৭:২৪ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ ৮:২৯ পূর্বাহ্ন
পদ্মায় ধরা পড়ল ১১ কেজির রুই মাছ
মৎস্য

রাজবাড়ীতে পদ্মায় জেলের জালে ১১ কেজি ওজনের একটি রুই মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি স্থানীয় আড়তে ২৮ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

গতকাল সকাল ৯টার দিকে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ফেরিঘাটের নিচে স্থানীয় জেলে জীবন হলদার ও পরান হলদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরান হলদার বলেন, ভোরে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে জাল ফেলে বসে থাকি। পরে জাল তুলতে গেলে জালের সঙ্গে একটি বড় মাছ উঠে আসে।

দৌলতদিয়া মৎস্য আড়তে দুলালের আড়তে মাছটি বিক্রির জন্য ওজন দিলে সেটি ১১ কেজি হয়। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের চাঁদনি আরিফা মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, মাছটি কেনার জন্য আড়তে গিয়ে ২৮ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কিনে নিই।

রাজবাড়ী জেলা মৎস্য অফিসার মো. রোকনুজ্জামান বলেন, এত বড় রুই সাধারণত দেখা যায় না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ ৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
ইলিশের চড়া দামে হতাশ ক্রেতারা
মৎস্য

ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি মাছঘাট ক্রেতা এবং বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে। তবে ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া হওয়ায় হতাশ ক্রেতারা। বড়স্টেশন পাইকারি মাছঘাটে অন্য সময়ের তুলনায় বেশ কয়েকদিন ধরে নানা আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, যার বেশিরভাগই সাগর ও উপকূলের নদ-নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়া ইলিশ। তবে কিছু অংশ চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনার রয়েছে। প্রতিদিন ইলিশের আমদানি বাড়লেও দাম কমে ইলিশের। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে প্রতিদিন শত শত ক্রেতা আসেন ইলিশ কেনার জন্য। চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ নিয়ে ফিরছেন বাড়ি।

মাছঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী রুবেল গাজী জানান, প্রতিদিন বড়স্টেশন মাছঘাটে ইলিশ আমদানি হয়। তবে কোনোদিন কম, কোনোদিন বেশি। আমদানির ওপর ইলিশের দাম নির্ধারিত হয়। তবে বর্তমান সময়ে ইলিশের দাম কিছু বৃদ্ধি রয়েছে। এক কেজি আকৃতির ইলিশের দাম ১ হাজার ৩০০ টাকা, দেড় কেজি ইলিশের দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা আর দুই কেজি (বড় আকৃতির) ইলিশের দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া ৯০০ থেকে এক কেজির কম ওজনের ইলিশের মণ এখন ৪৮-৫০ হাজার টাকা।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার জানান, ইলিশের দাম প্রতিদিন ওঠানামা করে। চাঁদপুরের ইলিশ কম হলেও দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ প্রচুর আসে। সামনে পদ্মা-মেঘনা এবং দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশের আরও আমদানি বাড়লে দাম অনেক কমে আসবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১ ৮:০৬ পূর্বাহ্ন
২২ কেজির বোয়াল ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি!
মৎস্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে শনিবার দুপুরে ২২ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ৫৬ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর এলাকার জেলে কাইয়ুম হালদার যমুনা নদীর হরিরামপুর এলাকায় জাল ফেলে বোয়াল মাছটি ধরেন।

ওইদিন বেলা ১ টার দিকে তিনি মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নিয়ে আসেন।

এ সময় ঘাটের শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের মালিক সম্রাট শাহজাহান শেখ ২ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ৫২ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন।

মৎস্য আড়ৎদার সম্রাট শাহজাহান শেখ জানান, বোয়াল মাছটি তিনি মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ঢাকার এক শিল্পপতির কাছে ২ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে ৫৬ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করেন। এরপর মাছটি তিনি ওই শিল্পপতির ঠিকানায় পৌঁছে দেন। তিনি জানান, পদ্মা -যমুনা নদীর এ ধরনের বড় বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দাম কোন বিষয় না। অনেক আমলা, শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি আগে থেকেই এ ধরনের মাছের কথা আমাদের কাছে বলে রাখে।

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকতা মোঃ রেজাউল শরীফ বলেন, পদ্মা-যমুনা নদীর এ এলাকায় বর্তমানে প্রতিদিনই বড় বড় পাঙ্গাশ, বাঘাইর, কাতল, রুই, আইড়, বোয়ালসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা পড়ছে। এতে জেলে ও ব্যবসায়ীরা খুব খুশি। তবে এ সকল বড় মাছগুলোর জন্য অভয়াশ্রম করা গেলে সেগুলো নদীতে সহজে বংশ বিস্তার করতে পারত। আমরা পদ্মা-যমুনা নদীর এ এলাকায় অভয়াশ্রম গড়ে তোলার সেই চেষ্টা চালাচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ৯:৪৫ অপরাহ্ন
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ঢাবিতে পোনা অবমুক্তকরণ
ক্যাম্পাস

‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ স্লোগান ধারণ করে এ বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের পুকুরে ১৪২৫টি রুই মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন, ঢাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নিয়ামুল নাসের, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম, ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষের প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান ও ড. মো. হাবিবুল্লাহ-আল-মামুন, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এবং মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক (অভ্যন্তরীণ মৎস্য) মোহা. আতিয়ার রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অধিদফতর এই মাছের পোনা সরবরাহ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ অনুষ্ঠানটির সার্বিক সমন্বয় করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ৬:২৩ অপরাহ্ন
লাখ টাকার চাকরি ছেড়ে মাছ চাষে সফল মন্ডল
মৎস্য

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাবলু মন্ডল ঢাকায় লাখ টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে সপরিবারে গ্রামে গিয়ে এখন কই মাছের সফল চাষি। অনেকেই তাকে দেখতে আসেন। শিখে যান চাষ পদ্ধতি।

চিতলমারীর চরবানিয়ারী ইউনিয়নের শ্যামপাড়া গ্রামের গোবিন্দ মন্ডলের ছেলে বাবলু মন্ডল জানান, কই মাছে কম চর্বি ও পুষ্টিকর। দাম তুলনামূলক বেশি। তাই কই মাছের চাষ শুরু করি। নিজেদের ৪৫ শতক জলাশয়ে ৩৫ হাজার কই মাছের পোনা ছাড়ি। প্রায় দেড় মাসে মাছগুলো প্রতিটি ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম ওজন হয়েছে। মাছের সব পরিচর্যা নিজেই করি। নোংরা খাবার দেই না, ভাসমান ফিড (খাবার) খাওয়াচ্ছি। তাই মাছগুলো পরিচ্ছন্ন। প্রায় এক লাখ ৬৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশাকরি দ্বিগুণ টাকার মাছ বিক্রি হবে। চিতলমারী উপজেলা মৎস্য অফিসের লোকেরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়েছেন।

বাবলু আরো জানান, তিনি গাজীপুরে একটা গার্মেন্টস কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের পদে চাকরি করতেন। করোনার অচলাবস্থায় চাকরি ছাড়তে হয়। গ্রামে ফিরে উপজেলা মৎস্য অফিসে কই মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নেই। এরপর চাষে সফল হয়েছি।

শ্যামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সহাদেব গাইন, পরিমল বৈরাগীসহ অনেকে জানান, বাবলুর উদ্যোম ও সফলতায় তারা অবাক হয়েছেন। বাবলুর দেখাদেখি তারাও কই মাছ চাষের জন্য মৎস্য অফিসে যোগাযোগ শুরু করেছেন।

চিতলমারী উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোহাম্মাদ জিল্লুর রহমান রিগান জানান, বাবলু মন্ডলের উৎসাহে আমরা মুগ্ধ। কঠোর পরিশ্রমই তাকে সাফল্যে পৌঁছে দিয়েছে। বাবলুর মতো যেকোনো চাষির পাশেই আমরা আছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ৪:১৩ অপরাহ্ন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু
ক্যাম্পাস

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যথাযথভাবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপন করা হলো ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১’।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।

মাছের পোনা অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতাবৃন্দ, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা), প্রক্টরিয়াল বডি এবং প্রভোস্ট কাউন্সিলসহ উচ্চপদস্থ শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।মাছের পোনা অবমুক্ত শেষে ভাইস চ্যান্সেলর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মৎস্য গবেষণার হ্যাচারি ও খাঁচা পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ১:০৫ পূর্বাহ্ন
সাগর ও নদীতে ইলিশের সংকটে দিশেহারা জেলেরা
মৎস্য

ঋণের টাকা কিভাবে শোধ করবেন সে চিন্তায় এখন দিশেহারা মৎস্যজীবীরা। কারণ, দেশের পশ্চিম উপকূলের সাগর ও নদীতে ইলিশ সংকটের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা।

পিরোজপুরের মৎস্য বন্দর পাড়েরহাটের মৎস্য আড়ৎদার ইকবাল হোসেন জানান, সাগর থেকে জেলেরা কিছু জাটকা নিয়ে ফিরে আসছে। একেবারেই ইলিশ পাচ্ছেনা তারা। লাখ লাখ টাকা লোকসানের কারণে জেলে-ব্যবসায়ীরা এখন চোখের জল ফেলছে।

শরণখোলার মা-বাবার দোয়া, এফবি কালাম ও এফবি খায়রুল ইসলাম ফিসিংবোটের মালিক কবির আড়ৎদার জানান, সাগরে জাল ফেলে জেলেরা ইলিশ পাচ্ছেনা। প্রতিবার জাল ফেললে মাত্র চার থেকে পাঁচটি জাটকা উঠে আসছে। ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতায় এবারের মতো লোকসানের মুখে পড়েননি কখনো।

সাগরে মাছ না পাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালীন ভারতীয় জেলেরা পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবাধে ইলিশ শিকার করেছে। এছাড়াও পূবালী বাতাস না থাকায় ইলিশ কক্সবাজার-মিয়ানমার অঞ্চল থেকে পশ্চিম সাগরে আসছেনা।

বাংলাদেশ ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম খোকন জানান, সাগরে ইলিশ সংকটে জেলে ও মৎস্যজীবিরা এ বছর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। মহাজনের দাদন ও ব্যাংক ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সে চিন্তায় মৎস্যজীবীরা দিশেহারা। এমনকি অনেক ফিসিংবোট মালিক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছেন।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য অফিসার এ এস এম রাসেল জানান, ইলিশ না পাওয়ার পেছনে সাগরে বিপুল পরিমাণ বাধা ও বেহুন্দি জাল পাতা, নাব্যতা সংকট এবং সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরাসহ বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে কীটনাশক বা বিষ মিশ্রিত পানি সাগরে পড়ায় ইলিশ পশ্চিম উপকূলে না এসে পূর্ব সাগরে চলে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২১ ১০:০৩ অপরাহ্ন
বাগদা চাষে ৪ মাসের ব্যবধানে লাভ ৫ লাখ টাকা
মৎস্য

৪ মাসের ব্যবধানে একদিনে সাড়ে ১৮ মণ চিংড়ি বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা লাভ করেছেন পলাশ চন্দ্র ঢালী। মাত্র ১৬ শতাংশ জলায়াতনে আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করে এই সফলতা পেয়েছন তিনি।

জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ঘোনাবান্দা গ্রামের গোপাল চন্দ্র ঢালীন দরিদ্র সন্তান পলাশ দীর্ঘদিন ধরে শশুরবাড়ি বটিয়াঘাটা উপজেলার খলশীবুনিয়া গ্রামে বসবাস করেন। সেখানে কাছারীবাড়ি রাস্তার পাশে মাত্র ৩০ শতাংশ জমিতে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। কিন্তু এলাকার অনেক চাষি উন্নতমানের চাষ করে ব্যাপক চিংড়ি উৎপাদন করছে, দেখে পলাশ ঢালী ২০২০ সালে ওই জমিতে খাদ্য কোম্পানি সিপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের পরামর্শেই ১৬ শতাংশ জমিতে ৪ ফুট গভীর করে মাটি তুলে পাড় তৈরি করেন।

বৈদ্যুতিক মোটর বসিয়ে অক্সিজেন তৈরি ও ঘেরের পাড় ঘিরে দেওয়াসহ জৈব নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেন। এরপর সিপি কোম্পানির পরামর্শে নদী থেকে লবণ পানি তুলে ব্লিচিং পাউডার, পটাশ দিয়ে মাছ ছাড়ার উপযোগী করে তোলেন। পরে ২০ হাজার পোনা ছাড়া থেকে ৪ মাস ধরে দিনে ৪ বার খাবার দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পরিচর্যা করেন। এতে তার সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে দামের ৪৪ বস্তা খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি চুন, ওষুধ ও শ্রমিক খরচ মিলে তার ২ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। পলাশ ঢালী গত ১৮ আগস্ট (৩ ভাদ্র ) জাল দিয়ে বাগদা চিংড়ি ধরে তার ঘেরে বসেই ৩৮ হাজার টাকা মণ দরে সাড়ে ১৮ মণ মাছ বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা আয় করেছেন।

এ প্রসঙ্গে সফল বাগদা চাষি পলাশ চন্দ্র ঢালী বলেন, ‘আমি সিপি কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় বাগদা চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছি। আমি ও আমার ছেলে ভবোতোষ ঢালী গত ৪ মাস ধরে মাছের পরিচর্যা করেছি। ২ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে একদিনে ৭ লাখ টাকা বিক্রি করেছি। ১৮ আগস্ট মাছ বিক্রি করার পর গত ২১ আগস্ট ওই ঘেরে আবারও নতুন করে রেনুপোনা ছেড়েছি। কোম্পানির পরামর্শে ঠিকমতো মাছের পরিচর্যা করতে পারলে অনেক লাভ। তবে ঝুঁকিও আছে।’

বটিয়াঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এমডি মনিরুল মামুন জানান, ‘বটিয়াঘাটা উপজেলাঞ্চলে এই আধা-নিবিড় পদ্ধতির বাগদা চিংড়ি চাষে বিপ্লব ঘটে গেছে। উৎপাদন দেখে এলাকার চাষিরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে এ পর্যন্ত ১১০টি ঘেরে এই পদ্ধতিতে বাগদা চাষ করছে। আর থাইল্যান্ডের সিপি কোম্পানির মাছের খাবারের সাফল্য দেখে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে এসেছে।’

মৎস্য অধিদপ্তরের মেরিন প্রকল্পের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রি জানান, ‘আধা-নিবিড় পদ্ধতির চিংড়ি চাষে অনেক লাভ। কিন্তু বায়ো সিকিউরিটি বা জৈব নিরাপত্তা রক্ষা করতে না পারলে অনেক ঝুঁকি আছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২১ ৫:০০ অপরাহ্ন
২০২০-২১ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ উৎপাদন ১২ হাজার ৩০৮
মৎস্য

২০২০-২১ অর্থ বছরে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে ১২ হাজার ৩০৮ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন হয়েছে। স্থানীয়দের চাহিদা পূরণ করার পরও দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। আর রাজস্ব আদায় হয়েছে ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) তথ্য অনুযায়ী, জেলার চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাট থেকে গত এক বছরে ৬ হাজার ৭৮০ মেট্রিকটন মাছ গিয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

বিএফডিসি সূত্রে জানা যায়, জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রাধান্য দিয়ে ষাটের দশকে প্রমত্তা কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে নির্মাণ করা হয় কাপ্তাই হ্রদ। কিন্তু শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, বর্তমানে এই হ্রদের মৎস্য খাতও এলাকার অর্থনীতিতে বিশাল ভ‚মিকা পালন করছে। ১৯৬৫-৬৬ অর্থ বছরে মাত্র ১২০৬.৬৩ মেট্রিকটন মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদে বাণিজ্যিকভাবে মাছের উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের মাছ জেলা ও জেলার বাইরে কেজিপ্রতি প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়, একসময় কাপ্তাই হ্রদে রুই, কাতল, মৃগেল, কালিবাউস ও মহাশোলসহ কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন ছিল প্রায় ৮১.৩৫ শতাংশ। যা ক্রমশ হ্রাস পেয়ে ৪ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ছোট মাছ বিশেষ করে চাপিলা, কাচকি, মলার উৎপাদন বেড়ে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

বিএফডিসি সূত্র অনুযায়ী, কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বেশি থাকলে রাজস্ব আদায় আরও বেশি হতো। বাণিজ্য করা সম্ভব হতো অন্তত ৫০০ কোটি টাকার। বর্তমানে কাচকি, মলা, চাপিলা মাছ থেকে সরকারি রাজস্ব নেয়া হয় ১৭ টাকা আর কার্প জাতীয় মাছ থেকে রাজস্ব নেয়া হয় ৩০ টাকা।

রাঙ্গামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়–য়া বলেন, ‘আমরা হ্রদের মাছ সরকারি রাজস্ব মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিই। কার্প জাতীয় মাছে পেলে দামও বেশি পাই।’

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসির) রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিনিয়ত কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সরকারি রাজস্ব পাওয়া যাচ্ছে তেমনি স্থানীয় মানুষের আমিষের যোগানও দেয়াও সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি এই এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে হ্রদের মাছ ব্যাপক ভ‚মিকা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, ‘রাজস্বের হিসাবে বর্তমানে হ্রদের মাছ দিয়ে ৩০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে। বর্তমানে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ভবিষ্যতে এই বাণিজ্য আরো কয়েকগুণ বাড়বে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২১ ৩:১৮ অপরাহ্ন
১০ মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছ নিয়ে জনতার কৌতূহল
মৎস্য

গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে ১০ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ বিক্রির জন্য বরিশাল নগরীতে মাইকিং করা হয়েছে। মাছটি বরিশালের পোর্ট রোড আড়ত থেকে কিনেছেন মো. রুবেল নামে একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। তিনি মাছটি পোর্ট রোড থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেন।

আজ মঙ্গলবার নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য বাজারে মাছটি কেটে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

রূপসা ঘাটের এ্যাকোয়া ফিশের মালিক রেজাউল মুন্সি জানান, জেলেদের জালে ১০টি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়ে। ২০ থেকে ২৫ ধরনের সামুদ্রিক মাছ ছিলো বোটটিতে। আহরিত ১০টি শাপলাপাতা মাছের মধ্যে দুটি বিক্রি করেন বরিশালের দুই আড়তদারের কাছে। যার মধ্যে ৪০০ কেজি ওজনের মাছটি কেনেন বরিশালের পোর্ট রোডের নুসরাত মৎস্য আড়তের মালিক রুহুল আমীন এবং ছোট অপরটি ক্রয় করেন নগরীর কাশীপুরের এক মৎস্য ব্যবসায়ী। বাকী ৮টি শাপলাপাতা মাছ বিক্রি করা হয় খুলনায়।

বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার এসোসিয়েশনের সদস্য জহির সিকদার জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে পোর্ট রোডে নিলামে সর্বোচ্চ ২৭০ টাকা কেজি দরে ১০ মণ ওজনের মাছ নিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে গতকাল মাইিকং করা হয় পুরো নগরীতে। এ কারণে ৪০০ কেজি ওজনের শাপলাপাতা মাছ নিয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে বরিশাল নগরীতে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop