১:৩৫ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২১ ১২:৩১ অপরাহ্ন
উৎপাদন বাড়লেও দামে হতাশ চিংড়ি চাষিরা
মৎস্য

করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বাগেরহাটের চিংড়ি চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, এবার গলদা চিংড়ির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে মৎস্য বিভাগ। তবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে কেজিপ্রতি চিংড়ির দাম। এতে হতাশ চাষিরা।

‘সাদা সোনা’ নামে খ্যাত গলদা চিংড়ি। এই চিংড়ি চাষের অন্যতম শীর্ষ জেলা বাগেরহাট। দীর্ঘদিন ধরেই জেলার হাজার হাজার চাষির একমাত্র আয়ের উৎস এই চিংড়ি চাষ। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার অন্যতম পণ্য এটি। এ জেলায় উৎপাদিত গলদা চিংড়ি ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ বিশ্বের ৩২টি দেশে রফতানি হয়ে থাকে।

তবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর এই শিল্পে কিছুটা বিপর্যয় ঘটলেও এবার বেড়েছে উৎপাদন। এতে চাষিদের খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু চিংড়ির দাম কমে যাওয়ায় হতাশায় দিন পার করছেন তারা। কেজিপ্রতি চিংড়ির দাম কমেছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। তার ওপর চিংড়ি চাষে যেসব উপাদান বা খাবার লাগে তার মূল্যও চড়া। এতে চরম বিপাকে চাষিরা।

চিংড়ির দাম কম নিয়ে চাষিরা বলেছেন, আমাদের সব আয়-উপার্জন চিংড়ি চাষের ওপর। মাছের দাম কম। বর্তমানে বাজারে নিত্যপণ্যের যে দাম, সে অনুযায়ী আমরা চাষিরা বাঁচতে পারব না। দাম কমায় আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চিংড়ির দাম স্বাভাবিক রাখার দাবি ব্যবসায়ীদের। এ বিষয়ে একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, সব মিলিয়ে সারা বিশ্বের ৩২টি দেশে আমাদের চিংড়ি রফতানি হয়। শিপমেন্ট শুরু হলে চাষিরা আগের মতো দাম পাবেন।

বাগেরহাটে ৭০ হাজার গলদা চিংড়ি ঘেরে প্রায় ৩৫ হাজার চাষি যুক্ত রয়েছেন। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার মেট্রিক টন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২১ ২:৫৯ অপরাহ্ন
পদ্মায় জেলের জালে ৩২ কেজির দুটি কাতল
মৎস্য

পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩২ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির দুটি কাতল মাছ।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় হজো চালাক নামের এক জেলের জালে মাছ দুটি ধরা পড়ে।

মাছগুলো বিক্রির জন্য ঘাটে আনলে ব্যবসায়ী সম্রাট শাজাহান শেখ একটু ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ৪১ হাজার ৬০০ টাকায় কিনে নেন।

এ মাছ ব্যবসায়ী বলেন, সকালে মাছ দুটি সরাসরি জেলের কাছ থেকে কিনে নেই। পরে ঢাকার এক বড় ব্যবসায়ীর কাছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দরে ৪৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২১ ১২:৫৯ অপরাহ্ন
হালদায় সাড়াশি অভিযান,৮ হাজার মিটার জাল জব্দ
মৎস্য

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও মোহাম্মদ শাহিদুল আলম।

ইউএনও বলেন, হালদা নদীর গড়দুয়ারার নয়াহাট থেকে কালুরঘাট ব্রীজ পর্যন্ত সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ৮ হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ করা হয়।

সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযান সম্পর্কে অবৈধ মৎস্য শিকারী’রা আঁচ করতে পেরে জাল ফেলে পালিয়ে যায়। তাদের কাউকে আটক করা যায় নি। পরে সেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় জালগুলো উত্তোলন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, হালদার মা মাছ, ডলফিন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত কঠোর অভিযান চলবে। সংশ্লিষ্টদের তথ্য দিয়ে তিনি সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান। অভিযানে সহযোগিতা করে আইডিএফ ও সেচ্ছাসেবী রোশনগীর।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২১ ১২:১৩ অপরাহ্ন
নরসিংদীতে খাঁচায় মাছ চাষ,পরিদর্শনে আফ্রিকান দুই মন্ত্রী
মৎস্য

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের ঘের পরিদর্শন করেছেন আফ্রিকান দুই মন্ত্রীসহ একটি প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার বিকেলে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা শীতলক্ষ্যায় খাঁচায় মাছ চাষের ঘের দেখতে যান তারা। 

প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইউনাইটেড রিপাবলিক অব তানজানিয়ার প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যমন্ত্রী মাশিম্বা নাদাকি (এমপি), জাঞ্জিবারের বিপ্লবী সরকারের নীল অর্থনীতি ও মৎস্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ হুসেন কম্বো ও প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক স্টিফেন অগাস্টিন লুকাঙ্গাসহ দলের সদস্যরা।

পলাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তি ওই ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারহানা আফসানা চৌধুরী প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন ও পলাশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল আলম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২১ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প
মৎস্য

এক লাখ টন ইলিশ মাছের উৎপাদ বৃদ্ধি করতে সরকার ২৪৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চলতি বছরের উৎপাদন সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে। এমনটি জানালেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী।

মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পএর আওতায় জেলা পযায়ে অবহিতকরণ কর্মশালায় সভায় তিনি এই তথ্য প্রদান করেছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল লতিফ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ছানোয়ারুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক জিল্লুর রহমান, সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) নাসির উদ্দিন মল্লিক, সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম আকন্দ। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিরিন শীলা।

ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের ওই অবহিতকরণ সভায় বক্তারা জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে যত ইলিশ পাওয়া যায় তার ৮০ ভাগই বাংলাদেশে উৎপাদন হয়ে থাকে।

বিশ্বের বাংলাদেশের অন্যতম পরিচয় বহন করে ইলিশের দেশ হিসেবে। সরকার এই ইলিশ মাছ উপহার স্বরূপ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে থাকেন।

প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য আইন বাস্তবায়ন এবং ইলিশ জেলেদের বিপল্প কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। সেইসঙ্গে অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেও ইলশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।

জাটকা ও মা ইলিশ আহরণকারী ৩০ হাজার জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও ওই কর্মশালায় অবহিত করা হয়।

এদিকে অবহিতকরণ সভায় অংশগ্রহনকারীরা বলেছেন, কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ না করতে পারলে সরকারের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২১ ১:১৫ অপরাহ্ন
বিপুল পরিমাণ জাটকা ইলিশ জব্দ
মৎস্য

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে বিভিন্ন পরিবহন ও মিনি ট্রাকে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাটকা জব্দ করা হয়েছে। 

সোমবার রাতে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অফিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে।

এসময় জাটকা পরিবহনের দায়ে একটি মিনি ট্রাকের চালককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

পরে জব্দকৃত জাটকাগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৫, ২০২১ ১২:৩৮ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে হালদা নদীতে অভিযান, ঘেরা জাল জব্দ
মৎস্য

চট্টগ্রামে হাটহাজারী উপজেলা হালদা নদীতে প্রশাসনের অভিযানে ৪টি ঘেরা জাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত জালের পরিমাণ ২ হাজার ৮০০ মিটার।

রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, রাউজান সীমান্তের গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকা থেকে ২টি, নাপিতের ঘাট এলাকা থেকে ১টি, আমতুয়া এলাকা থেকে ১টিসহ মোট ৪টি ঘেরা জাল জব্দ করা হয়। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ২ হাজার মিটার। এছাড়াও হালদা নদীর ছিপাতলী এলাকায় আলম্মের কুম এলাকা থেকে ৮০০ মিটার জাল জব্দ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলমের নেতৃত্বে অভিযানে সহযোগিতা করেন ছিপাতলী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. মাহাবুবুল আলম মানিক, জুনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম ও স্থানীয় গ্রামপুলিশ সদস্যরা।

ইউএনও শাহিদুল আলম বলেন, হালদা নদীর মা মাছ, ডলফিন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চলবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করছি।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২১ ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
এক শাপলাপাতা মাছ তিন লাখ টাকায় বিক্রি
মৎস্য

বরগুনার তালতলীতে ১৫ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ তিন লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তালতলী মাছ বাজারে মাছটি বিক্রি হয়।

মৎস্যবাজার সূত্র জানায়, শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দিনগত রাতে বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটা অংশে কয়েকজন জেলের জালে বিশালাকৃতির মাছটি ধরা পড়ে। শনিবার সকালে কুয়াকাটার মহিপুরের মেসার্স খান মৎস্য আড়তে মাছটি বিক্রি করেন জেলেরা। খবর পেয়ে তালতলীর মাছ বিক্রেতা খলিলুর রহমান দেড় লাখ টাকায় মাছটি কিনে তালতলী নিয়ে আসেন।

মাছটি বিক্রির জন্য স্থানীয় বাজারে মাইকিং করা হয়। পরে মাছটি কেটে বিক্রি করেন খলিলুর রহমান। প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। বিশাল আকৃতির মাছটি দেখতে তালতলী বাজারে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।

ক্রেতা সালেহ আহম্মেদ বলেন, বিশাল এক মাছ বাজারে এসেছে—এমন খবর পেয়ে চলে এসেছি। আমি এবং আমার পরিবারের সবাই সামুদ্রিক মাছ খুব পছন্দ করি। এর আগেও শাপলাপাতা মাছ খেয়েছি। এ মাছে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। আজ দুই হাজার টাকায় চার কেজি নিলাম।

বিক্রেতা খলিলুর রহমান বলেন, এর আগে অন্য এক বিক্রেতা তালতলীতে বড় সাইজের শাপলাপাতা মাছ এনেছিলেন। তখন সবাই খুব আগ্রহসহকারে মাছ কিনেছিলেন। তালতলীতে এ মাছের চাহিদা রয়েছে। তাই মহিপুর থেকে মাছটি কিনে আনি। মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। তবে অতদূর থেকে মাছটি তালতলী পর্যন্ত আনতে অনেক টাকা পরিবহন বাবদ খরচ হয়েছে বলে তিনি জানান।

বরগুনা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, প্রজননে বিঘ্ন ঘটায় শাপলাপাতা মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। এরকম আরও কয়েক প্রজাতির মাছ রয়েছে, যা ধরতে জেলেদের আমরা নিরুৎসাহিত করি। এ মাছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২১ ৪:০৬ অপরাহ্ন
কালো পোপা মাছের দাম ১৪ লাখ টাকা!
মৎস্য

কক্সবাজারের টেকনাফে স্থানীয় জেলেদের জালে আজ শনিবার বেলা ১১টায় ধরা পড়েছে ৩২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি কালো পোপা মাছ। পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাটে ধরা পড়া এ মাছটির বিক্রি জন্য দাম হাঁকাচ্ছেন ১৪ লাখ টাকা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মাছটি ‘কালা পোপা’ নামে পরিচিত।

জানা যায়, বুধবার সকালে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার সালেহ আহমেদের মালিকানাধীন ট্রলারে করে ১০ জন মাঝিমাল্লা বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। পরে মাছটি জালে আটকা পড়লে জেলেরা ট্রলারের মালিক সালেহ আহমদকে বিষয়টি জানান।

ট্রলার মালিক সালেহ আহমদ বলেন, ৩২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের কালো পোয়া মাছটি বিক্রির জন্য দাম হাঁকালো ১৪ লাখ টাকা। কালো পোয়া মাছটি আরও বেশি দামে বিক্রি করার আশায় কক্সবাজার ফিশারী ঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে ৩২ কেজি ওজনের বড় পোপা মাছটি ধরা পড়ার খবর তিনি শুনেছেন। সাধারণত এত বড় পোপা মাছ ধরা পড়ে না। এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি (Mycteroperca bonaci)। পোপা মাছের বায়ুথলি বা এয়ার ব্লাডারের কারণে মাছটির মূল্য বেশি। এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হয়, এজন্য মাছটির এত দাম বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২১ ৩:০০ অপরাহ্ন
আড়িয়াল খাঁ নদীতে জেলের জালে ভয়ংকর ‘সাকার ফিস’
মৎস্য

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর উপজেলার পাশে আড়িয়াল খাঁ নদীতে জেলের জালে কালো বর্ণের ডোরাকাটা এক বিরল প্রজাতির মাছ ধরা পড়েছে। মাছটিকে পাড়ে তুললেই উৎসুক জনতার ভিড় জমায়।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে কটিয়াদি বাজারের পার্শ্ববর্তী আড়িয়াল খাঁ নদীতে মাছটি ধরেন জেলে সবুজ মিয়া।

সবুজ মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে জাল দিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদীতে যাই। এসময় কয়েকবার জাল পানিতে ফেলে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ পাই। হঠাৎ আরেকবার অন‌্যান‌্য মাছের সঙ্গে এই অদ্ভুত মাছও দেখতে পাই। কালো রঙয়ের মাছটির মাঝে ডোরাকাটা দাগ রয়েছে। এটি প্রথমে দেখে ভয় পেয়ে যাই। পরে যখন মাছটি পাড়ে তুলে নিয়ে আসি, বাজারের মানুষজন এটা দেখতে ভিড় করে। তারা বিভিন্ন নাম দেয় এই মাছের। কেউ বলে রাক্ষুসে মাছ, কেউ বলে পাখি মাছ। পরে একজন মোবাইলে ছবি তুলে ইন্টারনেটে সার্চ করে জানায় এটা ‘সাকার ফিস’।’

মাছটি সম্পর্কে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘লোকমুখে মাছটি সর্ম্পকে জানতে পারি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি সেটি ‘সাকার ফিস’। এটি দেশীয় কোনো মাছ নয়। মাছটি অনেক সময়ই বিভিন্ন খাল-বিল ও নদী-নালায় জেলেদের জালে ধরা পড়ে। মাছটির জীবনশক্তি অনেক প্রকট। এ মাছটি দেখতে যেমন ভয়ংকর, কাজেও ভয়ংকর। এ মাছটির বংশবিস্তার আমাদের দেশীয় মাছের জন‌্য হুমকি। মাছটি পানিতে থাকা অবস্থায় আশেপাশের ছোট মাছ খেয়ে ফেলে। যদি এমন আরও মাছ এ নদীতে থেকে থাকে তাহলে অন‌্যান‌্য দেশীয় মাছের জন‌্য ক্ষতিকারক হতে পারে।’

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop