কলা চাষের দিকে আগ্রহী হচ্ছেন বগুড়ার কৃষকরা
কৃষি বিভাগ
বগুড়ায় দিন দিন কলা চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। অন্যান্য ফসলের থেকে কলা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় বাড়ছে কলার চাষ। ধান চাষের আয় ব্যয় এক হয়ে যাচ্ছে। তাই কলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানান কৃষকরা। বর্তমানে বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে কলার হালি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, বগুড়া জেলার মাটি বেলে দোআঁশ। যা কলা চাষের খুব উপযোগী। শিবগঞ্জ এবং গাবতলি উপজেলা এই জেলায় কলা চাষের মধ্যে বিখ্যাত। দেশজুড়ে এই জেলার মোকামতলা কলার হাটের বেশ সুনাম রয়েছে। এই জেলায় অনুপম, সাগর, সবরি, বিচিকলা, চিনি চাম্পাসহ বিভিন্ন নামের কলা চাষ হয়ে থাকে। কলা বিক্রির জন্য জেলার মহাস্থানগড়, রহবল ও মোকামতলায় পাইকারি কলার হাট বসে থাকে। যেখান থেকে ট্রাকে করে কলা ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামে বিক্রি হয়ে থাকে। বর্তমানে জেলায় কলার ব্যাপক ফলন বাজারদর ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ১৯ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এবছর ভালো ফলন হওয়ায় প্রায় ২১ টণ উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বগুড়া মহাস্থানগড় এলাকার কলা চাষি মো. সুমন বলেন, এবছর কলার ভালো ফলন হয়েছে। চারা রোপনের ১২-১৩ মাসের মধ্যেই কলার ফলন পাওয়া যায়। কলার পরিমান অনুযায়ী প্রতি কাঁদি কলা ৪০০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
তিনি আরো বলেন, বাজারে বেশির ভাগই হিট দিয়ে পাকানো কলা পাওয়া যায়। আমাদের এখানে আমরা গাছ পাকা কলা বিক্রি করে থাকি।
বগুড়া জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৪০-৫০ জাতের কলার চাষ হয়। এর মধ্যে অমৃত সাগর, সবরি, কবরি, চাঁপা, মেহের সাগর, কাবুলি, বিচিকলা ও আনাজি কলা সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। বর্তমানে বারিকলা-১, বারিকলা-২, বারিকলা-৩ ও বারিকলা-৪ নামের চারটি উচ্চ ফলনশীল কলার জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।