বরিশালে রোগা গরু জবাইয়ের সময় ধরা খেলেন কসাই!
প্রাণিসম্পদ
রোগা গরু গোপনে জবাইয়ের আগ মুহূর্তে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় মো. শহিদুল ইসলাম নামের (৪০) এক মাংসবিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার প্রধান বন্দর পাতারহাট বাজার থেকে রোগা গরুটি উদ্ধার ও মাংসবিক্রেতা শহিদুলকে আটক করা হয়।
আটকের পর ওই মাংসবিক্রেতাকে এ ঘটনায় ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি গরুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিজুস চন্দ্র দে জানান, মঙ্গলবার পাতারহাট বন্দরে হাটবার। এ কারণে স্বাভাবিকের দিনের চেয়ে হাটে মাংসসহ নিত্যপণ্য বিক্রি বেশি হয়। এ সুযোগে প্রায় মৃত রোগা গরুটি গোপনে জবাই করার উদ্যোগ নেন মাংসবিক্রেতা শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে জবাইয়ের আগ মুহূর্তে তিনি পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। গিয়ে দেখেন গরুটির গোটা শরীরে ঘা ও ক্ষত। নড়াচড়া করছে না। প্রায় মৃত অবস্থায় গরুটি পড়ে আছে।
তিনি আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মাংসবিক্রেতা শহিদুল ইসলাম তার দোষ স্বীকার করে বলেন, হাটবারে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে তিনি রোগা গরুটি মাত্র ১৫ হাজার টাকায় কিনেছিলেন। বেশি মুনাফার লোভে তিনি এ কাজ করেছিলেন। তিনি এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে আর করবেন না বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে ক্ষমা চান। এ ঘটনায় মাংসবিক্রেতা শহিদুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি রুগ্ন গরুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
গরুটির শরীরের কয়েক জায়গায় ঘা ও ক্ষততে পোকা সংক্রমণ দেখা গেছে। রুগ্ন এ গরুর মাংস মানবদেহের জন্য ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। তবে জবাইয়ের আগেই গরুটি উদ্ধার করা হয়েছে। গরুটির রোগ সারিয়ে তুলতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ বিশ্বাস।