৭:৩৫ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২২ ৯:০৫ অপরাহ্ন
বাকৃবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হকের মৃত্যুতে বাকৃবিতে শোকের ছায়া
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু।। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হকের মৃত্যুতে বাকৃবিতে শোকের ছায়য়।

সোমবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে দুপুর দেড়টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৯৩ বছর।

প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক ১৯২৯ সনের ২ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার চর জামাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৮০-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ড. আমিনুল হক বাকৃবিতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ফাদার অব ফিশারিজ নামেও পরিচিত ছিলেন।

প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত হন।

তিনি ১৯৪৬ সনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিক, ১৯৪৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে আই.এসসি.এবং ১৯৫০ সনে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এসসি.তে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান, ১৯৫২ সনে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এসসি.তে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন, তিনি ১৯৫৭ সনে নোটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রী অর্জন করেন। মরহুম ড. আমিনুল হক ১৯৭০-৭১ সনে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সীয়াটো পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ (SEATO Post-doctoral Fellowship) (SEATO Post-doctoral Fellowship) অর্জন করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পুরস্কার অর্জন করেন।

মরহুম প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক ১৯৫২-১৯৫৪ সন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণি বিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার, ১৯৫৪-১৯৫৭ সন পর্যন্ত নোটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট স্কলার, ১৯৫৭-১৯৬২ সন পর্যন্ত সিনিয়র লেকচারার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৬২-১৯৬৭ সনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগে রিডার এবং ১৯৬৭-১৯৮৯ সন পর্যন্ত প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর, থাইল্যান্ড চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্ট টিচার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পর জাতিসংঘের বিশ্বখাদ্য ও কৃষিসংস্থা (FAO)) ফাউ/ইউএনডিপি প্রকল্পের ফিশারি ট্রেনিং এক্সপার্ট এবং বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য পৃথিবীর ২৩টি দেশ পরিভ্রমন করেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর ওপর অর্পিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে পালন করেন। ৭টি বইসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর ৫০টি বৈজ্ঞানিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী দেশ ও বিদেশে সুখ্যাতির সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক এর মৃত্যুতে বাকৃবি তথা দেশ একজন সৎ, প্রজ্ঞাবান ও মহানুভব শিক্ষাবিদকে হারালো।

ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, সোনালী দল, নীলদল, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, কর্মচারি পরিষদ, কর্মচারি সমিতি, কারিগরি কর্মচারি সমিতিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মরহুম প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল হক – এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২২ ৫:৪০ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর কৃষি দর্শন ও কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

 

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি দর্শন ও কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২২ আগস্ট ) ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহা: রেজাউল করিম এর সঞ্চালনায় এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড.মো: আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালযের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.লুৎফুল হাসান।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি ১৯৭২ সালে ফিরে আসার পর দেশে দুর্বার গতিতে উন্নয়ন শুরু হয়। যার ফলে এই দেশ এগিয়ে গেছে অনেক দূর, যা অন্য কোন দেশের নেতার পক্ষেই সম্ভব ছিলো না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড.গোলাম ফারুক মানিক, নীল দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ এহসানুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রোক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন, অফিসার পরিষদ সভাপতি খাইরুল আলম নান্নুসহ গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২২ ৩:১০ অপরাহ্ন
বাকৃবি’তে নানা আয়োজনে ৬২তম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ৬২তম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উদযাপনের শুরুতেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং রেজিস্ট্রার মোঃ ছাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এম. এ. ছালাম, প্রোক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন। পরবর্তীতে র‌্যালি, কবুতর অবমুক্তকরণ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বৃক্ষরাপণ ও গাছের চারা বিতরণ, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদ/উপাসনালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত/প্রর্থনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়।

ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয় দিবস বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ ড. মোঃ জহিরুল আলম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, আজ ১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়ে কৃষি শিক্ষার চলার পথ অনেক অগ্রগামী করেছেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। পরে অনেকটা সময় কৃষিশিক্ষা অবহেলাতেই কেটে গেছে। ১৯৯৬ সালে জাতির পিতার যোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর জাতির পিতার স্বপ্নকে আবার জাগিয়ে তোলেন এবং সেলক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। ২০০৮ সালে তিনি আবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর কৃষি শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ের গবেষণার মাধ্যমে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা পেয়েছি। আজ কৃষিক্ষেত্রে বৈষ্যয়িক উন্নয়ন ঘটাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাকৃবিও সকলকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুর চেতনা বাস্তবায়নের এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সদস্য সচিব ও কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এম. এ. ছালাম, রেজিস্ট্রার মোঃ ছাইফুল ইসলাম, প্রোক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ড. আনিসুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, প্রভোস্ট কাউন্সিল, বাকৃবি অফিসার পরিষদের সভাপতি মোঃ খায়রুল আলম (নান্নু), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাকৃবি শাখার সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কারিগরি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং চতুর্থ শ্রেণীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২২ ৮:১২ পূর্বাহ্ন
সেপ্টেম্বরে কৃষি গুচ্ছ পরীক্ষা,আসন প্রতি লড়বেন ২৩ শিক্ষার্থী
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর।

ইতোমধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করেছে গুচ্ছ কৃষি ভর্তি কমিটি। মোট আসন সংখ্যা ৩৫৩৯ টির বিপরীতে মোট আবেদন করেছে ৭৯ হাজার একশত ৪৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে কৃষি গুচ্ছের ১টি আসনের জন্যে লড়বেন প্রায় ২৩ জন পরিক্ষার্থী। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষি গুচ্ছ ভর্তি কমিটির দায়িত্বে থাকা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

আবেদনের ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোতে আসন সংখ্যার ১০ গুণ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেতেন। তবে এবার এ সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।

এবছর আবেদনের যোগ্যতা সর্বমোট ন্যূনতম ৮.৫ করা হয়েছিল। এ যোগ্যতার মধ্যে প্রত্যেক ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পেরেছে।

এবছর ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে। তবে এ গুচ্ছের সঙ্গে নতুন ‍যুক্ত হওয়া হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০টি আসন যোগ হয়েছে।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি আসন রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৭, ২০২২ ৮:৩২ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসিএজি চালু করায় বাকৃবির প্রতিবাদ
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) এর স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট পরিচালিত চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন এগ্রিকালচার (বিএসসিএজি) জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রাতবাদলিপিতে জানানো হয়, কৃষি সম্পর্কে উন্নত প্রযুক্তি-জ্ঞানের অভাব ও সনাতন কৃষি ব্যবস্থার ফলে এদেশে এখনো কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও গত ছয় দশকে জনসংখ্যা তিনগুণ হওয়ার পরও বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা মিটিয়ে কৃষিতে এই যে স্বনির্ভরতা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষ গ্রাজুয়েটবৃন্দসহ আজকের কৃষিবিদগণই এ সাফল্যের দাবিদার।

মানোন্নত কৃষি শিক্ষা বাস্তবায়ন এবং চাহিদা-ভিত্তিক ও ব্যবহার উপযোগী স্থিতিশীল কৃষি-প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রচেষ্টায় অধিকতর গতিসঞ্চার করে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কৃষি খাতকে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। সুশিক্ষিত, দক্ষ, নীতিবোধ সম্পন্ন ও দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ কৃষিবিদ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বিএসসিএজি এর মত কারিগরি ডিগ্রি অপর্যাপ্ত খামার ও ল্যাব বিহীন ভাবে এবং দক্ষ শিক্ষকহীন অবস্থায় কোর্স কারিক্যুলার মানদন্ড বিবেচনায় না নিয়ে চালু করার প্রেক্ষিতে আমরা হতাশ হয়েছি। এর ফলে এই পেশার মর্যাদা ও সুনাম ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি বিজ্ঞান ও কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ক উচ্চ শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। স্নাতক কৃষি একটি কারিগরি বিষয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ষোলটি বিষয়ে তাত্তি¡ক শিক্ষার পাশাপাশি কৃষিতে ¯স্নাতক ডিগ্রির জন্য খামার ও ল্যাবরেটরীতে ব্যাবহারিক ক্লাস অত্যাবশ্যক। আন্তর্জাতিক কোর্সকারিকুলাম এর সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর তত্বীয় ও ব্যাবহারিক কোর্স কারিক্যুলা প্রণয়ন করে অত্যন্ত সুনামের সাথে বিএসসিএজি ডিগ্রী প্রদান করে আসছে। পাশাপাশি দেশে বিদ্যামান বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রতিবছর কৃষিতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করে শিক্ষার্থী বের হচ্ছে।

এছাড়াও নতুন করে স্থাপিত একাধিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে বর্তমানে দেশে কৃষি গ্রাজুয়েটের কোন সংকট নেই। আশঙ্কা করছি কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিএসসিএজি ডিগ্রি চালু হলে দেশব্যাপী কৃষি শিক্ষার মান ও কৃষিবিদদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে এবং কৃষির মত কারিগরি বিষয়ে অদক্ষ জনশক্তি তৈরী হবে,এর ফলে কৃষির অগ্রযাত্রাও ব্যাহত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২২ ৭:৫৭ অপরাহ্ন
IVSA সিকৃবি শাখার ৩য় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা
ক্যাম্পাস

International Veterinary Students Association – Sylhet Agricultural University (IVSA SAU Bangladesh) এর ৩য় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৪ই আগস্ট রোজ রবিবার বিকাল ৫ ঘটিকায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য অনুষদ ভবনের কনফারেন্স রুমে দায়িত্ব হস্তান্তর  ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট শ্রাবন্তী বনিক, এক্সচেঞ্জ অফিসার রেদোয়ান রাকিব এবং এডিশনাল থার্ড অফিসার সূচনা আক্তার ।  ১ বছর মেয়াদী ৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১ম এক্সিকিউটিভ কমিটির প্রেসিডেন্ট ডাঃ শওকত শারাফ হাসান এবং এডিশনাল থার্ড অফিসার ডাঃ তন্ময় চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক কমিটির এক্সিকিউটিভগণ, জেনারেল মেম্বার এবং ডিভিএম এর বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীগণ।

অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে নতুন কমিটি এবং সকলের জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক কথা উল্লেখ করেন। পূর্ববর্তী ধারা অব্যাহত রেখে নতুন কমিটি এই সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিগত কমিটির এডিশনাল থার্ড অফিসার রাশেদুল ইসলাম এবং সভাপতিত্বে ছিলেন বিগত কমিটির প্রেসিডেন্ট আশরাফুল ইমন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২২ ২:১৭ অপরাহ্ন
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাকৃবিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু: যথাযথ মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

দিবটি পালন উপলক্ষে সোমবার (১৫ আগস্ট) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় বাকৃবি জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

এসময় ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক বিভাগ, শিক্ষক সমিতি, প্রক্টর অফিস, অফিসার পরিষদ, গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, নীলদল, ছাত্রলীগ, কর্মচরী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকতা, কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট কাল রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তার ব্যত্যয় ঘটে।

অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে কৃষক, মজুর, চাকরীজীবি, ব্যবসায়ী সকলের সমন্বয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করছেন। আমাদের সকলকে শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে।

অগ্রাধীকারভিত্তিতে শিক্ষার্থীদেও সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ তৈরী করে দেয়া সকলের দায়িত্ব।
তিনি আরোও বলেন, আজকের এই বেদনা শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয় বরং সমগ্র বাঙালি জাতির। এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র নষ্ট করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।

এছাড়া জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং বিতর্ক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১০, ২০২২ ৮:৪১ অপরাহ্ন
প্রাধিকার এর গল্প লেখা প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঘোষণা
ক্যাম্পাস

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাণী অধিকার এবং জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন “প্রাধিকার”  তাদের ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে যাচ্ছে।এ উদ্দেশ্যে সংগঠনটি একটি কল ফর রাইটিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিজ আহমেদ বলেন, আমরা অতি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে গল্প লেখা প্রতিযোগিতা বিপুল সংখ্যক গল্প এসেছে । এর মধ্য থেকে বিচারকমন্ডলি ৩ টি গল্প নির্বাচন করেন।আমরা গত জুন মাসে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেই । ম্যাগাজিনের একটি সেকশনে আমরা প্রাণীদের নিয়ে লেখা গল্প বা অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই।

নির্বাচিত তিনটি গল্প ও তার লেখকরা হচ্ছেন, প্রথম: মানব শিশুর মত প্রাণী শিশুর কান্নাও উপেক্ষণীয় নয় (লেখক- সানজিদা মুস্তাফিজ, সহযোগী অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়); দ্বিতীয়: ধর্ষণ (লেখক- চিরঞ্জিত সাহা, কলকাতা ); তৃতীয়: অতিথি ( লেখক- মুতাসিম নয়ন, সোয়াক সাহিত্য সংসদ, খুলনা)।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৪, ২০২২ ৫:১৩ অপরাহ্ন
বাকৃবির গবেষকদের গবেষণা: প্রথমবারের মত মৎস্য জরিপে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ব্যবহার
ক্যাম্পাস

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি প্রতিনিধি: মৎস্য জরিপে সাধারণত কোন একটি দেশের মোট মৎস্য উৎপাদন, মৎস্য ফার্ম, মাছ চাষির সংখ্যা, মাছ ব্যবসায়ীর সংখ্যা, মৎস্যখাদ্য ব্যবসায়ীর সংখ্যা, মৎস্য হ্যাচারির সংখ্যাসহ প্রভৃতির গণনা করা হয়।

এই পরিসংখ্যানের ফলে দেশের মৎস্য সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার, বিভিন প্রকল্প বাস্তবায়ন, রপ্তানিসহ নানা বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়।

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মৎস্য জরিপে তথ্য সংগ্রহে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করায় অনেক ক্ষেত্রে ভুল তথ্য উঠে আসে।

তাই মৎস্য সম্পদের সহজ এবং সঠিক পরিসংখ্যান পেতে দেশে প্রথম মেশিন লার্নিং নামে একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের একদল গবেষক।

বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় ঢাকার রমনায় অবস্থিত মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘হার্নেসিং মেশিন লানিং টু এস্টিমেট একোয়াকালচার প্রডাকশন এন্ড ভেল্যু চেইন পারফর্মেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান প্রকল্পটির প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অঞ্চলের) বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।

জানা যায়, প্রকল্পটি ইউএসএআইডি এর আওতাধীন ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ’ এর অর্থায়নে আমেরিকার ‘মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি’ কর্তৃক পরিচালিত।

ওই প্রকল্পটি বাংলাদেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের একোয়াকালচার প্রধান জেলা খুলনা, সাতক্ষিরা, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, ভোলা, এবং গোপালগঞ্জ জেলা নিয়ে কাজ করছে।

কর্মশালায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক আরও জানান, যে প্রক্রিয়ায় দেশে মৎস্য সম্পদের জরিপ করা হয় তা সেকেলে হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেয় পরিসংখ্যানে ভুল তথ্য চলে আসে। এমনকি তা অনেক সময়সাপেক্ষ। যা মৎস্য সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার অন্তরায়। সঠিক পরিসংখ্যানের জন্য আমরা মেশিন লার্নিং সিস্টেম ব্যবহার করেছি। যেখানে কোন এলাকার স্যাটেলাইট ছবির তথ্য ব্যবহার করে আমারা মাছচাষের সঙ্গে জড়িত জমির আয়তন নির্ধারণ করেছি। এই ফলাফল গুলোকে জরিপ হতে প্রাপ্ত মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে একোয়াকালচারের গুরুত্ব ইত্যাদি তথ্যের সাথে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এর ফলে খুব কম সময়ে নির্ভূলভাবে মৎস্য জরিপ সম্ভব।

বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক, ওয়ার্ল্ড ফিশের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক ক্রিসটোফার রোস প্রাইস এবং বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক (আমেরিকা অঞ্চলের) ও মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেন বেল্টন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২২ ৫:৪৭ অপরাহ্ন
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ইলেকট্রনিক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ইলেকট্রনিক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে যার মাধ্যমে সঠিক গবেষণায় খাদ্যের মান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যেকোন প্রয়োজনে ৩৩৩ নম্বওে ফোন কওে ভোক্তগণ অভিযোগ জানাতে পারবেন।

বাকৃবিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর আইন বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার এসব কথা বলেছেন। বাকৃবি গবেষকগণ যেভাবে কৃষি বিপ্লব এনে দিয়েছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণেও তারা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে সরকারের পাশে থাকবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগ এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর যৌথ আয়োজনে রবিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১০টায় বাকৃবি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, উন্নত ও মেধা শক্তিসম্পন্ন জাতি গঠনে সুষম ও নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই। নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক গবেষণালব্ধ ফলাফল সবপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া বাকৃবি গবেষকদের দায়িত্ব।
এছাড়াও সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদেও ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মকবুল হোসেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আলীম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ।

অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, আমন্ত্রিত অতিথি বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop