৭:১৮ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৭:১১ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এই কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গাজীপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনের পর তিনি বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্রের ইনোভেশনস পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির (সিইইউ) নির্বাহী পরিচালক ড. স্টেভিন ওয়েব, ফিলিপাইনের ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ড. জেইন বালিই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৩ ৯:৩৬ অপরাহ্ন
উচ্চফলনশীল সবজি চাষে কুমিল্লার কৃষকের ভাগ্য বদল
কৃষি বিভাগ

আধুনিক প্রযুক্তি, সময়োপযোগী কৃষিনীতি আর কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বদলে গেছে জেলার কৃষির চিত্র। কৃষিক্ষেত্রে সবজি চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সবজির উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকদের আয়ও বেড়েছে। কৃষক বিবর্তিত জলবায়ূর সাথে সংগ্রাম করে কৃষি বিপ্লবে এখন মাঠে ময়দানে কাজ করছেন। বৈরী আবহাওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলাতে এখন কঠোর পরিশ্রম করছেন। কুমিল্লার গ্রামের মাঠে বাড়ির আঙ্গিনায় হচ্ছে সবজি চাষ । মাটির মাঝ থেকে তুলে আনছে ফসলের খাটি সোনা। গত দুই যুগ আগের কৃষি কাজের সাথে বিস্তার ফারাক এখনকার প্রযুক্তি। যেখানে একদা সবজি চাষ ছিল আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র সেখানে সবজি চাষ এখন আর্শিবাদ ।বৈরী আবহাওয়া ও প্রতিবেশকে হাতের মুঠোয় কব্জা করে মাঠের সেই কৃষক এখন সোনা ফলাচ্ছে। সবজির দামও ভালো পাচ্ছে। কৃষক তাই কোমর বেধে কৃষিযজ্ঞে আমুল পরিবর্তন আনছে। তাই উচ্চফলনশীল সবজি চাষ কুমিল্লার কৃষকের ভাগ্য ক্রমেই বদলে দিয়েছে এ সবজি চাষ বিপ্লব। কুমিল্লার গ্রামে গ্রামে চাষ হচ্ছে এ সবজি। কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা এখন উচ্চফলনশীল জাতের শাক-সবজির চাষ করছেন। চাষিরা দেশীয় বীজ বাদে হাইব্রিড চাষ করে অধিকফলন ফলাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষিকাজে যন্ত্রপাতির বদলে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কেবল জমি চাষই নয়, জমিতে সার দেওয়া, কীটনাশক ছিটানো থেকে শুরু করে সবই আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে করা যাচ্ছে। কৃষিবিদরা মনে করছেন সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার, পরিশ্রমী কৃষক এবং মেধাবী কৃষি বিজ্ঞানী যৌথ প্রয়াসেই এমন সাফল্য এসেছে।

কৃষি বিভাগের পরামর্শে কুমিল্লার হাজার হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ এখন নজর কাড়ার মত। যেখানে কোনদিন সবজি চাষের অস্তিত্বই ছিল না সেখানে এখন সবুজের সমরাহ। বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামের কৃষক শহিদ উল্লা বাসসকে জানান, ১০-১২ বছর ধরে তিনি কৃষি কাজের সাথে আছেন। এটি তার প্রধান পেশা। চলতি বছর ৫ বিঘা জমিতে লাউ চাষ করে প্রায় ২ লাখ টাকার বেচা কেনা করেছেন। প্রতিদিন ২শ’ থেকে ৩শ’ লাউ বাজারজাত করেন। সাথে কপি ও শিম চাষ চলছে।

ডুবাইরচর গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলাম ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজ করে সংসার চালান। এ বছর ২ একর জমিতে বরবটি লাগিয়েছেন। প্রতিদিন ১-২ মণ বরবটি তুলছেন। এতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যেই তিনি ৪০ হাজার টাকার বরবটি বিক্রি করেছেন। শ্রীমন্তপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন তিন বছর ধরে শিম আবাদ করে ভালো দাম পেয়েছেন। এবার শিমের পাশাপাশি অন্যান্য সবজিও চাষ করেছেন। অল্প সময়ে ফসল তোলার পাশাপাশি রোগবালাই এবং লোকসানের শংকা কম বলে আমিরের মতো অনেকেই এখন সবজি চাষ করছেন। ডুবাইরচর গ্রামের কৃষক রজ্জব আলী বাসসকে বলেন, তার জমিতে লাউ, বরবটি, মূলা ও ডাটা শাক রোপণ করে তার খরচের টাকা উঠে এখন লাভের মুখ দেখেছে। গত বছর ৩শ’ ঝাড়ে আলাভী গ্রীণ জাতের শসা, টিয়া জাতের করলা এবং মার্টিনা জাতের লাউ বীজ রোপণ করেছিলেন। এবার লাউ শাক বিক্রি করে বেশ টাকা এসেছে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক উচ্চফলনশীল সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। উচ্চফলনশীল সবজি চাষে অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় চাষিদের মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে। চাষাবাদে কাঠের লাঙ্গলের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। কৃষি কাজের মধ্যে সবচেয়ে শ্রমনির্ভর কাজ হচ্ছে বীজ বা চারা রোপণ, আগাছা দমন ও ফসল কাটা।

মৌসুমের নির্দিষ্ট সময়ে বীজ বপন, চারা রোপণ এবং ফসল কেটে ঘরে তুলতে কৃষককে বেশ সংকটে পড়তে হয়। ওই সময়ে কৃষি শ্রমিকের মজুরি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কখনো কখনো দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায় না। ফলে বিলম্বে বীজ রোপণ করায় ফলন কম হয়, পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এসব থেকে রক্ষা পেতেই কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় এতে যেমন সময় কম লাগছে, তেমনি বেশি ফসলও উৎপাদন হচ্ছে। যার ফলে কৃষক লাভবান হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩ ৩:৩৩ অপরাহ্ন
টমেটো চাষে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষক
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুরের চাষিরা আলু ও সরিষার পর এখন টমেটো ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে এবং সার-কীটনাশকের সংকট না থাকায় এবার গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তারা। আগাম আলু উঠিয়ে তারা টমেটোর চারা রোপণ করেছিলেন। এখন টমেটো ক্ষেতে বাঁশের বাতা ও সুতা দিয়ে গাছ যাতে ঝড়-বৃষ্টি এবং ভারে নুয়ে না পড়ে সে জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

কৃষক এবং কৃষি বিভাগ বলছে, কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে জেলায় এবার গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলন হবে। সেইসঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দেশের যে কোনো প্রান্তে টমেটো সহজে পাঠাতে পারবেন। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ী লাভবান হবেন। ব্যবসায়ীরা এখনই টমেটো চাষিদের খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১ হাজার ১৪২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চারা রোপণ হয়েছে। এখনো চারা রোপণ চলছে। এবার টমেটো চাষ আরও বাড়তে পারে। দিনাজপুরে টমেটো চাষ শুরু হয়েছে মাঘ মাসের ১৫ তারিখ থেকে। ফলন পাওয়া যায় চৈত্র মাসের ১৫ তারিখ থেকে। তবে অনেকে স্বল্প পরিসরে আগাম টমেটো চাষ করে থাকেন। জেলা সদর, চিরিরবন্দর, বিরলসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকহারে গ্রীষ্মকালীন ভিকোমা, প্রভেনশিপ, রানি, রাজা কুমার ও বিপুল প্লাস টমেটোর চাষ হয়ে থাকে। তবে এবার সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে বিপুল প্লাস জাতের টমেটো।

চিরিরবন্দর উপজেলার মাদারগঞ্জ আরজিগলাহার গ্রামের কৃষক মধুসূদন রায় (৪০) জানান, তিনি এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে বিপুল প্লাস জাতের টমেটোর চারা রোপণ করেছেন। গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। তিনি এখন টমেটো গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তিনি বলেন, ‘জমিতে টমেটো চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে ৪০০ মণ টমেটো হবে। টমেটো যদি ১০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে পারেন, তাহলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন। এতে তার লাভ হবে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করলে লাভ কিছুটা কম হবে। টমেটো চাষে সাধারণত লোকসান গুনতে হয় না। যতি কোনো দুর্যোগ না হয়।’

একই কথা বলেন সদর উপজেলার চক দেওতৈড় গ্রামের কৃষক সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘৬০ শতাংশ জমিতে বিপুল প্লাস টমেটোর চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত টমেটো গাছ খুবই সুন্দর হয়েছে। কিছু গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। যদি ফলন ভালো হয় এবং দাম ভালো পাই, তাহলে বেশ লাভবান হবো। দাম পেলে সোনায় সোহাগা হয়ে যাবে।’

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে টমেটোর উৎপাদন বেড়েছে। টমেটো চাষ করে যাতে কৃষকরা কোনো সমস্যার মধ্যে না পড়েন; সেজন্য সব সময় মনিটরিং করা হচ্ছে। কৃষক ধান, আলু ও সরিষার ভালো দাম পেয়েছেন। আশা করছি টমেটোয়ও এবার দাম ভালো পাবেন।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩ ৩:০৯ অপরাহ্ন
ঝিঙ্গা চাষে লাভবান চরাঞ্চলের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

ভোলার চরাঞ্চলের কৃষকরা ঝিঙ্গা চাষে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। ঝিঙ্গা একটি সুস্বাধু সবজি। বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। এর চাষে খরচ অল্প ও বেশি লাভজনক হওয়ায় চরের চাষিরা বেশি বেশি ঝিঙ্গা চাষ করছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবানের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হতে পারছেন।

জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর চটকি মারার গাগুরিয়া চরে ঝিঙ্গার ব্যাপক চাষ হয়েছে। এখানকার কৃষকরা হাইব্রিড জাতের ঝিঙ্গা চাষ করছেন। চরের মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় ঝিঙ্গা সহ সব ধরনের সবজির বাম্পার ফলন হয়। আর বাজারে ঝিঙ্গা ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। এখানকার উৎপাদিত ফসল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। অল্প খরচে ও সময়ে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে।

চর চটকি মারার গাগুরিয়া চরের কৃষক হাফিজ চৌকিদার বলেন, আমি অন্যের জমি লিজ নিয়ে কৃষি কাজ করি। গত ২ বছর ধরে প্রথমে ৫ শতক তারপর ১০ ও এখন ২০ শতক জমিতে ঝিঙ্গা করছি।

তিনি আরো বলেন, ২০ শতক জমিতে ৬০০টি ঝাড় তৈরী করেছি। প্রতিটি ঝাড়ে তিনটি করে হাইব্রিট মেটাল সিটের ইউরেকা জতের বীজ বপন করেন। মাত্র দেড় মাসের মাথায় ফল ধরতে শুরু করে। এই সবজি চাষে মোট ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা দরে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করেছি। আশা করছি লক্ষাধিক টাকার বিক্রি করতে পারবো।

এখানকার উৎপাদিত ঝিঙ্গা ভোলার বাজারে আর বাকিগুলো চলে যায় খুলনা, ঢাকা ও যশোরে। চর থেকে নদী পথে এবং পরে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় এই সবজি। ঝিঙ্গে চাষে পরিশ্রম একটু বেশি হলেও ভালো ফলন, চাহিদা বেশি ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা খুশি।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারেসুল কবির জানান, চলতি বছর ভোলায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে জিঙ্গা আবাদ করা হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৮ মণ করে ফলন এসেছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। আশা করছি কৃষকরা ঝিঙ্গার ভালো ফলনের পাশপাশি বেশি দরে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার সবজি চারা বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে
কৃষি বিভাগ

একপাশে গোমতীনদী অন্য পাশে রানী ময়নামতির প্রাসাদ। তার মাঝেই সমেষপুর গ্রাম। ছায়া সুনিবিড় সমেষপুর গ্রামে এখন নজর কাড়ে চারা চাষিদের ব্যস্ততা। কেউ জমি প্রস্তুত করছেন। কেউবা পানি ছিটাচ্ছেন। কেউবা চারা তুলে আটি করছেন। পাশে দাঁড়িয়ে থেকে পাইকাররা চারা গুনে গাড়িতে তুলছেন। এমন দৃশ্য কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সমেষপুর গ্রামে। বছরের ভাদ্র থেকে অগ্রহায়ণ এ ৪ মাস চারা উৎপাদন ও বিক্রয় হয়। এ চার মাসে প্রায় চার কোটি টাকারও বেশী রবিশস্যের চারা উৎপাদন ও বিক্রি করেন ওই জনপদের কৃষকরা। এসব রবিশস্যের চারা দেশের সবজি চাষিদের চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে প¦ার্শবর্তী দেশ ভারতেও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট প্লটে গায়ে গায়ে লেগে হাজারো চারা দোল খাচ্ছে। রোদ থেকে বাঁচাতে চারা গাছের উপরে বাঁশ পলিথিন দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাষিরা নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিস্কার করছেন। কেউবা পানি ছিটিয়ে চারাগুলোকে সতেজ করার চেষ্টা করছেন। প্লটগুলোতে মাথা তুলে আছে মরিচ, টম্যাটো, বেগুন, তাল বেগুন, লাউসহ নানান প্রজাতির চারা। এ চারাগুলোই কিছু দিন পরে বিভিন্ন জমিতে ফুল ফলে ভরিয়ে দেবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বুড়িচং উপজেলার সমেষপুরসহ পাশের কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০ একর জমিতে চারা চাষ করেছেন কৃষকরা। চারটি ব্লকে ৯৪ জন চাষি চারা উৎপাদনের সাথে জড়িত।

সমেষপুর এলাকার চারা চাষি মোঃ আলমগীর হোসেন বাসসকে বলেন, তিনি এ বছর ১০০ শতক জমিতে চারা চাষ করেছেন। তার বাগানে টমেটোসহ নানান জাতের চারা রয়েছে। এ ১০০ শতক জমিতে চারা উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে খরচ বাদে তার মুনাফা হবে অন্তত ৫ লাখ টাকা।

বুড়িচং উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় বাসসকে বলেন, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চারা উৎপাদনের সময় রোগ ও পোকামাকড় এর আক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া, রবি প্রণোদনা, বোরো হাইব্রিড প্রণোদনা, পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান, ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন প্রদর্শনীসহ কৃষক প্রশিক্ষণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৃষককে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩ ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
কোটালীপাড়ায় কৃষি উপকরণ বিতরণ শুরু
কৃষি বিভাগ

অনাবাদি পতিত জমি ও সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রমের আওতায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় গতকাল সকাল ১০টায় ২৭৫ জন কৃষকের মধ্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ কার্যক্রমের আওতায় কৃষকের মাঝে ৬ প্রকার ফলের চারা, ১২ রকমের সবজি বীজ, বিভিন্ন প্রকার সার, ফোয়ারাযুক্ত পানির টব, নেটসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। ফলের চারা, সবজি বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ দিয়ে উপজেলার ২৭৫ জন কৃষক বসতবাড়ির আনাবাদি ও পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করবেন।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আঃ কাদের সরদার, ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. বিজয় কৃষ্ণ বিশ^াস, অনাবাদি পতিত জমি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিটুল রায়, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষ্মী সরকার, কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিন্দ্রনাথ রায়, কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুষার মধু, কৃষক জীবন হাজরাসহ অরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের এমন কোন স্থান নেই যেখানে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় বর্তমান সরকারের আমলে সমগ্র দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি দেশের কোন নিদিষ্ট অঞ্চলের কথা চিন্তা না করে সমগ্র দেশের সকল সেক্টরের উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু বিগত দিনে যারা দেশের সরকার প্রধান ছিলেন তারা শুধু নিজ নিজ অঞ্চলের উন্নয়ন করেছেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আর এ উন্নয়নের ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। আমরা তাঁর সেই নির্দেশ মোতাবেক অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

কৃষক জীবন হাজরা বলেন, কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া বিলে আমার ৩বিঘা জমি রয়েছে। প্রায় শতবর্ষ ধরে এ জমি অনাবাদি ছিল। এ বছরই প্রথম আমার এ জমি আবাদ করা হয়েছে। এ জন্য কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার, বীজ ও ধান রোপণের জন্য ফ্রি শ্রমিক দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিটুল রায় বলেন, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমি অনাবাদি রয়েছে। আমরা এ অনাবাদি জমির প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিঘা আবাদের আওতায় আনতে পেরেছি। আগামী মৌসুমে আমরা এ ইউনিয়নের সমস্ত অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনতে পারবো বলে আশা করছি। ওই কর্মকর্তা অরো বলেন, আমরা ২৭৫ জন কৃষককে ফলের চারা, সবজি বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছি। এগুলো দিয়ে তারা বসতবাড়ির পতিত ও অনাবাদি জমিতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করবে। এ বাগানে উৎপাদিত ফল ও সবজি দিয়ে কৃষক পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৩ ৯:২১ পূর্বাহ্ন
ঝিকরগাছায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বোরো ধান আবাদ
কৃষি বিভাগ

মিঠুন সরকার, যশোরঃ কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নে বদলে যেতে শুরু করেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষি চিত্র। ১ ফসলী জমি রুপ নিয়েছে ৩ ফসলী বা ৪ ফসলী জমিতে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবার আউশ অথবা রোপা আমন ধান চাষের পর স্বল্প জীবনকালের সরিষা চাষের পর আবার বোরো ধানের চাষ করেছেন অনেকে। যেখান থেকে কৃষক পাচ্ছেন সর্বোচ্চ মুনাফা।

খাদ্য সংকটের নানান গুঞ্জন পাশ কাটিয়ে বেড়ে চলেছে বোরো ধান উৎপাদন। বৈরি আবহাওয়া, কৃষি পণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিও থামাতে পারেনি বোরো উৎপাদন । উপজেলা জুড়ে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে  বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯,৩৭৫ হেক্টর। যার মধ্য হাইব্রিড ২,০০০ হেক্টর এবং উফশী ১৭,৩৭৫ হেক্টর ।

বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলায় মোট ১৮,৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের উৎপাদন হয়েছিলো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘বিনামূল্যে বীজ, সার ও কৃষক প্রশিক্ষণ, জলবায়ুর ওপর প্রশিক্ষণ, ধানের বাজার মূল্য বৃদ্ধি, ন্যায্য মূল্য সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ও কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবার বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।‘ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধানের বাম্পার ফলন হবে বলেও তিনি আশাবাদী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৩ ১০:৩৬ অপরাহ্ন
গাজর চাষে লাভের মুখ দেখবেন যেভাবে
কৃষি বিভাগ

আমাদের দেশে সাধারণত বিদেশ থেকে বিভিন্ন জাতের গাজরের বীজ আমদানি করে চাষ করা হয়। যেমন, রয়েল ক্রস, কিনকো সানটিনে রয়েল, কোরেল ক্রস ও স্কারলেট নান্টেস। এছাড়া আরও আছে পুষা কেশর, কুরোদা-৩৫, নিউ কোয়ারজা, সানটিনি, ইয়োলো রকেট ইত্যাদি জাতগুলো কৃষকদের নিকট জনপ্রিয়। এসব জাতের মধ্যে পুষা কেশর আমাদের দেশের জলবায়ুতে বীজ উৎপাদনে সক্ষম।

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন বেলে দোঁআশ ও দোআঁশ মাটি গাজর চাষের জন্য ভালো। যেখানে গাজর চাষ হবে সেই জায়গাটি যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাসযুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আশ্বিন থেকে কার্তিক (মধ্য সেপ্টেম্বর-মধ্য নভেম্বর) মাস বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। প্রতি হেক্টরে ৩ থেকে ৪ কেজি বীজ লাগে। সারি হতে সারির দূরত্ব হবে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার।গাছ-গাছের দূরত্ব ১০ সেন্টিমিটার।

গাজর চাষের জন্য ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। জমির মাটি ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হবে। গাজরের বীজ সারিতে বপন করা ভালো। এতে গাজরের যত্ন নেওয়া সহজ হয়।

গাজরের বীজ খুব ছোট বিধায় ছাই বা গুঁড়া মাটির সঙ্গে মিশিয়ে বপন করা ভালো। এজন্য ভালো বীজের সঙ্গে ভালো শুকনা ছাই বা গুঁড়া মাটি মিশিয়ে বপন করা যেতে পারে। গাজর চাষে হেক্টরপ্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে। সারের পরিমাণ প্রতিহেক্টরে গোবর অথবা জৈবসার ১০ টন, ইউরিয়া ১৫০ কেজি, টিএসপি ১২৫ কেজি এবং এসওপি অথবা এমপি ২০০ কেজি হারে প্রয়োগ করতে হবে।

সম্পূর্ণ গোবর ও টিএসপি এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও এমপি সার জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া সমান দুই কিস্তিতে চারা গজানোর ১০ থেকে ১২ দিন ও ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর মাটির উপরে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক এমপি সার চারা গজানোর ৩৫-৪০ দিন পর মটির উপরে প্রয়োগ করতে হবে।

বীজ থেকে চারা গজাতে ১০ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে। তবে বপনের আগে বীজ ভিজিয়ে রাখলে (১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা) ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে চারা বের হয়।

চারা গজানোর ৮ থেকে ১০ দিন পর ৮ থেকে ১০ সেন্টিমিটার পরপর ১টি করে গাছ রেখে বাকি সব উঠিয়ে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে আগাছা পরিষ্কার ও মাটির চটা ভেঙে দিতে হবে। প্রয়োজনমতো সেচ দেওয়া ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মাটির জো দেখে দুসপ্তাহ পরপর ৩ থেকে ৪টি সেচ দেওয়া উৎপাদনের জন্য ভালো।

গাজরে জাব পোকা আক্রমণ করে। এ পোকা ও গাছের কচি অংশের রস শুষে খেয়ে গাছের ব্যাপক ক্ষতি করে। পোকা দমনের জন্য রগোর এল -৪০, ক্লাসিক ২০ ইসি, টিডফেট ৭৫ এসপি, টিডো ২০ এসএল ইত্যাদি কীটনাশকের যে কোনো একটি অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা বাইকাও-১ প্রয়োগ করতে হবে।

গাজরের হলুদ ভাইরাস রোগও দেখা দেয়। লীফ হপার পোকার মাধ্যমে গাজরে অনেক সময় হলুদ ভাইরাস রোগ দেখা যায়। এ পোকার আক্রমণের ফলে গাজরের ছোট বা কচি পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়, পরে কুঁকড়িয়ে যায় এবং লক্ষণীয়ভাবে গাছের পাতার পাশের ডগাগুলো হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে যায়।

লীফ হপার পোকার আক্রমণ হলে দ্রুত দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে। আক্রান্ত ডালপালা কেটে ফেলতে হবে এবং চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সবিক্রন ৪২৫ ইসি ২ মিলিলিটার পানি অথবা রেলোথ্রিন ১ মিলিলিটার পানিতে স্প্রে করতে হবে।

চারা গজানোর ৭০ থেকে ৮০ দিন পর সবজি হিসেবে গাজর খাওয়ার জন্য ক্ষেত থেকে সংগ্রহের উপযুক্ত হয়। হেক্টরপ্রতি গাজরের ফলন ২০ থেকে ২৫ টন। সব ধরনের নিয়ম মেনে গাজর চাষ করলে বেশ লাভবান হওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১১:৫৩ অপরাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে আনোয়ারের সাফল্য
কৃষি বিভাগ

বিষমুক্ত নিরাপদ পদ্ধতিতে শাকসবজি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাটের কৃষক আনোয়ার হোসেন। উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের বালুরদিয়া এলাকায় স্ত্রী শাহিদা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ কাঠা জমিতে লাউ ও লালশাক চাষ শুরু করেন তিনি। বেসরকারি সংস্থা বুরো বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ দুই ফসলে মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে তিনি এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।

জানা গেছে, সবজি চাষের জন্য গত বছর অক্টোবর মাসে আনোয়ারের স্ত্রী শাহিদা বেগম বুরো বাংলাদেশের বানেশ্বর শাখা থেকে জাইকা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত (এসএমএপি) প্রকল্পের আওতায় এক লাখ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বুরো বাংলাদেশের আঞ্চলিক কৃষি কর্মসূচি সংগঠক আবদুর রহমান বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষের জন্য এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন। হাতে কলমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে জৈব বালাইনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিনামূল্যে ফেরোমেন ফাঁদ, হলুদ আঠালো পেপার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহায়তা দেন কৃষকদের। তবে আনোয়ার চাষ শুরু করলে অন্য কৃষকরাও এ পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী হন।

এ বিষয়ে কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, মাত্র ১৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে ইতোমধ্যে ৬৫ হাজার টাকার শাকসবজি বিক্রি করেছি। আরও ১৫-২০ হাজার টাকার শাক ও লাউ বিক্রি হবে। তবে অর্ধেক জমিতে ঘাষ চাষ করেছি গরুকে খাওয়ানোর জন্য। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে বিষমুক্তভাবে সবজি চাষে বেশ সাফল্য পেয়েছি।

এ ব্যাপারে বুরো বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তা এবিএম তাজুল ইসলাম জানান, আমরা দেশের ১১ জেলায় বিশেষ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। তার অংশ হিসেবে চারঘাটে আমাদের প্রোগ্রাম হয়। আনোয়ারের সাফল্য অবশ্যই ইতিবাচক। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং পরামর্শ দিয়ে ফসলের অবস্থা মনিটর করছি। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচও কমছে, একইসঙ্গে জমির মাটি ও পরিবেশ নিরাপদ থাকছে। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৩ ৭:১৩ অপরাহ্ন
কুয়েতে সবজি চাষে এগিয়ে বাংলাদেশিরা
কৃষি বিভাগ

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বিভিন্ন পেশায় প্রায় আড়াই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রবাসী এ দেশের মাজারা বা কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাহিরের বিভিন্ন দেশ হতে আমদানি কমাতে এবং দেশটি সবজি চাহিদা পূরণ লবণাক্ত পানিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে মিঠা পানিতে রুপান্তার করে কৃষিকাজে ব্যবহার করেছে বাংলাদেশিরা।

কৃষিপ্রধান অপার সম্ভাবনাময় নিজ দেশ ছেড়ে প্রবাসে এসে শত প্রতিকূলতা নিয়েও সবজি চাষ ও কুয়েতের সবজি চাহিদা মেটাতে কৃষিখাতে এক উজ্জ্বল ও অনবদ্য দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন বাংলার সূর্যসন্তান প্রবাসীরা।

কুয়েতের কৃষিঅঞ্চল বলে খ্যাত দুটি এলাকা। দেশটির এক প্রান্তে ‘ওয়াফরা’ ও অন্য প্রান্তে ‘আবদালি’ এলাকা। এ দুটি এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশটির সিংহভাগ সবজির চাহিদা মেটাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কুয়েত সিটি হতে প্রায় ১২০ কি.মি দূরে সৌদি আরব, ইরাক, ইরান সীমান্তবর্তী দুই মরু অঞ্চলের উর্বর মাটির শাক-সবজি, ফল উৎপাদনে পাশাপাশি গবাদি পশু-পাখির খামারের জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত এই অঞ্চল দুইটি।

ওই এলাকায় বাংলাদেশি কৃষকরা চাষাবাদ করছেন মাসকলাই, ভুট্টা, ফুলকপি, মুলা, লাল শাক, পাট শাক, বাঁধাকপি, টমেটো, ক্যাপসিকাম, বেগুন, শসা, স্ট্রোবেরি, বরই ফলসহ বিভিন্ন সবজি ও আবাদি ফসল। তবে প্রবাসীরা অনেক কষ্ট করে সবজি উৎপাদন করলেও নিয়মিত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না অনেকে। জানা যায় শখের বসে যে সকল স্থানীয় নাগরিকরা ফলমূল, শাকসবজির বাগান করে থাকেন ঐ সকল মাজরায়(বাগান) কাজ করা শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা ভালো। দক্ষ ও পরিশ্রম শ্রমিকদের বছর শেষে বেতন বাড়ছে।

বাংলাদেশিদের কুয়েতে আসতে ভিসা প্রক্রিয়ায় লামানা (বিশেষ অনুমোদন) প্রয়োজন হয়। এই জটিলতার কারণে ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় দেশটিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের। কিন্তু বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিশর শ্রমিকদের লামানার প্রয়োজন হয় না। যেখানে নামমাত্র খরচে কুয়েতে আসতে পারেন দেশগুলোর প্রবাসীরা। এদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় কৃষিক্ষেত্রের পেশায় দিনদিন বাড়ছে তাদের আধিপত্য।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop