৫:৩০ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১ ২:৪৪ অপরাহ্ন
বাঘাইছড়িতে মৎস্য চাষীদের সমবায় সমিতির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
মৎস্য

​রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে স্থানীয়ভাবে মাছের চাহিদা মিটাতে, কর্মমুখী মানুষ মাছ চাষে উদ্যোগী হয়ে উঠছেন। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে চাষীরা ‘বাঘইছড়ি মৎসচাষী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ গঠন করেন।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উক্ত সমবায় সমিতি লিমিটেড পরিচিতি সভা ওসমান গনি’র সভাপতিত্বে ও নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

পরিচিতি সভায় অতিথি উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাইয়ুম,বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র মোঃ জাফর আলী খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ আলী হোসেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি দীলিপ কুমার দাশ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নব আলো চাকমাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী মাছ চাষিগন।

এ সময় বক্তারা বলেন, উপজেলায় মাছের ঘাটতি রয়েছে, আশা করি মাছ চাষে আপনাদের সতস্ফুর্ত প্রচেষ্টা বাঘাইছড়িবাসীর মাছের চাহিদা মিটাতে সহায়তা করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১ ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
মাছ চাষে তাক লাগিয়েছেন শাখাওয়াত
মৎস্য

শখের বশে নিজ এলাকায় মাছ চাষ করে এখন সফল্যের পথে হাঁটছেন তরুণ উদ্যোক্তা শাখাওয়াত। বর্তমানে তার ৬ টি পুকুর রয়েছে, যার পরিমাণ ৩০ বিঘা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা শাখাওয়াত হোসেন।

মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছে আরও দুই তরুণ। তিনজনই তারা মাস্টার্স পাস। চাকরি যখন সোনার হরিণ তখন ঘরে বসে না থেকে উদ্যোক্তা হয়ে আয় রোজগার করা তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শাখাওয়াত হোসেন জানান, ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করে আমি মাছে চাষ শুরু করি। মাছ চাষ করাটা আমার নেশা। সে সময় আমি ৫ কাঠার একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। এ ছাড়া আমার একটি ফিস ফিডের দোকান রয়েছে। মাছ চাষের পাশাপাশি আমি লেখাপড়ায় জড়িত থাকি।

এক পর্যায়ে আমি মাস্টার্স পাস করি। মাস্টার্স পাশ করার পরে আমি এ ব্যবসায় বেশি মনোনিবেশ করি। এখন এটাকে আমি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছি। যে পুকুরগুলোতে আমি মাছ চাষ করি তাতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার মাছ ছাড়া হয়েছে, এবং তাতে খরচ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।

উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। ৬ প্রজাতির মাছ যেমন রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকাপ, পাবদা মাছ। সামনে আবার উন্নত প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোমস্তাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, শাখাওয়াতের পুকুরে আমরা প্রায়ই যায়। ইতিমধ্যে তাকে সাধ্যমতো সাহায্য করা হয়েছে। এয়ারেটর মেশিনসহ করোনাকালীন প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এ উপজেলার কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গৃহীত পদক্ষেপের সুফল হিসেবে ভবিষ্যতে জেলায় মাছ উৎপাদনের পরিমাণ আরো বাড়বে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১ ৫:৩১ অপরাহ্ন
জকিগঞ্জে অভয়াশ্রম থেকে মাছ লুট
মৎস্য

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশাহ ইউনিয়নের চৌধুরীবাজারস্থ ‘কুল গাঙ’ মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে গত তিনদিন ধরে থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে মানুষ। গতবছরও একইভাবে ওই অভয়াশ্রম থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার আগে এবারো অভয়াশ্রম থেকে মাছ হরিলুট চলছে।

এদিকে প্রকাশ্যে অভয়াশ্রম থেকে মাছ লুটের ঘটনা ঘটলেও নীরব উপজেলা প্রশাসন। শনিবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের লোকজন ও থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এমনকি এ ঘটনায় সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতেও পারেনি।

সিলেট জেলার ১৩টি মৎস্য অভয়াশ্রমের মধ্যে জকিগঞ্জ উপজেলার একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম এটি। কয়েক বছর আগে কাজলশাহ ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারস্থ ‘কুল গাঙ’ নামের খালটি সংরক্ষিত এলাকা চিহ্নিত করে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। গত বছর একটি চক্র নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ লুট করে নিয়ে যায়। মাছ লুটের সময় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অনেক বাধা বিপত্তি আসে। গত বুধবার থেকে ফের ওই অভয়াশ্রমে মাছ লুট শুরু করে স্থানীয়রা। তবে এবার আর কেউ বাধা দিতে আসেননি। টানা চারদিন দিন ধরে অভয়াশ্রমের পার্শ্বর্শবর্তী গোটারগ্রাম, পশ্চিম গোটারগ্রাম, কড়ইমুড়া, মঙ্গলশাহ, উত্তর জামুরাইল, দক্ষিণ জামুরাইল গ্রামের মানুষ অবাধে মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাছ লুটের বিষয়টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবগত করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের চাপে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে যান তিনি। তবে তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে চলে আসেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু তাহের চৌধুরী বলেন, স্থানীয় লোকজন মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের সরকারি কোনো পাহারাদার নেই। খবর পেয়ে আমাদের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সে সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। গতবছরও মাছ লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আইনি পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু স্থানীয়দের কারণে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনার তদন্তে কেউ স্বাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমি আক্তার জানান, মাছ লুটের খবর পেয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তারা যাওয়ার পরে কাউকে পায়নি। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বছর মাছ লুট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সে ঘটনায়ও আমি এবং সহকারী কমিশনার (ভুমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিন্তু আমরা কাউকে ঘটনাস্থলে পাইনি। কাউকে না পেলে কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তবে এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১ ৫:১০ অপরাহ্ন
আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি ইলিশের, হতাশ ক্রেতারা
মৎস্য

ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহের ব্যবধান ৩ গুণ ইলিশ মাছ আমদানি হয়েছে। কিন্তু কিছু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হওয়ার কারণে কোনোভাবেই কমছেনা দাম। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। গত সপ্তাহে বাজারে ৫০০ গ্রাম সাইজের এক কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দরে। অন্যদিকে, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশের প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৩’শ টাকা থেকে ১৪ ‘শ টাকা দরে। পাঁশাপাশি এক কেজি অথবা দেড় কেজির একটু বেশী ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৫’শ টাকা থেকে ১৬’শ টাকা দরে।

বাজারে দেখা যায় গত সপ্তাহের চেয়ে ইলিশের আমদানি প্রায় তিনগুণ। কিন্ত দামও বেশী আবার ক্রেতাও কম। প্রতারণাও অব্যাহত রয়েছে এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।

এই বিষয়ে হায়দার আলী নামের একজন মাছ ব্যবসায়ী জানান, কি বলবো ভাই ক্রেতারা আসে বরিশালের মাছ কিনতে কিন্ত তারা কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। এ কারণে মানুষ বিরক্ত হয়ে মাছের কাছে যায় না। দেখা যায় বাজারে বহু ইলিশ কিন্ত ক্রেতা নাই।

শরীয়তুল্লা বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ লাবলু মিয়া জানান, মানুষ নানান ভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছে ইলিশ মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। কেউ কেউ মাপে কম দিচ্ছে আবার কেউ বরিশালের ইলিশ বলে বেশী দাম নিয়ে ক্রেতাকে ঠকাচ্ছেন।মাছ ব্যবসায়ীরা চাঁদপুর ও চট্রগ্রামের নিম্নমানের এবং অস্বাদের ইলিশ মাছই বরিশালের মাছ বলে বিক্রি করেছে ক্রেতাদের কাছে।

তিনি আরো জানান, ফরিদপুরবাসীর ভাগ্য বঞ্চিত করে যারা বরিশালের ইলিশ গোপনে কালোবাজারি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১ ৫:২৭ অপরাহ্ন
পদ্মায় ধরা পড়ল ১৮ কেজি ওজনের কাতলা, বিক্রি ২৫ হাজার টাকা!
মৎস্য

রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে বিশাল আকৃতির একটি কাতলা মাছ।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গুরুদেব হলদার নামে এক জেলের জালে ধরা পড়ে ১৮ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের এই মাছটি।

শনিবার সকালে মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়ার সকু মোল্লার আড়তে আনেন ওই জেলে। পরে সেখান থেকে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা ১৪০০ টাকা কেজি দরে মোট ২৫ হাজার ৪৮০ টাকায় মাছটি কিনে নেন। এসময় মাছটি দেখতে ভিড় জমান উৎসুক জনগণ। পড়ে মাছটি ফেরি ঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে নদীতে বেঁধে রাখা হয়।

মো. চান্দু মোল্লা জানান, সকালে সকু মোল্লার আড়ত থেকে ১৪০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনেছেন তিনি। এখন লাভে বিক্রি করতে মোবাইলে দেশের বিভিন্ন স্থানের বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।পদ্মা নদীর মাছের চাহিদা অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১ ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
ছোট জলাশয়ে কৈ মাছ চাষ করবেন যেভাবে
মৎস্য

বর্তমানে বাজারে কৈ মাছের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এছাড়াও অনেক উদ্যোক্তা কৈ মাছের বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করেছেন। এই মাছ ছোট কোন জলাশয়েও ব্যাপক চাষ করা যায়। জেনে নিন ছোট জলাশয়ে কৈ মাছের চাষ পদ্ধতি।

কই মাছ চাষের পুকুর নির্বাচন
কৈ মাছ যেকোন ভাবেই চাষ করা যায় । এটি সাধারণত খাল এবং বিলে পাওয়া যায়।
খ) তবে বর্তমানে আমাদের দেশে এই মাছকে পুকুর কিংবা ছোটখাট জলাশয়ে চাষ করা হচ্ছে। কৈ মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে প্রথমে উপযুক্ত পুকুর নির্বাচন করতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে পুকুরের পাড় যেন সর্বদা মজবুত ও বন্যামুক্ত থাকে। এছাড়াও পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে ও পুকুরটি যেন জলজ আগাছামুক্ত থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কৈ মাছ চাষ করার সঠিক সময়/মৌসুম
বাড়িতে কৈ মাছ চাষ করার জন্য আপনি বছরের যেকোন সময় নির্বাচন করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন কৈ মাছ বছরে একবার প্রজনন করে। প্রজনন কাল মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস। এই সময়ে কৈ মাছের চাষ করা উত্তম। যে পুকুরে কিংবা যেকোন ধরণের ছোটখাট জলাশয়ে কৈ মাছের পোনা ছাড়ার ক্ষেত্রে আপনাকে সকাল অথবা সন্ধ্যা এই দুই সময়ের যেকোন একটি নির্বাচন করতে হবে। কারণ এসময় তাপমাত্রা সহনীয় অবস্থায় থাকে । তা না হলে মাছ মরে যেতে পারে।

যেভাবে কই মাছের পোনার যত্ন নিতে হবে
কই মাছ যেহেতু মিঠা পানির মাছ সেহেতু এই মাছ চাষ করার আগে পোনা সংগ্রহ করতে হবে।্মাছ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন হ্যাচারীতে যোগাযোগ করতে পারেন আজকাল বাণিজ্যিকভাবে অনেক হ্যাচারি মাছের পোনা উৎপাদন করে থাকে।এখন বর্তমানে কৈ মাছের পোনা পলিব্যাগে কিনতে পাওয়া যায় । আপনি সেখান থেকেও পোনা আহরন করতে পারেন ।
তবে পোনা ছাড়ার পর আপনাকে পোনার সঠিক নিয়মে যত্ন নিতে হবে ।

সঠিক নিয়মে কৈ মাছের চাষাবাদ পদ্ধতি/কৌশল:
পুকুরে কৈ মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে সঠিক নিয়ম অবলম্বন করতে হবে । পুকুরে পোনা ছাড়ার ক্ষেত্রে প্রথমে অক্সিজেন ব্যাগে পরিবহন কৃত পোনা ব্যাগ সহ পানিতে ভাসিয়ে রাখতে হবে । এরপর পরিবহনকৃত ব্যাগের পানি ও পুকুরের পানির তাপমাত্রা একই মাত্রায় আনতে হবে । তারপর ব্যাগের মুখ খুলে পুকুরের পানি অল্প অল্প করে ব্যাগে দিতে হবে এবং ব্যাগের পানি অল্প অল্প করে পুকুরে ফেলতে হবে । ৪০-৫০ মিনিট সময় ধরে এরূপভাবে পোনাকে পুকুরের পানির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে ।

কৈ মাছের খাবারের পরিমাণ ও সঠিক নিয়মে খাবার প্রয়োগ:
কৈ মাছ চাষ করা অত্ত্যন্ত সহজ কেননা এই মাছ চাষ করতে বেশি পরিমাণে খাবারের প্রয়োজন পড়েনা।ভাল ফলন পেতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দিতে হবে সেটা হতে পারে খৈল, ফিশমিল সহ অন্যান্য খাদ্য।এতে মাছের ভাল ফলন পাওয়া যায় ।

কৈ রোগ বালাই ও তাঁর প্রতিকার:
কৈ মাছের মূলত তেমন কোন রোগ বালাই হয় না। তবে মাঝে মধ্যে মাছের গায়ে সাদা ফুসকুড়ি দেখা যায়।এটা দেখা গেলে সাথে সাথে পানিতে উপযুক্ত ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। তবে শীত মৌসুমে থাই কৈ মাছ ক্ষত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।তাই শীত আসার পূর্বেই পুকুরে যথাসময়ে চুন প্রয়োগের পাশাপাশি পুকুরের পানি ও মাছের স্বাস্থ্য সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

কৈ মাছ চাষে সার প্রয়োগ:
কৈ মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে পুকুরে বা জলাশয়ে সঠিক নিয়মে সার প্রয়োগ করতে হবে । মাঝেমধ্যে ইউরিয়া এবং অন্যান্য সার প্রয়োগ করতে হবে ।এতে পানির গুণাগুণ বজায় থাকে এবং মাছের কোন ক্ষতি হয় না। বরং এতে মাছের বৃদ্ধি অনেক ভাল হয় ।

কৈ মাছ চাষে রাক্ষুসে মাছ দূরীকরণ:
বাড়িতে পুকুর কিংবা যেকোন ধরণের ছোটখাট জলাশয়ে কৈ মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে প্রথমে পুকুরের রাক্ষুসী মাছ দূর করতে হবে ।যেমন শোল, টাকি, গজার, বোয়াল, ইত্যাদি হল রাক্ষুসে মাছ । এই মাছ কৈ মাছের পোনা খেয়ে ফেলে ।
যার ফলে মাছের ভাল ফলন পাওয়া যায় না । তাই সর্বপ্রথম রাসায়নিক সারের মাধ্যেমে এই সকল মাছ দূরীভূত করতে হবে ।
রাক্ষুসে মাছ নিধন করার জন্য সবথেকে ভাল পদ্ধতি হল পুকুর একেবারে শুকিয়ে ফেলা।

কিভাবে কৈ মাছের যত্ন নিবেন:
বাড়িতে কই মাছ চাষ করার জন্য সব সময় মাছের খাদ্য ও পুকুরেরে পানির গুণাগুণ বজায় রাখার দিকে মনযোগ দিতে হবে।
পুকুরের পানি যাতে রোদে গরম হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পুকুরের পানি বেশি গরম হলে মাছ মারা যেতে পারে।
তাই কৈ মাছ যেন পুকুর থেকে উঠে যেতে না পারে সে জন্য বাঁশের তৈরী বেড়া বা নাইলনের নেট দিয়ে পুকুরের চার দিকে বেড়া দিতে হবে ।

ছাড়াও যদি পানির কোন সমস্যা হয় তাহলে পানি পরিবর্তনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে পানিতে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করে পানির সঠিক মান ফিরিয়ে আনতে হবে।এছাড়াও পুকুরের বা জলাশয়ের তলদেশ সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নন রাখতে হবে। মাছের যত্ন নিতে হবে।
পুকুরে অতিরিক্ত কাদা থাকলে তা উঠিয়ে ফেলতে হবে কারণ অতিরিক্ত কাদা পুকুরে গ্যাস সৃষ্টি করে।

কৈ মাছের খাদ্য গুণাগুণ:
কৈ মাছের মধ্যে অনেক ধরনের খাদ্য গুনাগুন রয়েছে। এই মাছটি খেতে অনেক সুস্বাদু।
পুষ্টির দিক দিয়ে এই মাছে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে।

কখন কৈ মাছ সংগ্রহ করবেন:বাড়িতে পুকুরে কিংবা যেকোন ধরণের ছোটখাট জলাশয়ে কৈ মাছের চাষ করার পর তা বেশ তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে।
কৈ মাছ সঠিক অনুপাতে বড় হলে আপনি কৈ মাছ সংগ্রহ করতে পারেন।

কি পরিমাণে কৈ মাছ পাবেন:
বাড়িতে পুকুর কিংবা যেকোন ধরণের ছোটখাট জলাশয়ে সঠিক নিয়মে কৈ মাছ চাষ করলে সেখান থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে কৈ মাছ পেতে পারেন। যা আপনার পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে আপনি ইচ্ছা করলে এই মাছ বাজারে বিক্রিও করতে পারেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১ ৬:২৬ অপরাহ্ন
অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগে ৪৪ জেলে আটক
মৎস্য

সুন্দরবনের নদীখালে অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগে ফিশিং ট্রলারসহ ৪৪ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ। আটক করা ফিশিং ট্রলারগুলো হল- ‘এফবি মায়ের দোয়া’, ‘এফবি মামা-ভাগ্নে’, ‘এফবি তাহিরা-১’ ও ‘এফবি ইউসুফ’।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বাগেরহাট কার্যালয়ের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের মেহের আলীর চর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

ট্রলার চারটির মালিক পিরোজপুরের রাজা মিয়া ও মোশারেফ হোসেন নামে দুই মাছ ব্যবসায়ীর বলে বনবিভাগ জানিয়েছে। তবে আটক জেলেদের বাড়ি কোথায় তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি।

বেলায়েত জানান, অবৈধভাবে প্রবেশ করে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী খালে জেলেরা মাছ শিকার করছে খবরে বনবিভাগের বিশেষ দল ঘটনাস্থলে যায়।

এ সময় মাছ ধরার জন্য বনবিভাগের অনুমতির (পাশ পারমিট) কাগজ দেখাতে না পারায় চারটি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৪ জেলেকে আটক করে দুবলা জেলে পল্লীর বনবিভাগের টহল ফাঁড়িতে রাখা হয়। আইন লঙ্ঘন করায় আটক জেলেদের জরিমানা করা হবে বলে জানান এ বন কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১ ৪:১৯ অপরাহ্ন
ধরা পড়ল ১১ কেজি ওজনের ঢাই মাছ!
মৎস্য

রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় রাম হালদার নামের এক জেলের জালে বিলুপ্তপ্রায় ১১ কেজি ওজনের একটি ঢাই মাছ ধরা পড়েছে ।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে মোহন মন্ডলের আড়ত থেকে উন্মুক্ত নিলামে ৩১০০ টাকা কেজি দরে ৩৪ হাজার ১০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন দৌলতদিয়া ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাজাহান শেখ। এ সময় মাছটি দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পড়ে মাছটি সীমিত লাভে বিক্রির জন্য ঢাকায় যোগাযোগ করেনি তিনি।

জানা যায়, ঢাই মাছ দেখতে অনেকটা পাঙাশ মাছের মতো এবং খেতে অনেক সুস্বাদু। খুব সহজে মাছটি জেলেদের জালে ধরা পড়ে না।

সম্রাট শাজাহান শেখ জানান, সকালে নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দামে একটু লাভের আশায় ঢাই মাছটি কিনেছেন। এখন ৩২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির চেষ্টা করছেন। ঢাই মাছ সচরাচর ধরা পড়ে না। কয়েকমাস আগে সাড়ে ৪ কেজি ওজনের একটি মাছ পেয়েছিলেন। এটি খেতে অনেক সুস্বাদু তাই মাছটির চাহিদাও অনেক বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
মাছ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে ফেনী
মৎস্য

গত অর্থবছরে ফেনী জেলায় মোট মাছের চাহিদা ছিল ৩১ হাজার ৭৪৪ টন। একই অর্থবছরে মোট মাছ উৎপাদন হয়েছে ৩৩ হাজার ৬৭১ দশমিক ৩১ টন। জেলায় মাছ উদ্ধৃত উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৯২৬ দশমিক ২৬ টন। যাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মাছ উৎপাদন হয়েছে।

জানা যায়, জেলায় মোট মৎস্যচাষী রয়েছে ২৪ হাজার ৯৬০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৬০০ জন এবং মহিলা ১হাজার ৩৬০ জন। মৎস্যজীবী রয়েছে ৬ হাজার ২০৮ জন যার মধ্যে ৪ হাজার ৮৭৮ জন নিবন্ধিত। এদের মধ্যে সমুদ্রগামী জেলে রয়েছে ৩৪৫ জন। জেলায় বিল নার্সারী রয়েছে ৪টি, মাছ বাজার রয়েছে ১৫৭ টি, বরফকল রয়েছে ৬ টি যার মধ্যে ৪ টি নিবন্ধিত। সরকারি মৎস্য খামার রয়েছে ২ টি, হ্যাচারী রয়েছে ২টি।

মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, মাছ চাষি ও খামারিদের জন্য মৎস্য চাষ উপকরণ এবং প্রকল্প তৈরীতে সহযোগিতা করা হয়। মৎস্য খাতে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার চেষ্টার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের মাঝে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় ভিজিএফ এর খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়৷ এছাড়াও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ইলিশ ধরা নিষেধকালে নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলেদের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। যাতে তারা ওই সময়টাতে পরিবার নিয়ে চলতে পারে।

তিনি বলেন, মৎস্য বিভাগের অনেক প্রকল্পের এই জেলার উপজেলাগুলোতে কার্যক্রম নেই এবং সরকারি হ্যাচারিগুলোতে অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও সরকারি দপ্তরগুলোতে জনবলের সমস্যা রয়েছে। এগুলো সমাধান করা গেলে মাছের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ ৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
৫০ কোটি টাকার শুটকি রপ্তানির সম্ভাবনা ভারতে
মৎস্য

নাটোরের চলনবিল ও হালতিবিল অধ্যুষিত নলডাঙ্গা, সিংড়া, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার ৪০টিরও বেশি স্থানে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের শুটকি উৎপাদন হচ্ছে। বিশেষ করে বোয়াল, টাকি, চিংড়ি, শোল, টেংরা, গুচি, পাতাসি, মোলা ও পুঁটি মাছের শুটকি উৎপাদন করা হচ্ছে। এরমধ্যে পুঁটি মাছের শুটকির পরিমাণ বেশি।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত এসব শুটকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে যাচ্ছে এসব শুটকি মাছ। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন প্রায় ৩০০ জন শুটকি উৎপাদনকারী। পাশাপাশি এসব শুটকি চাতালে কর্মরত অন্তত এক হাজার নারী-পুরুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন।

স্থানীয় উৎপাদনকারীদের মতে, এবার ৫০ কোটিরও বেশি টাকার শুটকি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। যার সিংহভাগই রপ্তানি হবে ভারতে।

নাটোর জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫০ মেট্রিক টন শুটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য হিসেবে যার পরিমাণ ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। গত মৌসুমে ৩১৯ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছিল। এবার মাছের উৎপাদন বেশি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ পরিমাণ শুটকি মাছ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র আরও জানায় জেলার চার উপজেলায় ৪০টি চাতালে এসব শুটকি মাছ উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে গুরুদাসপুর উপজেলায় ১৫টি, নলডাঙ্গায় ১৪টি, বড়াইগ্রামে ৪টি ও সিংড়া উপজেলায় ৬টি স্থানে শুটকির চাতাল রয়েছে। এতে সম্পৃক্ত আছেন অন্তত ২৯৩ জন উৎপাদনকারী। আর এসব চাতালে সব মিলিয়ে কাজ করছেন অন্তত এক হাজার নারী-পুরুষ।

মৎস্য বিভাগের হিসেব মতে, প্রতি ৩ দশমিক ৫ কেজি কাঁচা মাছে ১ কেজি শুঁটকি উৎপাদন হয়। যার গড় মূল্য সময় ভেদে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজি। অর্থাৎ প্রতিমণ শুটকির দাম ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পড়ে। এতে মোট উৎপাদিত শুটকির দাম দাঁড়ায় ১৭ থেকে ২০ কোটি টাকা।

তবে, স্থানীয় শুটকি উৎপাদনকারীদের হিসেবে প্রতি মৌসুমে (সাত মাস) তারা ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার শুটকি উৎপাদন করেন।

সূত্র জানায়, সাধারণত বর্ষা মৌসুমের ১/২ মাস পর অর্থাৎ জুলাই থেকে জানুয়ারি এই সাত মাস শুটকি উৎপাদনের উপযুক্ত সময়। যোগাযোগ সুবিধার জন্য এ সময় তারা বাঁশ দিয়ে বিলের ধারে ও রাস্তার পাশে চাতাল তৈরি করেন। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসব চাতালে এসে নিয়ে যান শুটকি মাছ। তবে নাটোরের উৎপাদিত শুটকির বেশিরভাগ নীলফামারীর সৈয়দপুরে যায়। সেখান থেকে রপ্তানি করা হয় ভারতে।

সৈয়দপুর থেকে আসা ব্যবসায়ী ও আড়তদার আবুল বাশার ও রবি জানান, চলন বিলের উৎপাদিত শুটকি গুণে-মানে ভালো। তাই এর ভালো চাহিদা রয়েছে ভারতে। প্রতি সপ্তাহে তারা এখান থেকে ২/৩ গাড়ি শুটকি নিয়ে যান সৈয়দপুরে। সেখানে বাছাইয়ের পর ভারতে রপ্তানি করা হয়। এতে তারা বেশ লাভবান হন।

সিংড়ার নিঙ্গুইন এলাকায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ধারে গড়ে ওঠা শুটকি চাতালের মালিক আজহার হাজী, সানা মেম্বার বাংলানিউজকে জানান, তাদের হিসেবে প্রতি মৌসুমে অন্তত এক হাজার মেট্রিক টন শুটকি উৎপাদন হয় এসব চাতালে। যার বেশিরভাগই ভারতে রপ্তানি হয়।

তারা জানান, প্রতি সপ্তাহে দুটি করে চালান পাঠান সৈয়দপুরে। পরে সেখানে প্রক্রিয়াজাত করে ভারতে পাঠানো হয়। প্রতি চালানে ৫ থেকে ৬ মেট্রিক টন শুটকি মাছ রপ্তানি করা হয়। তবে, পুঁটি মাছের শুটকির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। উৎপাদন খরচ কম হলেও দাম বেশি পাওয়া যায়।

তারা আরও জানান, অনেক সময় ভারত থেকেও সরাসরি ক্রেতারা এসে তাদের কাছ থেকে শুটকি মাছ কিনে নিয়ে যান। সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতের ব্যবস্থা থাকলে সারা বছরই শুটকি উৎপাদন করা সম্ভব হতো।

সালাম হাজী নামে আরেক চাতাল মালিক জানান, প্রতি কেজি পুঁটি মাছের শুটকি পাইকারি বাজারে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, টেংরা মাছের শুটকি ৪৫০ টাকা, শোল মাছের শুটকি ১১০০ টাকা, পাতাসি ১ হাজার টাকা, গুঁচি ৯০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা ও মোলা মাছের শুটকি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাতাল মালিক জয়নাল হোসেন জানান, প্রতিদিন তিনি গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ মন পুঁটি মাছ কেনেন। আর অন্যান্য মাছ ৫ থেকে ৬ মন। এভাবে মাসে অন্তত ১ থেকে দেড় হাজার কেজি কাঁচা মাছ কিনে শুটকি উৎপাদন করেন। এতে প্রতিমাসে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা পুঁজি লাগে। প্রায় সাত মাস শুঁটকি উৎপাদন হয়। তার চাতালে নারী-পুরুষ মিলে ২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তবে, কোন কোন চাতালে ৩০ থেকে ৪০ জনও কাজ করেন। এজন্য নারী শ্রমিকদের দিনে ১৫০ টাকা আর পুরুষ শ্রমিককে ৩০০ টাকা দিতে হয়।

সিংড়া উপজেলার নিঙ্গইন গ্রামের নারী শ্রমিক সূরজান বেগম (৬০), আমেনা বেগম (৬২) ও শাহনাজ বেগম (৫০) জানান, শুটকি চাতাল গড়ে ওঠায় তাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। গৃহস্থালির কাজকর্ম সেরে শুটকির চাতালে কাজ করে বাড়তি উপার্জন করতে পারছেন তারা। এতে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচের যোগানসহ সংসারের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, এই সময়ে সংসারের কাজকর্ম থাকে কম। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চলন বিলের শত শত নারী বিভিন্ন শুটকি চাতালে কাজ করে বাড়তি উপার্জন করছেন। এতে অনেকেরই সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে।

নলডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর এলাকার চাতাল মালিক জানান, আড়াই কেজি পুঁটি মাছে ১ কেজি, ৪ কেজি চিংড়ি মাছে ১ কেজি, আড়াই কেজি শোল মাছে ১ কেজি, ৪ কেজি মোলা মাছে ১ কেজি এবং সাড়ে ৩ কেজি গুচি মাছে ১ কেজি করে শুটকি পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, সরকারিভাবে ঋণ সহায়তা পেলে এবং উৎপাদিত শুটকি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে মাত্র সাত মাস নয়, সারা বছরই উৎপাদন করা সম্ভব। শুটকি উৎপাদন ও বিপণন খুবই লাভজনক। গত কয়েক বছর ধরে শুটকি উৎপাদন করে তিনিসহ অন্তত শতাধিক মানুষ সচ্ছল হয়েছেন।

নাটোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুটকি মাছ এখন রপ্তানিকারক একটি পণ্য। সঠিক উপায়ে উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা গেলে সারা বছরই শুটকি মাছ বাজারজাত করা এবং মূল্যও অনেক বেশি পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, উৎপাদনে আর্থিক সহায়তা বাবদ ঋণ সুবিধা, সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণ ও সোলার ড্রয়ার দিতে পারলে বর্ষাকালে শুটকির পচন রোধ করা সম্ভব। পাশাপাশি সংরক্ষিত শুটকি সময় মতো বাজারজাত করার সুযোগ পাবেন তারা। বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্ব দেয়া উচিত। সূত্র: বাংলা নিউজ

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop