১০:৪২ অপরাহ্ন

রবিবার, ৫ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ৫:৩০ অপরাহ্ন
বাকৃবির আইএডিএস’র নতুন পরিচালক ড. ইসমত আরা
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এর কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. ইসমত আরা বেগম, ইনস্টিটিউট অব এগ্রিবিজনেস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিসের (আইএডিএস) পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন ।

বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের নির্বাহী আদেশে তিনি আইএডিএসের নতুন পরিচালক পদে যোগদান করেন।

জানা যায়, আইএডিএসের পরিচালক পদে যোগদানের আগে ড. ইসমত আরা বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোষ্ট, প্রভোষ্ট পরিষদের কনভেনর, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির শিক্ষক সংগঠন গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের অনুষদীয় কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ, ও বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতি সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদকসহ অনেক প্রশাসনিক, সামাজিক ও পেশাগত সংগঠনের দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন।

ড. ইসমত আরা বেগম ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পান। শিক্ষা জীবনের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ডাবল স্টার প্রাপ্ত ড. ইসমত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেকর্ড পরিমাণ নম্বর নিয়ে ১ম শ্রেনীতে ১ম স্থান সহকারে কৃষি অর্থনীতিতে বিএসসি (অনার্স) ও কৃষি অর্থনীতিতে (উৎপাদন) মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি অনার্স ও মার্ষ্টাস উভয় পরীক্ষাতেই রেকর্ড পরিমাণ মার্কস পেয়ে ডাবল গোল্ড মেডেল পান।

ড. ইসমত আরা বেগম জাপান সরকারের বৃত্তি (মনবুশু) নিয়ে হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটি, জাপান থেকে কৃষি উন্নয়ন অর্থনীতিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঘেন্ট ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়াম থেকে কৃষি অর্থনীতিতে পোষ্ট-ডক করেন।

ড. ইসমত কাহো লুভেন বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ‘ইরাসমাস মুন্ডুজ’ ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে ‘ইকোলজিক্যাল ইকনমিক্স অভ গ্লোভাল ফুড প্রোডাকশন’ বিষয়ে স্নাতোকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষকতা করেন।

ড. ইসমত ক্রফোর্ড পাবলিক পলিসি স্কুল অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ায় এন্ডোভর ভিজিটিং ফেলো ও যুক্ত্ররাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস এর ইউএল ফেলো হিসেবে কাজ করেন। তিনি অষ্ট্রেলিয়ান সরকারের অত্যন্ত মর্যাদাপুর্ণ জন ডিলন ফেলো নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাডজান্ক্ট গবেষক।

ড. ইসমত মর্যাদাপুর্ন মনবুশু, এন্ডোভর, অসএইড, ভিএলআরআই, ইরাসমাস মুন্ডুজ সহ ১০টির অধিক প্রতিযোগিতামুলত স্কলারশীপ ও ফেলোশীপ প্রাপ্ত হন। তিনি ২ বার ‘বেষ্ট প্রকাশনা অ্যাওয়ার্ড’ ও ২ বার ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইপপেক্ট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন।

তিনি ৮০ এর অধিক আর্ন্তজাতিক ও জাতীয় জার্নাল আর্টিকেল, বই, সম্পাদীয় বইয়ে অধ্যায় ও থিসিস প্রকাশ করেন। তাছাড়া তিনি প্রায় ২০টির অধিক আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স/সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন ও গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ এর অধিক মাস্টার্স ও ৪ জন পিএইচডি/পোষ্ট-ডক এর গবেষণা (কো)-সুপারভাইজার করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ৩:১৮ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনবে-
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু ,বাকৃবি: পদ্মা সেতু চালু হওযার ফলে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতিশীলতা আসবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে এ এলাকার কৃষক তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে এবং অল্প সময়ে কৃষি পণ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পারবে। ফলে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য নষ্ট হ্ওয়ার আশঙ্কা কমে আসবে ব্যাপকভাবে। খুলনা ও বাগেরহাটের মাছ, যশোরের সবজি আর ফুল, পটুয়াখালীর মুগডাল-তরমুজ-মাছ, মাদারীপুরে প্রচুর পেঁয়াজ-মসুর-সরিষা, বরিশালের ধান ও পানসহ পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের ও আওযামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এর সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান এর সভাপতিত্বে বাকৃবি শিক্ষক কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাগুরার লিচু চাষীরাই আগামী বছর থেকে প্রতি মৌসুমে অন্তত ৫০ কোটি টাকার বাড়তি লিচু বিক্রি করতে সক্ষম হবেন। লিচুর পাশাপাশি মাগুরায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি, ১২ হাজার হেক্টরে পেঁয়াজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জমিতে কাচামরিচের চাষ হয়।

পাট-পেঁয়াজ আবাদে দেশের মধ্যে অন্যতম ফরিদপুর জেলা। এসব পণ্য দ্রæত ঢাকার বাজারে পাঠানো সম্ভব হবে। যশোর ও ফরিদপুরের খেজুরের গুড়ের কদর আছে দেশ জুড়ে। এখানকার পরিত্যক্ত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে খেজুর গাছের বাগানও করা যেতে পারে।

এখন অঞ্চলগুলোতে রপ্তানিমুখী কৃষি ভিত্তিক পণ্যগুলোর জন্য জোন চিহ্নিত করতে হবে। দেশে কৃষি পণ্যের জন্য উপযুক্ত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে । কৃষির পাশাপাশি কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত না করে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে ভারী শিল্প কারখানা, সমৃদ্ধ হবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিসহ পুরো বাংলাদেশ।

কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানিমুখী কৃষিকে আরো সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা অতি দ্রুত গ্রহণ করতে হবে। সার্বিকভাবে বলা যায়, পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে এবং সেখানকার কৃষকদের জীবন ও জীবিকায় সূচনা হবে এক নতুন অধ্যায়ের।

প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন বলেন, এছাড়া প্রাণিসম্পদ খাতে পদ্মা সেতুর ভূমিকা হবে উল্লেখযোগ্য। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো তে বিশেষকরে শরীয়তপুর এই বছরে উৎপাদন হয় ৮১ হাজার টন মাংস ও ১ লাখ ৫ হাজার টন দুধ।প্রতি বছর জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪২ হাজার টন মাংস ও ৩২ হাজার টন দুধ উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এতদিন ফেরিঘাটের ভোগান্তির কারণে উদ্বৃত্ত এসব মাংস ও দুধ ঢাকায় বিক্রি করা যায়নি। তুলনামূলক কম দামে বাড়তি মাংস ও দুধ বিক্রি করে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে খামারিদের। এখন সেতু চালু হলে মাত্র ২ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাবে এসব দুধ ও মাংস।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টর বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি খাত থেকে এরকম বিশাল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। প্রচলিত পদ্ধতিতে যে পরিমাণ চিংড়ি উৎপাদিত হচ্ছে তার বর্তমান স্থানীয় বাজার মূল্য হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকার মত। চাষ পদ্ধতি একটু উন্নত করে আধা-নিবিড় প্রক্রিয়ায় চাষ করলে চিংড়ির উৎপাদন ৭ গুণ বাড়াানো সম্ভব, এবং যার ফার্মগেট মূল্য হচ্ছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা দেশের জাতীয় বাজেটের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। মৎস্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশে চিংড়ি খামারের আয়তন ও উৎপাদন ছিল যথাক্রমে ২৫৭৮৮৮ হেক্টর ২৭০১১৪ মেট্রিক টন। চিংড়ি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য। সামগ্রিক কৃষিক্ষেত্রে চিংড়ি একমাত্র রপ্তানিযোগ্য পণ্য যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

চিংড়ি উৎপাদনের ৯০% এরও বেশি উৎপাদিত হয় খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে। প্রচলিত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের উৎপাদনশীলতা অত্যন্ত কম, যা বর্তমানে হেক্টর প্রতি এক মেট্রিক টনের মত। প্রচলিত পদ্ধতির এই চিংড়ি খামারগুলোতে আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করলে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ৭ থেকে ৮ টনে উন্নীত করা সম্ভব। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সাথে সাথেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চিংড়ি চাষ এলাকায় ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পদ্মা সেতুর সুদূর প্রসারী প্রভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় চাষীদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণীর উদ্যোক্তাদের তথ্য ও জ্ঞানের আদান-প্রদান হবে। তাতে করে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরিচালিত চিংড়ি খামারের উৎপাদনশীলতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে, আন্তর্জাতিক মানদন্ডে চিংড়ি উৎপাদিত হবে এবং বিদেশে চিংড়ি রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

রপ্তানি বাজার এর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বিশেষ করে রাজধানী শহর থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভাগীয় শহরে চিংড়ির সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, চাষিরা অধিক মূল্য পাবে এবং লাভবান হবে। অনেক দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তা বিশেষ করে আধুনিক চিংড়ি চাষী, মৎস্য খাদ্য উৎপাদনকারী, ঔষধ সরবরাহকারী, মাছ-চিংড়ি বিপণনকারী, রপ্তানিকারক, ইত্যাদি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারা এ সমস্ত অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবেন।

শিক্ষক নেতারা এসময় আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসীম সাহসিকতা ও দৃঢ় আতœবিশ্বাসের অবিশ্বাস্য এক রূপকথা পদ্মা সেতু। দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র ভেদ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতাকে আরও একবার জানান দিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। তাই পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি বাঙালি জাতির গৌরব, মর্যাদা আর অহঙ্কারের প্রতীক। এ সেতুর প্রতিটি পরতে পরতে জড়িয়ে আছে বাঙালি জাতির আবেগ ও জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয় ও দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মো: জয়নাল আবেদীন, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস, প্রফেসর ড. মো এনামুল হক, প্রোক্টর প্রফেসর ড.মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রফেসর ড. মো: হারুন-অর-রশিদসহ বাকৃবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এর শিক্ষক মন্ডলী এবং বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২২ ১০:৫৯ অপরাহ্ন
বিসিভিএস এর আয়োজনে MCVS Graduation Ceremony অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

Bangladesh College of Veterinary Surgeons (BCVS) এর আয়োজনে এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা-FAO এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হলো Member of the College of Veterinary Surgeons (MCVS) এর প্রথম ব্যাচের আনুষ্ঠানিক “MCVS Graduation Ceremony”।

শনিবার(১৮ জুন) সকাল ১১টায় রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতপ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

BCVS এর সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আখতার হোসেন এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। FAO এর National Technical Advisor প্রফেসর ড. মোঃ মাহমুদুল হাসান শিকদার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও MCVS এর খুটিনাটি নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন MCVS Exam Admin প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি মেম্বার অব দ্য কলেজ অব ভেটেরিনারি সার্জনস বা এমসিভিএস ডিগ্রি অর্জনকারী ১০ জনকে সার্টিফিকেট তুলে দেন।

উল্লেখ্য, এবারই প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় এমসিভিএস পরীক্ষার। এতে পাসের হার ছিলো ৩৩.৩৩শতাংশ। আন্তর্জাতিক টেস্টিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠান প্রোমেট্রিকের মাধ্যমে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যাতে পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয় ৬৫শতবাংশ।

সফলভাবে উত্তীর্ণদের মধ্যে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ হলেন অবসরপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শামসুর রহমান এবং সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ডাঃ আবদুর রহমান (রাফি)।

বাকি ৮ জন হলেনঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ গোলবার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ নুরুজ্জামান, মিল্কভিটার ডেপুটি ম্যানেজার ডাঃ সামরেন্দ্র নারায়ন, টেকনাফ উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ মহিবুল্লাহ, চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ইফতেখার আহমেদ রানা, সিভাসুর কোভিড-১৯ ল্যাবের মলিকুলার মাইক্রোবায়োলজিষ্ট ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও ডাঃ তানভীর আহমেদ নিজামী, এনিম্যাড কেয়ারের কনসালটেন্ট ডাঃ সাজিত হাসান জয়।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিসিভিএস এর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা। বিসিভিএস এর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম শাহী আলম, অধ্যাপক ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ, অধ্যাপক ড. নাজিম আহমেদ, অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সভাপতি ড. মোঃ মনজুর কাদির, ডীন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ মকবুল হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এএসভিএম অনুষদের ডীন ড. লাম ইয়া আসাদ, দ্য ভেট এক্সিকিউটিভের সভাপতি ডা: বিশ্বজিৎ রায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অতিথিরা এমসিভিএস ডিগ্রি অর্জনকারী ১০ জন কে অভিনন্দন জানান এবং নতুন এ যাত্রাকে বাংলাদেশের ভেটেরিনারি শিক্ষার জন্য একটি মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন৷ বক্তারা বলেন, “ভেটেরিনারি শিক্ষায় এগিয়ে যেতে হলে এবং প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হলে আমাদের স্পেশালাইজেশনের দিকে যেতে হবে যেটি বাংলাদেশ কলেজ অব ভেটেরিনারি সার্জনস বা বিসিভিএস এর হাত ধরে শুরু হলো। বিসিভিএস ডেইরি, পোল্ট্রি, পেট এনিম্যাল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তৈরির লক্ষ্যে হিউম্যান ডাক্তারদের এফসিপিএস ডিগ্রির মতো স্পেশালাইজইড ডিগ্রির ব্যবস্থা করবে ভবিষ্যতে”।

অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্যায়ের এমসিভিএস পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশনের শুভ উদ্বোধন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য তিনি উৎসাহ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডীনবৃন্দ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের গ্রাজুয়েটদের এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আহবান জানান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেটেরিনারি শিক্ষায় ডিগ্রিপ্রাপ্ত (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন বা ডিভিএম এবং বি. এস. সি. ভেট. সাইন্স এন্ড এ. এইচ) এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল থেকে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যেকোনো ভেটেরিনারিয়ান এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে। যে কোন Registered Veterinarian রেজিষ্ট্রেশন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন। ১৮ জুন থেকে ৫ আগস্ট, ২০২২ পর্যন্ত Exam Window খোলা থাকবে। বিসিভিএস এর এই ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দেশনা মোতাবেক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে (https://bcvsbd.org/board-examination/mcvs-exam/eligibility/)।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২২ ৬:১৫ অপরাহ্ন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত বৈষম্য দূরীকরণে বাকৃবিতে মানববন্ধন
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স পরিষদের উদ্যোগে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রস্তাবিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত বৈষম্য দূরীকরণ ও কর্মকর্তা নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালায় ১২দফা সংযোজনের দাবিতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত এক মানববন্ধন দেশব্যাপী সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৯শে জুন) সকাল ১১টায় ঘটিকা বাকৃবি প্রশাসন ভবনের করিডোরে আয়োজিত উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাকৃবি অফিসার পরিষদ এর সভাপতি কৃষিবিদ খাইরুল আলম নান্নু ।

মানববন্ধন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন বাকৃবি অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আবুল বাসার আমজাদ । মানবনন্ধনে বাকৃবির সর্বস্তরের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মানববন্ধনে ফেডারেশনের ১২ দফা প্রস্তাবনার সাথে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাকৃবি অফিসার পরিষদ এর সাবেক সভাপতি ও সাবেক বাকসু জিএস কৃষিবিদ আরীফ জাহাঙ্গীরসহ বাকৃবির জেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দরা ।

বক্তারা বলেন- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মকর্তাদের গ্রেড সমতাকরণ; কর্মকর্তাদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬৫ বৎসরে উন্নীতকরণ, সকল দপ্তর প্রধানসহ নন-টিচিং পদে কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা; কর্মকর্তা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কমিটিতে কর্মকর্তা সমিতির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা; উচ্চ শিক্ষাছুটি ও লিয়েনের বিষয় স্পষ্ট করণ; জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মোট ২য় গ্রেডধারী কর্মকর্তার ২৫% কর্মকর্তাকে ১ম গ্রেড প্রদান; কর্মরত কর্মকর্তাগণ বর্তমানে যে পদে কর্মরত আছেন ঐ পদের পরবর্তী পদে নিয়োগ এবং পদোন্নয়নের ক্ষেত্রে আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ; দপ্তর প্রধানদের প্রাধিকার অনুযায়ী সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২২ ২:২৮ অপরাহ্ন
প্রাধিকারের ৮ম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা
ক্যাম্পাস

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি অধিকার এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন “প্রাধিকার” এর ৮ম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।  ৪০ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি কানন তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আরিজ আহম্মেদ সাদ।

নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন ভেটেরিনারি, এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের লেভেল-৪, সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থী কানন তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই অনুষদের লেভেল-৪, সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থী আরিজ আহম্মেদ সাদ।

গত ৯ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫ ঘটিকার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনের কনফারেন্স রুমে “প্রাধিকারের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান ২০২২” অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন এবং প্রাধিকার এর  উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদি হাসান খান , প্রাধিকারের উপদেষ্টা  ডা: অনিমেষ চন্দ্র রয় ও ডা : মোঃ কামরুল হাসান ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক কমিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দসহ প্রাধিকারের সর্বস্তরের সদস্যগণ।

অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রাধিকার একটি মহতী সংগঠন যারা বোবা প্রাণীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পূর্ববর্তী ধারা অব্যাহত রেখে নতুন কমিটি এই সংগঠনককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। এ সময় উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সর্বসম্মতিক্রমে আগামী এক বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২০, ২০২২ ১২:১৫ অপরাহ্ন
সিলেটে ১৪ তম ব্যাঙ সংরক্ষণ দিবস পালিত
ক্যাম্পাস

ব্যাঙ সংরক্ষণ ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পালিত হয়েছে ১৪তম ব্যাঙ সংরক্ষণ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে ।যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেভ দ্য ফ্রগস ও প্রাধিকার যৌথভাবে ব্যাঙ সংরক্ষণ দিবস পালন করে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নীলৎপল দে এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রাধিকার সভাপতি তাজুল ইসলাম মামুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাধিকারের উপদেষ্টা ও বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড: মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান । বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাধিকারের উপদেষ্টা ডঃ তিলক নাথ, ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান, ডাঃ মোঃ মাসুদ পারভেজ এবং ডা: সাইফুল ইসলাম । অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিতি ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, প্রাধিকারের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান ও প্রাধিকার এর সকল সাধারণ সদস্য এবং নির্বাহী সদস্য।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে আসেন আহাদ মোল্লা । পরে ব্যাঙের হুমকি ও ব্যাঙ সংরক্ষণের উপায় নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন প্রাধিকারের কোষাধ্যক্ষ মাহাদি হাসান ও প্রাধিকারের পরিচিতিমুলক উপস্থাপনা করেন সহকারী কোষাধ্যক্ষ তানভির হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ মেহেদি হাসান খান বলেন,গবেষণায় দেখা যায় ব্যাঙ থেকে আমরা নানা মূল্যবান ওষুধ তৈরি করি। যা আমাদের গবেষণাকে একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। সময়ের সাথে সাথে সারাবিশ্বে ব্যাঙের সংখ্যা যেমন কমছে, তেমনি অনেক প্রজাতি হারিয়েও যাচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমগ্র খাদ্য শৃঙ্খলে। ফলে প্রাণীজগতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ব্যাঙের আবাসস্থল ধ্বংস, নগরায়ন, জলাশয় ধ্বংস, কীটনাশকের অতিমাত্রায় ব্যবহার ও জীববিদ্যার ব্যবহারিক অংশে ব্যবচ্ছেদ করণের কারণে এ প্রাণির সংখ্যা প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে।উভচর প্রাণি ব্যাঙ ক্ষতিকর পোকামাকড় ও রোগের বাহককে নাশ করে কৃষক ও মানব স্বাস্থ্যের উপকার করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২২ ১১:০৫ অপরাহ্ন
বাকৃবির শতভাগ শিক্ষকদের গবেষণার আওতায় এনেছে বাউরেস
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষকদের গবেষণার আওতায় এনেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম। এরই মধ্যে লেকচারার ও সহকারী প্রফেসরদের জন্য এ বছর ৪৬টি গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক উপলব্দি করেছিলন কাভিড-১৯ এর মহামারী থেকে বাচাঁর একমাত্র হাতিয়ার ”বাংলাদেশের কৃষি সক্টর”। সে প্রেক্ষিতে বাকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.লুৎফুল হাসান কৃষি গবেষণায় সর্বাধিক গুরুত্ব আরাপ করেছেন, সে কারণে শতবাধা ও লকডাউন উপেক্ষা করে বাকৃবির কষি গবষণায় নিয়ুক্ত প্রতিষ্ঠান বাউরেস একদিনও বন্ধ হয়নি। প্রাণর ঝুঁকি নিয়ে দেশের স্বার্থে স্বল্প সংখ্যক সহকর্মী নিয়ে করোনাকালীন সময়ে বাউরস এর বহৎ কর্মযজ্ঞ চলমান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৩ হাজার চারশত ৭৬ টি গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)। বর্তমানে প্রায় ৫৭১টির অধিক গবেষণা প্রকল্প চালু রয়েছে। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ৩৫ কোটি টাকার গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে । এই পর্যন্ত ১২৫৯ টি প্রকল্প সম্বলিত তিনটি বই প্রকাশ করেছে বাউরেস।

বাউরেসের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রাক্কালে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাউরেসের বিদায়ী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: আবু হাদী নূর আলী খান। বৃহস্পতিবার (১২ মে ২০২২) দুপুর ১২ টায় বাউরেসের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাঁর সময়ে তিনটি বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক উপদষ্টা ড. গহর রিজভি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, এমপি, প্রফেসর ড. শামছুল আলম, প্রতিমন্ত্রী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ অতিথিগণ বার্ষিক গবষণা অগ্রগতি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলন। এই সময়ে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১১ জন কৃষককে প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি কৃষি পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে। গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ৫০ জন শিক্ষককে গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকোগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া গত দুই বছরে ৮ টি জার্নাল ইস্যু প্রকাশ করা হয়েছে। বাউরেস কর্তৃক প্রকাশিত জার্নালটি আধুনিকায়ন করে সম্পূর্ণরূপে অটোমেশন করা হয়েছে।

ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান আরও বলেন, প্রায় ১ কোটি টাকা ঘাটতি নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর সকল ঘাটতি কাটিয়ে বর্তমানে সকল গবেষণা প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৯ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী জুলাইয়ে এটি ১১ কোটিতে উন্নীত করার চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল প্রকাশনাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বাউরেস কর্তৃক প্রতি আর্টিকেলের জন্য গবেষককে ক্ষেত্রবিশেষে ১০০ ডলার থেকে এক হাজার ডলার প্রদান করা হচ্ছে। গত দুই বছরে গবেষণা প্রকল্পের অধীনে ২৬৮ জন এমএস (মাস্টার্স) ফেলোকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা হারে মোট ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। অর্থ সহায়তা বৃদ্ধির ফলে ২০২১ সালে বাকৃবি গবেষকগণ ৫৫৮ টি গবেষণা প্রকল্প স্কোপাস জার্নালে প্রকাশ করেছেন, যা পূর্বের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। ইউজিসি থেকে বিশেষ বরাদ্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট, দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা থেকে আসে এই গবেষণা প্রকল্পের অর্থ ।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাউরেসের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মমিনুল ইসলাম, সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পরেশ কুমার শর্মা , বাকৃবি জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু এবং বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, বাকৃবির গবেষণা কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৪ সালের ৩০ শে আগস্ট সিন্ডিকেটের ১৬১তম সভার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) গঠিত হয়। বাউরেস প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষক এবং গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প তদারকি, ব্যবস্থাপনা ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৪, ২০২২ ৩:১০ অপরাহ্ন
প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বাকৃবির নতুন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা নিযুক্ত
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নতুন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পশুপুষ্টি বিভাগের প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম।

সোমবার (০২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী দুই বছরের জন্য প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলামকে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন-এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। তিনি আগামী ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের অধিকারী প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ১৯৯৩ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি ইন এ্যনিমেল হাসবেন্ডারি-অনার্স এবং ১৯৯৬ সালে এমএসসি ইন এ্যানিমেল নিউট্রিশন ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে জার্মানীর হোহেনহেইম ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৫ সনে পিএইচ.ডি ডিগ্রী এবং জার্মানীর পোস্টডাম ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১২ সনে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।

প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ১৯৯৭ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপুষ্টি বিভাগে লেকচারার, ১৯৯৯ সনে সহকারী প্রফেসর, ২০০৬ সনে সহযোগী প্রফেসর হিসেবে এবং পরবর্তীতে ২০১০ সনে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। বর্তমানে প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওর্য়াকশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন ।

কর্মজীবনে প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম পশুপুষ্টি বিভাগের প্রধান, বাকৃবি প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক, বাকৃবি পরিবহন শাখার পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য, বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান প্রফেসর ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস-চ্যন্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা পদটি ফাঁকা হয়ে যায়। নতুন নিযুক্ত ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার মেয়াদ আগামী দুই বছর।

প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ১৯৮৯ সাল থেকে নাটক লেখা, পরিচালনা, নির্দেশনা ও অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন । পরবর্তীতে টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে অনেক নাটক প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন। উনার লেখা ও পরিচালনায় অন্ততপক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুইটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয় ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চারটি নাটক টেলিভিশনে প্রচারিত হয় । প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলামের লেখা ১৯৯০ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি নাটক বাকৃবিতে পিলসুজ সাংস্কৃতিক সংগঠন কতৃক পুরস্কৃত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২২ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে নতুন উদ্ভাবিত ধানের জাত ‘বাউ ধান-৩’ এর শস্য কর্তন -২০২২ অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাউ ধান-৩ বোরো মৌসুমের আগাম জাতের উচ্চফলনশীল ধানের একটি নতুন জাত । এ জাতের ধান পাকা অবস্থায় শীষ থেকে ঝড়ে পড়ে না। জাতটি বোরো মৌসমের জনপ্রিয় ও প্রচলিত ব্রি ধান২৮ এর মত আগাম এবং সমসাময়িক।

বাংলদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক উদ্ভাবিত বোরো ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত ‘বোরো বীজ ধান (বাউ ধান-৩) এর শস্য কর্তন -২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাউ ধান-৩ এর উদ্ভাবক বাংলদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ ধানের ফলন প্রচলিত ব্রি ধান ২৮ এর চেয়ে বেশি । প্রতি হেক্টর এ ফলন ৭-৮ টন । এ ধানটি মোটামুটি প্রধান প্রধান রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন ২৫ গ্রাম এ জাতের জীবনকাল ১৪০-১৪৫ দিন যা ব্রি ধান২৮ চেয়ে ৩-৫ দিন বেশি।

তিনি আরও বলেন , এ ধানে চিটা কম। সেহেতু এ জাতটি বোরো মৌসুমে প্রচলিত ও জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান২৮ এর বিকল্প ও পরিপুরক হিসেবে নির্বাচন করা যাবে। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ সামলাতে বর্ধিত থাদ্য শস্যোর চাহিদার ফলে ফসলের উপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নাই।

আজ ২৮ এপ্রিল, ২০২২ দুপুরে বোরো বীজ ধান (বাউ ধান-৩) এর শস্য কর্তন -২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাকৃবি খামার ব্যবস্থাপনা শাখার আয়োজনে আজ ২৮এপ্রিল, ২০২২ বৃহস্পতিবার দুপুরে বোরো বীজ ধান (বাউ ধান-৩) এর শস্য কর্তন -২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. একেএম জাকির হোসেন, বাউরেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. আবু হাদী নূর আলী খান ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোক্টর প্রফেসর ড.মুহাম্মদ মহির উদ্দীন,প্রফেসর ড.মো. আবদুস সালাম,উপ-প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক কৃষিবিদ মো. জিয়াউর রহমান,ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক ড.আবুল কালাম আজাদ,জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২২ ২:০৯ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর একেএম জাকির হোসেন
ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রফেসর ডক্টর একেএম জাকির হোসেন । মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয় । বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি অ্যালামনাই, রংপুরের কৃতি সন্তান প্রফেসর ডক্টর একেএম জাকির হোসেন (সাবেক প্রক্টর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যাল্‌ ময়মনসিংহ ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, বাকৃবি)।

প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে স্নাতক ও ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এম.এস ডিগ্রী লাভ করেন । পরে তিনি গিফু ইউনিভার্সিটি, জাপান (The Gifu University, Japan) থেকে প্ল্যান্ট ফিজিওলজি এন্ড বায়োকেমিষ্ট্রি বিষয়ে পিএইচ.ডি এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল সায়েন্স (Japan International Research Center for Agricultural Sciences, Tsukuba, Japan) থেকে পোস্ট ডক্টরাল সম্পন্ন করেন । ১৯৯৭ সনে প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০০০ সনে সহকারী প্রফেসর, ২০০৫ সনে সহযোগী প্রফেসর এবং ২০১০ সনে তিনি প্রফেসর পদে উন্নীত হন।

সফল কর্মজীবনের অধিকারী প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন, ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ ও সীড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী বিভাগীয় প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের কিউরেটর, প্রোক্টর, পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয় সিকিউরিটি কাউন্সিল, পরিচালক পরিবহন শাখা, সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক ও সহ সভাপতি,সিনিয়র সহ-সভাপতি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,বাকৃবি এবং শিক্ষা ও গবেষণা কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওর্য়াকশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার লেখা ৫০টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্ণালে প্রকাশিত হয়েছে।

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোঃ মকবুল হোসেন ও জামিলা খানম এর পুত্র প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন ১৯৬৯ সনের ২৮ সেপ্টেম্বর রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার অন্তর্গত উত্তর বাউচান্দি,পাকের মাথা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে প্রফেসর ড.এ.কে.এম. জাকির হোসেন খান বিবাহিত, তাঁর স্ত্রী প্রফেসর ড. ফৌজিয়া সুলতানা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop