৪:১৩ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • হাটহাজারীতে কৃষিতে উপকারী নভেল বেসিলাসের উপর জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত
ads
প্রকাশ : জুন ৪, ২০২১ ৯:৪৬ অপরাহ্ন
হাটহাজারীতে কৃষিতে উপকারী নভেল বেসিলাসের উপর জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু।। ব্যাক্টেরিয়ার নাম শুনলেই মানুষ আগে ভয় পেতো, এখন আর ভয় নয়, বন্ধু হিসেবে বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়াকে গ্রহণ করা যাবে, আর মানুষের সাথে যার মিল সবচেয়ে বেশি। মিলের সাদৃশ্যকে বিবেচনায় এনে প্রকৃতি হতে শতকরা ৭৬ ভাগ উপকারি ব্যাক্টেরিয়া সংগ্রহ করা যাবে উদ্ভাবনীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে।

কৃষিতে উপকারী নভেল বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার ব্যবহার ও প্রয়োগোত্তর ফলাফল নিয়ে শুক্রবার (৪ জুন)চট্রগ্রামের হাটহাজারিতে এক ব্যতিক্রম ধরণের জাতীয় সেমিনারে এমনটিই জানালেন প্রধান গবেষক ড. মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. খলিলুর রহমান ভূইয়া, এর সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক (প্রশশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম।

পরে মেমিনারের কারিগরি সেশনে প্রধান আলোচক হিসাবে র্ভাচুয়ালী যোগ দেন দিয়ে গুরুত্বর্পূন বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম।

মহাপরিচালক ড.মো.নাজিরুল ইসলাম বলেন, নভেল বেসিলাস এর প্রয়োগ একটি নতুন বিষয় যার উপর ইতোমধ্যেই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অনেকটা পথ এগিয়েছে।

আরো জোড়ালো গবেষণার মাধ্যমে নয়া এই পরিবেশ বান্ধব উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার উপর জোর দিতে হবে। সারা দেশ ব্যাপী এই প্রযুক্তি কৃষকের কাছে সহজ ভাবে পৌছে দিতে হবে। উপসচিব নাসিমা খনম গবেষণাটি খরা, বন্যা এলাকাতেও ছড়িয়ে দেবার আহবান জানান।

আরও আলোচনা করেন কৃষি সম্প্রসারণের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মঞ্জরুল হুদা, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. খলিলুর রহমান ভূইয়া, ড. মো. আবু হেনা ছরোয়ার জাহান ,প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ইকবাল ফারুক, উপসচিব নাসিমা খানম প্রমুখ।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও উর্ধবতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং কর্মসুচি পরিচালক ড.মু. তোফাজ্জল হোসেন রনি মুল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। সেমিনারের সেশন চেয়ারম্যান ড. সামসুল আলম বলেন, কৃষিতে উপকারী বেসিলাস এর ব্যবহার কৃষি বন্ধব যা একটি ভাল উদ্যোগ। উন্নত দেশের ন্যায় আমরা এখন তা শুরু করেছি। মুলত ব্যাক্টেরিয়াগুলো শক্তিশালি পেপ্টাইডোগ্লাইকোন এর মাধ্যমে প্রতিকুল অবস্থায় গাছকে খাদ্যরস গ্রহণে সহয়তা করে শক্তিশালি করে এবং এন্টাগনাস্টিক হিসেবে কাজ করে যার ফলে জীবাণুরা অবস্থান করতে পারেনা।

ফলে,গাছ আর ঢলে পড়ে না। প্রধান গবেষক ড. হোসেন বলেন, ব্যাক্টেরিয়ার সাথে প্রাণীকুলের মধ্যে মানুষের সাথে সবচেয়ে বেশি মিল যা শতকরা ৩৭ ভাগ যেখানে বানরের সাথে মাত্র ৬ ভাগ। সুতরাং বন্ধুপ্রিয় মিলের সাদৃশ্যকে কেন্দ্র করে অঞ্চল ভিত্তিক এই গবেষণার কার্যক্রম আরো বাড়াতে হবে। উপকারি ব্যাক্টেরিয়া ব্যাহার করে বেগুনের ঢ্লে পড়া রোগ দমন করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দেশে বড় আকারে বায়ো-সেন্টার করে এ ধরনের কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এর ফলেই ব্যাক্টেরিয়ার উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। ব্যাক্টেরিয়ার জীবন ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ, কালচার, নামকরণ এবং কৃষিতে উপকারী বেসিলাস এর ব্যবহার প্রয়োগ এবং ঢলে পড়া রোগ দমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে সেমিনারে আলোচনা করা হয়।

পরে কারিগরি সেশন চেয়ারম্যান আগুন্তক গবেষক, সসম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের মাঝে ব্যাক্টেরিয়াল পণ্য হস্তান্তর করেন। সেমিনারে বিজ্ঞানী,কৃষক,সরকারি-বেসরকারী প্রতিনিধি,গণমাধ্যম কর্মি ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশ নেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop