তিন খামারির ৩০ লাখ টাকার গরু চুরি!
প্রাণিসম্পদ
বৃষ্টি হওয়া সুযোগে রংপুর মাহিঞ্জে একরাতে ৩ খামারির প্রায় ৩০ লাখ টাকার গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। বড় একটি গাড়িতে করে নিয়ে যায় গরু। এতটাকার গরু হারিয়ে অসহায় পড়েছেন সেই খামারিরা।
সম্প্রতি জেলার ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের বাড়িতে দিবাগত রাতে এ গরু চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন ও খামারীদের নেতৃবৃন্দ।
খামারির সুত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাতে বৃষ্টি হওয়ার সুযোগ নিয়ে গরু গুলো চুরি করা হয়েছে। রাত আনুমানিক ৩-৪ টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গরুগুলো বড় হওয়ায় হেটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বড়গাড়িতে করে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন খামারীরা। তবে এর সাথে স্থানীয় কোন চক্রের জোগসাজস থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন খামারীরা। এটি সংঘবদ্ধ কোন চোর সিন্ডিকেটের কাজ।
স্খানীয় মাহিগঞ্জের খামারি গৌতম বোসের ২ টি গরু, হাসান আলী’র ২ টি এবং আনোয়ার হোসেন ৩ টি গরুচুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। ৭টি গরুর বর্তমান বাজারমুল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা।
ক্ষতিগ্রস্থ খামারি গৌতম বোস জানান, রাত ৪ টার দিকে গরু চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায়। গরুর গোয়ালে গিয়ে দেখি দরজা খোলা, ৩ টি গরু নাই। পরে বাহিরে খোঁজা খুজির পর একটি গরু পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। জেলা ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশন রংপুর সাধারণ সম্পাদক এস এম আসিফুর ইসলাম জানান, হঠাৎ করে খামার থেকে গরু চুরি বিষয়টা খুবই চিন্তার।
জেলা ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশন রংপুর সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন জানান, বিষয়টি গরুত্ব সহকারে নিয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, এই সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থানে সিসিক্যামেরা রয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে যতদ্রুত সম্ভব অপরাধীদের সনাক্ত করা এবং হারিয়ে যাওয়া গরুগুলো উদ্ধার করা।
রংপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের সাথে কথা বলে তালিকা করা হয়েছে।