২:২৩ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২১ ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
কাপ্তাই লেকের ৬৫ কেজি মাছ জব্দ
মৎস্য

কাপ্তাই লেকে প্রজনন মৌসুমে মা-মাছ রক্ষায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬৫ কেজি মাছ জব্দ করেছে ।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকাল ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাজার মনিটরিং টিম বনরুপা বাজারে কড়া নজরদারি করে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব মাছ জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বনরুপা বাজারের কাটাপাহাড় সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের পিছনে তল্লাশি চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬৫ কেজি মাছ জব্দ করা হয়।

আটক মাছের মধ্যে রয়েছে- ১১ কেজি ওজনের ২টি মা-কাতল, ১৩ কেজি ওজনের একটি চিতলসহ বাচা, বাটা, আইড় ও চাপিলা মাছ। মাছগুলো প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে বিএফডিসি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২১ ৫:২৩ অপরাহ্ন
ঘাটাইলের সর্বত্র চায়না জাল, নিধন হচ্ছে ডিমওয়ালা মাছ!
মৎস্য

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল ও মাঠ-ঘাট বর্ষা আসার আগেই “চায়না” জালে ভরপুর হয়ে গেছে। আর এসব জাল দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে মাছ দিতে আসা মাছকে নিধন করছেন তারা। মোটামুটি উপজেলার সব জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে এই জাল। এমন কোন মাছ নেই যা এই জালে ধরা পড়ে না। তাই সচেতনদের দাবি এমন জাল এখনি বন্ধ করা উচিত।

উপজেলার গুণগ্রাম, লাউয়াগ্রাম, বানিয়াপাড়া, জামুরিয়া চানতারা, আন্দিপুর, শাহপুর গ্রামের নিচু বাইদগুলো ঘুরে সারি সারি চায়না জাল দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যেখানেই একটু পানি জমেছে সেখানেই এই জাল পাতা হচ্ছে। আর অবাধে ডিমওয়ালা দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা হচ্ছে।

জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাস মাছের প্রজননকাল। চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে নতুন পানিতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারছে না। যার ফলে প্রাকৃতিকভাবে মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। পোনা মাছও ধরা পড়ছে এই জালে। এভাবে অবাধে ডিমওয়ালা মাছ ও পোনা মাছ ধরলে মাছের অভাব দেখা দেবে।

স্থানীয়রা বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষ কর্মহীন হওয়ায় এসব মাছ ধরা আরো বেড়েছে। আগে যেসব লোক অন্য কাজকর্ম করে ব্যস্ত সময় পার করতেন, এখন তারা অনেকেই এসব মাছ ধরছেন।

বানিয়াপাড়া গ্রামের হায়দর আলী দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে মাছের ব্যবসা করেন। মাছ কখন ডিম ছাড়ে এটি তিনি ভালো করে খেয়াল রাখেন। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে যে মাছ ধরতে হয় না তা তিনি মেনে চলেন। হায়দর আলীকে চায় না জাল সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করলে তিনি বলেন, যারা প্রকৃতপক্ষে মাছের কারবার করেন কিংবা মাছ ধরা যাদের বংশগত পেশা, তারা কখনো এই জাল দিয়ে মাছ ধরবেন না। শুধু মৌসুমি শিকারিরাই এমন সর্বনাশা কাজ করতে পারেন।

ঘাটাইল বাজারের একজন মাছ ব্যবসায়ী জানান, এখন চায়না জাল দিয়ে যেভাবে গুঁড়া মাছ ধরা হচ্ছে, তাতে শুষ্ক মৌসুমে মাছের তীব্র আকাল হবে। হানিফ দ্রুত এই জাল নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। আরেক ব্যবসায়ী আরফান আলী বলেন, এখন যারা চায়না জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরে টাকা রোজগার করছে, তারাই একসময় আফসোস করবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন বলেন, চায়না জাল, কারেন্ট জালসহ যে জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরা হয় সেসব জাল আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ সর্বনাশা জাল বন্ধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২২, ২০২১ ৮:১৫ অপরাহ্ন
মুজিববর্ষে দুই গ্রামকে ‘মৎস্য গ্রাম’ ঘোষণা
মৎস্য

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রমের আওতায় নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার ‘দক্ষিণ বিশিউড়া’ ও শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ‘হালইসার’ গ্রামকে ‘ফিশার ভিলেজ’ বা ‘মৎস্য গ্রাম’ ঘোষণা করা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সোমবার (২১ জুন) এ ঘোষণা সংক্রান্ত পত্র জারি করেছে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর। বর্তমান সরকারের বিশেষ কর্মসূচি ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তরের ‘মৎস্য গ্রাম’ কার্যক্রম মূলত সমৃদ্ধ গ্রাম গড়ে তোলার উদ্যোগ।

এ কার্যক্রমের আওতায় গ্রামাঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়ন, মৎস্য চাষ, কৃষিনির্ভর শিল্প, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, কৃষির বহুমুখীকরণ ও বাজার ব্যবস্থাপনাসহ নানারকম সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও জীবনমান উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তর এ গ্রাম দুটিতে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-গ্রামের সকল পুকুর ও দিঘীতে বিজ্ঞানসম্মত মাছ চাষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ, মাছ চাষিদের দল গঠন, প্রশিক্ষণ ও প্যাকেজভিত্তিক পুকুরে মাছ চাষ প্রদর্শনী, জেলেদের দল গঠন, প্রশিক্ষণ, বিকল্প কর্মসংস্থান ও ঋণ সহায়তা প্রদান, উন্মুক্ত জলাশয় তথা বিল ও প্লাবনভূমিতে সমাজভিত্তিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা দল গঠন, বিল নার্সারি স্থাপন ও পোনা অবমুক্তকরণ, জলাশয় সংস্কার ও মাছের অভয়াশ্রম স্থাপন এবং কমিউনিটি সঞ্চয় দল গঠনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন। এছাড়া গ্রাম দুটিতে সরকারের অন্যান্য দপ্তরের সহায়তায় যে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা হলো, গভীর নলকূপ ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন, যানবাহন চলাচল উপযোগী রাস্তা নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, সুফলভোগীদের হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গ্রামের অধিবাসীদের সন্তানদের শতভাগ শিক্ষা কর্মসূচি নিশ্চিতকরণ ও অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ।

উল্লেখ্য, ‘মৎস্য গ্রাম’ হবে একটি আদর্শ গ্রাম যে গ্রামের সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং অর্জিত সাফল্য অন্যান্য গ্রামের জন্য অনুকরণীয় হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২২, ২০২১ ১২:৪৬ অপরাহ্ন
দেশে বিলুপ্তপ্রায় রানী মাছের পোনা উৎপাদন
মৎস্য

বউ মাছ, বেটি মাছ, পুতুল মাছ, বেতাঙ্গী মাছ প্রভৃতি আঞ্চলিক নামে পরিচিত ‘রানী মাছ’। অনেকেই আবার ‘গাঙ্গ রানী’ বলেও ডাকে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এ মাছটিকে ‘বিপন্ন’ তালিকাভুক্ত করেছে। তবে, দেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া রানী মাছের প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে।

আইইউসিএন বাংলাদেশের (২০১৫) হিসাব মতে দেশের ২৬০ প্রজাতির মিঠাপানির মাছের মধ্যে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে পাবদা, গুলশা, টেংরা, বাটা, ফলি, মহাশোল, খলিশা, বৈরালী, ঢেলা, বাতাসি, পিয়ালীসহ ২৯ প্রজাতির মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। এবার রানী মাছের পোনা উৎপাদন ইনস্টিটিউটের আরেকটি সাফল্য।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, বিপন্নেরতালিকায় দেশীয় প্রজাতির সব মাছকে পর্যায়ক্রমে পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চলতি বছরে ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ১০টি বিপন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা শুরু করেন। এ পর্যন্ত চলতি প্রজনন মৌসুমে ঢেলা, বাতাসি, পিয়ালী ও রানী মাছসহ সাতটি প্রজাতির মাছের প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন করতে তারা সক্ষম হন। গবেষণার সর্বশেষ সাফল্য হলো রানী মাছের পোনা উৎপাদন। গবেষক দলে ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিনা ইয়াছমিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: রবিউল আওয়াল, পরিচালক ড. এ এইচ এম কোহিনুর ও স্বাদুপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: শাহা আলী।

জানা যায়, অক্টোবরের শেষ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যখন বিলের পানি কমে যেতে থাকে তখন রানী মাছ জালে ধরা পড়ে বেশি। এ মাছ খাল-বিল, নদী-নালা, হাওর-বাঁওড় ইত্যাদির তলদেশে পরিষ্কার পানিতে বসবাস করতে পছন্দ করে। বউ মাছ প্রায় সব ধরনের স্বাদুপানির জলাশয় যেমন, খাল-বিল, নদী-নালা, হাওর-বাঁওড় জলাভূমির তলদেশে পরিষ্কার পানিতে বসবাস করতে পছন্দ করে। তবে কখনো কখনো ঘোলা পানিতেও এদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এক সময় বাংলাদেশের খাল-বিল, নদ-নদী, হাওর-বাঁওড় ও প্লাবনভূমিতে এই মাছ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলাশয় সঙ্কোচন, পানি দূষণ, মাছ ধরার ধ্বংসাত্মক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে যত্রতত্র মাছ আহরণ, মা-মাছ ধরা, জলাশয়ের মধ্যে রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি নির্মাণসহ অতি আহরণের ফলে মাছটির বিচরণ ও প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হওয়ায় এ মাছটির প্রাপ্যতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই মাছ ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল-২ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ময়মনসিংহের স্বাদুপানি কেন্দ্রে ২০২০ সালে রানী মাছের সংরক্ষণ, প্রজনন ও পোনা উৎপাদন বিষয়ে গবেষণা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। গবেষণার আওতায় চলতি জুন মাসে দেশে প্রথমবারের মতো রানী মাছের (ইড়ঃরধ ফধৎরড়) প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে।

ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ আরো জানান, দেশের চলনবিল ছাড়াও রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ফরিদপুর, পার্বত্য চট্টগ্রামের জলাশয়ে, বিশেষ করে নদীতে রানী মাছের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। শৌখিনরা রানী মাছ অ্যাকুয়ারিয়ামে পালন করে। বাণিজ্যিকভাবেও অ্যাকুয়ারিয়ামে রানী মাছ পালন করা যেতে পারে। স্ত্রী রানী মাছের চোখের ঠিক সামনে একটি কাটা থাকে যেটি দিয়ে তারা আত্মরক্ষা করে থাকে। এছাড়া এই মাছের মুখে চার জোড়া ছোট বার্বেল থাকে। একটি পূর্ণ বয়স্ক ও প্রজননক্ষম রানী মাছ সাধারণত ৮-১০ গ্রাম ওজনের হয়। পুরুষ মাছের তুলনায় স্ত্রী রানী মাছ আকারে বড় হয়। এ মাছ প্রধানত প্লাঙ্কটন ও পোকামাকড় খায়। গবেষণায় দেখা গেছে, রানী মাছ মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রজনন করে থাকে।

জুন-জুলাই এদের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম। একটি পরিপক্ব স্ত্রী মাছে প্রতিগ্রামে ৮০০-৯০০টি ডিম পাওয়া যায়। এ মাছের ডিম্বাশয় এপ্রিল মাস থেকে পরিপক্ব হতে শুরু করে। পরিপক্ব স্ত্রী মাছের জননেন্দ্রিয় গোলাকার ও হালকা লালচে রঙের হয় কিন্তু পুরুষ মাছের জননেন্দ্রিয় পেটের সাথে মেশানো, কিছুটা লম্বাটে ও ছোট হয়। প্রজননের জন্য রানী মাছ যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও কংশনদী এবং নেত্রকোনার হাওর থেকে ২০২০ সালে সংগ্রহ করা হয় এবং গবেষণাকেন্দ্রের পুকুরে প্রতিপালন করা হয়।

কৃত্রিম প্রজননের জন্য পুকুর থেকে পরিপক্ব স্ত্রী ও পুরুষ মাছ নির্বাচন করে কৃত্রিম প্রজননের ৫-৬ ঘণ্টা পূর্বে স্ত্রী ও পুরুষ মাছকে হ্যাচারিতে হরমোন ইনজেকশন দেয়া হয়। ইনজেকশন দেয়ার ১০-১২ ঘণ্টা পরে স্ত্রী মাছ ডিম দেয়। ডিম দেয়ার ২২-২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষিক্ত ডিম হতে রেণু বের হয়ে আসে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, ডিম নিষিক্ত ও ফোটার হার যথাক্রমে ৭৫ শতাংশ ও ৫০ শতাংশ। রেণুর ডিম্বথলি ২-৩ দিনের মধ্যে নিঃশেষিত হওয়ার পর প্রতিদিন ৩-৪ বার সিদ্ধ ডিমের কুসুম খাবার হিসেবে হাঁপায় সরবরাহ করা হয়। হাঁপাতে রেণু পোনা ৬-৭ দিন রাখার পর নার্সারি পুকুরে স্থানান্তরের উপযোগী হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২১, ২০২১ ১:১৮ অপরাহ্ন
যমুনায় ধরা পড়ল ৪৭ কেজির বাঘাইড়, বিক্রি ৫৯ হাজার টাকা!
মৎস্য

পাবনায় যমুনা নদীতে ৪৭ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ঘাটে নিয়ে ৫৯ হাজার ১২৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

রবিবার (২০ জুন) সকালে পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর এলাকায় যমুনা নদীতে কালিদাস হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

কালিদাস হালদার মাছটি পাওয়ার পরে সকালে মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্য নদী পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বাইপাস সড়কের পাশে অবস্থিত দেলোয়ার হোসেনের মাছের আড়তে নিয়ে যায়। সেখানে খোলামেলা দরদামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী নূরু শেখ মাছটি ১ হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে মোট ৫৯ হাজার ১২৫ টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন। এ সময় মাছটি দেখতে সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করে।

কাজীরহাট ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন জানান, শুনেছি মাছটি পাওয়ার পর পরই ওই জেলে নৌকা যোগে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে বিক্রি করেছেন। সেখানকার নুরু শেখ মাছটি কিনে তিনি আবার ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছেন।

কাজীরহাট ঘাট এলাকার রুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন বর্ষা মৌসুমে নতুন পানির সাথে এই এলাকায় বিভিন্ন প্রকার মাছ ধরা পড়ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২০, ২০২১ ৬:২৮ অপরাহ্ন
মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
মৎস্য

খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ছোট আংটিহারা এলাকায় শাকবাড়িয়া নদীতে ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে তৌহিদুল্যাহ (১৯) নামের এক যুবকের মুত্যু হয়েছে।

রোববার (২০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৌহিদুল্যাহ ঘড়িলাল গ্রামের তৈয়বুর আলী মোল্যার ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো রোববার দুপুরে তৌহিদুল্যাহ তার বাবার সঙ্গে শাকবাড়িয়া নদীতে মাছের পোনা ধরতে যান। মাছ ধরা অবস্থায় হঠাৎ বৃষ্টি হয়। এসময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিএম শামছুর রহমান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২০, ২০২১ ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
মরা পদ্মায় চলছে বিষ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার!
মৎস্য

গোয়ালন্দের উজানচর মরা পদ্মা নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় লোকমান গায়েনের নেতৃত্বে বিল্লাল হোসেন, আতিয়ার মন্ডল, মতি ডাঃ, শামসুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন এ মাছ ধরার সাথে জড়িত।

জানা গেছে, মরা পদ্মা নদীর (উজানচর বদ্ধকোল) নতুন ব্রীজের উত্তরে সোনালী হ্যাচারীজ এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে পানিতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে অসাধু চক্রটি। তারা বিশাল জলাশয়কে বাঁশ-খুটি ও লম্বা পলিথিন দিয়ে খন্ড খন্ড করে ছোট করে নেন। অতঃপর রাতের বেলায় তাতে বিষ প্রয়োগ করেন। অল্প সময়ের মধ্যে জলাশয়ের মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। এরপর তারা বেড় জাল দিয়ে সহজেই সে মাছ সংগ্রহ করে। পরে রাতের আঁধার থাকতেই সে মাছ স্থানীয় বাজার ছাড়াও বিভিন্ন বাজারে পাঠিয়ে বিক্রি করে । এভাবে চক্রটি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এদিকে রাতের বেলায় মাছ ধরার পরও বহু মরা মাছ নদীতে থেকে যায়। স্থানীয় লোকজন সকাল থেকে সারাদিন সে মাছ সংগ্রহ করে থাকে।

স্থানীয় শাহজাহান শেখ (৪০), জাহিদুল ইসলাম (২০), হৃদয় (১৬), সোহেল রানা (৩০)সহ অনেকেই জানান, তারা এ জলাশয় হতে গত কয়েকদিন ধরে মরে ভেসে ওঠা বড় বড় বোয়াল, রুই, কাতল, শোল, গজার, আইড়, বাইনসহ বিভিন্ন মাছ সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া নানা জাতের প্রচুর ছোট মাছ মরে ভেসে আছে। তবে সেগুলো কেউ নেয় না। এর বেশীর ভাগই পচা। পানিতে বিষ দেয়ার কারনে এভাবে মাছ মরে ভেসে ওঠে বলে তারা জানান।

জলাশয়টির একাংশে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে থাকা সৌখিন মৎস্য শিকারী হাবিবুর রহমান, রাশেদ শেখ, আরজু মিয়া, হাবু শেখ, সোহেল রানাসহ অনেকেই বলেন, জলাশয়ে বিষ দিয়ে যারা এভাবে মাছ শিকার করছে তারা দেশের শত্রু। মাছের সাথে সাথে তারা জলাশয়ের সাপ, ব্যাঙ, কুইচ্যা, কাকড়া, শামুক-ঝিনুকসহ সকল জলজ প্রানীকেও হত্যা করছে।

তারা বলেন, এখন প্রায় প্রতিটি মাছের পেটে ডিম। আর কিছুদিন পরই সকল মাছ ডিম ছাড়বে। কিন্তু এই মূহুর্তে এভাবে মাছ শিকারের কারনে আগামীতে জলাশয়ে মাছের আকাল সৃষ্টি হবে।

অভিযুক্তদের মধ্যে লোকমান গায়েন মুঠোফোনে জানান, “তিনি উজানচর ও দক্ষিণ দৌলতদিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি। পুরো বদ্ধ জলাশয়টি তিনি ১৪২৭-১৪৩০ সনের জন্য সরকারিভাবে লিজ নিয়েছেন। সরকারি কোষাগার ছাড়াও নানা জায়গায় দিয়ে তার মোট ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে। জলাশয়ে মাছ চাষ করা ও ধরা তার অধিকার।” তবে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের নামে সকল মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রানী ধ্বংস করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি বলেন,”ভাই, আমি এখন একটু ব্যাস্ত আছি, আপনার সাথে পরে কথা বলব”।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজিজুল হক খান মামুন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। জলাশয়ে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি প্রমানিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।সূত্র:যায়যায়দিন

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২১ ৭:৫৭ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই দেশের মৎস্য খাতে সমৃদ্ধির সূচনা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই দেশের মৎস্য খাতে সমৃদ্ধির সূচনা হয়েছে। 

শনিবার (১৯ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: ইলিশ উৎপাদনে গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও জাটকা সুরক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মৎস্য খাতকে দেখেছিলেন দূরদৃষ্টি দিয়ে। স্বাধীনতাত্তোর তিনি বলেছিলেন ‘মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ।’ মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য জলাশয়ে মৎস্য অবমুক্ত করা, মৎস্য চাষিদের সুযোগ-সুবিধা দেয়া, সমুদ্রে মৎস্য আহরণের জন্য তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ১০টি ফিশিং ট্রলার সংগ্রহ, বাণিজ্যিকভাবে বঙ্গোপসাগর হতে মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে মেরিন ফিশারিজ ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং মৎস্য জরিপ কাজ শুরু করা ছিল তাঁর অন্যতম দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপ। তাই তিনি আমাদের পাথেয়, আমাদের আদর্শ, আমাদের দর্শন।”

মন্ত্রী আরো বলেন, “জাটকা সংরক্ষণে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য সরকার ভিজিএফ দিচ্ছে। পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি, ভ্যান বিতরণসহ নানা উপকরণ দিয়ে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জাটকা ধরা বেআইনী। তবু শেখ হাসিনা সরকার কেউ অনিয়মের মধ্যে থাকলেও তাকে বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভালোভাবে পুনর্বাসন করতে চায়। কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সৎ, সাহসী, পরিশ্রমী রাষ্ট্রনায়ক। মানুষের জন্য কল্যাণকর পদক্ষেপ শেখ হাসিনা যা নিতে পেরেছেন, তা অতীতে কেউ করেন নি।”

এসময় তিনি আরো যোগ করেন, “নানাভাবে সরকার মৎস্য খাতের বিকাশে সহযোগিতা করছে। এ খাতের বিকাশের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। শুধু ঢাকায়ই নয়, দেশের যে যায়গায় প্রয়োজন সেখানে গবেষণা ইনস্টিটিউট করা হচ্ছে। এ খাতে যারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তাদের সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। যারা ফিড মিল বা অন্যান্য মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন করতে চান, তাদেরকে মেশিনারিজ আমদানির ক্ষেত্রে উৎসে কর অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। বিদেশে মাছ রফতানির সুযোগ সৃষ্টির জন্য হাইকমিশন সহযোগিতা করছে। তবে এ খাতের বিকাশে সরকারের পাশাপাশি দেশের নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বিএফআরআই-এর প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও মোহনা অঞ্চলে ইলিশ গবেষণার জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন উন্নতমানের ভেসেল কেনা হয়েছে। এতে দেশের নদ-নদী এবং সাগর উপকূলে ইলিশ বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা সম্ভব হবে। গবেষণালব্ধ ফলাফল ইলিশের সহনশীল উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে। বিএফআরআই এর গবেষণা থেকে অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা ও নির্ধারিত সময়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখায় ইলিশের প্রজনন সফলতা এসেছে। সর্বশেষ ২০২০ সালে ২২ দিন নিষিদ্ধকালে ইলিশের প্রজনন হার ৫১ দশমিক ২ শতাংশ নিরূপন করা হয়েছে। গবেষণায় নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচনে মৎস্য বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে। গবেষণা হতে হবে মানুষের কল্যাণে, দেশের স্বার্থে।”

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম এবং প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন ও মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোঃ ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও মৎস্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক, মৎস্য বিজ্ঞানী এবং মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২১ ২:৩১ অপরাহ্ন
মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কৃষক, লাশ মিলল ১১ ঘণ্টা পর!
মৎস্য

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজের ১১ ঘণ্টা পর মফিজ উদ্দিন (৩৮) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহত মফিজ উপজেলার দক্ষিণ চরবাগ্গা গ্রামের নুরনবী উকিলের বাড়ির আবদুল হাকিমের ছেলে। তার এক ছেলে, দুই মেয়ে ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রয়েছেন।

শনিবার (১৯ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক। এর আগে শুক্রবার (১৮ জুন) রাত ১০টায় উপজেলার দক্ষিণ চরবাগ্গা গ্রাম থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের ভাই আবুল বাশার জানান, তার ভাই কৃষিকাজ করতেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় স্থানীয় ফজলে এলাহীর প্রজেক্টে মাছ ধরার জন্য গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে রাত ১০টায় পাশের একটি কচুক্ষেতে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।

ওসি মো. জিয়াউল হক জানান, শুক্রবার রাত ১০টায় দক্ষিণ চরবাগ্গা গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মৃগী রোগ থাকায় পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৮, ২০২১ ১১:০৫ অপরাহ্ন
বড়শিতে ধরা পড়ল ৪৮ কেজি ওজনের বাগাড়
মৎস্য

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সিকান্দার আলী নামের এক ব্যক্তি বড়শি দিয়ে ৪৮ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরেছেন।

আজ শুক্রবার সকালে যমুনা নদী থেকে মাছটি ধরা পড়ে। বাগাড়টি দেখতে উপজেলার সানন্দবাড়ী ব্রিজ এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। পরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ৪৩ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিকান্দার আলীর বাড়ি উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকায়। তিনি বড়শি দিয়ে যমুনা নদীতে নিয়মিত মাছ ধরেন। আজ সকালেও মাছ ধরতে যান। তাঁর বড়শিতে বিশাল আকারের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়ে। এক ঘণ্টার চেষ্টায় তিনি মাছটি পাড়ে তোলেন। মাছটির ওজন ৪৮ কেজি। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মনসুর আলী মাছটি ৪৩ হাজার টাকায় কিনে নেন।

সানন্দবাড়ী এলাকার বাসিন্দা জাবেদ রানা জানান, তাঁর জানা মতে, এত বড় মাছ এর আগে কেউ যমুনা থেকে বড়শি দিয়ে ধরতে পারেননি। এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মনসুর আলীর মাছটি ৪৩ হাজার টাকায় কিনে নেন। পরে তিনি মাছটি একটি পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকার বাসায় নিয়ে যান।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop