৪:৩৪ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৬, ২০২৩ ৯:১২ অপরাহ্ন
সোনালি মুরগি পালনে ব্রুডিং ব্যবস্থাপনায় যা করতে হবে
পোলট্রি

সোনালি মুরগি পালনে ব্রুডিং ব্যবস্থাপনায় যা করা জরুরী তা বেশিরভাগ খামারিরাই জানেন না। আমাদের দেশে বর্তমানে ব্যাপকহারে সোনালি মুরগি পালন করা হচ্ছে। সোনালি মুরগির খামার করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সোনালি মুরগি পালনে ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সোনালি মুরগি পালনে ব্রুডিং ব্যবস্থাপনায় যা করা জরুরীঃ
ব্রুডার থেকে অভ্যন্তরীণ গ্যাস যাতে বের হয়ে যেতে সেজন্য মাঝে মাঝে ব্রুডারের এক পাশে ফাঁকা স্থান রাখতে হবে। সোনালী মুরগির ব্রূডারের প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন- লিটার পেপার, চিকগার্ড, পানি, হোভার, খাদ্যের পাত্র সব ২-৩ ঘন্টা আগেই সঠিক স্থানে বসিয়ে দিতে হবে।

ব্রুডারে বাচ্চা নিয়ে আসার ৩০ মিনিট আগে থেকেই পানিতে দ্রবণীয় কোন প্রোবায়েটিক দিয়ে আশপাশে ভালো করে স্প্রে করে দিতে হবে।
বাচ্চাসহ প্রতিটি বক্সের ওজন নিতে হবে এবং তা খাতায় লিখে রাখতে হবে। এবং পরবর্তীতে সে অনুযায়ী বাচ্চার ওজন নির্ণয় করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে এবং বার বার পর্যবেক্ষণ করতে হবে তাপমাত্রা বাচ্চার উপযোগী আছে কিনা।

ব্রুডারে বাচ্চা ছেড়ে দেওয়ার পর বাচ্চাকে বেশ কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বাচ্চার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোন বাচ্চা দুর্বল হয়ে গেলে সেগুলোকে আলাদা করে গ্লুকোজের পানি খাওয়াতে হবে। প্রয়োজন হলে গ্লুকোজের পানি দিতে হবে আর তেমন প্রয়োজন না হলে সাদা পানি দিলেও কোন তেমন কোন সমস্যা হবে না।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৩১ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি বাচ্চা পরিবহনে খামারিরা যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ৮:০৫ অপরাহ্ন
নতুন খামারিদের যে বিষয়গুলো জানা থাকা দরকার
প্রাণিসম্পদ

গরুর খামার লাভজনক হওয়াতে বর্তমানে অনেকে খামারে দিকে ঝুঁকছেন। তবে,ত এই খামার করতে হলে ‍জানা থাকা দরকার অনেকগুলো বিষয়। কারণ নতুন খামারিরা খামার শুরু করতে গিয়ে বেশ কিছু সমস্যার মাঝে পড়েন। যা থেকে উত্তোরণ না হলে খামারে লাভের মুখ দেখা কষ্টকর হয়ে পড়বে তাদের জন্য।

নতুন খামারিদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা জরুরী:
খামার করার আগে ভাবুন সেই কাজটি আপনার জন্য কতটুকু সহনশীল, খামারের প্রতি কতখানি আপনার রুচিবোধ আছে সেই প্রশ্নের উওর খুঁজে বের করুন। উওর “না” আসলে খামার করার দরকার নেই।

খামার করার শুরুতেই নিজে খামারে পরিশ্রম করার চেষ্টা করুন, ৪/৫ টা গরুর জন্য রাখাল রাখার চিন্তা পরিহার করুন। আর রাখাল রেখে খামার করবেন তবে আপনার আয়ের চেয়ে ব্যয় যেনো না হয় সে দিকে নজর দিয়েন। নয়লে ব্যয় বেড়ে যাবে হতাশায় পড়ে যাবেন।

খামার করার আগে নূন্যতম ৩ মাস/ ৬ মাসের ট্রেনিং করুন ও কোন খামারে কিছু দিন সময় দেন অনেক অজানা বিষয় জানা হয়ে যাবে। শুরুতে বেশী দুধের গাভী না নেওয়াই ভালো ১৫–১৬ লিটার দুধের গাভী হলেই ভালো ৩/৬ মাস পালন করলে গাভীর অনেক আনুষাঙ্গিক বিষয় বুঝতে পারবেন তারপর বেশী দুধের গাভী নিয়েন

সততা ও নিষ্ঠার সাথে খামার পরিচালনা করছে এমন কয়েকজন ভালো মনের খামারীর সাথে কথা বলুন তাদের কথা শোনার পর আপনার পরিকল্পনার সাথে মিলান। তখন ঠান্ডা মাথায় আরো একবার ভাবুন তাদের কষ্ট কি আপনি করতে পারবেন কি না।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ৯:২০ অপরাহ্ন
ব্রয়লার বাচ্চা পরিবহণে খামারিদের সতর্কতা
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২২ ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
যে কৌশল জানা থাকা দরকার খামারিদের
পোলট্রি

আমাদের দেশে পোল্ট্রি খামার করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। পোল্ট্রি খামার করে অনেকেই তাদের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

পোল্ট্রি খামার করে অনেকেই আবার লোকসানের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে লস কাটিয়ে,লাভের মুখ দেখা সম্ভব।

পোলট্রি খামার লাভজনক করার কৌশল:

খুব ভালো জৈব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। সঠিক উপায়ে খামার ব্যবস্থাপনা করা।

খামারে দক্ষ জনবল রাখা। খামারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা। সঠিক সময়ে খামারে খাদ্য সরবরাহ করা।

খামারে সময়মত এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা। খামারে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। পোল্ট্রি খামারকে রোগমুক্ত এবং উৎপাদনশীল রাখতে মুরগি পালনের।

খামারে উল্লেখিত কৌশল প্রয়োগ করা জরুরী। আমরা যদি মুরগি পালনে কিংবা মুরগির খামার স্থাপনে প্রথম কৌশল যথাযথভাবে প্রয়োগ করি তাহলে সেক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ অনেক কম হবে এবং লাভ বেশি পাওয়া যাবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২২ ৬:৫৮ অপরাহ্ন
কাল পদ্মা পাড়ে হবে খামারি উৎসব, অংশ নিবেন ৫ হাজার খামারি
প্রাণিসম্পদ

দেশ-বিদেশের গরু খামারির মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে ষষ্ঠ বারের মতো বসছে খামারিদের মিলন মেলা। শনিবার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের পদ্মাপাড়ে ঢালী’স আম্বার নিবাসে খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনের (বিডিএফ) উদ্যোগে বিডিএফএ-চ্যানেল আই ‘আন্তর্জাতিক খামারি উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে।

উৎসবে সারা দেশের খামারিসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভেনোজুয়েলা, ভারত, থাইল্যান্ড, কানাডাসহ সাতটি দেশের প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি খামারি ও উদ্যোক্তা অংশ নেবেন। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে থাকবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, খেলাধুলা ও র‌্যাফেল ড্রসহ নানা আয়োজন। বিকেলে সাংস্কৃতিক আয়োজন মাতাবেন নগর বাউল হিসেবে খ্যাত জেমস।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশসহ এ খাতের সরকারি বেসরকারি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। ২০১৬ সাল থেকে ডেইরি ফরমাার্স অ্যাসোসিয়েশন এ উৎসবের আয়োজন করে আসছে।

বিডিএফএ সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, এ উৎসবের মাধ্যমে ডেইরি খাত আরো সমৃদ্ধ ও গতিশীল হবে। তিনি বলেন, দেশীয় খামারিদে সাথে সাতটি দেশের খামারিরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকছে নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন। রয়েছে জেমসের কনসার্টসহ আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র’র ব্যবস্থা। এছাড়া পাঁচ হাজার টাকায় ১০ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টার রাইডের ব্যবস্থাও রয়েছে।

আয়োজক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক খামারি উৎসবের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খামারিদের সাথে বাংলাদেশের খামারিদের যোগসূত্র সৃষ্টি হবে। উন্নত দেশের তথ্য-প্রযুক্তি ও খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও পারস্পারিক জ্ঞানের আদান-প্রদান হবে। এর মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ বিপণনে তৈরি হতে পারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১, ২০২২ ৬:১২ অপরাহ্ন
পোল্ট্রির বাচ্চা ছোট-বড় সমস্যায় করণীয়
পোলট্রি

ব্রয়লার পালনে বাচ্চা ছোট-বড় হওয়া সমস্যায় করণীয় কি তা আমাদের দেশের অনেক খামারিরাই জানেন না। এই সমস্যাতে অনেক খামারিরাই পড়ে থাকেন। এতে খামারের উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন।

ব্রয়লার পালনে বাচ্চা ছোট-বড় হওয়া সমস্যায় করণীয়:
প্রায়ই দেখা যায় একই ব্যাচে একই বয়সের ব্রয়লার বাচ্চা কিছু দিন পর কতকগুলো বেশ ছোট হয়ে গেছে। এর জন্য দৃশ্যমান অদৃশ্যমান অনেক কারণ জড়িত। দৃশ্যমান বা পরিবেশগত কারণের মধ্যে প্রথম থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম খাদ্য ও পানির পাত্র থাকা।

প্রথম সপ্তাহে বিশেষ করে এক-তিন দিন বয়স পর্যন্ত বাচ্চার চলাচল সীমিত থাকে এবং খাদ্য না চেনার কারণে খাদ্য খাওয়ায় তেমন প্রতিযোগিতা থাকে না। তাই এই সময়ে যেসব বাচ্চা এক বা দুই দিন খাদ্য ভালোভাবে খেতে পারে না সেগুলোই দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পরে খাদ্য খাওয়া প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে ছোট হয়ে যায়।

পুরুষ বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধি স্ত্রী বাচ্চার চেয়ে ২০-২৫ ভাগ বেশি হওয়ায় স্ত্রী বাচ্চা ছোট হয়। মিশ্রিত গ্রেডের বাচ্চা এক সাথে পালন করা। বিভিন্ন বয়সের মুরগির ডিম এক সাথে ফুটানো হলে পুলের ডিমের বাচ্চা ছোট হয়। ব্রুডিং পিরিয়ডে কাáিক্ষত তাপ না পাওয়া।

সমস্যার প্রতিকারঃ

মিশ্রিত গ্রেডের বাচ্চা না কিনে একই এ বা বি গ্রেডের বাচ্চা কিনতে হবে। বাচ্চা ছোট-বড় দৃশ্যমান হওয়ার সাথে সাথে আলাদা করে বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২২ ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে খামারি যা করবেন
পোলট্রি

দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে ব্রয়লারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি একদিকে যেমন মাংসের চাহিদা পূরণ করছে অন্যদিকে কমাচ্ছে বেকারত্ব।অনেকেই এখন খামার করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। তবে এই মুরগির ওজন যত বেশি হয় তত তার চাহিদা থাকে বেশি। তাই ব্রয়লারের ওজন বাড়াতে খামারিদের জানতে হবে কিছু কৌশল।

ব্রয়লার মুরগির ওজন বাড়ানোর কিছু কৌশল:
খামার পরিষ্কার রাখা ব্রয়লারের ওজন বাড়ানোর প্রথম কৌশল।এতে খামারে রোগের প্রকোপ কমে যাবে এবং মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। মুরগির খামারে বাচ্চা আসার ৪৫ মিনিট পূর্বে চিকগার্ডের ভেতরে প্রবা‌য়োটিক স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পানির ড্রিকার দিয়ে দিতে হবে।

খামারে ব্রয়লার পালনের জন্য ১ দিনের বাচ্চার বয়স ৩৬ গ্রাম হতে হবে। বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।ব্রয়লার খামারে যাতে সবসময়ই আলো প্রবেশ ও বায়ু চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

১৫ দিন বয়সের মধ্যে মুরগি গ্রাডিং শেষ করতে হবে। ১৮ দিন বয়সে গ্রথ আসার জন্য গুরের পানি খাওয়াতে হবে। ২০ দিন অতিবাহিত হলে মুরগি ফ্লাসিং করতে হবে। ২৫ দিন পর হইতে মাদি এবং ছোট মুরগি বিক্রি করতে হবে।ব্রুডিং এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে এবং দুই ব্যাচের মধ্যে ১৫ দিন বিরতি দিতে হবে। খামারের মুরগিগুলোকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। যে কোনো ঔষধ ব্যবহারকালে সেই ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২২ ২:৪১ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি খামারিদের যে কৌশল জানা থাকা দরকার
পোলট্রি

আমাদের দেশে পোল্ট্রি খামার করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। পোল্ট্রি খামার করে অনেকেই তাদের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

পোল্ট্রি খামার করে অনেকেই আবার লোকসানের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে লস কাটিয়ে,লাভের মুখ দেখা সম্ভব।

পোলট্রি খামার লাভজনক করার কৌশল:

খুব ভালো জৈব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। সঠিক উপায়ে খামার ব্যবস্থাপনা করা।

খামারে দক্ষ জনবল রাখা। খামারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা। সঠিক সময়ে খামারে খাদ্য সরবরাহ করা।

খামারে সময়মত এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা। খামারে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। পোল্ট্রি খামারকে রোগমুক্ত এবং উৎপাদনশীল রাখতে মুরগি পালনের।

খামারে উল্লেখিত কৌশল প্রয়োগ করা জরুরী। আমরা যদি মুরগি পালনে কিংবা মুরগির খামার স্থাপনে প্রথম কৌশল যথাযথভাবে প্রয়োগ করি তাহলে সেক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ অনেক কম হবে এবং লাভ বেশি পাওয়া যাবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ ২:০১ অপরাহ্ন
পোল্ট্রির খাবারের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে কোম্পানীগঞ্জের খামারিরা
পোলট্রি

পোল্ট্রির খাবারের দাম বৃদ্ধিতে লোকসানে পড়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার খামারীসহ সারাদেশের প্রান্তিক খামারিরা। যার ফলে অন্যান্য জেলার প্রান্তিক খামারিদের পাশাপাশি কোম্পানীগঞ্জের কয়েকশ পোল্ট্রি খামারি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

গত বছরের করোনার ক্ষতি সামাল দিতে না পেরে অনেকেই ঋণ নিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে আরো লোকসানে পড়েছেন। অনেকেই খামার বন্ধ করে দিয়ে তাদের পেশা বদলে ফেলেছেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, এ উপজেলায় ৩০হাজার ১৩২জন খামারী রয়েছে। এসব খামারে ব্রয়লার মুরগীর সংখ্যা ২লাখ ৮৮হাজার দুইশো টি, লেয়ার মুরগী ২লাখ ১২হাজারটি, সোনালী ৮০হাজার ৭শত ৪০টি, দেশী ২লাখ ৯০ হাজার ৯০০ টি, হাঁস ৭৪হাজার ৬শত ৯৮টি, কবুতর ১৬হাজার ৪শত ২০টি, কোয়েল ৩হাজার ১শত ৩০টি।

এদিকে সারাদেশে খামারি পর্যায় গড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০টাকা কেজি দরে। অথচ এক কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা।

খামারি পর্যায়ে মুরগির দাম কম হলেও ভোক্তা পর্যায়ে ১৬০-১৭০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগি।এছাড়াও কেজিতে ২০-৪০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৯০ টাকা, যা আগে ছিল ২৪০-২৫০ টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বছর দুয়েক আগেও যে সকল পোল্ট্রি খামার বড় ছিলো সেগুলো ছোট করে ফেলেছেন খামারিরা। অনেকেই পোল্ট্রি খামারের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছেন।

খামারিরা অনেকে এ ব্যবসায় লোকসান গুণে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।আবার কেউ কেউ পেশা পাল্টাচ্ছেন।কারো কারো ব্যাংকের ঋণের দায়ে ব্যাংকে রাখা বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে উঠছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার তাসলিমা ফেরদৌসী বলেন, খাদ্য ও ঔষধের দাম বৃদ্ধিতে খামারীরা খুবই হতাশায় পড়েছেন। অনেকের খামার বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক সময় সিন্ডিকেটের কারনেই খাদ্যের দাম বেড়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop