রদান করলে গরুগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ও রোগের দ্বারা কম আক্রান্ত হবে। খামারের প্রত্যেকটি গরুর জন্য আলাদাভাবে খাদ্য প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর খাদ্য প্রদান করতে হবে। খামারের গরুগুলোকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য খামারের চারপাশের খোলামেলা পরিবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাইরের বাতাস ও আলো যাতে ভালোভাবে চলাচল করতে পারে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা রাখলে গরু সুস্থ থাকবে ও রোগের দ্বারা কম আক্রান্ত হবে।
গরুগুলোকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা করাতে হবে। কোন গরু অসুস্থ হয়ে গেলে রোগের ধরণ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।পালন করা গরুগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। গরুকে নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়ালে গরুর শরীর সুস্থ থাকে ও গরু স্বাস্থ্যবান হয়।
খামারের গরুগুলোকে বাইরে বের করে খামার ভালোকরে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন ভাবেই খামার পরিষ্কার করার পানি যাতে জমে না থাকে।
খামারের গরুগুলোকে নিয়মিত গোসল করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত গরুগুলোকে গোসল করালে গরুর শরীর পরিষ্কার থাকে ও রোগ-জীবাণুর আক্রমণ কম হয়। এছাড়াও নিয়মিত গোসল করালে গরুর ত্বক মসৃণ ও চকচকে থাকে।খামারে কোনভাবেই যাতে বাইরের কোন ব্যক্তি না প্রাণী অবাধে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি প্রবেশ করাতেই হয় তাহলে প্রবেশের আগে জীবাণুমুক্ত করাতে হবে।