পুকুরে বিষ ঢেলে লাখ টাকার মাছ নিধন
মৎস্য
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আউজিয়া গ্রামের মৃত লাল মামুদের ছেলে কাঞ্চন মিয়ার পুকুরে কে বা কারা মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করেছে।
বুধবার(৪আগস্ট) ভোরে নিজ পুকুরে মৃত মাছগুলি ভেসে উঠতে দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন কাঞ্চন মিয়া।
মাছচাষী কৃষক কাঞ্চন মিয়া জানান, এলাকার প্রতিবেশি কয়েকজনের সাথে পূর্বের একটি ঘটনা নিয়ে শত্রুতা ছিল।তাঁদের কয়েকজনকে মঙ্গরবার দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে নিজের পুকুরপাড়ঘেষা রাস্তায় আড্ডারত অবস্তায় দেখতে পান। কাঞ্চন মিয়াকে দেখে তারা স্থান ত্যাগ করার পর পুকুরের চারিদিকটা দেখে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন।ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথেই পুকুরে এসে দেখতে পান সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে।নিজের চাষ করা মাছ মৃত অবস্তায় পুকুরে ভাসতে দেখে চিৎকার করে পুকুরপাড়েই জ্ঞান হারান কাঞ্চন মিয়া।
কাঞ্চন মিয়া জানান, নিজের ৬০শতাংশ ভূমিতে তিন বছর যাবত মাছ চাষ করছেন। তাঁর পুকুরে পাঙ্গাস,রুই,কাতল,মৃগেল, ব্রিগেড,কার্ফু সহ দেশিয় প্রজাতির বিভিন্ন রকমের মাছচাষ করেছেন। মৃত প্রতিটি মাছের ওজন দেড় থেকে প্রায় দুই কেজি।
তিনি নিজ ঘর থেকে মাছের খাদ্য কেনার মেমো এনে দেখান প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা বকেয়া আছে দোকানে।
মাস ছয়েক আগে দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ ছাড়া হয় পুকুরে।সব মিলিয়ে কাঞ্চন মিয়ার আট থেকে নয় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন।পাইকারদের সাথে কথা বলে মাছ বিক্রি দেয়া হয়েছে।বুধবার সকালে পুকুর থেকে মাছ নিয়ে টাকা দেয়ার কথা ছিল।তার আগেই রাতের আঁধারে বিষ দিয়ে মাছগুলি নিধন করায় আমি পথের ফকির হয়ে গেলাম।
তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।কাঞ্চন মিয়াকে থানায় মামলা করার কথা বলেছি।মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।