কচু চাষে এগিয়ে কুমিল্লা
কৃষি বিভাগ
জেলার বাজারগুলোতে কচু শাকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুমিল্লার অলিগলিতেও কচু বিক্রি হচ্ছে। এবছর প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে পানি কচুর চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৩০-১৫০ মণ কচু পাচ্ছেন চাষিরা।
জমিতে কচুর আবাদ করে চাষিরা স্থানীয় বাজারেই দর পাচ্ছেন কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা করে। দিন দিন কচুর লতির চাহিদা বেড়েই চলছে।
এখন থেকে ৮ থেকে ৯ হাজার টন লতি উৎপাদন হবে বলে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে। দেশে কচুর বহুবিদ ব্যবহার রয়েছে।
কচু শাক, কচুর ডগা, কচুর মুখি, ও লতি সবজি হিসাবে খাওয়া হয়ে থাকে। কচুতে প্রচুর পরিমাণ লৌহ ও ভিটামিন থাকে।
আগাম জাতের কচু চাষ করে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কুমিল্লার চাষিদের মুখে।
বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লতিরাজ কচু চাষ পদ্ধতি জেনে উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বরুড়া উপজেলার কৃষক সাদ্দাম হোসেন বাসসকে বলেন, এ বছর ১০ কাঠা জমিতে আগাম জাতের কচু চাষ করেছেন। খরচও তুলনামূলক কম হয়েছে।
তিনি বলেন, ১০ কাঠা জমিতে কচু চাষ করেছি। এক কাঠা জমি থেকে ৬-৭ মণ করে কচু পেয়েছি। জমি থেকেই ৬০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করে দিচ্ছি। প্রতিবার তো এমন দাম হয় না, এবার কচুর দাম খুবই ভালো। যদি এমন বাজার থাকে তাহলে কচুতে প্রচুর টাকা আয় হবে।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, কচু চাষ খুবই লাভজনক। চাষিরা কচু চাষ করে বেশ ভালো লাভ করছেন। সেই সঙ্গে দিন দিন কচু চাষ এ অঞ্চলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে। মুখি কচুর পাশাপাশি লতিরাজ কচু চাষ করেও কৃষকরা কম সময়ে লাভবান হচ্ছেন।