সাগর ও নদীতে ইলিশের সংকটে দিশেহারা জেলেরা
মৎস্য
ঋণের টাকা কিভাবে শোধ করবেন সে চিন্তায় এখন দিশেহারা মৎস্যজীবীরা। কারণ, দেশের পশ্চিম উপকূলের সাগর ও নদীতে ইলিশ সংকটের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
পিরোজপুরের মৎস্য বন্দর পাড়েরহাটের মৎস্য আড়ৎদার ইকবাল হোসেন জানান, সাগর থেকে জেলেরা কিছু জাটকা নিয়ে ফিরে আসছে। একেবারেই ইলিশ পাচ্ছেনা তারা। লাখ লাখ টাকা লোকসানের কারণে জেলে-ব্যবসায়ীরা এখন চোখের জল ফেলছে।
শরণখোলার মা-বাবার দোয়া, এফবি কালাম ও এফবি খায়রুল ইসলাম ফিসিংবোটের মালিক কবির আড়ৎদার জানান, সাগরে জাল ফেলে জেলেরা ইলিশ পাচ্ছেনা। প্রতিবার জাল ফেললে মাত্র চার থেকে পাঁচটি জাটকা উঠে আসছে। ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতায় এবারের মতো লোকসানের মুখে পড়েননি কখনো।
সাগরে মাছ না পাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালীন ভারতীয় জেলেরা পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবাধে ইলিশ শিকার করেছে। এছাড়াও পূবালী বাতাস না থাকায় ইলিশ কক্সবাজার-মিয়ানমার অঞ্চল থেকে পশ্চিম সাগরে আসছেনা।
বাংলাদেশ ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম খোকন জানান, সাগরে ইলিশ সংকটে জেলে ও মৎস্যজীবিরা এ বছর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। মহাজনের দাদন ও ব্যাংক ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সে চিন্তায় মৎস্যজীবীরা দিশেহারা। এমনকি অনেক ফিসিংবোট মালিক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছেন।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য অফিসার এ এস এম রাসেল জানান, ইলিশ না পাওয়ার পেছনে সাগরে বিপুল পরিমাণ বাধা ও বেহুন্দি জাল পাতা, নাব্যতা সংকট এবং সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরাসহ বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে কীটনাশক বা বিষ মিশ্রিত পানি সাগরে পড়ায় ইলিশ পশ্চিম উপকূলে না এসে পূর্ব সাগরে চলে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।