৪:৩০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১১:০৭ অপরাহ্ন
পুকুরে মিলল ২০ ইলিশ
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়ায় পুকুরে মিললো ২০টি ইলিশ মাছ। আশ্চর্যজনক এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই ইলিশ দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমান স্থানীয় অনিমেষ মণ্ডলের পুকুর পাড়ে।

জানা যায়, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার লতাবুনিয়া গ্রামের অনিমেষ মণ্ডল শুক্রবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলে নিয়ে মাছ ধরতে পুকুরে নামেন। এরপর তাদের জালে একে একে ২০টি তাজা ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।

খুলনা জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের লতাবুনিয়া গ্রামের একটি পুকুরে ২০টি ইলিশ মাছ পাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম।

তিনি বলেন, ‘চটচটিয়া নদীর ১০০ ফুট দূরে অনিমেষের ১২০ শতক জমির একটি ঘের রয়েছে। এই ঘেরে জোয়ারের সময় পানি তোলা হয়। এ কারণে ওই পানির সঙ্গে জাটকা ঘেরে আসতে পারে। আর ওই ঘেরের পাশেই রয়েছে অনিমেষের পুকুর। সেখানে ৬-৭ ফুট পানি থাকে। ঘেরের পানি ওই পুকুরে মেশে। আবার বর্ষার সময় এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পানির সঙ্গে নদী থেকে জাটকা ঘের হয়ে পুকুরে আসতে পারে। আর ইলিশ গভীর পানির মাছ। হয়তো ছোট পোনা পানির সঙ্গে ঢুকে পড়ে বদ্ধ জায়গায় ৬-৭ ফুট পানিতে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে ইলিশ চাষ করা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সুখবর পাওয়ার আশা করতে পারি।’

অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। এর আগে আমরা কখনও পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। পুকুরে কীভাবে ইলিশ এলো তা আমাদের জানা নেই।

স্থানীয় প্রবীণ জেলে সুকুমার বলেন, ‘নদীর সঙ্গে ওই পুকুরের সরাসরি কোনও সংযোগ নেই। মাঝে ঘের রয়েছে। ঘেরে নদী থেকে পানি তোলা হয়। আবার বর্ষায় পানিতে সব একাকার হয়ে যায়। এ অবস্থায় ওই পুকুরে ইলিশ পাওয়া গেলো।’

ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ হয়– বিষয়টি এমন নয়। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রশান্ত মল্লিক বলেন, ‘বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিষয় না। অনিমেষের পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।’

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৩:৩২ অপরাহ্ন
পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা, পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা, পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক-সহ সকলকে পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।

নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার বালাপুর নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জীবনকে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে প্রকৃত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। জাতিকে উন্নত করতে, স্বাবলম্বী করতে শিক্ষিত হতে হবে এবং অন্যদেরও শিক্ষা গ্রহণে উদবুদ্ধ করতে হবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধনের পাশাপাশি একজন সুনাগরিক ও আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শে উদবুদ্ধ করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা সংগ্রামী ও দেশের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত জাতীয় নেতৃবৃন্দের সংগ্রামী জীবন কাহিনী তাদের জানাতে হবে।  আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য তাদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মোঃ গিয়াস উদ্দিন বাবু; মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান, বিদ্যালয়টির সভাপতি ও পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম এবং বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবদুস সবুর প্রমুখ।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
পুকুরপাড়ে সবজি চাষে সফল ঈশ্বরদীর চাষিরা
কৃষি গবেষনা

দুটি পুকুরে মাছ চাষ করেন মারমী গ্রামের সুজন দেওয়ান। তিনি জানান, মাছ চাষের পাশাপাশি কলা, পেঁপে, বেগুন ও শিমের আবাদ করেছেন। বিষমুক্ত এসব সবজি পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে মাছ চাষের খরচ তুলেছেন। পুকুরে যারা মাছ চাষ করেন; তারা যদি পুকুরপাড় ফেলে না রেখে সবজি ও দেশীয় ফল আবাদ করেন, তাহলে ফল-মূল বিক্রি করে মাছ চাষের খরচ কমে যাবে।

পুকুরপাড়ে সবজি ও দেশীয় ফলের আবাদ করে পাবনার ঈশ্বরদীর মাছ চাষিদের ভাগ্য বদলে গেছে। মাছ চাষের ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ লভ্যাংশ আসে পুকুরপাড়ে সবজি ও দেশীয় ফল-মূলের আবাদে।

ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ও মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রায় ৬ শতাধিক পুকুরপাড়ে মাছ চাষিরা পরিকল্পিতভাবে সবজি ও দেশীয় ফলের আবাদ করছেন। দাশুড়িয়া ও মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামজুড়ে পদ্ম ও চামগড়া বিল। বছরজুড়েই জলাবদ্ধতার কারণে এ বিলের বেশিরভাগ জমিতে একসময় কোনো ফসল ফলতো না। বিলের অল্প জমিতে ফসল হলেও সেগুলো এক ফসলি জমি। তাই এসব জমিতে যারা পুকুর খনন শুরু করেন। বিলগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিশাল বিলের যতদূর চোখ যায়, সবুজের হাতছানি। পুকুরপাড়ের মাচায় ঝুলছে লাউ, কুমড়া, শসা, ঝিঙা, শিম, বরবটি, পুঁইশাক। পাশাপাশি ঢ্যাঁড়শ, করলা, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হচ্ছে। এ ছাড়াও পুকুরপাড়ে দেশীয় কলা ও পেঁপের ব্যাপক ফলন হয়েছে।

শতাধিক পুকুর খনন করা হয়। পুকুরের পাড় চওড়া করে তৈরি করা হয়, যাতে সবজি ও দেশীয় ফলের চাষ করা যায়। ‘ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে’-এ ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন মাছ চাষিরা। মাছের পাশাপাশি সবজি ও ফল চাষ করে অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পুকুরপাড়সহ আবাদযোগ্য কোনো জমি যেন পতিত না থাকে। সেজন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা তৎপর। কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা পুকুরপাড়, বাড়ির আঙিনা, পরিত্যক্ত জমিতে ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম মাঝি জানান, ‘মারমী, শ্যামপুর, সুলতানপুর, হাতিগড়াসহ ১০ গ্রামের মধ্যবর্তী পদ্ম ও চামগড়া বিলজুড়ে প্রায় ৬০০ পুকুর। এসব পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুরপাড়ে সবজি চাষ করে চাষিদের দিন বদলে গেছে। এখন তারা স্বাবলম্বী।’

উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, ২০১৭-১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী এ উপজেলায় পুকুর আছে ২,৪৭৬টি। বর্তমানে পুকুরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা এসেছে। তাই পুকুরের পাড়ে সবজি ও দেশীয় ফলের চাষাবাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সুফল পাওয়া গেছে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৪, ২০২৩ ২:৫৬ অপরাহ্ন
পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ
মৎস্য

পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ করার উপায় আমাদের দেশের অনেক মৎস্য চাষিরাই জানেন না। নদী-নালায় মাছ কমে যাওয়ায় এখন অনেকেই তাদের পুকুরে মাছ চাষ করছেন। পুকুরে চাষ হওয়া মাছগুলোর মধ্যে তেলাপিয়া মাছ অন্যতম। আজকে জেনে নিব পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ সম্পর্কে-

পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষঃ
আমাদের দেশে মাছ চাষ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তেমনই হচ্ছে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতি। এই চাষ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে দারুণ সফল হচ্ছেন চাষিরা। এ ধরনের মাছ চাষের জন্য প্রথমে পুকুরে মলা মাছ ছাড়তে হবে তারপর তেলাপিয়া। মাছ বড় হলে আগে মলা মাছ ধরতে হবে। কারণ বাজারে এর চাহিদা অনেক। মলা মাছ বড় হতে কম সময় লাগে। মলা মাছে লাভের পরিমাণও অনেক বেশি।

প্রথমেই পুকুরে বিষ দিয়ে অবাঞ্ছিত মাছ দূর করে তার পরদিন পুকুরের তলদেশের অবস্থা বুঝে শতাংশপ্রতি আধা কেজি থেকে এক কেজি চুন দিয়ে এর ছয়-সাতদিন পর শতাংশপ্রতি শূন্য দশমিক ৩ মিলি পিপিএম হারে সুমিথিয়ন প্রয়োগ করতে হবে।

একদিন পর পুকুরে মলা মাছের রেণু ছাড়তে হবে। আমাদের বর্তমান চাষ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি ৫০ শতাংশের পুকুরে এক হাপা মলা মাছের রেণু দিতে হবে। তারপর এ মলা মাছের ওপর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা ছাড়তে হবে।

মাছের বয়স যখন ৯০ দিন পূর্ণ হবে সেদিন মলা মাছ বাজারজাত করার পরিকল্পনা করতে হবে। তেলাপিয়া বাজারজাত হবে আরও পরে। সঠিকভাবে মাছের যত্ন নিলে ৯০ দিন পর মলা মাছ ২০০ থেকে ৩০০ পিসে কেজি হবে।

এভাবে মাছের বয়স ৯০ দিন হলে আনুমানিক ৯০ শতাংশ মলা মাছ বিক্রি করে ১০ শতাংশ মলা মাছ তেলাপিয়ার সাথে রেখে দিতে হবে। তারপর তেলাপিয়া সাইজ হওয়ার আগ পর্যন্ত চাষে রেখে দিতে হবে ৫০ কেজি উৎপাদন হওয়ার আগ পর্যন্ত।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৭, ২০২২ ৩:৫১ অপরাহ্ন
পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়ার চাষ করবেন যেভাবে
মৎস্য

পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ করার উপায় আমাদের দেশের অনেক মৎস্য চাষিরাই জানেন না। নদী-নালায় মাছ কমে যাওয়ায় এখন অনেকেই তাদের পুকুরে মাছ চাষ করছেন। পুকুরে চাষ হওয়া মাছগুলোর মধ্যে তেলাপিয়া মাছ অন্যতম। আজকে জেনে নিব পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ সম্পর্কে-

পুকুরে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া মাছের চাষ:
আমাদের দেশে মাছ চাষ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তেমনই হচ্ছে মলা মাছের সাথে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতি। এই চাষ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে দারুণ সফল হচ্ছেন চাষিরা। এ ধরনের মাছ চাষের জন্য প্রথমে পুকুরে মলা মাছ ছাড়তে হবে তারপর তেলাপিয়া। মাছ বড় হলে আগে মলা মাছ ধরতে হবে। কারণ বাজারে এর চাহিদা অনেক। মলা মাছ বড় হতে কম সময় লাগে। মলা মাছে লাভের পরিমাণও অনেক বেশি।

প্রথমেই পুকুরে বিষ দিয়ে অবাঞ্ছিত মাছ দূর করে তার পরদিন পুকুরের তলদেশের অবস্থা বুঝে শতাংশপ্রতি আধা কেজি থেকে এক কেজি চুন দিয়ে এর ছয়-সাতদিন পর শতাংশপ্রতি শূন্য দশমিক ৩ মিলি পিপিএম হারে সুমিথিয়ন প্রয়োগ করতে হবে।

একদিন পর পুকুরে মলা মাছের রেণু ছাড়তে হবে। আমাদের বর্তমান চাষ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি ৫০ শতাংশের পুকুরে এক হাপা মলা মাছের রেণু দিতে হবে। তারপর এ মলা মাছের ওপর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা ছাড়তে হবে।

মাছের বয়স যখন ৯০ দিন পূর্ণ হবে সেদিন মলা মাছ বাজারজাত করার পরিকল্পনা করতে হবে। তেলাপিয়া বাজারজাত হবে আরও পরে। সঠিকভাবে মাছের যত্ন নিলে ৯০ দিন পর মলা মাছ ২০০ থেকে ৩০০ পিসে কেজি হবে।

এভাবে মাছের বয়স ৯০ দিন হলে আনুমানিক ৯০ শতাংশ মলা মাছ বিক্রি করে ১০ শতাংশ মলা মাছ তেলাপিয়ার সাথে রেখে দিতে হবে। তারপর তেলাপিয়া সাইজ হওয়ার আগ পর্যন্ত চাষে রেখে দিতে হবে ৫০ কেজি উৎপাদন হওয়ার আগ পর্যন্ত।

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২২ ৪:৫০ অপরাহ্ন
বিষপ্রয়োগে তিন পুকুরের মাছ নিধন!
মৎস্য

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৫-৬ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। তিনটি পুকুরের মধ্যে একটি পুকুরে এমন ক্ষতিতে মাছ চাষি আলাউদ্দিনের এখন দিশেহারা।

আশংকায় আছেন তার অন্য দুইটি পুকুরের মাছ নিয়ে।

রোববার (২৭ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে।

মাছ চাষি আলাউদ্দিন জানান, আমি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকসা এলাকায় তিনটি পুকুরে প্রায় ১ একর জায়গার উপর পুকুর খনন করে আমি কয়েক বছর ধরে পুকুরে মাছ চাষ করছি।

এর মধ্যে একটি পুকুরে এবার পুকুরে রুই,সিলভারকাপ, বৃগেড, মৃগেল, কাতলা, সরপুঁটি, ঘাসকাপ, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেছি। এতে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো। কিন্তু রোববার ভোর রাতের কোনো এক সময় আমার ক্ষতিকরার উদ্দেশ্যে কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়েছে। সকালে এসে দেখি মাছ গুলো পুকুরের পানিতে ভেসে উঠছে।

প্রথমে গ্যাসের অভাবে মাছ মরে ভেসে উঠছে ভাবলেও সকালে পুকুরের পাড়ে দুটি শপিং বেগ পরে থাকতে দেখি। মনে হচ্ছ পুকুরে বিষ প্রয়োগের কারণেই সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে আমার প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা এমন একটি সংবাদ পেয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, এই বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ দায়ের করা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ ৩:৪৬ অপরাহ্ন
এক রাতেই মরে গেল প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ!
মৎস্য

পুকুরে ভেসে উঠল অসংখ্য মরা মাছ। এক রাতেই মরে গেল ৮ লাখের বেশি টাকার মাছ।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁর ইউনিয়নের দাউল (করজবাড়ী) গ্রামে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় পুকুরের মালিক মো. গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মহাদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

কী কারণে এমনটি ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা তা পরিষ্কার নয় এখনও। তবে ভুক্তোভোগী গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এমনটি ঘটানো হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত কছিমুদ্দিনের ছেলে গোলাম কিবরিয়া কৃষি কাজের পাশাপাশি তার গ্রামেই নিজস্ব ৮৪ শতাংশ একটি পুকুরে মাছ চাষ করছেন। গত রোববার তিনি পরিবারসহ অন্যত্র বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে রাতের কোন এক সময় কে বা কাহারা তার পুকুরে কীটনাশক বিষ প্রয়োগ করে।

সোমবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুকুরে এসে দেখতে পান, পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরে থাকা ১১০ থেকে ১২০ মণ মাছ মারা যায়। এতে তার ৮ লাখের বেশি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

মৎস্যচাষী কৃষক গোলাম কিবরিয়া আরও জানান, পুকুরে পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১২ হাজার মাছ ছিল। প্রতিটি মাছের ওজন হয়েছিল প্রায় ১ কেজি। কিন্তুপূর্ব শত্রুতার জেরে রোববার রাতের কোন এক সময় কে বা কাহারা আমার ক্ষতি করার লক্ষ্যে বিষ প্রয়োগ করে এ মাছগুলো নিধন করে।

মাতাজীহাট ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই আব্দুল মতিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুরে বিষ প্রয়োগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জে মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগে আড়াই লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিষ প্রয়োগে একটি মৎস্য খামারের আড়াই লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। 

অভিযোগে জানা যায়, জালার হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধখলা গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে মো. গোলাপ মিয়া নিজস্ব অর্থায়নে ৮ বছর যাবৎ ১ একর ১০ শতক জমিতে মৎস্য খামার তৈরি করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। শনিবার রাতে দূর্বৃত্তরা পানিতে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১১০০ কেজি মাছ নিধন করে।

রোববার সকালে মৎস্য খামারে শত শত মাছ পানির ওপর ভাসতে দেখে খামারের মালিক গোলাপ মিয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এতে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
বৃদ্ধাশ্রমের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত
মৎস্য

নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রাতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বৃদ্ধাশ্রমের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। 

পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ-এমপি’র প্রতিষ্ঠিত শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বৃদ্ধাশ্রমের পুকুরে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ২০০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন আগৈলঝাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মো. আশিকুর রহমান, জেলা মৎস্য অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোহম্মদ আলম বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
মাছ চাষে লাভবান হতে পুকুরে যেসব যত্ন নেওয়া জরুরী
মৎস্য

বর্তমানে অনেকেই মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তবে এখন আর আগের মত কেউ মাছ চাষ করে না। আধুনিক পদ্ধতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাছ চাষ হচ্ছে। আরও বেশি সফলতা লাভ করতে হলে প্রতি মাসে পুকুরের কয়েকটি যত্ন করা আবশ্যক। কারণ মাছ চাষ করতে গিয়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়েন। মনে রাখতে হবে মাছ চাষে সফলতা পেতে নিবিড় পরিচর্যার বিশেষ প্রয়োজন। বিশেষ করে নিয়ম মেনে পরিচর্যা করে মাছ চাষ করতে হবে। তবেই সফলতা লাভ করা যাবে।

শুধু পুকুর খনন করে মাছ চাষের দিকে না ঝুঁকে বরং পুকুর বেশি গভীর করে বেশি মাছ চাষ করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। যাকে বলা হয় ভার্টিক্যাল বিস্তার। মাছ চাষে সফলতা পেতে প্রতি মাসে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।

মাছ চাষের জন্য পুকুর তৈরি করতে গেলে গভীর করে এটি খনন করুন। হুবার বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পুকুরের তলায় জমে থাকা কাদা উঠিয়ে নিতে হবে। প্যাডেল হুইলার ব্যবহার করে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। প্রতি ১০ দিন অন্তর অন্তর পানি অর্ধেক বদল করবেন।

অন্যদিকে মাসের ৫ তারিখ শতাংশে ৫০০ গ্রাম হারে পাথুরে চুন ভিজিয়ে ঠান্ডা করে সারা পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। মাসের ১৫ তারিখ শতাংশে ২৫০ গ্রাম হারে লবণ গুলিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। মাসের ২৫ তারিখ শতাংশে ১০ গ্রাম হারে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট গুলিয়ে সারা পুকুরে ছিটিয়ে দেওয়া জরুরি।

বিভিন্ন ধরনের খাদ্য তৈরি করে ১-৫ শতাংশ হারে প্রতিদিন দিতে হবে। সাত দিন পরপর হররা (ভারী লোহার চেইন) টানা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop