৪:৪১ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ৬, ২০২২ ৭:৩৭ অপরাহ্ন
সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশে চলছে কড়াকড়ি
পাঁচমিশালি

সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশে চলছে কড়াকড়ি। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে অবৈধভাবেও গরু আনার সামান্য সুযোগ পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা।

তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাগর পাড়ি দিয়ে আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার থেকে বিপুলসংখ্যক গরু-মহিষ আসছে।

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে জুলাই মাসেই এসেছে ১০ হাজার ৯৫ টি  গাবাদিপশু। এর মধ্যে ৬ হাজার ৭৪৬ টি গরু, তিন হাজার ৩৫১ ট মহিষ। এ থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৫০ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা।

চলতি মাসের প্রথম দুদিনেই বৈধ পথে ২ হাজার ৬২৬ টি গরু ও মহিষ এসেছে। যার মধ্যে শুধু গরু এসেছে ২ হাজার ১২, মহিষ এসেছে ৬১৪ টি। এই গবাদিপশুগুলো শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে প্রবেশ করেছে।

মাঝের ২ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে আবার গরু মহিষ আসা শুরু হবে বলে বলছেন টেকনাফের গরু মহিষ আমদানি ব্যবসায়ীদের সভাপতি আব্দুল্লাহ মনির।

তিনি জানান , বৈধপথে আমদানিতে প্রতিটি গরু-মহিষের জন্য ৫০০ টাকা এবং ছাগলের জন্য ২৫০ টাকা করে রাজস্ব দেওয়া হচ্ছে। এই দুইদিনে ১৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা সরকারকে রাজস্ব দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমদানির পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারিরা এসব গরু-মহিষ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারি দামে।

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ শুল্ক্ক স্টেশনের তথ্যমতে, বৈরী আবহাওয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের ঘাটতির কারণে বেশ কিছু দিন পশু আমদানি বন্ধ ছিল। তবে কোরবানি ঘিরে সাগরপথে গরু ও মহিষ আসছে।

গত বছরের এই সময়ে মিয়ানমার থেকে মাত্র ৫ হাজার গরু-মহিষ এসেছিল। এবার ইতিমধ্যেই আমদানি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এ ছাড়া চলতি বছরের সাত মাসে এসব পশু থেকে রাজস্ব এসেছে ২ কোটি ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

টেকনাফ শুল্ক্ক কর্মকর্তা মো. ময়েজ উদ্দীন জানান, বৈধ পথে যারা গরু মহিষ আনছে তাদের আমরা উৎসাহ যোগাচ্ছি। আমাদের দিক থেকে তাদের সহযোগিতা করছি।

জানা গেছে, ঈদের আগে আরো গরু-মহিষ আমদানির চিন্তাভাবনা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এখানকার গবাদিপশু স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ সারা দেশে সরবরাহ করছে তারা।

তবে রাজধানীর গরুর হাট ঘুরে জানা যায়, মিয়ানমারের গরু প্রবেশ করায়, দেশের ব্যবসায়ীরা ভাল দাম পাবেন না- এমন হতাশার কথাই শোনা যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২২ ১০:১১ অপরাহ্ন
পঞ্চগড়ে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করতে ব্যবসায়ী!
পাঁচমিশালি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগে হাসিবুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রোববার (৫ জুন) দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম ফেরদৌস উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ আদেশ দেন।

এর আগে শনিবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জবাইকৃত গরুর মাংস ও ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। পরে তাকে পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মাংস ব্যবসায়ী হাসিবুল ইসলাম দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বিজয়নগড় এলাকার বাসিন্দা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সারাবন তহুরা, চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ভোরে নিজের বাড়িতে অসুস্থ গরুটি জবাই করে দুপুরে চিলাহটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ বাজারে বিক্রি করছিলেন হাসিবুল। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাংসসহ হসিবুলকে চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ। খবর পেয়ে ইউএনও সেখানে পুলিশ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন বলেন, রোববার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সারাবন তহুরা বলেন, গরুটি অসুস্থ ছিল বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এ গরুর মাংস খেলে মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২২ ১০:০৫ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে কল সেন্টারে পাওয়া যাবে তাৎক্ষণিক সেবা
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে মানুষের দ্বারপ্রান্তে তাৎক্ষণিক সেবা পৌঁছে দিতে চালু হলো কল সেন্টার। মৎস্য অধিদপ্তরের কল সেন্টারের নম্বর ১৬১২৬ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কল সেন্টারের নম্বর ১৬৩৫৮। এর মাধ্যমে খুব সহজেই এই দুই খাতের মানুষ সেবা নিতে পারবেন।

জানা গেছে, আপাতত সপ্তাহে ৫দিন (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মৎস্য খাতের ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যেক্তারা কলসেন্টার থেকে সরাসরি সেবা পাবেন। মৎস্যচাষী ও খামারিগণ মৎস্য চাষ, মাছের রোগবালাই ইত্যাদি সম্পর্কে টেলিফোন কল সেন্টার থেকে তথ্য ও সেবা পাবেন। একইভাবে প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাগণ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কল সেন্টার থেকে গবাদিপশু পালন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ ও সেবা পাবেন।

আজ রোববার মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পের আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবা কল সেন্টারের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক পুলকেশ মণ্ডলসহ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কল সেন্টারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য গতিতে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংযুক্ত হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে যেকোনো ব্যক্তি তার প্রয়োজনে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই ই-সেবা শুরু করা হয়েছে। গতানুগতিক পদ্ধতির বাইরে দ্রুততম সময়ে যাতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় এজন্য কল সেন্টার চালু করা হয়েছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২২ ৬:৫৮ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে তাৎক্ষণিক সেবা পৌঁছাতে কল সেন্টার চালু করা হয়েছে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে মানুষের দ্বারপ্রান্তে তাৎক্ষণিক সেবা পৌঁছে দিতে কল সেন্টার চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (৫ জুন) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পের আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবা কল সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক পুলকেশ মন্ডলসহ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কল সেন্টারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য গতিতে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংযুক্ত হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে যে কোন ব্যক্তি তার প্রয়োজনে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই ই-সেবা শুরু করা হয়েছে। গতানুগতিক পদ্ধতির বাইরে দ্রুততম সময়ে যাতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় সেজন্য কল সেন্টার চালু করা হয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে যে সমৃদ্ধি এসেছে তা ধরে রেখে এ খাতকে আমরা আরও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ করতে চাই। শুধু সমৃদ্ধিই নয় গুণগত পরিবর্তনও এক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য। কোন খামারি প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হলে বা কোন সমস্যায় পড়লে তাদের কাছে তাৎক্ষণিক সুবিধা উন্মুক্ত করার জন্য এ কল সেন্টার কাজ করবে। দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে বিশ্বে বিস্ময়কর ও আধুনিক স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কল সেন্টার হবে বড় ধরনের সহায়ক।

মন্ত্রী বলেন, কল সেন্টার একটি জরুরী সেবা। এখানে সেবার মনোভাবের পরিবর্তে দায়সারা কোন কার্যক্রম যেন না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে। কল সেন্টারে যিনি কল করছেন তিনি এদেশের নাগরিক। সে নাগরিকের সেবা পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সেবা প্রত্যাশীদের প্রতিটি কল গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। নাগরিকদের সেবা দেয়া আমাদের লক্ষ্য। তাদের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে। এভাবে ডিজিটালাইজেশনের ধারা অব্যাহত রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে আমূল পরিবর্তন চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীতে মৎস্য অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে ১টি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে অপর ১টিসহ মোট ২টি কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের কল সেন্টারের নম্বর ১৬১২৬ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কল সেন্টারের নম্বর ১৬৩৫৮। আপাতত সপ্তাহে ৫দিন (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মৎস্য খাতের ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যেক্তারা কলসেন্টার থেকে সরাসরি সেবা পাবেন। মৎস্যচাষী ও খামারিগণ মৎস্য চাষ, মাছের রোগবালাই ইত্যাদি সম্পর্কে টেলিফোন কল সেন্টার থেকে তথ্য ও সেবা পাবেন। একইভাবে প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাগণ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কল সেন্টার থেকে গবাদিপশু পালন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ ও সেবা পাবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২২ ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রেরণা জোগাচ্ছে টি. ইসলামের খামার
প্রাণিসম্পদ

তরিকুল ইসলাম – চাঁপাইনবাবগঞ্জের সফল এ ব্যবসায়ী টি. ইসলাম নামেও পরিচিত। যার স্বনির্ভরতার আলোতে আলোকিত চারপাশ। যার গরু ও ছাগলের খামার এখন মডেল। এক সময় শখের বসে গাভী পালন করলেও সেটিকে বর্তমানে ব্যবসায় রূপান্তরিত করেছেন চাঁপাই নবাবগঞ্জের এ ব্যবসায়ী। তার মালিকানাধীন খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৫ জন স্থানীয় সহায়-সম্বলহীন মানুষের। গরু, ছাগল ও মাছ চাষে বর্তমানে তিনি একজন সফল খামারি।

চাঁপাই নবাবগঞ্জ পৌর এলাকার মীরপাড়ায় চোখে পড়বে মিনার অটো রাইস মিল। সেই অটো রাইস মিলের মধ্যেই রয়েছে মিজান ডেইরি অ্যান্ড গট ফার্ম। বিশাল আকারের খামারে গরু ও ছাগলের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে তিনজন লোক এসব গরুর দেখাশোনায় ব্যস্ত। দিনের বেলায় খোলা আকাশের নিচে গরু-ছাগল রাখার জন্য আলাদা জায়গাও রয়েছে। বর্তমানে উন্নত জাতের গাভীসহ ৬০টি গরু রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। এ ছাড়াও ২৭৫টি উন্নত জাতের ছাগল ও ৪০টি গাড়ল রয়েছে। খামারে বড় হচ্ছে তোতাপুরি, শিহইল, হরিয়ান, রাম ছাগলসহ উন্নত জাতের ছাগল। তিনি বিভিন্ন পশুর হাটে ঘুরে ঘুরে উন্নত জাতের এসব ছাগল সংগ্রহ করেন। এসব প্রাণীর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

এ খামার  দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন অনেকে। অটো রাইস মিলের পেছনের জমিতে খামারের গরু-ছাগলকে খাওয়ানোর জন্য বোনা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতের ঘাস। এই খামারে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান গড়তে ধীরে ধীরে এর পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।

গরু-ছাগলের খামার ও মাছ চাষের ব্যবস্থাপনায় আছেন তরিকুল ইসলামের বড় ছেলে মিজানুর রহমান।  জানা গেছে, চাঁপাই নবাবগঞ্জের মীরপাড়ায় মিনার অটো রাইস মিল সংলগ্ন এলাকায় ২০০৫ সালে প্রথমে গরুর খামার গড়ে তোলেন। এরপর নাচোল উপজেলার লক্ষ্মীপুরে নির্মাণাধীন টি ইসলাম এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের পাশেই গড়ে তোলেন আরও একটি পশুর খামার। পাশেই রয়েছে দৃষ্টিনন্দন পুকুর। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছেন তিনি। এ ছাড়াও আশেপাশে ১৬টি পুকুর রয়েছে তার।

টি. ইসলাম জানান, প্রতি বছরই খামারে গরু-ছাগলের সংখ্যার বাড়ানো হয়েছে। গরু-ছাগলের জন্য আলাদাভাবে বিশাল একটি খামার নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে খামারের আয়তন বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। তার দাবি, সব ধরনের উদ্যোক্তার জন্যই ব্যাংকিং সহায়তা প্রয়োজন। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এ খামার গড়ে তুলেছি। ব্যাংকিং সহায়তা পেলে এ খামারের পরিধি আরও বাড়ানো সম্ভব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২২ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
হাঁসপালনে চাঙা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা
প্রাণিসম্পদ

নড়াইলে বিলে প্রাকৃতিক খাদ্যের ওপর নির্ভর করে উন্মুক্ত পদ্ধতির হাঁস পালন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা চাঙা করছে। কালিয়া উপজেলার পিরোলীর অনেকেরই ভাগ্য বদলে গেছে হাঁস পালনে। সীমিত খরচে অধিক লাভের ফলে এ ধরনের খামারের সংখ্যা বাড়ছে।

বিলে হাঁস পালন নড়াইল জেলার একটি আদিপ্রথা। তবে, হাঁস পালনে অনুকূল পরিবেশ থাকায় এবং ভালো লাভ হওয়ায় গত এক দশকে নিম্নাঞ্চলবর্তী বিল এলাকার ঘরে ঘরে গড়ে উঠেছে খামার।

পিরোলী গ্রামের হুমায়ুন শেখ। একটা সময় ছিল যখন, অভাব পিছু ছাড়তো না তার সংসারে। দিনমজুর খেটে সামান্য উপার্জনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার। বছর দশেক আগে ঋণ নিয়ে খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। শুধু হুমায়ুন নন, এলাকার অনেকেরই ভাগ্যের চাকা বদলেছে হাঁস পালনে। খামার থেকে ডিম সংগ্রহ আর মৌসুম শেষে বাজারে হাঁস বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন খামারিরা।

নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মারুফ হাসান বলেন, হাঁস পালনের প্রশিক্ষণসহ নানা সহায়তার কথা। ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরা এ দুইটা রোগের বিরুদ্ধে আমরা সরকারিভাবে ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি।

নড়াইলের কালিয়া পিরোলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ফোরকার শেখ জানান, আমি খামারিদের পাশে থেকে তাদের সুবিধা-অসুবিধা আছে, এসবই আমি দেখাশুনা করি।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ৩ শতাধিক খামারে রয়েছে অন্তত দেড় লাখ হাঁস। এসব খামার থেকে প্রতি মাসে ন্যূনতম ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয় হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩, ২০২২ ৭:০৩ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। শুক্রবার (৩ জুন) পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত সীউইড মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণের জনপদের উন্নয়নে অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এ সেতুর কারণে মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে, তাদের আধুনিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। এ সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে এটি কখনোই সম্ভব হতো না। প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় এ অঞ্চলে উৎপাদিত মাছ, মাংস, দুধ, ডিমসহ অন্যান্য কৃষিসামগ্রী রাজধানী ঢাকায় পৌঁছানো বা রপ্তানির সুযোগ ছিল না। পদ্মা সেতুর সংযোগের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদিত মাছসহ অন্যান্য কৃষিসামগ্রী দ্রুততার সাথে ঢাকায় যেতে পারবে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠা হবে। প্রক্রিয়াজাত করা সামগ্রী সরাসরি বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। এ সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঢাকায় আসা-যাওয়াই শুধু সহজ করবে না, এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধি করবে।

এর আগে বিএফআরআই এর আয়োজনে কুয়াকাটা পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স মিলনায়তনে সীউইড মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সীউইড মেলার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। সীউইড নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন বিএফআরআই এর বাংলাদেশ উপকূলে সীউইড চাষ ও সীউইডজাত পণ্য উৎপাদন গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক মো. মহিদুল ইসলাম। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ওবায়দুর রহমান ও কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, বিএফআরআই ও মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের কর্মকর্তাগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও মৎস্য খাতের অংশীজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সীউইড বা সামুদ্রিক শৈবাল বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন একটি সমুদ্রসম্পদ। এ সম্পদ কাজে লাগাতে হবে। মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে, ‌রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সুস্বাদু খাবারের যোগান দিতে সীউইড অত্যন্ত সহায়ক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সীউইডের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সীউইড পণ্যের প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা তারা উপলব্ধি করে। সীউইড প্রাপ্তির একটি বড় অঞ্চল কুয়াকাটা। এ অঞ্চলের পর্যটন হোটেলসহ অন্যান্য হোটেল-মোটেল সংশ্লিষ্টদের সীউইডের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সীউইডের আহরণ ও বিপণনে যেন কোন বাধার সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এর আহরণ, চাষ পদ্ধতি ও গুণাবলী সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, সুনীল অর্থনীতির অন্যতম সম্ভাবনাময় সম্পদ সীউইড। খাদ্য, ঔষুধ শিল্প, প্রসাধনী শিল্পসহ নানা ক্ষেত্রে সীউইডের বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। এ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে হবে। বিদেশে সীউইড রফতানির বড় বাজার রয়েছে, সেটা আমরা ধরতে চাই। সীউইড জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সীউইড মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রগামী প্রতিটি নৌযানের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সমুদ্রগামী সব মাছ ধরার নৌযানে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন হচ্ছে। এর মাধ্যমে সমুদ্রে মাছ ধরা নৌযানের অবস্থান জানা  যাবে। ফলে অবৈধ উপায়ে এবং যত্রতত্র মাছধরা ট্রলার যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। বৈধ উপায়ে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা দুর্ঘটনায় পড়লে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। গভীর সমুদ্রে অবৈধ উপায়ে মৎস্য আহরণে যাওয়াকে সরকার নিরুৎসাহিত করছে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সমুদ্র থেকে টুনা জাতীয় মাছ আহরণে মৎস্য অধিদপ্তর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বিশ্বের অন্তত ৯০টি দেশে বাংলাদেশের মাছের চাহিদা রয়েছে। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে দক্ষিণাঞ্চলে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেটজাতকরণ শিল্প গড়ে উঠবে। বিশ্বের অনেক দেশে মাছ পাঠানো যাবে। এখান থেকে প্যাকেটজাত করে সরাসরি মাছ রপ্তানি করতে পারলে মৎস্য সংশ্লিষ্ট শিল্পেই দক্ষিণাঞ্চল এগিয়ে যাবে, এ অঞ্চলের অর্থনীতি সমৃদ্ধি হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২, ২০২২ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
৩৯ খামারি ও উদ্যোক্তা পেলেন ডেইরি আইকন পুরস্কার
ডেইরী

ডেইরি খামার, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, দুধ ও গোশত প্রক্রিয়াকরণ এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ এই চারটি ক্যাটাগরিতে দেশে দুগ্ধ খাতে সফল খামারি ও উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৩৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রথমবারের মতো দেয়া হলো ডেইরি আইকন-২০২১ পুরস্কার। প্রতিটি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য এক লাখ টাকা।

গতকাল বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২২ উপলক্ষে তাদের এই সম্মাননা দেয়া হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।

এতে ডেইরি খামারি ক্যাটাগরিতে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো: ইমরান হোসেন ও খামারি আব্দুস সামাদ ফকিরসহ ১৫ জন; পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে রংপুরের আর আর ট্রেডিংয়ের রাজু আহমেদসহ ৯ জন; দুধ/গোশত প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের সাদেক খান দই ঘরের আব্দুল মালেকসহ ৯ জন এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের শান্তা ডেইরি ফার্মের রিয়াজ উদ্দিনসহ ছয়জন এই পুরস্কার পান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম দুধের উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারিনি, কিন্তু মাছ, গোশত ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। অনেক শিক্ষিত মানুষ এখন প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগ করছে। তারা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করছে। বেসরকারি খাত ছাড়া প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন সম্ভব হতো না। দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বেসরকারি খাতকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা দূর করার জন্য আমরা অনেক কৌশলগত অবস্থান নিয়েছি। একসময় ভারত ও মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আসত। এ খাতের খামারি ও উৎপাদকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এখন আমরা বিদেশ থেকে কোনোভাবেই পশু দেশে আসতে দিচ্ছি না। মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত সরকার সম্প্রসারণ করে রেখেছে। যারা প্রাণিখাদ্য ও মাছের খাদ্য উৎপাদন করতে চান, সরকার তাদের কর রেয়াতসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে চায়। কিছু কৌশলগত সমস্যার কারণে প্রাণিখাদ্য ও অন্যান্য খাদ্যের দাম বাড়ছে। কিছু মজুদদার ও মুনাফালোভী খারাপ লোক আছে, তারা নিজেরা অনেক কিছু গোপন করে, আটকে রেখে বাইরে ছাড়ছেন কম। প্রাণিখাদ্য তৈরিতে বাইরে থেকে যে উপাদান আনতে হয় তা অতিরিক্ত নিয়েও অনেকে সেটা গুদামজাত করে রেখে কৃত্রিম সঙ্কট দেখান।

মেধাবী জাতি বিনির্মাণে দুধের চেয়ে ভালো খাবার হয় না উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশে দুধের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অত্যন্ত চমৎকার। সরকার মানসম্পন্ন দুধ উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দুধ উৎপাদনে পশুকে দেয়া খাবারের মান বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্ধারণ করতে হবে। শুধু লিটারের পর লিটার দুধ বাড়লেই আমরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারব না। গুণগতমানের দুধ না হলে দুধ থেকে উৎপাদিত খাবারের পুষ্টিমান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা: মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্জার, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো: আব্দুর রহিম, প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো: গোলাম রব্বানীসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২, ২০২২ ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
দুধের উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দুধের উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার (০১ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে  বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২২ উদযাপন ও ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারিনি, কিন্তু মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। অনেক শিক্ষিত মানুষ এখন প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগ করছে। তারা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করছে। বেসরকারি খাত ছাড়া প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন সম্ভব হতো না। দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বেসরকারি খাতকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্জার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন এর ওপর উপস্থাপন করেন প্রকল্পর চীফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং ডেইরি খাতের উদ্যোক্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য বঙ্গবন্ধু বিদেশ থেকে গবাদিপশু এনেছিলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরে পিতার অসমাপ্ত কাজ সফল করার জন্য বিশেষ করে প্রাণিসম্পদ খাতকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ এবং যেখানে যে সহযোগিতা প্রয়োজন তা দিতে তিনি কুণ্ঠিত হননি।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা দূর করার জন্য আমরা অনেক কৌশলগত অবস্থান নিয়েছি। একসময় ভারত ও মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আসতো। এ খাতের খামারি ও উৎপাদকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এখন আমরা বিদেশ থেকে কোনভাবেই পশু দেশে আসতে দিচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত সরকার সম্প্রসারণ করে রেখেছে। যারা প্রাণিখাদ্য ও মাছের খাদ্য উৎপাদন করতে চান, তাদের কর রেয়াতসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সরকার দিতে চায়। কিছু কৌশলগত সমস্যার কারণে প্রাণিখাদ্য ও অন্যান্য খাদ্যের দাম বাড়ছে। কিছু মজুতদার ও মুনাফালোভী খারাপ লোক আছে, তারা নিজেরা অনেক কিছু গোপন করে, আটকে রেখে বাইরে ছাড়ছেন কম। প্রাণিখাদ্য তৈরিতে বাইরে থেকে যে উপাদান আনতে হয় তা অতিরিক্ত নিয়েও অনেকে সেটা গুদামজাত করে রেখে কৃত্রিম সংকট দেখান।

মেধাবী জাতি বিনির্মাণে দুধের চেয়ে ভালো খাবার হয় না উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশে দুধের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অত্যন্ত চমৎকার। সরকার মানসম্পন্ন দুধ উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দুধ উৎপাদনে পশুকে দেওয়া খাবারের মান বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্ধারণ করতে হবে। শুধু লিটারের পর লিটার দুধ বাড়লেই আমরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবো না। গুণগতমানের দুধ না হলে দুধ থেকে উৎপাদিত খাবারের পুষ্টিমান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ডেইরি আইকন পুরস্কারপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাচ্ছেন। এটি সম্মানের বিষয়। এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বড় পরিসরে করা হবে। ডেইরি খাতে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আমরা উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দেশে গুঁড়ো দুধ আমদানি হয়। আমরা বিদেশ থেকে গুঁড়োদুধ আনতে চাইনা। বেসরকারি উদ্যোক্তারা এক্ষেত্রে এগিয়ে আসুন। দেশে প্রয়োজনে গুঁড়োদুধ তৈরির শিল্প প্রতিষ্ঠায় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। পাশাপাশি দুধের বহুজাতিক ব্যবহার করতে হবে। দুধ থেকে বহুমুখী পণ্য উৎপাদন ও বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে এ খাতকে সমৃদ্ধ করতে হবে।

পরে মন্ত্রী ডেইরি আইকন ২০২১ পুরস্কারপ্রাপ্ত খামারি ও উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

উল্লেখ্য ‘পরিবেশ, পুষ্টি ও আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নে টেকসই ডেইরি খাত’ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ডেইরি খামারি ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো চারটি ক্যাটাগরিতে ডেইরি আইকন পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। দুগ্ধ খাতে দেশের সফল খামারি ও উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৩৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ডেইরি আইকন ২০২১ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে । ডেইরি খামার, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, দুধ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিটি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য এক লক্ষ টাকা। সেই সাথে প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে ক্রেস্ট ও সনদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩১, ২০২২ ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
গবাদিপশু কৃমিমুক্ত রাখার উপায়
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে বর্তমানে গবাদিপশু পালন লাভজনক কাজ। পাশাপাশি বেকার সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তা এ কাজে অনেক শিক্ষিত যুবকরা আগ্রহী হচ্ছেন। কিন্তু আমাদের খামারিরা গবাদিপশু পালন করতে গিয়ে পরজীবী কিংবা কৃমির সমস্যায় পড়ছেন।

কৃমি এক ধরনের পরজীবী। যা পশুর ওপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করে। তারা পশুর অন্ত্রে, ফুসফুসে, লিভারে, চোখে, চামড়ায় বাস করে ও পশুর হজমকৃত খাবারে ভাগ বসিয়ে পশুর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। অনেক কৃমি পশুর রক্ত চুষে ও আমিষ খেয়ে পশুকে দুর্বল ও স্বাস্থ্যহীন করে দেয়।

গবাদিপশুর পরজীবী বা কৃমি সাধারণত দুই ধরনের। এগুলো হচ্ছে দেহের ভেতরের পরজীবী ও দেহের বাইরের পরজীবী। কৃমি বা পরজীবী আমাদের গবাদিপশু পালনের প্রধান শত্রু। কৃমি বা পরজীবীগুলো হচ্ছে কলিজাকৃমি, পাতাকৃমি, গোলকৃমি, রক্তকৃমি, ফিতাকৃমি, প্রটোজয়া ও বিভিন্ন ধরনের বহিঃপরজীবী উঁকুন, আঠালী, মাইট ইত্যাদি গবাদিপশুকে আক্রান্ত করে।

কৃমির কারণে গাভীর দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায় অস্বাভাবিকভাবে। পাশাপাশি বাছুরগুলো পেট ফুলে গিয়ে স্বাস্থ্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এর কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস গবাদিপশুকে আক্রান্ত করার পরিবেশ তৈরি করে।

গবাদিপশুকে কৃমি বা পরজীবী থেকে মুক্ত রাখার উপায় জেনে নিন এবার-
গবাদিপশুর বাসস্থানের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটি শুষ্ক ও আশপাশের জমি থেকে উঁচু হওয়া প্রয়োজন। সম্ভব হলে নদীনালা, খালবিল, হাওর-বাঁওড় থেকে দূরে করতে হবে।

পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা অল্প সময় পরপর পরিষ্কার করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ঘরে মলমূত্র ও আবর্জনা জমা না থাকে।

তিন মাস অন্তর গবাদিপশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।

গবাদিপশুর খামারের আশপাশে যেন বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য বর্জ্য জমে না থাকে।

খামারের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটিতে বালির ভাগ বেশি হওয়া প্রয়োজন যেন বর্ষাকালে খামারের মেঝে কর্দমাক্ত না হয়।

খামারের অনেক দূরে পশুর মলমূত্র ও আবর্জনা পুঁতে রাখতে হবে।

গবাদিপশুর বাসস্থান প্রতিদিন আদর্শ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে এবং জীবাণুনাশক মেশানো পানি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

কলিজাকৃমি, পাতাকৃমি, গোলকৃমি, রক্তকৃমি, ফিতাকৃমি দ্বারা আক্রান্ত পশুকে অ্যালবেনডাজল ইউএসপি ৬০০ মি.গ্রা., হেক্সাক্লোরোফেন ইউএসপি ১ গ্রাম, লিভামিসোল হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৬০০ মি.গ্রা. এবং ট্রাইক্লাবেন্ডাজল আইএনএস ৯০০ মি.গ্রা. জাতীয় ওষুধ ভালো কাজ করে। কর্কসিডিয়াতে সালফোনামাইডস, স্ট্রেপটোমাইসিন ও মেট্রোনিডাজল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ট্রিপানোসোমা ও ব্যাবেসিওসিস তে ব্যাবকপ খাওয়ালে রোগ ভালো হয়।

উঁকুন, আঠালী ও মাইটে আক্রান্ত গবাদিপশুর শরীরে আইভারমেকটিন, সেভিন, নেগুভান ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহার করলে এসব পরজীবী থেকে গবাদিপশুকে রক্ষা করা যায়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop