পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে প্রান্তিক খামারিরা
প্রাণিসম্পদ
পশু খাদ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক খামারিরা। বেড়েছে খামার রক্ষণাবেক্ষণের খরচও। এসব কারণে লোকসান বেড়ে যাওয়ায় শ্রীপুরের গরুর খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। পশুখাদ্যের দাম না কমালে আরও বেশ কিছু খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগেও চালের খুদ কেজি প্রতি বিক্রি হত ২০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। একইভাবে ২৪ টাকার ভুট্টা ৩২ টাকা, ৩৮ টাকার অ্যাংকর ডাল ৬৫ টাকা, ৩১ টাকার মসুর ডালের গুঁড়া ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এক বস্তা (৫০ কেজি) ফিডের দাম আগে ৭৫০ টাকা থাকলেও এখন ১ হাজার ১০০ টাকা হয়ে গেছে। তাছাড়া আইকন ভুষি আগে ১০৫০ টাকা থাকলেও এখন ১৫০০ হয়ে গেছে।
শ্রীপুর উপজেলা পানিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ছোট–বড় মিলে প্রায় ৭৬০ টি গরুর খামার রয়েছে। এ ছাড়া গৃহপালিত প্রায় ৩৭ হাজার ৪ শ ৫টি গরু কৃষকদের ঘরে আছে। সব মিলিয়ে মোট গরুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ২শ ২০টি। এসব গরুকে খড়ের পাশাপাশি গমের ভুসি, ফিড ও বুটের খোসা খাওয়ানো হয়। কিন্তু গত ১০ দিনের ব্যবধানে ফিড, ভুসি ও বুটের খোসায় বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা।
তেলিহাটি ইউনিয়নের গরুর খামারি হিরন সরকার জানান, করোনাকালে পশুখাদ্যের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। গত বছরের শুরুতে এ অঞ্চলের খামারগুলোতে দেখা দেয় লাম্পিং রোগ। এ সময় বেশ কিছু গরু মারা যায়। এর ওপর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠেছে পশুখাদ্যের দাম। পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় লোকসানের মুখে অনেকেই খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন।
এমসি বাজারে অবস্থিত ভাই ভাই ডেইরি এন্ড এগ্রো র্ফামের মালিক আবু সাইদ জানান, ‘আমার খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু হৃষ্টপুষ্ট করা হয়। খামারে সব সময় ১০০ থেকে ১৫০টি গরু থাকে। কিন্তু পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আর কুলাতে পারছি না। ফলে কমিয়ে দিয়েছি পশুপালন।
শ্রীপুর উপজেলা পানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামান জানান, খাদ্য উপাদানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা পশু পালন করতে হিমশিম খাচ্ছে। করোনাকালে খামারিদের সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।