৩:৩২ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২১ ১:২৫ অপরাহ্ন
১২০ কেজি জাটকা ইলিশ গেলো এতিমখানা ও মাদ্রাসায়
মৎস্য

পটুয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে ১২০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে র‌্যাব-০৮ এর সদস্যরা। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পাটুখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে এসব জাটকা জব্দ করা হয়।

তবে এ সময় কোনও অসাধু ব্যবসায়ী কিংবা জেলেকে আটক করতে পারেনি র‌্যাব। পরে এসব জাটকা বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

পটুয়াখালী র‌্যাব-০৮ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার শহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব জাটকা জব্দ করা হয়েছে। র‌্যাবের জাটকাবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২১ ৩:৩৪ অপরাহ্ন
পুকুর দখল করে মাছ চাষ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
মৎস্য

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার সোহাসা মৌজার বেলগাউড়া খাস পুকুর। নিয়ম অনুযায়ী পুকুরটি জেলেদের পাওয়ার কথা থাকলেও ২০১৮ সালে স্থানীয় মফিজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি এটি দখল নিতে আদালতে রিট করেন।

আদালত থেকে এর কোনও সমাধান না আসলেও প্রভাব খাটিয়ে পুকুরটি দখলে নেন তিনি। তার মৃত্যুর পর পুকুরটিতে মাছ চাষ করছেন ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন। এ বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন জানান,ভাইয়ের করা রিটেই পুকুর দখলে রেখেছেন তিনি।

বিষয়টি একাধিকবার লিখিতভাবে প্রশাসনের কাছে জানানো হলে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ জেলেদের। ভুক্তভোগী জেলেরা জানান, ইউএনও স্যারের কাছে বিচার দিয়েছি তারা সঠিক বিচার করে সরকারের আয়ের দিকে নিয়ে আসুক।

ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে এমন একটি রিটের কথা স্বীকার করেছে ভূমি অফিস ও ই্‌উএনও।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন বলেন,তার পক্ষে যদি কোন রায় না থাকে তাহলে তো তার জন্য এনট্রি নিষিদ্ধ।আর রিটটা আমরা দেখবো যদি ভুয়া হয়ে থাকে আমরা সরকারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটার ব্যবস্থা করব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২১ ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
দুটি পোয়ামাছের ওজন দেড়মণ ,সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি
মৎস্য

কক্সবাজারের টেকনাফে জেলেদের জালে দুটি বড় পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। কালো পোয়া মাছ দুটির ওজন হয়েছে ৬৪ কেজি ৭০০ গ্রাম। এ ওজনের পোয়া মাছ দুটি বিক্রি হলো সাড়ে সাত লাখ টাকায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন মাছ ধরার নৌকায় জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে পোয়া মাছের দাম বেশি হয়ে থাকে। মাছের বৈশিষ্ট্য অনুসারে দামও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। পুরুষ পোয়া মাছ হওয়ায় মাছ দুটির দাম বেশি পাওয়া গেছে। তবে সেটি সোনালী বর্ণের হলে আরো কয়েক গুণ দাম পাওয়া যেত।

নৌকার মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, গত দুইদিন আগে কয়েকজন জেলে নিয়ে আমার ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকাটি সাগরে মাছ ধরতে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে তারা মাছ ধরে ফিরে আসার পথে জাল তোলার পর দেখতে পায় বড় পোয়া মাছ দুটি। তারা মাছ দুটি নিয়ে কূলে ফিরে আসে। বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে মাছটির দরদাম শেষে কক্সবাজারের এক ব্যবসায়ী মাছ দুটি সাড়ে সাত লাখ টাকায় কিনে নেয়।

ট্রলারের মাঝি হাসু আলী বলেন, তিন দিন আগে সাগরে মাছ শিকারে যায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাল তুললে দুটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়ে। এরপর আমরা ট্রলারে নিয়ে ঘাটে ফিরে আসি। প্রতি বছর মাছ ধরার মৌসুমে এ ধরনের বড় পোয়ামাছ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, টেকনাফ উপকূলে প্রতিবছর দুই চারটা এ ধরনের বড় পোয়া মাছ ধরা পড়ে জেলেদের জালে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে এটির দাম বেশি হয়ে থাকে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হওয়ায় মাছটির কদর রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১০, ২০২১ ৩:০৬ অপরাহ্ন
রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পোনা উৎপাদন ব্যাহত
মৎস্য

ক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র (হ্যাচারি) জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় ডুবতে বসেছে।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ও লোকবল সংকটে রেণু পোনা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। জনবলের ৮২টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৫৯টি। উৎপাদন কমেছে হ্যাচারিরও। তবে সম্ভাবনাময় এ হ্যাচারিকে উজ্জীবিত করতে তিন বছর আগে জনবলসহ ১৩টি সমস্যা চিহ্নিত করে সুপারিশ করেছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি। এতে ৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ফাইল আটকে আছে মন্ত্রণালয়ে। এখনও আলোর মুখ দেখছে না।

সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ভবন ও যন্ত্রাংশ। চাহিদা মতো পোনা না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে মৎস্য চাষিদের। অবশ্য কেন্দ্রটি সংস্কারে আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৮২টি পদের মধ্যে আছেন মাত্র ২৩ জন। তিনজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নেই, শূন্য রয়েছে দক্ষ ফিশারম্যান পদও।
এছাড়া পানি ও বিদ্যুৎসহ সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামোগত সংস্কার না হওয়ায় কেন্দ্রটিতে রয়েছে নানা সংকট।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মৌসুমের বেশিরভাগ সময়ে এখানকার ৭৫টি পুকুরের মধ্যে পানি শূন্য থাকে ২১টি। পাড় ভেঙে গেছে ৪০টি পুকুরের। নাব্য সংকট ও তীব্র তাপে মারা যাচ্ছে রেণু পোনা ও ব্রুড মাছ। কমে গেছে হ্যাচারির কার্যক্রমও। চাহিদানুযায়ী রেণু পোনা পাচ্ছেন না মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, উনারা আগের মতো রেণু দিতে পারছেন না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তাদের রেণু নিতে হয়।
সীমিত জনবল দিয়ে চাহিদামাফিক রেণু পোনা উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার। তিনি জানান, অধিকাংশ পুকুরই ভরাট হয়ে গেছে। এই পুকুরগুলো খননে কাজ করা দরকার। হ্যাচারি বিল্ডিংয়ের অবস্থা খুবই খারাপ বলেও জানান তিনি।  
মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি আগের অবস্থায় নিতে নানা পদক্ষেপের কথা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তিনি বলেন, আধুনিকায়ন করার জন্য একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। এবং তা মন্ত্রণালয়ে জমা হয়েছে।  
লক্ষ্মীপুরে উন্নত জাতের রেণু পোনা উৎপাদন ও মৎস্য চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে যাত্রা শুরু হয় সরকারি এ মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১০, ২০২১ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী
মৎস্য

মোঃ ইফতেখার হোসেন  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) তিনি এ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন।

এ উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

 

মতবিনিময় সভায় নতুন যোগদানকৃত সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীকে স্বাগত জানান মন্ত্রী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের কার্যক্রমকে আধুনিক ও গতিশীল করার জন্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আধুনিক গবেষণাগার ও পরীক্ষাগার স্থাপনসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অঞ্চলভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনামাফিক কার্যক্রমের কারণে দেশে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসমম্পদ খাতের ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রথমবারের মতো নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র অর্থনীতির বিকাশে প্রচলিত মৎস্য সম্পদের পাশাপাশি অপ্রচলিত সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ, শৈবাল আহরণে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সামনের সারিতে থাকবে”।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের ৯ম ব্যাচের সদস্য।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৯, ২০২১ ১২:১২ অপরাহ্ন
এক জালেই ধরা পড়লো ৯০টি লাল কোরাল, তিন লাখে বিক্রি
মৎস্য

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার জাহাজপুরা উপকূলে ৯০টি সামুদ্রিক লাল কোরাল ধরা পড়েছে। স্থানীয় হেলাল উদ্দিন ও আবদুল করিমের জালে একবারেই মাছগুলো ধরা পড়ে।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাছগুলো ঘাটে তোলা হয়। পরে তিন লাখ টাকায় মাছগুলো কিনে নেন এক ব্যবসায়ী।

স্থানীয় যুবক ইরফান আজাদ সাগর বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে জাহাজপুরা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের জাল ও নৌকা নিয়ে বঙ্গোপসাগরের জাহাজপুরা উপকূলে মাছ ধরতে যান আবদুল করিম মাঝি। ঘণ্টা সময় ধরে জাল ফেলার এক পর্যায়ে জাল ভারী হয়ে ওঠে। পরে জাল তুলে দেখা যায় ৯০টি লাল কোরাল ধরা পড়েছে।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তিন লাখ টাকায় মাছগুলো কিনে নেন বলে জানান ওই যুবক। ওই নৌকার কর্মী শহীদুল্লাহ জানান, মাছগুলো ঘাটে তোলার পর তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল আমিন মাছগুলো কিনেছেন।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন বলেন, এক জেলের জালে ৯০টি লাল কোরাল ধরা পড়েছে। পরে মাছগুলো তিন লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৭, ২০২১ ৩:৩৪ অপরাহ্ন
ভাসমান পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষে স্বাবলম্বী ভোলার যুবকরা
মৎস্য

ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে স্বাবলম্বী ভোলার বেকার যুবকরা। স্বল্প পুঁজিতে খাঁচায় মাছ চাষ অধিক লাভবান হওয়ায় দিন দিন এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে যুবকদের। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে এরই মধ্যে অনেকেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফলে দিন দিন খাঁচায় মাছ চাষ বেড়েই চলছে।

জানা যায়, ২০১৬ সালে একটি বেসরকারী সংস্থা থেকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ শেষে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে লাভবান হন স্থানীয় কয়েকজন। সেখান থেকে উৎসাহিত হয়ে বেকার যুবকরা এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে ঝুঁকে পড়েন। এ পদ্ধতিতে স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় এ পদ্ধতিতে মাছ চাষিদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে জিআই পাইপ ও ড্রাম দিয়ে প্রতিটি ভাসমান খাঁচা তৈরিতে খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। যেখানে চাষ হয় মনোসেক্স তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, সরপুটি ও কাপ জাতীয় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

খাঁচায় মাছ চাষি কবির হোসেন বলেন, ৪ বছর আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছিলাম। এখন প্রতিটি খাঁচায় ২৫-৩০ হাজার টাকা করে লাভ হচ্ছে আমার। আমাদের এখানকার অনেক বেকার যুবক এখন খাঁচায় মাছ চাষ করছেন। এতে বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২১ ৩:৫৬ অপরাহ্ন
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ২০ মণ জাটকা ইলিশ জব্দ
মৎস্য

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ মণ জাটকা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। এসময় সাত মাছ ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার রাতে কোস্টগার্ড আলেকজান্ডার আসলপাড়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে জাটকা জব্দ ও ব্যবসায়ীদের আটক করে।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শান্তুনু চৌধুরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জব্দকৃত জাটকা উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২১ ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরে ইলিশের দাম সহনীয়,বাজারের অর্ধেক ইলিশই ডিমওয়ালা
মৎস্য

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মাছবাজারগুলোয় ১০ দিন ধরে যেসব ইলিশ আসছে, সেগুলোর অর্ধেকই ডিমওয়ালা। স্বাদ কম হওয়ায় এসব ডিমওয়ালা ইলিশ তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ এলেও, ভবিষ্যতে ইলিশ উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষকেরা।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টার পর্যন্ত মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর, আমিরাবাদ, সুজাতপুর, এনায়েতনগর ও গজরা এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর, বরদিয়া আড়ং, মুন্সীরহাট ও নারায়ণপুর মাছবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। বাজারগুলোতে দেখা যায়, ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। সেগুলোর একটা বড় অংশ ডিমওয়ালা। ডিমওয়ালা মাছের দাম তুলনামূলক কম। তবে অধিকাংশ ক্রেতা ডিম ছাড়া ইলিশ খুঁজছেন। সেগুলো

উত্তর উপজেলার সুজাতপুর বাজারের মাছবিক্রেতা প্রাণকৃষ্ণ দাস বলেন, এক কেজি ওজনের ডিমওয়ালা ইলিশ ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায়, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায় ও ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ডিমওয়ালা ইলিশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম ছাড়া ইলিশের দাম ওজনভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি।

চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক আনিসুর রহমান বলেন, এবার জেলায় পৌনে ছয় লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতে সারা বছর ইলিশ কমবেশি ডিম ছাড়ে। বেশি ডিম ছাড়ে প্রজনন সময়ে, অর্থাৎ অক্টোবর মাসের অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে। তাই এখন বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ আসায় উদ্বেগের কিছু নেই।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২১ ৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
দুমকিতে সরকারি খালে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ
মৎস্য

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ক্যাচ-ক্যাচিয়া খালে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষ দর্শীসূত্রে জানা গেছে বুধবার দিবাগত রাতে ঐ এলাকার আক্কেল দেওয়ানের পুত্র জামাল দেওয়ান (৩০) ও আঃ রাজ্জাক মৃধার পুত্র মামুন মৃধা (২২) খালে বিষক্ত ঔষধ দেয় এবং সকালে মাছ ধরা অবস্থায় জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী পুলিশের অবসর প্রাপ্ত এসআই গোলাম মোস্তফা হাওলাদার বলেন, তার দুটি পুকুরে চ্যালা দিয়ে খালের বিষক্ত পানি ঢুকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে গেছে।

৪নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার হাফিজুর রহমান ফোরকান বলেন, সরকারি খালে বিষ প্রয়োগে মাছ ধরা দন্ডনীয় অপরাধ,খালের বিষক্ত পানি ব্যবহারে স্ব্যা¯হ্য ঝুঁকিতে পড়েছে ভুক্তভোগী জনসাধারণ। স্থানীয় মুনসুর হাওলাদার, অব: চৌকিদার নজরুল ইসলাম ও মাও.হাবিবুর রহমান দুস্কৃতকারী জামাল ও মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি খালে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যব¯হ্যা গ্রহণের জন্য ইউএনও বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দেন ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান ফোরকানকে।

দুমকি থানার ওসি মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কোন তথ্য জানানো হয়নি, তবে অভিযোগ করলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop