৩:৪১ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ৫ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২৩ ৫:০৮ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: ফসল, গবাদি পশু, মাছ উৎপাদনে কৃষকের করণীয় শীর্ষক এক কৃষক প্রশিক্ষণ ২৬ জুলাই (বুধবার) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী ।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমসিসিএ প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ড. যতীশ চন্দ্র বিশ্বাস এবং প্রকল্পের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। গবাদি পশু পালনের ক্ষেত্রেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করতে পারে এমন জাত বাছাই করতে হবে এবং সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সবার সচেতনতার মাধ্যমেই আমরা আমাদের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব।
প্রকল্পের উপ-প্রধান সমন্বয়কারী ড. দেবাশিস চন্দ্র আচায্য এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. শাকুর আহম্মদ, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর, বশেমুরকৃবির ডেইরি এন্ড পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মুর্শেদুর রহমান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাশ। এছাড়াও প্রশিক্ষণে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এমএস ও পিএইচডি ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কৃষক-কৃষাণীগণ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে ফসল, গবাদি পশু, মাছ উৎপাদনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা উত্থাপন করেন এবং রিসোর্স পার্সনগণ সম্ভাব্য সমাধান প্রদান করেন। উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৭০ জন কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২৩ ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
পাকা আম যেভাবে সংরক্ষণে রাখবেন
কৃষি গবেষনা

আম পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কম। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালকে বলা হয় মধু মাস।এসময় আম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানা দেশীয় ফলে বাজার থাকে সয়লাব। পাকা আম হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, ফজলিসহ নানা জাতের আম রয়েছে। একেক জাতের আমের একেক স্বাদ। তবে খুব বেশি দিন পাওয়া যায় না। এ জন্য করে রাখতে হয় সংরক্ষণ। তবে কিনে আনার পর দুই দিন পরই দেখা যায় আম পচে গেছে। আমের স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অটুট রেখে ১০-১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। জেনে নিন আম সংরক্ষণের উপায়-

সংরক্ষণের জন্য পরিপক্ব আম বেছে নিতে হবে। একটু শক্ত থাকতেই আম সংরক্ষণ করতে হবে। মাপমতো কাগজ কেটে প্রতিটি আম আলাদাভাবে মুড়িয়ে নিয়ে বড় পলিব্যাগে ভরে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে রাখুন। এভাবে এক মাসেও আম ভালো থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে ১০ দিন পরপর খুলে দেখে নিন। আবার কাগজ বদলে দিতে হবে।

দীর্ঘদিন ডিপ ফ্রিজে আম সংরক্ষণ করার জন্য প্রথমে ভালো পাকা আম বেছে নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কেটে জিপলক ব্যাগে রাখুন। মুখ বন্ধ করে ব্যাগটি ডিপে রাখুন। খাবার কিছুক্ষণ আগে ডিপ থেকে জিপলক ব্যাগ বের করে রাখুন। এভাবে ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত আম সংরক্ষণ করা যায়।

আস্ত আম বেশি দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে খবরের কাগজে মুড়ে নিয়ে সব আম একটি কাপড়ের ব্যাগে ভরুন। কাপড়ের ব্যাগের মুখ ভালো করে আটকে সেটিকে আবার একটি বড় পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। এভাবে আম চার থেকে ছয় মাস পর্যন্ত রাখা যায়।

পাকা আম কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে আইসবক্স কিংবা ছোট পাত্রে আমের পাল্প দিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে জমিয়ে নিন। জমে গেলে জিপলক ব্যাগে ভরে আবার ডিপে রাখুন। সারা বছর যে কোনো সময় বের করে স্মুদি, লাচ্ছি বা ডেজার্টেও ব্যবহার করতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৫, ২০২৩ ১২:২৭ অপরাহ্ন
প্রাকৃতিক উপায়ে ফসলের পোকা দমন করবেন যেভাবে
কৃষি গবেষনা

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফসলের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকা দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ৯৫০ মিলিলিটার পানি ও ১০ মিলিলিটার তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার পানি সঙ্গে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালেও বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে

এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজের চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেওয়ার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার পানি মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।

প্রাকৃতিক সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাক-সবজি ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের সঙ্গে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলো ফসলে কোনো রকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতি রেখে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।

বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এসব বন্ধুপোকা ফসলের অন্যান্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২৩ ৪:২৮ অপরাহ্ন
ধান গাছের শিকড়ে গিঁট রোগ দূর করার উপায়
কৃষি গবেষনা

ধান আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য শস্য। এখন আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করে কৃষকরা আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ ফসল উৎপাদন করছেন। তবে ধান চাষের সময় কিছু কিছু রোগবালাই এ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। এর মধ্যে ধান গাছের শিকড় গিঁট রোগ ধানের মারাত্নক ক্ষতিক র। ফলে ধানের শিকড় গিঁট রোগ দমনসহ বিভিন্ন রোগ ও দমন সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

ধানের শিকড় গিঁট রোগ সাধারণত বীজতলায় এবং বোনা আউশ ক্ষেতে চারা অবস্থায় দেখা যায়। এই কৃমি ধান গাছের প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো মাটিতে গাছের শিকড়ে আক্রমণ করে।

আক্রান্ত গাছ বেঁটে, পাতা হলদে এবং শুকিয়ে যেতে থাকে। আক্রান্ত গাছের শিকড়ের মধ্যে গিঁট দেখা যায়। গাছ বাড়তে পারে না এবং দুর্বল হয়।

শিকড় গিঁট রোগ দমন করতে হলে আক্রান্ত বীজতলা বা জমি পানিতে ডুবিয়ে রাখলে আক্রমণের প্রকোপ কমানো যায়। চাষাবাদে শস্যক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। বীজতলা বা আউশ ক্ষেতে বিঘা প্রতি ২.৫-৩.০০ কেজি ফুরাডান অথবা কুরাটার ছিটিয়ে দিতে হবে।

তথ্য সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৭, ২০২৩ ৩:৪০ অপরাহ্ন
আমনের বাম্পার ফলন নিশ্চিত করতে ময়মনসিংহে কর্মশালা
কৃষি গবেষনা

 বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় “ময়মনসিংহ অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয়” শীর্ষক এক কর্মশালা আজ সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। কৃষিবিদ মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, পরিচালক (সরেজমিন উইং) এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মীর্জা মোফাজ্জল ইসলাম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, ড. মো. খালেকুজ্জামান, পরিচালক (গবেষণা), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, ড. মো. আব্দুল লতিফ, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক গবেষণা ড. মোঃ আব্দুল মালেক।

ব্রির সিনিয়র লিয়াজোঁ অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল মোমিন এর সঞ্চালনায় এই আঞ্চলিক কর্মশালায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ড. মোঃ ইব্রাহীম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধান, রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ, ব্রি এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন–কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল।

 

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজেআরআই, বিএসআরআই, বারটানসহ নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমুহের বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানীবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-পরিচালকগণ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালকগণ, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অত্র অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালকগন ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর ময়মনসিংহ অঞ্চলের চার জেলার জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তাবৃন্দ, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অত্র অঞ্চলের বীজ, সার ও বালাইনাশক ডিলার, বীজ উৎপানকারী, এনজিওপ্রতিনিধি ও কৃষক প্রতিনিধিবৃন্দসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট তিন শতাধিক অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।

 

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), ড. মো. আব্দুল লতিফ। কর্মশালায় কৃষক প্রতিনিধি, বীজ উৎপাদক ও ডিলার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা মুক্ত আলোচনা অংশ নেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রির মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, দেশের মানুষের টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিকভাবে তত্পর থাকতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা সুসংহত করতে না পারলে আমাদের পরনির্ভরশীলতা তৈরি হবে যা কখনোই কাম্য নয়। বিশ্বব্যাপি চলমান সংকটে নিজেদের খাদ্য নিজেদের উৎপাদন করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। অধিক ফলনের জন্য যে এলাকায় যে জাত চাষের পরামর্শ বিজ্ঞানীরা দিয়েছে সে জাত চাষ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্রি ২০৩০, ২০৪০, এবং ২০৫০ সালের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তা বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

 

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, গবেষণা সম্প্রসারণ সংযোগ বাড়াতে এই আঞ্চলিক কর্মশালা ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এই আলোচনা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষণ মাঠে প্রয়োগ করা গেলে ফলন অবশ্যই বাড়বে।

কর্মশালার সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, গবেষণা ও সম্প্রসারণের ফলপ্রসূ সংযোগের মাধ্যমে আমরা চালের উৎপাদন ১৯৭১ সালের এককোটি টন থেকে ২০২৩ সালে এসে চার কোটি টনে উন্নীত করতে পেরেছি এটা আমাদের জাতীয় জীবনের এক অসামান্য অর্জন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২৩ ৫:৩৩ অপরাহ্ন
কুমিল্লায় জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ
কৃষি গবেষনা

কুমিল্লা জেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ। চলতি মৌসুমে কুমিল্লার দেড়শ’ একর জমিতে এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। জেলার চৌদ্দগ্রাম, মুরাদনগর ও দাউদকান্দিতে এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। এতে শ্রমিক সংকট দূর হবে। ধান চাষে খরচ কমে আসবে।

কৃষি অফিসের সূত্রমতে, প্রতিনিয়ত কমছে কৃষি শ্রমিক। এ সমস্যার সমাধানে একটি কার্যকরী উপায় বের করেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন তাঁরা সমলয়। নতুন এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত, সবই এক সময়ে একযোগে করা হবে। স্বল্প মানুষের সাহায্যে কাজটা করবে যন্ত্র। জমির অপচয় রোধে এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো হবে ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হবে। তারপর রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হবে। একটা ট্রান্সপ্ল্যান্টার এক ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে, বেঁচে যায় শ্রমিকের খরচ। চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। একই সময় রোপণ করায় নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান পাকেও একই সময়। মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটা ও মাড়াই করা যাবে।

দাউদকান্দির কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম বলেন, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এটিকে কাজে না লাগালে ব্যয় বাড়বে। কৃষক কৃষি বিমুখ হয়ে পড়বেন। মেশিনের সাহায্যে ধান লাগানোর কারণে কৃষকের খরচ কম লাগছে।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বলেন, প্রতি একর জমিতে ধান লাগাতে ১২-১৫ হাজার টাকা শ্রমিকের মজুরি দিতে হয়। সেখানে মেশিনে ধান লাগালে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হবে। সময়ও কম লাগবে। কাটতে সময় এবং খরচ কম লাগবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ধান লাগানোর মেশিন কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। একটি ছোট মেশিনের দাম সাড়ে চার লাখ টাকার মতো। সরকার এতে ৫০ ভাগ ভর্তুকি দিবে। কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষক সচেতন। তাই এখানে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ৮:৪১ পূর্বাহ্ন
মাশরুমের পুষ্টিগুণ জানলে আপনি অবাক হতে বাধ্য…
কৃষি গবেষনা

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে ছায়াযুক্ত স্যাঁতসেঁতে জায়গায় কিংবা স্তূপীকৃত গোবর রাখার স্থানে ছাতার আকৃতির সাদা রংয়ের এক ধরনের ছত্রাক জন্মাতে দেখা যায়। একে আমরা ব্যাঙের ছাতা বলে অভিহিত করে থাকি। আগাছার মতো যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা এসব ছত্রাক খাবার উপযোগী নয়। অনুরূপ দেখতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে যে ব্যাঙের ছাতা উৎপাদিত হয়, তা অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং বিশ্বে সবজি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই ব্যাঙের ছাতাকে ইংরেজিতে বলা হয় মাশরুম ।

সাধারণভাবে মাশরুম হল বিশেষ এক প্রকার প্রজাতির ছত্রাক, বেশ সুস্বাদু মুখরোচক এবং উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। এদের কোনো ক্লোরোফিল থাকে না। এরা স্যাঁতসেঁতে ও ছায়াযুক্ত জায়গায় এবং মৃত জৈব বস্তুর উপর জন্মায়। যেমন – খড়, পাতা, মরা গাছের ডাল। পচা জৈব বস্তুর খাদ্যসার এরা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হিসাবে ব্যবহার করে নিজেদের অঙ্গজজনন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের বংশবিস্তার করে।

মাশরুমের খাদ্যগুণ

১। খাদ্যগুণ বলতে এতে ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অতি প্রয়োজনীয় ১৮ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড ও প্রোটিন থাকে।

২। মাশরুমের অনেক ওষুধি গুণ আছে। শর্করা কম থাকায় ডায়াবেটিক রোগীদের আদর্শ খাদ্য। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় হাড় ও দাঁতের গঠনে বিশেষ কার্যকরী। ফলিক আ্যসিড থাকায় রক্তাল্পতা রোগে উপকারী।

৩। মাশরুম প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি। তাই একে সবজি মাংসও বলা হয়ে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রামে (শুকনো মাশরুম) ২০-৩০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।

৪। মাশরুমে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস ও কমমাত্রায় ক্যালসিয়াম ও লৌহ রয়েছে। লৌহ কম থাকাতেও সহজলভ্য অবস্থায় থাকে বলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে মাশরুম সহায়তা করে।

৫। মাশরুম খুব নিম্নশক্তি সম্পন্ন খাবার (Low calorie) | এতে কোলেষ্টরল নেই, চর্বির পরিমাণ অত্যন্ত কম (২-৮%) কিন্তু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড লিনোলোয়িক এসিড রয়েছে।৬। মাশরুম সহজপাচ্য খাদ্য হওয়ার দরুন শিশু, গর্ভবতী মহিলা, বৃদ্ধ এবং হার্টের, বহুমূত্র (ডায়াবেটিস), গ্যাসের সমস্যা, কুষ্টকাঠিন্য, হাইপারটেনশন এবং রক্তাপ্লতা রোগীদের ক্ষেত্রে একটি উত্তম পথ্য হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

৭। মাশরুমের পরিমিত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও যথেষ্ট আঁশ (৮-১০%) থাকে। এতে স্টার্চ নেই। শর্করার পরিমাণ কম বিধায় বহুমূত্র রোগীদের জন্য মাশরুম আদর্শ খাবার।

৮। কম চর্বি, কোলোস্টেরকমুক্ত এবং লিনোলেয়িক এসিড সমুদ্ধ হওয়ায় মাশরুম হৃদরোগীদের জন্যও খুব উপকারী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২৩ ১:০২ অপরাহ্ন
‘ল্যাংড়া’ আমের নামকরণের ইতিহাস
কৃষি গবেষনা

আমের একটি বিখ্যাত জাত ‘ল্যাংড়া’ (langra mango) যা উপমহাদেশে (ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান) খুবই জনপ্রিয় । এটি ভারতের অন্যতম একটি বিখ্যাত আম। ভারতের বেনারসে এর উদ্ভব হয়েছে। তাই বানারসী আমও বলে; স্বাদে ও মানে খুবই উন্নত।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, গোয়া, উত্তরপ্রদেশের লখনৌ, রত্নগিরিতে এবং বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, নওগা ও নাটোর এলাকায় বেশি জন্মে। সাতক্ষীরার ল্যাংড়া আম স্বাদে, মানে উন্নত।

আমের জাতের নামকরণে ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ, জনশ্রুতি ও প্রবাদ রয়েছে। তেমনি ল্যাংড়া জাতের নামকরণেও তা রয়েছে।

১) কাশীতে এক ল্যাংড়া ( খোঁড়া/খঞ্জ) ফকিরের বাগানে সুমিষ্ট আম ফলত। তা থেকে ল্যাংড়া নাম। আবিষ্কর্তা হলেন পাটনার ডিভিশনাল কমিশনার ককবার্ন সাহেব।

২) মনে করা হয় মোঘল আমলে (Mughal Empire) ভারতের বিহার রাজ্যের দ্বারভাঙায় এই আমের চাষ শুরু হয়। আঠারো শতকে এক ফকির সুস্বাদু এই আমের চাষ করেন। ফকির যেখানে বাস করতেন তার আশেপাশে শত শত আমের গাছ ছিল।ফকিরের আস্তানা থেকে এই জাতটি প্রথম সংগৃহীত হয়েছিল। তারই একটি থেকে এই অতি উৎকৃষ্ট জাতটি বেরিয়ে এসেছে। সেই ফকিরের পায়ে একটু সমস্যা অর্থাৎ খোঁড়া ছিল। এই খোঁড়া ফকিরের নামে আমটির নামকরণ হয়েছে।  সেই থেকে এই আমের নাম হয়ে যায় ‘ল্যাংড়া’।

৩) কাশীর (Kashi) কাছে ল্যাংড়া গ্রামের আমকেই আগে বলা হতো ল্যাংড়া আম।

৪) একবার ভীষণ ঝড়ে কাশীতে একটা আম গাছ প্রায় উৎপাটিত হয়ে আকার নেয় ল্যাংড়া মানুষের। তা থেকে ল্যাংড়া নাম।

৫) হাজিপুরের একটি আমগাছকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে সৈন্যসামন্ত। পাটনার কলেক্টার সাহেব এবং কোম্পানীর কর্মচারীরা মাত্র একটি আমগাছের জন্য হিমশিম খাচ্ছেন। এই গাছের ডাল নিয়ে সমস্যা। দ্বারভাঙ্গা, হাতুয়া, বৈতিয়া, দুমড়াও এর মহারাজারা ঐ আমগাছের ডালের পরিবর্তে হাজার হাজার টাকার খাজনা হারাতে রাজি। কারণ হাজিপুরের একজন ল্যাংড়া (খোঁড়া) ফকির ঐ বিশেষ আমের জাতের আমের উদ্ভাবন করেছিলেন; তারই নাম ল্যাংড়া। ঐ আমগাছ তলাতেই ছিলেন সেই খোঁড়া ফকির যার নামে স্বনামধন্য আম ল্যাংড়া।

 

ড. সমরেন্দ্র নাথ খাঁড়া

উপ উদ্যানপালন অধিকর্তা

পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২, ২০২৩ ৯:০০ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জে দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ ও সারের অপচয় রোধে করনীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) আঞ্চলিক গবেষণাগার কিশোরগঞ্জ কর্তৃক করিমগঞ্জের ভাটিয়া গ্রামে মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব, মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি, রাসায়নিক সারের অপচয় রোধে করনীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশিষ্ট ও বিজ্ঞ মৃত্তিকা বিজ্ঞানীগণ মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান এবং মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার ব্যবহার করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন। কৃষি প্রধান দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মাটি পরীক্ষার বিকল্প নেই এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী দিনে সুষম সার প্রয়োগের উপর বক্তারা জোর দেন।এছাড়াও কৃষির বিভিন্ন বিষয়ে ও পুষ্টিউপাদানের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সুপরামর্শ প্রদান করেন।

আঞ্চলিক গবেষণাগার কিশোরগঞ্জের উদ্যোগে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ জালাল উদ্দিন, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড. মোঃ আবদুর রউফ, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এনালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইং, ঢাকা, ড. মো: হুমায়ুন কবীর সিরাজী, প্রকল্প পরিচালক, ড. মো: লুৎফর রহমান, প্রকল্প পরিচালক। ড. এ.বি.এম. শহীদুল ইসলাম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিস প্রধান আঞ্চলিক গবেষণাগার কিশোরগঞ্জের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরও মূল্যবান বক্তব্য রাখেন জনাব এম.এ.হানিফ,চেয়ারম্যান ৬নং দেহুন্দা ইউনিয়ন পরিষদ, জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক, সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, দেহুন্দা ইউনিয়ন, জনাব মনিরুজ্জামান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, জনাব মোঃ হাছিবুল হক ও জনাব সালেহ আহমদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদ্বয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাশার। প্রায় ৭০ জন চাষিদের হাতে-কলমে মাটি নমুনা সংগ্রহ করার প্রশিক্ষণ দেন এবং ২০ জন কৃষক তাদের ফসলের পুষ্টি মান জানতে মাটির নমুনা জমা দেন। রাসায়নিক বিশ্লেষণ পূর্বক তাদেরকে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হবে।সাবেক মেম্বার শফিউদ্দিন শোভনসহ অত্র এলাকার চাষিদের সার্বিক সহযোগিতায় এবং আঞ্চলিক গবেষণাগার কিশোরগঞ্জের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সফল একটি কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ৩:০৫ অপরাহ্ন
বরিশালে তেলফসল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার ওপর আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ নগরীর মৎস্য বীজবর্ধন খামারের হলরুমে ডিএইর উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান এবং ফরিদপুরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ। কীনোট উপস্থাপন করেন তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন।
বরিশাল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শিরিন আক্তার জাহান, ডিএই পটুয়াখালীর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ভোলা সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার এএফএম শাহাবুদ্দিন, শরীয়তপুরের জাজিরার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জামাল হোসেন, ঝালকাঠি সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার আলী আহমেদ, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল হাসান খান প্রমুখ।


প্রধান অতিথি বলেন, পামওয়েল আর সয়াবিনতেল আমাদের পুরো বাজার দখল করে আছে। এখানে সরিষাকে প্রতিষ্ঠিত করাতে হবে। এছাড়া ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমানোর আর কোনো বিকল্প নেই। দিন দিন সরিষার আবাদ বাড়ছে। এসব বুঝতে পেরে অদৃশ্য প্রতিদ্বন্দ্বি পামওয়েলের আমদানিকারকরা বসে নেই। তারা সরিষার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ সরিষা হলো নিরাপদ তেল। তাই সরিষা আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য আমাদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই তেলফসলের উৎপাদন আশানুরূপ বাড়বে। পাশাপাশি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় কৃষিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৭৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop