৯:০৫ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২ ১১:০৩ অপরাহ্ন
চিকিৎসা শেষে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল অবমুক্ত
Uncategorized

সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে  বিরল প্রজাতির একটি গন্ধগোকুল অবমুক্ত করা হয়েছে।গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সিলেটের বিশ্বনাথের টুকেরকান্দি গ্রামের এক বসতবাড়ি থেকে প্রাণীটি আটক করা হয়। পরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধিকারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গন্ধগোকুল নামে বিলুপ্ত প্রজাতির ওই প্রাণীটি তোয়াব আলীর বাড়ির পাশের জঙ্গলে  দেখতে পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন এটিকে ধরতে সক্ষম হন। পরে তারা একটি খাঁচায় প্রাণীটিকে বন্দী করে রাখেন।

প্রাধিকারের রেসকিউ সদস্য় আশরাফুল আলম ইমন বলেন, উদ্ধারকৃত প্রাণীটির নাম গন্ধগোকুল ।স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে প্রাণিটির ওপর হামলা চালায়। অসুস্থ থাকায় প্রাণীটি অবমুক্ত করা সম্ভব হয় নি।দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসা শেষে প্রাণীটি আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি) অবমুক্ত করা হয়।

২৮ ফেব্রুয়ারি  বিকাল ৫ টার দিকে প্রাধিকারের সভাপতি তাজুল ইসলাম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল দের  উপস্থিতে সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুলটি অবমক্ত করা হয়। এ সময়  আরও উপস্থিত ছিল প্রাধিকারের সহ-সভাপতি- মোঃ আকিব, আল ইবনে রিফাত ও রেসকিউ সদস্য় তুষার কান্তি।

প্রাধিকারের  সভাপতি তাজুল ইসলাম মামুন বলেন, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিবেচনায় পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় উঠে এসেছে এই প্রাণীটি। বর্তমানে গন্ধগোকুল অরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। পুরোনো গাছ, বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় দিন দিন এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এরা খাদ্য শৃঙ্খলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।।খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২ ১২:৫২ অপরাহ্ন
সাফারি পার্কে আফ্রিকান লেমুরের মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এবার তিন বছর বয়সী আফ্রিকান লেমুর মারা গেছে। মারা যাওয়া লেমুরটি ছিল মাদী। রোববার (২৭ফেব্রুয়ারি) লেমুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম।

তিনি জানান, গত শুক্রবার বিকালে লেমুরটিকে খাঁচায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লেমুরটি হৃদরোগে আক্রান্ত মারা গেছে। মৃত লেমুরটির ময়নাতদন্ত শেষ করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

বিপন্ন প্রজাতির চারটি আফ্রিকান লেমুর ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। এর মধ্যে গত শুক্রবার একটি মারা যাওয়ায় পার্কে বর্তমানে তিনটি লেমুর রয়েছে।

২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাভবার্ড, কাকাতুয়া, ম্যাকাও, ময়ুর, লেমুরসহ ২০২ জোড়া বিপন্ন পাখি ও বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ও ঢাকা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ। পরে এগুলো বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট উদ্ধার হওয়া পাখি ও প্রাণীগুলোকে ওই বছরের ৭ আগস্ট সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।পরে তাদের আশ্রয় হয় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। একই বছর উদ্ধার হওয়া লেমুর পরিবারে জন্ম হয় একটি পুরুষ ও একটি মাদী শাবকের।

উল্লেখ্য গত জানুয়ারিতে সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি সিংহের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পার্কের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২২ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরের হাইমচরে বিষ প্রয়োগে শতাধিক ঘুঘু হত্যা
প্রাণ ও প্রকৃতি

চাঁদপুরের হাইমচরে বিষ প্রয়োগ করে শতাধিক ঘুঘু পাখি হত্যা করা হয়েছে। ঘুঘু পাখি সয়াবিনের বীজ খেয়ে ফেলে, তাই জমির মালিক বিষ করে প্রয়োগে পাখিগুলোকে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী গ্রামের ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় কৃষক স্বপন দেওয়ানের জমিতে এ ঘটনা ঘটে। একসঙ্গে এতগুলো ঘুঘু পাখির মৃত্যুর দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা হতবাক হয়েছে।

হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, বিষ প্রয়োগ করে ঘুঘু পাখি হত্যার ঘটনাটি দুঃখজনক। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থল থেকে ৩২টি মৃত পাখি উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় শতাধিক পাখির মৃত্যু হয়েছে। ওই খেতে ফুরাডন নামে একটি ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিষ প্রয়োগ করে ঘুঘু পাখিসহ যেকোনো পাখি হত্যা করা কেবল মারাত্মক অপরাধই নয়, এটি পরিবেশের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কৃষক স্বপন দেওয়ানকে পাওয়া যায়নি। তবে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২২ ১:০৮ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গত এক মাসে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ এবং একটি সিংহের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি ১৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান বন পরিবশে ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।

তদন্ত কমিটির প্রধান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক জানান, গত রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ছিল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ওইদিনই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বর্ধিত সময়ের মধ্যে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। কমিটি সম্মিলিতভাবে ১৮ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে নানা পরামর্শ হিসেবে আরও পাতা যুক্ত করা হয়েছে।

তদন্তে কী পাওয়া গেছে এ বিষয় তিনি কিছু জানাননি। তিনি বলেন, এটি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক এবং পরিবেশ-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীকে সদস্য-সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরে আবেদনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ আরও ১০ দিন সময় বাড়িয়ে দেন এবং তদন্ত কমিটিতে তিন জনকে যুক্ত করা হয়। এ ছাড়াও পরামর্শক হিসেবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আরও তিন জনকে যুক্ত করা হয়।

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল ঢাকার বন সংরক্ষক এবং কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের প্রাক্তন চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা. এ বি এম শহীদুল্লাহ। পরে যুক্ত হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি অনুষদের অধ্যাপক মো. আবু হাদী নূর আলী খান, কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের (সিডিআইএল) প্রধান মো. আজম চৌধুরী ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

অন্যদিকে পরামর্শক হিসেবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিন জন কর্মকর্তা ছিলেন। তারা হলেন– কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিউল আহাদ সরকার, ঢাকার কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে কর্মরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুকেশ চন্দ্র বৈদ্য ও বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় কর্মরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হুদা।

গত জানুয়ারি মাসে পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও ৩ ফেব্রুয়ারি একটি সিংহী মারা যায়। ওইসব প্রাণীর মৃত্যু ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন এবং তদন্তের স্বার্থে পার্কের শীর্ষ পর্যায়ের তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটিকে জেব্রাগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, মৃত্যুর ঘটনায় সাফারি পার্কে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি চিহ্নিত করা এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশগুলো নিয়ে নির্ধারিত ২০ কার্যদিবসের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২ ৩:৫৪ অপরাহ্ন
শেরপুরের গজনী সীমান্তে বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী সীমান্ত এলাকা থেকে একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী আঠার ঝুড়া নামকস্থান থেকে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে গত ৪ মাসের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

ঝিনাইগাতীর গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগের দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন আঠার ঝুড়ায় একটি হাতির মরদেহ পরে আছে। এলাকাটি গভীর অরণ্য হওয়ায় রাতে খোঁজ-খবর নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আজ (শনিবার) সকাল ১০ টায় বনবিভাগের বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম, রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দের নেতৃত্বে বনবিভাগের কর্মীরা হাতিটির মরদেহটি উদ্ধার করে।

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত হাতিটি মাদি হাতি। বয়স আনুমানিক ১০/১১ বছর হবে। হাতিটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হয়েছে। এ বিষয়ে ময়নাতদন্ত শেষে বন্যহাতির মরদেহটি গর্ত করে মাটিচাপা দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২ ৩:১৭ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির ‘রেড কোরাল কুকরি’ সাপ
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ভুল্লী বড় বালিয়া থেকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে বিরল প্রজাতির ‘রেড কোরাল কুকরি’ সাপ।দেশে এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মত ‘রেড কোরাল কুকরি সাপ’ উদ্ধার করা হল।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার ভুল্লী বড় বালিয়া থেকে জয়নাল নামে এক ব্যক্তি সাপটি রাস্তা থেকে উদ্ধার করেন। এর আগে দেশে পাঁচ বার এই সাপের দেখে মিলেছে। পরে শুক্রবার জেলা বন্য প্রাণী সংরক্ষক ও উদ্ধারকারী সহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বন্য প্রাণী সংরক্ষক ও উদ্ধারকারী সহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা সাপটিকে দেখতে পেয়ে না মেরে আটক করেন এবং আমাকে খবর দিলে শুক্রবার সেখানে গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেছি। এরই মধ্যে এই সাপটি বাংলাদেশে রেকর্ডসহ আর্ন্তজাতিক গবেষণা পত্রে প্রকাশ পেয়েছে বলে মানুষ এ সাপটির বিষয়ে এখন মোটামুটি ভাবে সচেতন হয়েছেন। সাপ দেখলে না মেরে উদ্ধারকারীকে ফোন দিচ্ছেন তারা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, সাপ উদ্ধারের খবরটি শুনেছি। বিরল প্রজাতির ‘রেড কোরাল কুকরি’ সাপটি সংরক্ষণের জন্য বন্য ও প্রাণী অধিদপ্তরকে দ্রুত বার্তা পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, পুরো পৃথিবীতে মাত্র ২০-২৫ বার এ সাপের দেখা মিলেছে বলে জানা গেছে। গত ১২ মাসে দেশে পাঁচ বার দেখা মিলেছে এ সাপের। পাঁচ বারেই দেখা মিলেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি একই এলাকা থেকে আহত অবস্থায় পঞ্চগড় তথা বাংলাদেশে প্রথম বারের মত উদ্ধার হয় এই সাপ।

রেড কোরাল কুকরি বিরল প্রজাতির একটি সাপ। উজ্জ্বল কমলা ও প্রবাল লাল বর্ণের এই প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম ওলিগোডন খেরেনসিস (Oligodon Kheriennsis)। ১৯৩৬ সালে উত্তর প্রদেশের খেরি বিভাগের উত্তরাঞ্চল থেকে এই সাপ আবিষ্কৃত হয়। পৃথিবীতে হিমালয়ের পাদদেশের দক্ষিণে ৫৫ আর পূর্ব-পশ্চিমে ৭০ কিলোমিটার এলাকায় এটি দেখা যায়। সাপটি নিশাচর এবং বেশির ভাগ সময় মাটির নিচেই থাকে। সম্ভবত মাটির নিচে কেঁচো ও লার্ভা পিপড়ার ডিম ও উইপোকার ডিম খেয়ে জীবন ধারণ করে। নরম মাটি পেলে মাটি খুঁড়ে ভেতরে চলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। মাটির ভেতরে থাকার জন্য রোসট্রাল স্কেল ব্যবহার করে সাপটি। রোসট্রাল স্কেল হলো সাপের মুখের সম্মুখ ভাগে অবস্থিত অঙ্গবিশেষ যার সাহায্যে মাটি খনন করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২ ১২:০৪ অপরাহ্ন
সাফারি পার্কে প্রাণী মৃত্যুঃ তদন্তে ধীরগতি
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। তদন্ত করতে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটিতে সদস্য সংখ্যা পাঁচ থেকে বেড়ে আট জন করা হয়েছে।

এদিকে তদন্ত কমিটির প্রধান প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় আরও ১০ কার্যদিবস বৃদ্ধির আবেদনও করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সম্প্রতি জেব্রাগুলোর মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে ২৬ জানুয়ারি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীকে সদস্য সচিব করা হয় এই কমিটিতে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, বন ভবন, ঢাকার বন সংরক্ষক এবং কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের প্রাক্তন চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা. এ বি এম শহীদুল্লাহ।

পরে এই কমিটিতে কেন্দ্রীয় রোগ নির্ণয় ল্যাব (সিডিআইএল)-এ কর্মরত মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আজম চৌধুরী, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি ল্যাব প্রধান অধ্যাপক মো. নুর আলী হাদী খান এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসটি) অঞ্জন কুমার সরকারকে কো-অপ্ট করা হয়।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ৯টি জেব্রা এবং ২৯ তারিখে আরও দুটিসহ মোট ১১টি জেব্রা মারা গেছে সাফারি পার্কে। জেব্রা ছাড়াও সেখানে একটি সিংহী ও বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এ কমিটি এসব প্রাণিমৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২ ৩:৩৪ অপরাহ্ন
ভোলার তারুয়া সৈকতে ভেসে আসলো মৃত ডলফিন
প্রাণ ও প্রকৃতি

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বঙ্গোপসাগরের তারুয়া সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে একটি মৃত ডলফিন।মৃত ডলফিনটি বিপন্নপ্রায় ইরাবতী প্রজাতির বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে ডলফিনটি ভেসে এসে বালুচরে আটকা পড়ে। পরে বন বিভাগের সদস্যরা আজ বুধবার সকালে মৃত ডলফিনটি সৈকতের পাশে বালিচাপা দেয়। তবে কি কারনে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি বনবিভাগ।

ভোলা বনবিভাগের বণ্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেনন, মঙ্গলবার বিকেলে প্রায় অর্ধ গলিত ডলফিনের মৃতদেহটি তারুয়া সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসে। এসময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বন বিভাগে খবর দেয়। পরে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।

তিনি আরো বলেন, ডলফিনটি প্রায় সাড়ে চার ফুট লম্বা ইরাবতী প্রজাতির।ডলফিনটির শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরে বন কর্মীদের উপস্থিতিতে মৃত ডলফিনটি সৈকতে বালুচাপা দেয়া হয়। কি কারণে ডলফিনটির মৃত্যু হলো তা অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর ও বন্যপ্রাণী গবেষক সামিউল মেহেসানিন ডলফিনটির মৃতদেহের ছবি দেখে এটিকে ইরাবতী ডলফিন হিসেবে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গভীর সাগরে মাছ শিকাররত জেলেদের জালে আটকে ও নৌযানের প্রোপেলারের আঘাতে প্রায়ই ডলফিনের মৃত্যু হয়। পরে ভাসতে ভাসতে এসব ডলফিনের মৃতদেহ  সৈকতের বালুচরে চলে আসে। আর এভাবেই দিন দিন বঙ্গোপসাগরে এর ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনের সংখ্যা কমে আসছে।

তিনি আরও জানান, এ সম্পদ রক্ষা করা না গেলে সামুদ্রিক পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। তাই ডলফিন রক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২ ২:২৫ অপরাহ্ন
প্রশিক্ষণের নামে হাতি শাবক নির্যাতন, কারণ দর্শানোর নির্দেশ
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রশিক্ষণের নামে হাতির বাচ্চাকে বশে আনার জন্য অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে বন বিভাগ ও থানাপুলিশকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জাস্টিস অব্ দি পিস মুহম্মদ আলী আহসান সোমবার বিকালে এ নির্দেশ দেন।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন এবং প্রাণী কল্যাণ আইন অনুযায়ী হাতির প্রতি নিষ্ঠুর নির্যাতন নিরসনে জুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিষ্ক্রিয়তায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন ও কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে পাহাড়ের গহীনে হাতির মালিকরা পোষ মানানোর জন্য হাতি শাবকদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।

স্থানীয়রা জানান, চার বছরের হাতি শাবককে বশে আনতে পেটানো হয় ইচ্ছে মত, কখনো কখনো লোহা দিয়ে তৈরি কুকু ব্যবহার করা হয় নির্যাতনের কাজে। ব্যবসার কাজে নামানোর জন্য অমানবিকভাবে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

স্থানীয়ভাবে এ প্রশিক্ষণকে বলা হয় ‘হাদানি’।

এ সময় বাচ্চা হাতিটিকে মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে বেঁধে রাখা হয়। দুই থেকে তিন মাসব্যাপী চলা এ প্রশিক্ষণের সময় নানা কলাকৌশল শেখাতে মূল অস্ত্রই হল নির্মম শারীরিক নির্যাতন। এই সময় হাতিটি শৃঙ্খলমুক্ত হতে জোরাজুরি করে, যন্ত্রণায় শুঁড় উপরে তুলে কাতরায়।

এ রকম নির্মম নির্যাতনের পর মানুষের বশ্যতা শিকারে বাধ্য করা হয় হাতি শাবক। যার ফলে অনেক হাতি মানসিক সমস্যাগ্রস্ত হয়ে যায়। যাকে স্থানীয় ভাষায় পাগলা হাতি বলা হয়ে থাকে। উক্ত পাগলা হাতির আক্রমণে প্রায় সময় মানুষ মৃত্যুর মুখে পতিত হয়।

হাতি সুরক্ষার জন্য দেশে প্রচলিত আইন থাকা সত্ত্বেও উক্ত বেআইনী ও প্রাচীন পদ্ধতিতে হাতিকে পোষ মানানো হয় এবং নিষ্ঠুর নির্যাতনের ফলে হাতি শাবক মারাও যায়।

এমতাবস্থায় বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ঘটনা প্রত্যক্ষ করে মৌলভীবাজার চিফ জুডিসিয়াল স্ব-প্রণোদিত হয়ে এই নির্দেশ দেয় আদালত।

আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী ও মৌলভীবাজার জুড়ী থানা অফিসার ইনচাজ সঞ্জয় চক্রবর্তীকে নির্দেশ দেয়া হয়।

একই সাথে হাতি নির্যাতনের উক্ত ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের নাম-ঠিকানা, স্বাধীনতার পর হতে এ পর্যন্ত প্রশিক্ষণের নামে নির্দয় নির্যাতনে কয়টি হাতি মারা গেছে তার সংখ্যা, হাতি কিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং হাতির প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জুড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, এখনও নির্দেশনা হাতে পাইনি। কাগজ পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২২ ৩:১৬ অপরাহ্ন
গাজীপুরের সাফারি পার্কে মৃত্যু ঝুঁকিতে বন্যপ্রাণী
প্রাণ ও প্রকৃতি

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সকল প্রাণী এখন ঝুকিতে রয়েছে। গত এক মাসে পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও সিংহী মারা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ম আর অবহেলা জন্য এসব বন্যপ্রাণী  মারা গেছে। এদিকে, সাফারি পার্কের পরামর্শক কমিটির সদস্যরা বললেন, তাদের দেয়া দশ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে আরও পশুর মৃত্যু হতে পারে। পার্কে দর্শনার্থীর প্রবেশ আপাতত বন্ধ রাখার পরামর্শও  দিয়েছেন তারা।

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের আয়তন তিন হাজার ৬৯০ একর। যেখানে রয়েছে ৭০ প্রজাতির প্রায় চার হাজার প্রাণী। সম্প্রতি সেখানে একমাসের মধ্যে ১৩টি প্রাণী মারা যাওয়ায় দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।

মৃত প্রাণীর শরীর থেকে নেয়া নমুনা পরীক্ষা করে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৭টি ও নিজেদের মধ্যে মারামারিতে ৪ টি জ্রেবা মারা গেছে। আর অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে একটি বাঘ ও সিংহী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ম, অবহেলা ও সার্বিক সমন্বয়ের অভাবেই এমনটি হয়েছে। অন্য প্রাণীগুলোও  এখন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।

সাফারি পার্কটিকে সঠিকভাবে পরিচালনার পাশাপাশি প্রাণীগুলোকে সুস্থ্য রাখতে দশ দফা সুপারিশ করেছে সাফারি পার্কের পরামর্শক কমিটি। তার মধ্যে রয়েছে প্রাণীদের পরিস্কার ট্রেতে করে ঘাস পরিবেশন করা, কৃমিনাশক ওষুধ প্রয়োগ, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগ। প্রাণীদের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিপূর্ণ খাবার পরিবেশনের পরামর্শও দেয়া হয়েছে। সাফারি পার্কে চার হাজার প্রাণীর জন্য চিকিৎসক মাত্র একজন। জনবলের এই সংকট অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

একের পর এক প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনার পর সঠিক তদন্তের স্বার্থে বদলি করা হয়েছে সেসময় দায়িত্বে থাকা পার্কটির প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রাণী চিকিৎসককে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop