১:২৮ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১ ৫:৫০ অপরাহ্ন
সিভাসু’তে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন
ক্যাম্পাস

কেক কেটে ও গাছের চারা লাগিয়ে দেশের চার বারের প্রধানমন্ত্রী দেশেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) কর্তৃপক্ষ।

আজ সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

কেক কাটা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ

এরপর উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনাল প্লান্ট গার্ডেনে গাছের চারা রোপণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি কর্মকর্তা সমিতি ও প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকেও কেক কেটে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১ ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
কাঁচকি মাছের চানাচুর তৈরি করলো বাকৃবির গবেষকদল
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক প্রক্রিয়া করে তৈরি করেছেন কাঁচকি মাছের চানাচুর, কুড়কুড়ে বাদাম ও তিলের বার। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষক দলের প্রধান ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নুরুল হায়দার ও সহযোগী গবেষক হিসেবে ছিলেন একই বিভাগের প্রভাষক মো. মোবারক হোসেন।

ড. মুহম্মদ নুরুল হায়দার জানান, কাঁচকি মাছে শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন ‘এ’বিদ্যমান। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাঁচকি মাছ গুরুত্বপূর্ণ। শিশুসহ সকল বয়সের মানুষের চানাচুর এবং বার জাতীয় খাবার খুব পছন্দনীয়। দুটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬টি পণ্য উৎপাদন করেছি।

ক্যাটাগরি-১ এর পণ্যগুলো মূলত চানাচুর জাতীয় অন্যদিকে ক্যাটাগরি-২ এর পণ্যগুলো মূলত কুড়কুড়ে বাদাম ও তিলের বার (যা স্থানীয়ভাবে তিল বাদাম তক্তি হিসেবে পরিচিত) তৈরি করা হয়েছে। এতে এসব মুখরোচক খাবারে সাথে মাছের পুষ্টিও গ্রহণ করতে পারবে বলে জানান হায়দার।

মো. মোবারক হোসেন বলেন, মুখরোচক খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আমরা মূলত গবেষণাটি প্রকল্প সম্পন্ন করেছি। ছোট মাছের কাঁটা খেতে হবে চিবিয়ে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে। অন্যদিকে গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে এ কাঁচকি মাছ।

গবেষকদল জানান, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশ নিউট্রিশন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা যায়, চানাচুর জাতীয় পণ্যগুলোতে গড়ে ৪-৫ % ময়েশ্চার, ২৬-৩০% লিপিড, ১৮-২২% প্রোটিন, ৫% মিনারেল, ২% ফাইবার এবং ৩৯-৪২% কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যেখানে সাধারণ চানাচুরে প্রোটিন থাকে ১২-১৩%। বার জাতীয় পণ্যগুলোতে ২০-২২ % ময়েশ্চার, ১৩-১৯% লিপিড, ১৩-১৫% প্রোটিন, ১২-১৫% মিনারেল, ২-৩% ফাইবার এবং ৩২-৩৪% কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।

তিল ও বাদামের পণ্যগুলো তৈরি করা হয় বাদাম, মাছ, তিল ও গুড়ের সমন্বয়ে। প্রথমে উপাদানগুলো হাইজেনিক পদ্ধতিতে শুষ্ক করে নেওয়া হয়। যেখানে মাছ, তিল ও বাদাম প্রথমে ভেজে নেওয়া হয়। মাছগুলো মিডিয়াম তাপমাত্রায় ভেজে নেওয়া হয়। এতে মাছগুলো মচমচে হবে। পরে আখের গুড়ের সাথে মিশিয়ে এসব বার তৈরি করা হয়।

অন্যদিকে বাজারের তৈরি চানাচুরের সাথে প্রক্রিয়াকৃত মাছ মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে চানাচুর। মাছ দিয়ে তৈরি এসব পণ্যে পরবর্তীতে মাছে কোনো গন্ধ থাকে না। জিপার ব্যাগে পণ্যগুলো ২ মাসের বেশি সময় পর্যন্ত ভালো থাকে বলে জানান গবেষক দলের প্রধান নুরুল হায়দার।

পণ্যগুলোর বাজার মূল্য কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে গবেষকেরা বলেন, সাধারণত বাজারে ২৫ গ্রামের যে পিনাট বার পাওয়া যায় তার দাম ১০ টাকা করে। তাই মাছের তৈরি বারের দাম ১৫-২০ টাকা করে হতে পারে। প্রতি কেজি মাছের তৈরি বার বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা ৬০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন। অন্যদিকে মাছের চানাচুরের দাম নির্ধারণ হবে মাছের পরিমাণের উপর। চানাচুরে মাছের পরিমাণ যত বেশি হবে তার দামও ততো বেশি হবে।

বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা বলেন, এ ধরনের পণ্য বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা গেলে দেশীয় পুষ্টিকর ছোট মাছগুলো সকল শ্রেণির ভোক্তাদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। যা বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে বাকৃবি ভিসির অভিনন্দন
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবিঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) কর্তৃক এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় উপাচার্য বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ব্রত সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন সর্বক্ষণ। দেশের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আর তারই স্বীকৃতিস্বরূপ পেলেন ‘এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’। এছাড়া জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি অর্জনের পথে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি এই অ্যাওয়ার্ড।

টেকসই উন্নয়নবিষয়ক নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অংশ হিসেবে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২১) নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ আখ্যায়িত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্টস প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক।

দারিদ্রতা দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সার্বজনীন আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সঠিক পথে অগ্রসর হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উচ্ছসিত অভিনন্দন জানিয়েছেন।

দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের এই পুরস্কার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশ টেকসই উন্নয়নের মহাসড়কে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে ভুমিকা রাখবে । উপাচার্য মহোদয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সু-স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১ ১:৩৪ অপরাহ্ন
প্রান্তিক কৃষকদের সাথে রাবি শিক্ষার্থীরা
কৃষি বিভাগ

গ্রামীণ অর্থনীতির স্থবিরতা পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষে কৃষি উপকরণ নিয়ে দরিদ্র্য ও অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘টেকসই কৃষি প্রকল্প-২০২১’-এর আওতায় পর্যায়ক্রমে তিনটি জেলার সাত উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের কাছে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হবে।

শুক্রবার এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী ইউনিয়নের পূর্বভাটদী গ্রামের ২০ কৃষকের মাঝে সার বিতরণ করে রাবি শিক্ষার্থীরা।

‘টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ২০২১’ আয়োজনের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের নিরলস পরিশ্রম এবং স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার ফলেই আমাদের এই প্রোগ্রামটা সফল হয়েছে, আমি সবার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’

নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম জানান, ‘এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে তাদের নিয়ে আমাদের আরও বড় ধরনের পরিকল্পনা আছে।’

আরো পড়ুনঃ খুবিতে টেকসই কাঁকড়া চাষ এর উপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১ ৮:৪৩ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতির ইসি সভা
ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতির প্রথম সরাসরি ও ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর)সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর ক্যাম্পাসে তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালকের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উ›মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক বাপাজস সভাপতি জনাব মোঃ আবুল কাসেম শিখদার-এর সভাপতিত্বে এবং বাপাজস সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু-এর সঞ্চালনায় উক্ত ইসি কমিটির সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও বাপাজস সহ-সভাপতি ড. মহিউদ্দিন আহমেদ সুমন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক ও বাপাজস যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামছুল আলম শিবলী বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল্স এর জনসংযোগ অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক ও বাপাজস কোষাধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর কবীর, ও বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক ও বাপাজস মোঃ আল-আমিন খান সভায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সদস্যগণ উক্ত সভায় অন লাইনে যুক্ত হন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগে কর্মরত ইসি সদস্যগণ অংশ নেন।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতি (বাপাজস) এর খসড়া গঠনতন্ত্র সংশোধনীসহ ইসি কমিটি অনুমোদন করে কর্ম পরিকল্পনা তৈরী, বাপাজস বার্ষিক চাঁদা নির্ধারণ ব্যাংক একাউন্ট খোলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১ ৪:০১ অপরাহ্ন
ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটিতে পবিপ্রবির দুই মুখ
ক্যাম্পাস

ফামিন জাহান ঐশী,পবিপ্রবি প্রতিনিধি: সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি ২০২১/২২। কমিটিতে বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর সাথে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পর্ব শেষে গুরুত্বপূর্ণ দুই পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন পবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী উম্মে সাঈদা এবং সুজিত মন্ডল।

উম্মে সাঈদা বর্তমানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউট্রিশন এন্ড ফুড সাইন্স অনুষদে ৪র্থ বর্ষে এবং সুজিত মন্ডল কৃষি অনুষদের ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন। তারা যথাক্রমে ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ ফিন্যান্স এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ কমিউনিকেশন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের ইয়াসের সাথে পথচলা, স্বপ্ন, সম্ভাবনা ও নানা গল্পই জানবো আজ।

‌নব্য নিয়োগপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ ফিন্যান্স উম্মে সাঈদা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে। সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী সংগঠন ইয়াসের সাথে পথচলা কীভাবে শুরু হলো সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শুরুটা ছিলো ২০১৯ সালের মে মাসে ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিইউ লোকাল কমিটির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে। প্রায় দুবছরের বেশি সময় ধরে ইয়াসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত রয়েছি।

স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যটা ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণের শুরু থেকেই। সেক্ষেত্রে অন্যতম বড় একটি মাধ্যম হিসেবে ইয়াস বাংলাদেশ আমাকে সর্বদা সহায়তা করে চলেছে। ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিউ লোকাল কমিটিতে কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং এর পরিধিও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখান থেকেই ইয়াস বাংলাদেশ ‘র মত জাতীয় পর্যায়ের এমন বড় একটি প্ল্যাটফর্মে কাজের মাধ্যমে নিজে মেধা ও বিকাশকে আরো প্রস্ফুটিত করার ইচ্ছেটা ছিলো অনেকদিনের। রিক্রুটমেন্টের বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত পদ ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ফিন্যান্সে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।“

তার আগামী দিনগুলোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিইউ ‘র সাথে বিগত এক বছর আমি সেক্রেটারি অফ প্রমোশন হিসেবে কাজ করেছি। এবার সুযোগ হয়েছে আর্থিক স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে এবং বিজ্ঞানী থেকে তৃণমূলের মানুষকে নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ইয়াস বাংলাদেশকে বিশ্ব ইয়াসে অনন্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার এবং এই স্বপ্ন নিয়েই আমি মূলত এগোতে চাই। আশা করি সকলের প্রচেষ্টা এবং সংঘবদ্ধভাবে কাজের মাধ্যমে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারব। কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এবং ভবিষ্যৎ জীবনে কাজের ক্ষেত্রে ইয়াস অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।“

নবনিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ কমিউনিকেশন সুজিত মন্ডল বলেন, “সম্ভবত ২য় সেমিস্টারের শুরুর দিকের কথা, আমাদের ক্যাম্পাসে ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিইউ ক্যারিয়ার টক নামে একটি প্রোগ্রাম হয় যেখানে আমি পার্টিসিপেন্ট হিসেবে ছিলাম। আবিদুর রহমান আবিদ, সোহানুর সোহান, আব্দুল্লাহ মারুফ, প্লাবন সাহা, ফারহান সাদ এবং আরো অনেক পরিচিত প্রিয়মুখ ছিলেন যারা তখন ইয়াসের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

প্রোগ্রামে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সিনিয়রদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড দেখে আমার ইয়াসের প্রতি একটা দূর্বলতা তৈরি হয়। আমি ঠিক করি যেভাবেই হোক আমাকে এই সংগঠনের মেম্বার হতেই হবে।“

এর পরবর্তী সময়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমার কাজ করার আগ্রহ দেখে সোহানুর সোহান ভাই পরবর্তী প্রোগ্রাম ক্যারিয়ার টক ২ (পিএসটিইউ টু বিসিএস)-এ আমাকে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দেন। সেই থেকে ইয়াসের সাথে পথচলা শুরু। আর পেছনে তাকাতে হয়নি, আমার কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে ক্যাম্পাস কমিটির ডিরেক্টর আবিদুর রহমান আবিদ ভাই আমাকে এগ্রিকালচারাল ডিপ্লোমেটিক সিম্পোজিয়াম প্রোগ্রামের অরগানাইজিং কমিটিতে যুক্ত করেন। তারপর একদিন ভাইভা দিয়ে ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিইউ এর অফিশিয়াল মেম্বার হলাম। সবগুলো প্রোগ্রামে অরগানাইজিং কমিটি মেম্বার হিসেবে এক্টিভলি কাজ করতে লাগলাম। হঠাৎ করে করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়াতে কয়েক মাস পর অনলাইনের মাধ্যমেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলো। সেখানে আমি ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিইউ এর সেক্রেটারি অফ এডমিনিস্ট্রেশন এর দায়িত্ব পেলাম। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর উৎসাহ আরও বেড়ে গেলো। অনলাইনেই বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করতে লাগলাম।“

ইয়াসের সাথে কাজ করাকালীন কি ধরনের সুবিধা-অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এর মধ্যে আমার ক্যাম্পাসের ইমিডিয়েট সিনিয়র প্লাবন সাহা দাদা ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি ২০২০-২১ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ কমিউনিকেশন এর দায়িত্ব পেলেন। তারপর প্রতিনিয়ত দাদাকে বিরক্ত করতাম, এটা কি, ওটা কিভাবে করবো এসব নিয়ে। কিছুদিন পর তিনি আমাকে তার অধীনে ন্যাশনাল কমিটির কোয়ালিটি বোর্ডে কাজ করার প্রস্তাব দিলেন। আমি ২য় বার না ভেবে রাজি হয়ে গেলাম। সেখান থেকে ন্যাশনাল কমিটির সাথে যাত্রা শুরু। প্লাবন দাদার সহযোগিতায় এবং নির্দেশনায় অনেক কিছু শিখেছি। গ্রাফিক্স ডিজাইনে পারদর্শী হওয়ার সুবাদে ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত কৃষিকল্প ২য় ইস্যুতে ও ৩য় ইস্যুর এডিটোরিয়াল টিম মেম্বার হিসেবে কাজ করি।

একই সাথে ন্যাশনাল এবং লোকাল কমিটির সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে রইলাম আর নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে লাগলাম। বিগত এক মাস ছিলো আমার জন্য ইয়াস জার্নির সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও স্বপ্নের মতো একটি অধ্যায়। একদিকে ন্যাশনাল কংগ্রেসের দায়িত্ব পালন করা আবার অন্যদিকে ইবি-সিবি ২০২১-২২ অর্থাৎ নতুন ন্যাশনাল কমিটির রিক্রুইটমেন্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। এখানেও প্লাবন সাহা দাদার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তার দিকনির্দেশনা না পেলে হয়তো আমি নতুন কমিটিতে এপ্লিকেশন করার সাহসই পেতাম না। শেষমেশ সাহস সঞ্চয় করে ন্যাশনাল কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ কমিউনিকেশন পদের জন্য আবেদন করলাম। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আর সকলের আশীর্বাদে আমি ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি ২০২১-২২ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ কমিউনিকেশন হিসেবে সিলেক্টেডও হয়ে গেলাম। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় আমরা ভালো কিছু করতে পারবো“

ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি ২০২১/২২ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো ৬টি প্রতিভাবান মুখ। এক্সিকিউটিভ বোর্ডের (ইবি) ন্যাশনাল ডিরেক্টর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নূর, ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ এক্সচেঞ্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ আতিক আশহাব এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ এক্সটার্নাল রিলেশন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শের-এ-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পূজা সরকার মলি। এছাড়া কন্ট্রোল বোর্ডের (সিবি) জন্য হেড অফ কন্ট্রোল বোর্ড হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ মাহাদী হাসান তুষার, মেম্বারশিপ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সত্যজিৎ পাল এবং রিসার্চ এন্ড প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ।

ইয়াস (IAAS বা International Association of Students in Agricultural and related Sciences) ১৯৫৭ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে চলেছে; বাংলাদেশে যার যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাত ধরে এবং ২০১৮ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় যার প্রসারতা বৃদ্ধি পায়। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইয়াস বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।

বর্তমানে দেশের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াস বাংলাদেশের লোকাল কমিটি সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইয়াস বাংলাদেশের প্রতিটি সদস্য আশা করে, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের নির্ভরতার এক অনন্য নাম হয়ে উঠবে ইয়াস বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ ১১:০৬ অপরাহ্ন
বাকৃবি’তে ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট-২১ মুক্তসংলাপ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মাদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ঃ ফুড টেকনোলজি এন্ড গ্রমীন শিল্প বিভাগ, বাকৃবি এবং গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশান (জিএআইএন) কর্তৃক আয়োজিত সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করণে ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট -২০২১ মুক্তসংলাপ ভার্চুয়ালী অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

ফুড টেকনোলজি এন্ড গ্রমীন শিল্প বিভাগের প্রধান পলি কর্মকার এর সভাপতিত্বে উক্ত মুক্তসংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. বোরহান উদ্দিন এবং মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পটয়াখালী সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর এবং জার্মান ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রফেসর ড. মোঃ শামস-উদ-দিন। মুক্তসংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম , বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি এর সদস্য প্রফেসর ড. মো: আব্দুল আলীম এবং স্মল ফারমারস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ জাকির হোসেন আকন্দ।

মুক্তসংলাপে প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ফুড সিকিউরিটিতে আমাদের সফলতা রয়েছে কিন্তু নিউট্রিশানের ক্ষেত্রে আমাদের আরও সফলতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমাদের আরও জোরালো নজর দিতে হবে। জিএআইএন এর সাথে বাকৃবি যে কাজ করছে তার পরিধিকে যদি আরো বৃদ্ধি করা বা বাড়ানো যায় তবে দেশের প্রান্তিক গ্রাম বাংলার কৃষক-শ্রমিক সমাজের মানুষ বেশ উপকৃত হবে। দারিদ্র্যসীমার ক্ষেত্রে আজকে কোভিড সিচুয়েশানে আমরা যতটুকু পিছিয়েছি যদি আমরা সবাই মিলে একটু চেষ্টা করি তবে আমার বিশ্বাস খুব দ্্রুতই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব। নিরাপদ খাদ্য পেতে আমাদের কি কি প্যারামিটার দরকার এ ব্যাপারে আমাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে। তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরও খাদ্য ঘাটতি পূরণে বাকৃবি গ্রেজুয়েটদের অবদান অনস্বীকার্য। যেখানে গতানুগতিক ফুড প্রসেসিং এর কারণে আমাদের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেখানে আধুনিক ফুড প্রসেসিং এর কোন অল্টারনেটিভ নাই্।

প্রফেসর ড. মোঃ শামস-উদ-দিন বলেন, আমাদের দেশে ফসল তোলার পরের প্রক্রিয়াতেই প্রায় ০.৫% থেকে ৩৫% পর্যন্ত খাদ্যশষ্য ক্ষতি বা নষ্ট হয়ে যায়। যা দিয়ে প্রায় সোয়া ০৪ কোটি মানুষের খাদ্য ঘাটতি পূরণ হয়। তিনি আরও বলেন, খাদ্য চাহিদা এবং পর্যাপ্ত যোগানের দৈরত্ব সমাধানের পূর্ব শর্ত হচ্ছে নতুন উদ্ভাবন এবং টেকসই প্রযুক্তি।

মুক্তসংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশান (জিএআইএন) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের র্কমর্কতা, বিভিন্ন এনজিও ব্যাক্তিত্বসহ অনেক গুনীজন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ ৩:৪২ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জ ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস’ এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
ক্যাম্পাস

নাজমূল(গবি):সিরাজগঞ্জ ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস’ এসোসিয়েশন (এসভিএসএ) এর ২০২১-২২ বর্ষের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

উক্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আহমেদ ফয়সাল এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিদ্যুৎ কুমার মাহাতো দায়িত্ব পেয়েছেন৷

এছাড়া, প্রতিষ্ঠা কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ডাঃ এস এম নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার,সাভার) ডাঃ মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাকারিয়া হোসেন, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি ডাঃ ইমতিয়াজ আবির, ভেটেরিনারি প্র‍্যাক্টিশনার ডাঃ মোঃ ইমরুল হাসান ইমু, ভেটেরিনারি প্র‍্যাক্টিশনার ডাঃ রাসেল আহমেদ।

ভেটেরিনারি পেশার উন্নয়ন, প্রচার এবং প্রসারের লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস’ এসোসিয়েশন সর্বদা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১ ৫:৪২ অপরাহ্ন
সিকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের নতুন ডিন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড
ক্যাম্পাস

সিকৃবি প্রতিনিধি: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের নবনিযুক্ত ডিন হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড।

শনিবার(০৪ সেপ্টেম্বর) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে সিকৃবি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার এর উপস্থিতিতে ডিনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবু সাঈদ। উল্লেখ্য ড. কুন্ড মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ৫ম ডিন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।

ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইন ফিশারিজ, ২০০৪ সালে এমএস ইন ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট এবং ২০০৮ সালে পিএইচডি ইন ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি অর্জন করেন।

একাধারে শিক্ষক ও গবেষক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডের ৫২ টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যে তাঁর মাৎস্য শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত ৫ টি পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে।

ডিন হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, সিকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি সহ শিক্ষা ও প্রশাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত কাজে অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, হংকংসহ বিশ্বের প্রায় ৪০ টি দেশে ভ্রমণ করেছেন। বিশ্ব ব্যাংক, আইডিএ ও ইফাদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্প তাঁর তত্ত¡বধানে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার তারাউজিয়াল গ্রামের সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ৯:৪৫ অপরাহ্ন
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ঢাবিতে পোনা অবমুক্তকরণ
ক্যাম্পাস

‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ স্লোগান ধারণ করে এ বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের পুকুরে ১৪২৫টি রুই মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন, ঢাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নিয়ামুল নাসের, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম, ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষের প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান ও ড. মো. হাবিবুল্লাহ-আল-মামুন, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এবং মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক (অভ্যন্তরীণ মৎস্য) মোহা. আতিয়ার রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অধিদফতর এই মাছের পোনা সরবরাহ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ অনুষ্ঠানটির সার্বিক সমন্বয় করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop