৫:০২ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২ জুন , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২ ২:৪৩ অপরাহ্ন
হাঁসের ভ্যাকসিন শিডিউল
প্রাণিসম্পদ

অল্প পুঁজি ও কম রোগাক্রান্ত হওয়ার কারনে দিন দিন আমাদের দেশে হাঁস পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভাল হলেও বেশ কিছু ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগে হাঁস মারা যেতে পারে। তাই হাঁস পালনের জন্য টিকা প্রদান বা হাঁসের ভ্যাকসিন সিডিউল খুব জরুরী।

হাঁস বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশে ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরার কারনে হাঁসের মৃত্যুর রেকর্ড সবথেকে বেশী। তাই মূলত এই দুটি রোগের টিকা প্রদানের জন্য সরকারি ভাবে বলা হয়ে থাকে।

হাঁসের টিকা প্রদান কর্মসূচি নিচে দেওয়া হলোঃ

বয়স (দিন) টিকার নাম রোগের নাম টিকার ডোজ টিকা প্রাদানের স্থান
২০-২২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৪০-৪২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৭০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৯০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
১০০ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের বা রানের মাংসে

*এরপর প্রতি চার মাস অন্তর ডাক প্লেগ টিকা এবং ৬ মাস অন্তর ডাক কলেরা টিকা প্রদান করাতে হবে।

*উল্ল্যেখ্য বার্ড ফ্লুর প্রভাব বেশী থাকলে চার মাসে বার্ড ফ্লু টিকা দিতে হবে।

হাঁসের ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম:

ডাক প্লেগ ১০০ ডোজের ভ্যাকসিন ১০০ মিলি পরিস্কার পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ভ্যাকসিন গান অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রইয়োগ করা হয়। ডাক কলেরার ভ্যাকসিন লাইভ হলে একই নিয়মে দিতে হবে। কিল্ড হলে সরাসরি প্রয়োগ করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২ ১:২৪ অপরাহ্ন
গাভীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে যেভাবে তৈরি করবেন দানাদার খাদ্য
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে এখন গ্রামাঞ্চলের প্রায় পরিবারগুলো গাভী পালনের দিকে ঝুঁকছেন। গাভী থেকে একদিকে পাওয়া যাচ্ছে বাছুর আর অন্যদিকে পাওয়া যায় পুষ্টিকর দুধ। যা দিয়ে অর্থনৈতিক সংকটও নিরসন করতে পারেন গ্রামের মানুষগুলো। তবে আমাদের অধিকাংশ খামারিরা জানেনা কিভাবে যত্ন নিতে হবে গাভীর। গাভীর স্বাস্থ্য উন্নত করতে করণীয় সম্পর্কে তারা খুব বেশি বিজ্ঞ নয়। তারা জানেন কিভাবে তৈরি করা লাগে গাভীর দানাদার খাবার।

গাভীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে দানাদার খাদ্য তৈরির উপায়ঃ

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
সবুজ ঘাস, খড়,পানি এবং দানাদার খাদ্য।
১০০ কেজি দৈহিক ওজন বিশিষ্ট একটি গাভীর জন্য সাধারণত ১-২ কেজি খড়, ৫-৬ কেজি সবুজ ঘাস এবং ১-১.৫ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হয়।

দানাদার খাদ্য মিশ্রনে-
চাউলের কুঁড়া ২০%, গমের ভূষি ৫০%, খেসারি ভাঙ্গা ১৮%, খৈল ১০%, খনিজ মিশ্রণ ১%, আয়োডিন লবন ১%
গাভী যদি দুধ উৎপাদন করে থাকে সে ক্ষেত্রে প্রথম ১ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ৩ কেজি দানাদার খাদ্য এবং পরবর্তী প্রতি ৩ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ১ কেজি হারে দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হবে।

নিচে ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি দৈহিক ওজনের দুগ্ধবতী গাভীর জন্য সুষম খাদ্য তালিকা দেওয়া হল-

উপাদান দৈনিক দেয়ার পরিমাণঃ
দানাদার খাদ্য মিশ্রণ ৪-৭ কেজি, কাঁচা সবুজ ঘাস ৯-১২ কেজি,পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি এবং শুকনো খড় ৩-৪ কেজি।

গাভীর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে খাদ্যে পাচ্যতা, পুষ্টিগুণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২২ ৩:৩৫ অপরাহ্ন
সুবর্ণচরে “আধুনিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পের আওতায় খামারি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

“আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পের মাধ্যমে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাংস উৎপাদনে দেশব্যাপী খামারীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১শে জানুয়ারি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস হলরুমে সুফলভোগী খামারিদের অংশগ্রহনে ৩ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ এই খামারী প্রশিক্ষণে খামারিদের আধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কম খরচে গরু হৃষ্টপুষ্টকরনের মাধ্যমে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে উৎপাদন, গবাদিপশুর বাসস্থান, পালন ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করেন। সুফলভোগী ২৫ জন খামারীর অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয় যেখানে খামারীগণে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল দেখার মত।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী এক খামারি জানান, “এখানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারছি, গরু লালন পালনে আগের থেকে খরচ অনেক কম হচ্ছে, ফলে লাভের মুখ দেখছি । এই প্রকল্প থেকে বিনামূল্যে ঔষধ পাচ্ছি এই প্রকল্প আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে ।”

প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক খামারীকে ২ কেজি করে ভিটামিন ও কৃমির ঔষধ বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২২ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
খামারে গরুকে সুস্থ রাখতে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

গরু পালন লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন গরুর খামার গড়ে তুলছেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে গরু পালন করা হচ্ছে। তবে গরুর খামার করে অনেকেই লোকসানে পড়ছেন। এর প্রধান কারণ হল গরুর নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া। খামারের গরুকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো খামারিদের অবশ্যই জেনে খামার পরিচালনা করতে হবে।

খামারের গরুকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করতে হবে:
খামারের গরুগুলোকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। নিয়মিত গরুগুলোকে সুষম খাদ্য প্রদান করলে গরুগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ও রোগের দ্বারা কম আক্রান্ত হবে। খামারের প্রত্যেকটি গরুর জন্য আলাদাভাবে খাদ্য প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর খাদ্য প্রদান করতে হবে। খামারের গরুগুলোকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য খামারের চারপাশের খোলামেলা পরিবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাইরের বাতাস ও আলো যাতে ভালোভাবে চলাচল করতে পারে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা রাখলে গরু সুস্থ থাকবে ও রোগের দ্বারা কম আক্রান্ত হবে।

গরুগুলোকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা করাতে হবে। কোন গরু অসুস্থ হয়ে গেলে রোগের ধরণ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।পালন করা গরুগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। গরুকে নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়ালে গরুর শরীর সুস্থ থাকে ও গরু স্বাস্থ্যবান হয়।

খামারের গরুগুলোকে বাইরে বের করে খামার ভালোকরে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন ভাবেই খামার পরিষ্কার করার পানি যাতে জমে না থাকে।

খামারের গরুগুলোকে নিয়মিত গোসল করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত গরুগুলোকে গোসল করালে গরুর শরীর পরিষ্কার থাকে ও রোগ-জীবাণুর আক্রমণ কম হয়। এছাড়াও নিয়মিত গোসল করালে গরুর ত্বক মসৃণ ও চকচকে থাকে।খামারে কোনভাবেই যাতে বাইরের কোন ব্যক্তি না প্রাণী অবাধে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি প্রবেশ করাতেই হয় তাহলে প্রবেশের আগে জীবাণুমুক্ত করাতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২২ ৩:৪৬ অপরাহ্ন
বাংলা ভাষার বিজয় না হলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হতো না- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

বাংলা ভাষার বিজয় না হলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হতো না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার। পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসুসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “যারা আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, আমাদের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখতে চেয়েছিল, যারা শাসনের নামে শোষণ করেছিল সেই পাকিস্তানীদের প্রেতাত্মা এখনো বিভিন্ন সময়ে দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। কখনো জামায়াত ইসলামের নামে, কখনো হেফাজতের নামে, কখনো জঙ্গী হিসেবে তাদের উত্থান হয়। তারা বলে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ থাকতে পারবে না, তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে। এরা দেশে ও দেশের বাইরে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। যে বাংলা ভাষার ভিত্তিতে বাঙালি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হয়েছে, যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ঘিরে বাংলাদেশে স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরিণতিতে জনগণের রায় নিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে, সে বাংলাদেশ যেন আবার স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের খপ্পরে না পড়ে সে জন্য মাতৃভাষা দিবসের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে”।

আলোচনা সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, “বাংলা ভাষার বিজয় না হলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হতো না। আমাদের জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল বাংলা ভাষার ভিত্তিতে। সে জাতীয়তাবাদ ঘিরেই আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম। যে সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আপাদমস্তক বাঙালিত্ব ধারণ করা বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন”।

তিনি আরো বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের সূচনা সময়ে সম্পৃক্ত হয়ে বারবার গ্রেফতার হন ও কারাবরণ করেন। তিনি মাতৃভাষা বাংলা রক্ষার জন্য ভাষা সংগ্রামীদের সাথে নিয়ে অসীম সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। ভাষা সংগ্রামীদের লক্ষ্য ছিল মাতৃভাষা রক্ষার মাধ্যমে বাঙালির নিজস্ব পরিচয়, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা। পাকিস্তানিরা চেয়েছিল রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। তাদের সাথে এ দেশীয় কিছু দোসরও সেদিন মায়ের ভাষা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল”।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত হয়েছে। আজ বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় পৃথিবীর অনেক স্থান ও দপ্তরের নামকরণ করা হয়েছে। বাঙালি জাতি বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সৃষ্টির পাথেয় হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। আমাদের বাংলা ভাষা আজ বিদেশীরা শিখছে ও চর্চা করছে। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলা ভাষা”।

“রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন আদালত-দপ্তরসহ সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার পরিপূর্ণভাবে করতে হবে। আমাদের আঞ্চলিক ভাষাসমূহ সংরক্ষণ করতে হবে, টিকিয়ে রাখতে হবে”-যোগ করেন মন্ত্রী।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ আমাদের অনিবার্য প্রয়োজন। অর্ধেক বাংলা, অর্ধেক ইংরেজি অথবা বাংলাকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে উচ্চারণ বন্ধ করতে হবে। সন্তানদের পরিমার্জিত ও পরিশীলিত বাংলা শেখাতে হবে। আমাদের বাঙালিত্ব, ঐতিহ্য ও কৃষ্টি ধরে রাখতে হবে। তবেই আমাদের ভাষা শহিদদের ত্যাগ স্বীকার ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন সার্থক হবে”।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২২ ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
গরু মোটাতাজা করতে খামারিরা যা করবেন
ডেইরী

গরু পালন লাভজনক হওয়াতে এখন আমাদের দেশের অনেকেই গরুর খামার করার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে, এই গরু যদি হয় আরেকটু মোটাতাজা তাহলে আর কথা ই নাই। আর এর জন্য দরকার গরুর সুষম খাদ্য। আর সুষম খাদ্য প্রয়োগে আপনি আরো লাভবান হতে পারেন গরু পালনে।

খামারে গরু মোটাতাজাকরণে যেসকল আমিষ খাবার আপনার গরুকে খাওয়াবেন:

শুকনা খড়: ২ বছর বয়সের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরুকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি কাঁচা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য: গরুকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো- গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি। উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: খড় = ৩ কেজি কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী) লবন = ৩৫ গ্রাম।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: ধানের খড় = ২ কেজি সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী) চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম লবণ = ২৫ গ্রাম দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান: গরুকে ডাক্তারের নির্দেশনা মত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নতুন গরু সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে একসঙ্গে কৃমিমুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি ৭৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি করে এনডেক্স বা এন্টিওয়ার্ম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ব থেকে টিকা না দেয়া থাকলে খামারে আনার পর পরই সব গরুকে তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

ঘর তৈরি ও আবাসন ব্যবস্থাপনা: আমদের দেশের অধিকাংশ খামারী ২/৩ টি পশু মোটাতাজা করে থাকে, যার জন্য সাধারণত আধুনিক শেড করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যে ধরনের ঘরেই গরু রাখা হোক, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘরের মল- মূত্র ও অন্যান্য আবর্জনা যাতে সহজেই পরিষ্কার করা যায়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২২ ৩:৫৩ অপরাহ্ন
কাজী রোজীর মৃত্যুতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর শোক
প্রাণিসম্পদ

সাবেক সংসদ সদস্য ও একুশে পদক প্রাপ্ত কবি কাজী রোজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি ।

রোববার এক শোকবার্তায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কাজী রোজী। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন কাজী রোজী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সংসদের লাইব্রেরি কমিটির সদস্য ছিলেন কাজী রোজী।

সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালে একুশে পদক পান কাজী রোজী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২২ ২:৩২ অপরাহ্ন
মুরগির মহামারি প্রতিরোধে খামারির করণীয়
পোলট্রি

আমাদের দেশের অনেকেই এখন অধিক লাভের ‍আশায় মুরগির খামারের দিকে ঝুঁকছেন। আর এই খামার করে অনেকে হয়েছেন স্বাবলম্বী। তবে খামারে মুরগির জটিল রোগের জন্য উন্নত করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে মুরগির মহামারি খুব জটিল। মহামারি দেখা দিলে অনেক মুরগি মারা যায় আর খামারিরা পড়েন লসের ভাগে। আর এই সম্পর্কে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকলে লসের পাল্লা কম হবে খামারিদের।

মহামারি প্রতিরোধে যা করবেন:
মহামারি প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খামারের যত্ন নেয়া। কোনভাবেই খামারে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ রাখা যাবে না। মুরগির খামারের ভেতরে কোন স্থান যদি ভিজে যায় বা স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে তা দ্রুত শুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে।এছাড়া খামারের ভিতরে ব্যবহারের জন্য আলাদা পোষাক রাখতে হবে। বহিরাগতদের জন্য আলাদা পোষাক রাখতে হবে। বাইরের কাউকে খামারে প্রবেশ করাতে হবে জীবাণুমুক্ত ও গোসল করিয়ে তারপর প্রবেশ করাতে হবে।

কোন খামারে রোগের আক্রমণের খবর পাওয়া গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রোগে আক্রান্ত হাঁস-মুরগি বা অন্যান্য পাখির মাধ্যমে যাতে খামারে এ রোগের বিস্তার ঘটতে না পারে সেজন্য খামারের চারদিক দিয়ে উচু করে বেড়া দিয়ে দিতে হবে। খামারে দৈনন্দিন ব্যবহার হওয়া জিনিসপত্র ডিমের ট্রে,খাদ্যের পাত্র, পানির পাত্র, ইত্যাদি নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

খামারের মৃত মুরগি গর্ত করে ২ মিটার মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে। কোন অবস্থায় বাহিরে ফেলা যাবে না।খামারে প্রবেশ পথ ও চারপাশের বেশ কিছু অংশে নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করে দিতে হবে। এতে সহজেই খামারে রোগের আক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২ ২:৫৫ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গাভীর দুধ খাচ্ছে ছাগল ছানা!
প্রাণিসম্পদ

গাভীর দুধ খেয়ে বেড়ে উঠছে ছাগলের একটি বাচ্চা তাও আবার বাছুরের সঙ্গেই। এই ব্যতিক্রমী ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের উলুডাঙ্গা গ্রামের দিদার হোসেন বাড়িতে।

এতে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমন বিরল দৃশ্য একনজর দেখতে দিদার হোসেনের বাড়িতে প্রতিদিনই বাড়ছে উৎসুক জনতার ভিড়।

কলারোয়া উপজেলা থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে উলুডাঙ্গা গ্রামে ঢুকতে মাঠের ভিতরে রাস্তার পাশেই দিদারের হোসেনের বাড়ি।

তিনি জানান, গত কয়েকদিন আগে বাড়ির একটি গাভী গরু বাছুর জন্ম দেয়। কিছুদিন পর একটি ছাগলও এক সাথে ২টি বাচ্চার জন্ম দেয়। ২টি বাচ্চার মধ্যে একটি মায়ের দুধ খাওয়ার সুযোগ না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। পরে সেটিকে গাভীর দুধ খাওয়ানো শুরু করার পর এখন নিজে থেকেই খাচ্ছে।

দিদার হোসেন জানান, গাভীর দুধ ছাগলের বাচ্চা খাচ্ছে এমন বিরল দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই তার বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড.অমল বিশ্বাস বলেন, ‘প্রাণিকূলে এমনটি হতে পারে। তবে সচরাচর দেখা যায় না। মায়ের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় দুধ বা পুষ্টি না পেয়ে ছাগলের বাচ্চাটি গাভীর দুধ খাচ্ছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২ ১২:৪৮ অপরাহ্ন
উন্নত গুণসম্পন্ন ছাগল নির্বাচন করার জন্য যা যা জানা প্রয়োজন
প্রাণিসম্পদ

লাভজনক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের খামার স্থাপনে উৎপাদন বৈশিষ্ট্য উন্নত গুনাগুনসম্পন্ন ছাগী ও পাঁঠা সংগ্রহ একটি মূল দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত। মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন বয়সী ছাগী ও পাঁঠা নির্বাচন সফলভাবে পালনের জন্য প্রযুক্তিগত তথ্যাদি সরবরাহ অত্যাবশ্যক। বর্তমানে বাণিজ্যিক ছাগল প্রজনন খামার না থাকায় মাঠ পর্যায় হতে ছাগল সংগ্রহ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে ব্যাক বেঙ্গল ছাগল, বাচ্চা ও দুধ উৎপাদন ক্ষমতার ভিন্নতা বিদ্যমান। উক্ত ভিন্নতা বংশ অথবা/এবং পরিবেশগত কারণ বা স্বতন্ত্র উৎপাদন দক্ষতার জন্য হতে পারে। সে প্রেক্ষাপটে ব্যাক বেঙ্গল ছাগল খামার প্রতিষ্ঠার জন্য বংশ বিবরণের ভিত্তিতে বাছাই ও নিজস্ব উৎপাদন/পূনরুৎপাদন বৈশিষ্ট্যাবলীর ভিত্তিতে বাছাই বিবেচনায় রেখে ছাগল নির্বাচন করা যেতে পারে।

বংশ বিবরণের ভিত্তিতে বাছাইঃ

মাঠ পর্যায়ে বংশ বিবরণ পাওয়া দুরূহ। কারণ খামারীরা ছাগলের বংশ বিবরণ লিখিত আকারে সংরক্ষণ করেন না। তবে তাঁদেও সাথে আলোচনা করে একটি ছাগী বা পাঁঠার বংশের উৎপাদন ও পূনরুৎপাদন দক্ষতা সম্বন্ধে ধারনা নেয়া যেতে পারে। ছাগীর মা/দাদী/নানীর প্রতিবারে বাচ্চার সংখ্যা, দৈনিক দুধ উৎপাদন, বয়োপ্রাপ্তির বয়স, বাচ্চার জন্মের ওজন ইত্যাদি সংগ্রহ করা সম্ভব। পাঁঠা নির্বাচনের ক্ষেত্রে পাঁঠার মা/দাদী/নানীর তথ্যাবলীর উপর নির্ভর করা যেতে পারে। একটি উন্নত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগী/পাঁঠার বংশীয় গুনাগুন নিম্নরূপ হওয়া প্রয়োজন।

ছাগী নির্বাচনঃ

লাভজনক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল খামার প্রতিষ্ঠার জন্য সারণী-১ এ উলেখিত জাতের ছাগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৈহিক যে সমস্ত গুনাবলী বিবেচনা প্রয়োজন তা নিমণরূপ। বিভিন্ন বয়সে দৈহিক বৈশিষ্ট্যের তারতম্য হয়। সে কারণে একটি ছাগীর ৬-১২ মাস, ১২-২৪ মাস এবং ২৪ মাসের উর্দ্ধে বয়সের দৈহিক বৈশিষ্ট্যাবলী ভিন্নভাবে তুলে ধরা হল।

উন্নত গুনাগুন সম্বলিত একটি ছাগীর নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যাবলী থাকা প্রয়োজনঃ

মাথা: চওড়া ও ছোট হবে

দৈহিক গঠন : শরীর কৌনিক এবং অপ্রয়োজনীয় পেশীমুক্ত হবে

বুক ও পেট : বুকের ও পেটের বেড় গভীর হবে

পাজরের হাড় : পাজরের হাড় চওড়া এবং দুইটি হাড়ের মাঝখানে কমপক্ষে এক আঙ্গুল ফাঁকা জায়গা থাকবে

ওলান : ওলানের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে। বাঁটগুলো হবে আঙ্গুলের মত একই আকারের এবং

সমান-রালভাবে সাজানো। দুধের শিরা উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা যাবে

বাহ্যিক অবয়ব : আকর্ষণীয় চেহারা, ছাগী সুলভ আকৃতি, সামঞ্জস্যপূর্ণ ও নিখুঁত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ

পাঁঠা নির্বাচনঃ

লাভজনক ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল খামার প্রতিষ্ঠার জন্য উল্লেখিত জাতের পাঁঠা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৈহিক যে সমস্ত গুনাবলী বিবেচনাপ্রয়োজন তা নিমণরূপ। বিভিন্ন বয়সে দৈহিক বৈশিষ্ট্যের তারতম্য হয়।

উন্নত গুনাগুন সম্বলিত একটি পাঁঠার নিমণলিখিত বৈশিষ্ট্যাবলী থাকা প্রয়োজনঃ

চোখ : পরিষ্কার, বড় ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন হবে

ঘাড় : খাটো ও মোটা থাকবে

বুক : গভীর ও প্রশস্ত হবে

পিঠ : প্রশস্ত হবে

লয়েন : প্রশস্ত ও পুরু এবং রাম্প এর উপরিভাগ সমতল ও লম্বা থাকবে

পা : সোজা, খাটো এবং মোটা হবে। বিশেষ করে পিছনের পাদ্বয় সুঠাম ও শক্তিশালী হবে এবং একটি হতে অন্যটি বেশ পৃথক থাকবে

অন্ডকোষ : শরীরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ঝুলানো থাকবে

বয়স : অধিক বয়স্ক (২ বছর বয়সের বেশী) পাঁঠা নির্বাচন করা যাবে না

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop