৬:৫২ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ ২:৩৭ অপরাহ্ন
ছাদ বাগান করে প্রতি মাসে আয় ৭০ হাজার টাকা!
এগ্রিবিজনেস

চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকায় আব্দুর রশিদ টিটো মিয়া বাণিজ্যিকভাবে ছাদ বাগান করে প্রতিমাসে অনলাইনে গাছের চারা বিক্রি করে আয় করছেন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তাঁর বাগানে দেশি-বিদেশি প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাছ।

জানা যায়, তিনি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে বোনের দেওয়া ই-ফোরবিয়া গাছদিয়ে তার নিজের গড়া ছাদে বিশাল বাগান গড়ে তুলেছেন। অবিশ্বাস্য পরিকল্পনা তার। জমি না থাকলে ছাদেও যে বাণিজ্যিকভাবে বাগান করে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় তারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ তৈরি করেছেন আব্দুর রশিদ টিটো মিয়া। অসম্ভব পরিশ্রম, আধুনিক চিন্তা-ভাবনা ও সৃজনশীল গুণী মানুষ টিটো মিয়া (৬০)। এ বয়সেও বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।

করোনার মধ্যে তার অনলাইন বিসনেজ চালু ছিল। অনেক গাছ বিক্রি করেছেন। একজন নারী হিসেবে আমি বলবো, নারীরাও ছাদ বাগান করতে পারি। এটা করতে জমি লাগে না। যাদের বাসা আছে, ছাদ সবারই কম বেশি আছে। ছাদে আমরা ছাদ বাগান গড়ে তুলে অনলাইনে এই গাছ সেল করতে পারি।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিন রাব্বি জানান, জমি না থাকলেও বাণিজ্যিক ছাদ বাগান করে অনেক বেকার যুবক-যুবতী অনলাইনের মাধ্যমে বেচা-কেনা করে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে পারে। করোনাকালে শুধু তরুণরাই নয় যে কোনো বয়সের মানুষই ছাদ বাগান করতে পারে। জমি না থাকলেও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ছাদ বাগান করে বাড়তি আয় করা সম্ভব।

ছাদ বাগান সৌন্দর্য বর্ধনের সাথে কর্মসংস্থান করাও যে সম্ভব তার জ্বলন্ত উদাহরণ টিটো মিয়া। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ সুফি রফিকুজ্জামান বলেন, জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধির কারণে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। বাড়তি চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষিকে আমরা ভারট্রিক্যালে বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি। যারই ফলশ্রুতিতে আমাদের অনেক মানুষ শখের বশে ছাদে বাগান করছে।

এতদিন পর্যন্ত বাগানগুলো শখের বশে দেখতাম। কিন্তু আমাদের চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকার পুরাতন হাসপাতাল পাড়ায় আব্দুর রশিদ টিটো নামে এক ভদ্র লোক প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিভিন্ন প্রজাতির সৌখিন জাতীয় গাছের চারা সংগ্রহ করে এবং সেখানে উৎপাদন করছে। করোনাকালে মানুষ বেকার হয়ে যখন চাকরি হারাচ্ছেন সেই মুহূর্তে অন লাইনে চারা সরবরাহ করে মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা রোজগার করছেন টিটো মিয়া। গত বছর আমরা টিটো মিয়াকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ ১:৫৫ অপরাহ্ন
বগুড়ায় আলুর দরপতনে শঙ্কিত কৃষক ও ব্যবসায়ীরা
এগ্রিবিজনেস

বেশ কয়েকদিন ধরে বগুড়ার বাজারে আলুর দরপতনে শঙ্কিত কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহেও যেখানে আলুর কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা কেজি সেখানে বর্তমান বাজারে বিক্রয় হচ্ছে খুচরা কেজি প্রতি ১৫ টাকা করে। আর পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা কেজিতে। এদিকে উৎপাদন থেকে হিমাগারে রাখা পর্যন্ত এক কেজি আলুর পেছনে কৃষক ও ব্যবসায়ীর খরচ হয়েছে ১৮ টাকা। এই হিসাবে হিমাগারে আলু রেখে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজিতে ৮ টাকা করে লোকসান গুনছেন।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলাগুলোর একটি বগুড়া। কয়েক মৌসুম ধরে জেলাটিতে আলু আবাদ ও উৎপাদন ভালো হওয়ার কারণে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে ছিল। গত ২০১৮-১৯ মৌসুমে জেলায় আলুর ফলন ছিল প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ মৌসুমে বগুড়া জেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৫ হাজার ৪৫৪ হেক্টর। আর ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৮ হাজার মেট্রিক টন। শেষ পর্যন্ত বগুড়ায় গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়।

জেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাওয়া যায় বগুড়ায়। গত কয়েক বছর ধরে বগুড়ায় ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় আলুর দাম নিয়ে কৃষকরা খুশি না হতে পারলেও বাজার ব্যবস্থায় আলুর দাম স্থিতিশীল থাকায় নিশ্চিন্ত ছিল ভোক্তারা।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ভালো ফলনের কারণে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। বগুড়া সদর উপজেলার বারপুর, ঘোড়াধাপ, মরাকাটা, চাঁদমুহা এলাকার কয়েকজন আলু চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর আলুর ভালো ফলন পাওয়া যায়। ভালো ফলন পাওয়া গেলেও বাজারে ভালো দাম ছিল না। গত বছর মৌসুমের সময় বগুড়ার খোলা বাজারে একেবারে ভালোমানের আলু ২৮ থেকে ৩০ টাকা আর স্বাভাবিকভাবে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি। সেই আলু চলতি বছর এসে বর্তমানে কোল্ডস্টোরে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১০ টাকা কেজিতে। এই আলু কোল্ডস্টোরে সংরক্ষণ করার সময় খরচসহ ব্যবসায়ীদের পড়েছে প্রায় ১৭ টাকা কেজি।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দুলাল হোসেন জানান, বগুড়ায় সবজি হিসেবে আলুর উৎপাদন বরাবরই ভালো। এ মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে এবার বন্যা হয়নি। সবজি রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। তাতে আলুর চাহিদা সামান্য কমেছে। আবার বগুড়া অঞ্চল থেকে অন্য জেলায়ও আলু খুব একটা যায়নি। হিমাগারে সংরক্ষণ করা আলু খালাস না করলে ব্যবসায়ীদের লোকসান হবে। সব মিলিয়ে আলুর বাজারমূল্য কমে গেছে। তবে সামনে আরো একটি আলু চাষের মৌসুম আসছে দাবী করেন ওই কৃষিবিদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২১ ১:২৪ অপরাহ্ন
নতুন জাতের ‘স্যান্ডি’ আম, মুকুল থাকবে ১২ মাস!
এগ্রিবিজনেস

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের নাজমুল হকের বাড়িতে দেখা মিলছে নতুন জাতের আম স্যান্ডি’। এই আম গাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ১২ মাস গাছগুলোতে মুকুলের দেখা মেলে।

গাছের মালিক আম চাষি নাজমুল হক জানান, প্রায় ১১-১২ বছর আগে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিদেশি জাতের এ গাছের চারা পাওয়া গিয়েছিল। এরপর কয়েক একর জমিতে আম বাগান ও নার্সারি করে আম বিক্রি ছাড়াও গাছের চারা তৈরি একটি চারা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। নিজে এই আমের জাতের নাম না জানলেও স্থানীয় কৃষি বিভাগ আমের নাম স্যান্ডি বলে জানিয়েছে।

প্রতিদিনই মুকুল ফুটে আর একটি থোকায় অনেকগুলো আম আসে, আমের ভেতর আঁশ নেই, খেতে খুবই সুস্বাদু। এর ওজন প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমের আবরণ খুব পাতলা এবং আমের রঙ হলদে হলে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার জানান, নাজমুল হকের বাগানে যে আমগুলো রয়েছে তার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লিচুর মতো এক থোকায় অনেকগুলো ধরে। আর ১২ মাস মুকুল আসে। একবার মুকুল ভেঙ্গে ফেললে ফের মুকুল হয়। আর এই আম খেতে অনেক স্বসাদু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আম চাষি নাজমুল হক পরীক্ষামূলকভাবে স্যান্ডি গাছের চারাটি রোপণ করে ভালো সাড়া ফেলেছেন। আমের ফলন ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে স্থানীয়ভাবে এ আমের নাম দেয়া হয়েছে স্যান্ডি। আগের আমগুলোর দাম না পাওয়ার নতুন আম চাষে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২১ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
মরুভূমির খেজুরের চারা চাষ করে চমক দিয়েছেন রবিউল
এগ্রিবিজনেস

মরুভূমিতেই চাষ হয় খেজুর বা খুরমার। আমাদের এদেশে এ ফলের চাষ অনেকের নিকট অবাস্তব। মরুভূমির উত্তপ্ত আবহাওয়ায় উৎপাদিত ফলের চারা দো-আঁশ মাটিতে উৎপাদন করে এ অবাস্তবকে বাস্তবে পরিণত করেছেন কৃষক হাজি মো. রবিউল হাসান ওরফে রাজু (৪২)। তিনি সুলভ মূল্যে উত্তরাঞ্চলে চাষ ছড়িয়ে দিতে উন্নত জাতের সৌদি খেজুরের চারার নার্সারি গড়ে তুলেছেন।

তার নার্সারিতে বিখ্যাত নামকরা জাতের সৌদি আরবের আজুয়া, মরিয়ম, আম্বর, সুক্কারি ও রয়েল মাদানী খেজুর বীজ থেকে উন্নত মানের চারা উৎপাদন শুরু করেছেন।

হাজি মো. রবিউল হাসান রাজু জানান, ২০০৪ সালের মার্চ মাসে তিনি সৌদি আরবে পাড়ি জমান। তিনি সৌদি আরবের আব্হা অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর অবস্থানকালেই খেজুর উৎপাদনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হাতে-কলমে খেজুর চাষের কলাকৌশল রপ্ত করেন। সেখান থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। তখনও আমি জানতাম না যে, বাংলাদেশে খেজুর চাষ করা যায়।

পরে বাংলাদেশে খেজুর চাষের বিষয়টি জেনেছি এবং শাইখ সিরাজের টিভিতে প্রতিবেদন দেখে গাজীপুরের নজরুল ইসলাম বাদলের খেজুর বাগান স্ব-চক্ষে দেখে আসেন। বাড়িতে ফিরে এসে তিনি বাড়ি সংলগ্ন জমিতে আত্রাই নার্সারি নামে একটি চারা উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলেন। এই নার্সারিতেই উৎপাদিত হচ্ছে সৌদি আরবের বিখ্যাত জাতের খেজুরের চারা। তিনি নিজেই সৌদি আরব হতে বীজ এনে চারা উৎপাদন করছেন।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে কিছু চারার বয়স দেড় থেকে দুই বছর। আবার কিছু চারার বয়স ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। দেড় ফুট উচ্চতার এসব চারা রোপনের উপযোগী হয়েছে। তার নার্সারিতে অন্তত ৫০০ খেজুরের চারা রয়েছে। তিনি নিজেই ২৫ শতাংশ জমিতে খেজুরের চারা লাগিয়েছেন। দিনাজপুর অঞ্চলে একমাত্র তার নার্সারিতেই এ চারা পাওয়া যাবে। তিনি প্রতিটি খেজুরের চারা ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

দিনাজপুর জেলা হর্টিকালচারের উপ-পরিচালক এজামুল হক জানান, পর্যাপ্ত রোদ, কম আর্দ্রতা, শুকনা, উষ্ণ আবহাওয়া এবং পানি নিস্কাশনের সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি খেজুর চাষের জন্য উপযোগী। সরকারিভাবে আরব দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের উন্নত খেজুর চারা আমদানি করে জেলার হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে লাগানো হয়েছে। মাটির গুণগত এবং আবহওয়ার দিক থেকে দিনাজপুর অঞ্চল খেজুর চাষের জন্য উপযোগী। আশা রাখি, এ অঞ্চলে খেজুর চাষ করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২১ ১২:০২ অপরাহ্ন
ভোলায় শুরু হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ
এগ্রিবিজনেস

ভোলায় বাণিজ্যিকভাবে আদার চাষ শুরু হয়েছে। জেলায় চলতি বছরের রবি মৌসুমের শেষের দিকে জেলার ৭ উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের পাহাড়ি আদার চাষ হয়েছে। নির্ধারিত জমি থেকে ৪২০ মেট্রিক টন আদা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। হেক্টরপ্রতি ১২ থেকে ১৩ মেট্রিক টন আদা উৎপাদন করা সম্ভব। ৭-৮ মাসব্যাপী আদা চাষে ৪’শ ৩২ জন কৃষককে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বীজ বিতরণ ও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবু মো: এনায়েতউল্লাহ জানান, আদা মূলত দামি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি মসলা। দেশে আদা চাহিদার তুলনায় বড় একটি অংশ অন্যদেশ থেকে আনতে হয়। এ জেলায় সুপারি ও নারকেল বাগান রয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে এবং ৩ হাজার মিলিমিটারের উপরে বৃষ্টিপাত হয়। যা আদা চাষে অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে ছায়াযুক্ত জমিতে অন্য জমির চেয়ে ২০ ভাগ বেশি আদার উৎপাদন হয়। এমন ধারনা থেকে প্রথমবারের মতো বান্দরবন থেকে আদা এনে তা বিনামূল্যে কৃষকদের বীজ হিসেবে প্রদান করি।

কৃষকরা জানান, মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে তারা আদার বীজ রোপণ করেছেন। নভেম্বর-ডিসেম্বর দিকে ফলন ঘরে তুলবেন। পতিত ও পরিত্যক্ত জমিতে এর চাষ হওয়ায় জমির শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। এক শতাংশ জমির জন্য ৪ কেজি আদার বীজ প্রয়োজন হয়। আর একটি গাছ থেকে আড়াই কেজি বা তারচেয়ে বেশি আদা পাওয়া যায়। তাই পরিশ্রম কম হওয়াতে আদা চাষে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসার এ এফ এম শাহাবুদ্দিন জানান, তার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি জমিতে আদার চাষ হয়েছে। মূলত সুপারির বাগানগুলোতেই বেশি আবাদ হয়েছে। এর মাধ্যমে এসব বাগানকে দুই ফসলী জমিতে রুপান্তর করা হলো। তারা কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করেছেন। ২৯ জন কৃষককে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার একান্ত উদ্যোগে চাষ হওয়া আদা প্রথম দিকে চ্যালেঞ্জ মনে হলেও তা এখন সফলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২১ ৪:৪৭ অপরাহ্ন
৮ মাস পর শুরু হলো কাঁচা মরিচ আমদানি
এগ্রিবিজনেস

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৮ মাস পর ভারত থেকে আমদানি শুরু করা হয়েছে কাঁচা মরিচ। আমদানি শুরুর খবরে বন্দর এলাকায় ভিড়তে শুরু করেছেন পাইকাররা।

শনিবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় হিলির আমিরুল মল্লিক রয়েল নামের সিএন্ডএফ এজেন্টের প্রথম কাঁচা মরিচের একটি গাড়ি এ বন্দরে প্রবেশ করে।

সিএন্ডএফ আমিরুল মল্লিক রয়ে জানান, দীর্ঘ দিন কাঁচা মরিচের আমদানি বন্ধ থাকার পর এখন পারমিট পেয়েছি। আজ সকালে প্রথম আমার এক গাড়ি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। ৩০০ টাকা ডলারে প্রায় ১৩ মেট্রিকটন কাঁচা মরিচ আনা হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধের পর হিলির কাঁচা মরিচ আমদানি কারকরা পারমিট পেয়েছেন। ভারত থেকে মরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি বাজারে মরিচের দাম অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করছি, দেশি বাজারে মরিচের দাম স্বাভাবিক হবে।

এদিকে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম স্বাভাবিক রাখতে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১০, ২০২১ ৬:১৫ অপরাহ্ন
বীজ বপনের ২ মাসেই ফলছে ক্রাউন তরমুজ
এগ্রিবিজনেস

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বাপার্ড) প্রদর্শনী প্লটে ধরেছে গোল্ডেন ক্রাউন জাতের মারোমাসি তরমুজ। বাপার্ডে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিভাগের আওতার সমন্বিত কৃষি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১০ শতাংশ আয়তনের প্রদর্শনী প্লটে পরীক্ষামূলকভাবে গোল্ডেন ক্রাউন জাতের এ বারোমাসি তরমুজ চাষ করা হয়।

২ মাস আগে জমি প্রস্তুত করে এই গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ২ মাসেই গাছে ফল আসা শুরু করেছে।

সাম্প্রতিক বাপার্ডের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. মনিরুজ্জামান এ প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন। তিনি বাপার্ডের মাধ্যমে এই গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষিদের মাঝে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাপার্ডের কৃষি বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

শেখ মো. মনিরুজ্জামান জানান, বাড়ির আঙ্গিনা, মাছের ঘেরপাড়সহ স্বল্প জায়গায় এই গোল্ডেন ক্রাউন জাতের বারোমাসি তরমুজ চাষ করা সম্ভব। তাই এই জাতের তরমুজ চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা আগামীতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

বাপার্ডের কৃষি বিভাগের পরিচালক কৃষিবিদ মো. মাহমুদুন্নবী জানান, গোল্ডেন ক্রাউন জাতের এ তরমুজ সারা বছর চাষ করা যায়। ভিটামিনস, মিনারেলস ও এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সুমিষ্ট এবং সুস্বাদু এ তরমুজ চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২১ ৩:২০ অপরাহ্ন
এসিআই লি: এর বোর্ড অব ডিরেক্টর নাজমা দৌলা’র মৃত্যুতে বাফিটা‘র শোক
এগ্রিবিজনেস

এসিআই লিমিটেড এর চেয়ারম্যান জনাব এম. আনিস উদ-দৌলা’র স্ত্রী, এসিআই ও এর বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব
ডিরেক্টর মিসেস নাজমা দৌলা গত ২৮ জুলাই বুধবার রাত ১১:৪৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

মরহুমার স্বামী জনাব এম. আনিস উদ-দৌলা, মেয়ে জনাবা সুস্মিতা আনিস, ছেলে ড. আরিফ দৌলা, নাতি-নাতনিসহ বহু গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন তিনি।

গত ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নামাজে জানাযা শেষে মরহুমাকে গাজীপুরের কান্ট্রি হাউজের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মরহুমার মৃত্যুতে বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন (বাফিটা) এর সকল সদস্য গভীর
শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,আমরা মরহুমার বিদেহি আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের
প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহু তায়ালা মরহুমার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের এ শোক সংবরণ করার
তৌফিক দান করুন ও মরহুমা মিসেস নাজমা দৌলা‘কে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। আমিন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২১ ১২:০২ পূর্বাহ্ন
নতুন ঠিকানায় প্লানেট গ্রুপ
এগ্রিবিজনেস

নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়েছে দেশের পোল্ট্রি, ফিস ও ক্যাটল তথা কৃষি সেক্টরের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্লানেট গ্রুপ । ঢাকার বনানীতে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে নতুন অফিসটিতে স্থানান্তরিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি । আগামী ১ লা আগস্ট, রবিবার নতুন এই কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে । তাই পোল্ট্রি, ফিস ও ক্যাটল সেক্টরের পরিবেশক, খামারী, ব্যবসায়ী ও শুভানুধ্যায়ীদের নতুন ঠিকানায় যোগাযোগের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়েছে প্লানেট গ্রুপ কর্তৃপক্ষ ।

প্লানেট গ্রুপ তাদের সহযোগী প্লানেট এগ্রো লিঃ, প্লানেট ফিডস লিঃ, প্লানেট ফার্মা লিঃ ও প্লানেট হ্যাচারী লিঃ এর মাধ্যমে দেশের আপামর জনগণের জন্য নিরাপদ প্রাণিজ পুষ্টির চাহিদা মেটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং পোল্ট্রি, ফিস ও ক্যাটল তথা কৃষি সেক্টরে ইতিমধ্যে ব্যাপক আস্থা অর্জনে সমর্থ হয়েছে। দেশের খামারিদের মাঝে মানসম্মত ফিড, গুনগতমানসম্মত একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা, উন্নতমানের এনিমেল হেলথ পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ডে পরিনত হয়েছে প্লানেট গ্রুপ । এছাড়া বেকারত্ব নিরসনে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ করা হয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ।  নতুন ঠিকানায় কর্মকান্ড আরোও গতিশীল ও সাফল্যমন্ডিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৮, ২০২১ ৮:৩৮ অপরাহ্ন
আফতাব নিয়ে এলো দ্রুত বর্ধনশীল দেশী শোল মাছের পোনা
এগ্রিবিজনেস

শোল জনপ্রিয় একটি মাছ। আমাদের দেশে শোল মাছের অনেক চাহিদা রয়েছে বিশেষ করে যারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাদের কাছে শোল মাছ ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এই মাছ সব ধরনের প্রতিকুল পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবেলা করে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম। এই মাছ চাষে একজন কৃষক খুব সহজেই লাভবান হতে পারেন তবে তার জন্য প্রয়োজন রেডি খাবারে (ফিশ ফিড) অভ্যস্ত দেশী শোল মাছের পোনা।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে তেলাপিয়াসহ অন্যান্য মাছের পোনা বাজারজাত করে মৎস্য খামারীদের মাঝে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায়
বাংলাদেশে এই প্রথম বারের মত আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড মাছ চাষিদের জন্য নিয়ে এলো দেশী শোল মাছের পোনা। এই পোনা পালনের সুবিধাসমূহ নিম্নরূপঃ

১. শতভাগ প্রস্তুতকৃত হালাল মাছের খাবারে অভ্যস্ত
২. ১০-১২ মাসে ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে ১০০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে
৩. উচ্চ উৎপাদনশীল ও বেশি মুনাফা
৪. রোগ প্রতিরোধে অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন

দেশী শোল মাছের পোনা পেতে যোগাযোগ করুনঃ
০১৭০৯৬৩৮১০৪

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop