সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরির প্রচেষ্টা
বিজ্ঞান ও গবেষণা
সাপে কাটা মানুষকে বাঁচাতে প্রতিষেধক তৈরির জন্য নিরলস কাজ করে চলেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টার। দেশের নানা প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন জাতের প্রায় ৩০০ বিষধর সাপ নিয়ে চলছে গবেষণা।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা বলছেন, তাদের প্রচেষ্টা সফল হলে দেশেই সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হবে। যা প্রাণ বাঁচাবে অনেক মানুষের।
২০১৮ সালে নেয়া ৫ বছর মেয়াদি প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে গড়ে তোলা হয় ভেনম রিসার্চ সেন্টার। সেখানে থরে থরে সাজানো বাক্সে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০০ বিষধর সাপ লালনপালন করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপ সংগ্রহ করে প্রথমে ৪০ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। পরে চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে রাখা হয় এসব বাক্সে। এরপর নানান ধাপ পেরিয়ে সাপ থেকে সংগ্রহ করা হয় বিষ। পাশাপাশি সাপের খাদ্য হিসেবে সাদা ইঁদুর লালন পালন ও প্রজননও করা হয় ভেনম রিসার্চ সেন্টারে।
সাপগুলোকে বিভিন্ন স্থান থেকে আনা, লালনপালন করা, বিষ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজে নিয়োজিত আছেন একদল পরিশ্রমী গবেষক। আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এসব ধাপ সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহ গবেষক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী ও সমন্বয়ক ডা: আবদুল্লাহ আবু সাঈদ।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক ডা: অনিরুদ্ধ ঘোষ জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর প্রায় ৬ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে আহত হন। আর মারা যান প্রায় ৬ হাজার মানুষ।
চট্টগ্রামের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক বললেন, তাঁরা সফল হলে দেশে সাপের বিষের প্রতিষেধক উৎপাদন সম্ভব হবে। খুলে যাবে সম্ভাবনার বিশাল দুয়ার।
দেশে স্থাপিত সর্বপ্রথম ও একমাত্র এই ভেনম রিসার্চ সেন্টারটি শিগগিরি আরও বড় পরিসরে কাজ শুরু করবে, বানাবে সাপের বিষের প্রতিষেধক। যাতে উপকৃত হবে দেশের মানুষ, কমবে আমদানী নির্ভরতা। এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।